নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

#পাঠ_প্রতিক্রিয়া: একদিন_সূর্যের_দিন

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৬



#পর্ব_২
#নাসির খান
#রোদেলা প্রকাশনী
.
ভালো বইয়ের বৈশিষ্ট্য গুলোর অন্যতম হচ্ছে বইটা বার বার পড়লেও পুরনো হয় না । #একদিন_সূর্যের_দিন উপন্যাসটা একমাস পর আবারও শেষ করলাম শুক্র-শনিবার ( ৬ ও ৭ এপ্রিল) এক নাগাড়ে পড়ে । উপন্যাসের মায়াময় চরিত্র গুলো আজ রবিবার আমার সাথে অফিসে গেল । কাজের ভীড়ে তাদের ভুলে গেলাম । বাসায় ফিরলাম, ওরা আবার ফিরে এলো । আমি প্রিয় ডায়েরিটা নিয়ে বসি ।
.
দেখি অন্ত:সত্ত্বা, দুখী, নির্যাতিতা রুবি আপা তার ছোটভাই বাবুর কাঁধে পরম নির্ভরতায় মাথা রেখে রিকশায় চড়ে মার বাসায় আসছে । পারুল “আপা” বলে বিশাল এক চিৎকার দিয়ে সারা বাড়ি কাঁপিয়ে ছুটে আসছে । মা রান্নাঘর থেকে ছুটে এসে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে – সুখের কান্না । কলপাড়ের জীর্ণ শেফালি গাছটার সাথে রুবি আপা এমন ভাবে কথা বলছে, যেন নিজের মেয়ে । মা দক্ষ হাতে পিঠা বানাচ্ছে । সাদা পাঞ্জাবি গায়ে বাবা দইয়ের খুঁটি নিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে । যেন স্বপ্নময় একটা পরিবার ।
.
বাবা রুবি আপাকে ডাকছে । সে আসবে না । তার নাকি পায়ে ব্যথা । বড় মেয়ে বহুদিন পর বাবার কাছে তার পুরনো আহ্লাদটা জানান দিচ্ছে ।
.
এরমধ্যে মনিদাও বাসায় এসে গেল । মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদী – সবাই মিলে রাতের খাবার খেতে বসেছে । হঠাৎ ছন্দপতন । রুবি আপা বিশ্রীভাবে মনিদার কাছে তার পাওনা টাকা চায় । ভাতের থালায় লাথি মেরে মনিদা না খেয়েই চলে যায় । কিছুক্ষণ পর মনিদা ফিরে এসে রুবি আপাকে পাওনা টাকাটা ফেরত দেয় । সব তিক্ততা ভুলে চার ভাই-বোন আবার উঠানে জড়ো হয় । ভাদ্র মাসের চাঁদের আলোয় উঠান ভেসে যাচ্ছে । রুবি আপা গুন গুন করে গান করছে । বাবাও বেসুরে গলায় গান ধরেছে । খুব চুপচাপ স্বভাবের বাবুরও ইচ্ছে করছে গলা ছেড়ে গাইতে – “আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে । এই বসন্তেরও মাতাল সমীরণে ।“
.
ঘরের কোণে বসে লিখছি । ইচ্ছে করছে উঠান ভরা জোছনায় আকাশের দিকে তাকিয়ে চৌকিতে শুয়ে থাকি । রুবি আপা, মনিদা, বাবু, পারুল, মা, বাবা, দাদী – ক্ষণকালের সুখের যে জোয়ারে ভেসে ছিল, তাদের মতো আমিও ভেসে যাই সুখের অনাবিল আবেশে ।
.
দু:খের গল্প বলায় লেখক নাসির খান যেমন দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, সুখের গল্প বলাতেও তিনি অনবদ্য । আরো অনেক গল্প আছে । আমি জানি না মুগ্ধতার সেই সব গল্প আমি লিখে শেষ করতে পারবো কি-না!
নাই বা হলো শেষ,
থাকুক না তার রেষ ।
.
(চলবে)
.
মো: শামছুল ইসলাম
রচনাকাল: ০৮ এপ্রিল ২০১৮
পরিমার্জন: ০৯ এপ্রিল ২০১৮



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

রাজীব নুর বলেছেন: চলুক।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই ।

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই ধরনের পোস্টের দরকার আছে। শুভ কামনা।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই উৎসাহিত করার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.