![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......
.
মিরপুর রোডটা কলাবাগান হয়ে ধানমন্ডি আট নম্বর মাঠের পাশ দিয়ে দক্ষিণে চলে গেছে – নিউমার্কেটের দিকে । মাঠের বিপরীতে পুবে, হলুদ রংয়ের বিল্ডিংটা দাঁড়িয়ে আছে – সবাই তাকে চেনে কলাবাগান ষ্টাফ কোয়ার্টার নামে । সেই কলোনীর এক বালক মিরপুর রোড পেরিয়ে চলে আসে ধানমন্ডি মাঠে । এই মিরপুর রোডে পেরোতে যেয়েই সে একদিন দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হয় । তবু বিকেল হলেই সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে বড় মাঠে (ধানমন্ডি মাঠকে এই নামেই ডাকা হতো) তার যাওয়া চাই-ই চাই । তার কী যে ভালো লাগে ফুটবল খেলা দেখতে । উত্তর-দক্ষিণে দুটা গোলপোস্ট – দু’পাশে দু’দল । বল নিয়ে ছুটছে খেলোয়াড়রা । ও মুগ্ধ হয়ে দেখে; আর ভাবে, কবে ও ছুটবে এমনি ভাবে । ফুটবল যেন ওর রক্তে বাসা বেঁধেছে ।
.
সেদিনও বালক খেলা দেখছে তন্ময় হয়ে । ইকবাল স্পোর্টিংয়ের গোলকিপারটাকে দেখে সে অবাক । কেউ তাকে পরাস্ত করতে পারছে না । সন্ধ্যা হয় হয়, খেলা শেষের দিকে । একটা বল ইকবাল স্পোর্টিংয়ের গোলমুখে, ফাঁকায় । গোলকিপার দ্রুত দৌঁড়ে এসে ঝাপ দিয়ে শুয়ে পড়ে বল বুকের কাছে নিয়ে গেছে । প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় দৌঁড়ে এসেছে বল জালে প্রবেশ করাতে । গোলকিপারের নিরাপদ আশ্রয়ে বল দেখে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়টার যেন মাথায় রক্ত চড়ে গেল । শুয়ে থাকা গোলকিপারের মুখে সে সজোরে বুটের লাথি মারলো । কিন্তু গোলকিপার বল জড়িয়ে ধরে সেই ভাবেই শুয়ে আছে । কিছুক্ষণ পর রেফারী ফাউলের বাঁশি বাজালো । গোলকিপার বল ছেড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো । সবাই তার দিকে দৌঁড়ে গেল । রক্তাক্ত মুখ, দাঁত দিয়ে রক্ত ধরছে । গোল বাঁচানোর জন্য কী অসম্ভব দৃঢ়তা একজন গোলরক্ষকের ।
.
সেদিনের সেই বালক দুহাজার আটারোতে এসে অবাক হয়ে ভাবে, ধানমন্ডি মাঠের ইকবাল স্পোর্টিংয়ের সেই গোলকিপার আর মরুদেশে এশিয়া কাপ খেলতে নামা তামিমের মাঝে কী ভীষণ মিল । কব্জি ভেঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেল তামিম । দলের অবস্থা তখন নড়বড়ে । কিন্তু বাংলাদেশের লিটল মাস্টার মুশফিকুর রহিম তখনো ক্রিজে । তাঁর হার না মানা মনোভাবের সামনে শ্রীলঙ্কা তখন খাবি খাচ্ছে । সবাই আউট । কিন্তু হাসপাতাল থেকে কব্জিতে ব্যান্ডেজ নিয়ে মাঠে হাজির অকুতোভয় তামিম । একহাতে ব্যাট ধরে সে নেমে পড়ে মাঠে, মুশফিকের যে একজন সঙ্গীর বড় দরকার ।
.
সত্তরের সেই লড়াকু গোলকিপার আর আজকের লড়াকু ক্রিকেটার তামিম কিন্তু একই সূত্রে গাঁথা ।
সেই গোলকিপারের নাম ইকবাল খান, যিনি তামিম ইকবালের বাবা । অনেক দিন হয় তিনি গত হয়েছেন, কিন্তু তামিম এখনো বয়ে বেরাচ্ছেন তাঁর বাবার রক্তে মেশা লড়াকু মনোভাব ।
যোদ্ধারা বংশ পরস্পরায় এমনি করেই বহমান – যুগে যুগে ।
.
.
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
মো: শামছুল ইসলাম
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৬
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ।
প্লাস পেয়ে ভালো লাগছে ।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: বাহ!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৯
আরোগ্য বলেছেন: এ জন্যই তামিমকে এত ভালো লাগে। আমার অন্যতম প্রিয় ব্যক্তিত।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫১
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ।
আমারও অত্যন্ত প্রিয় ওপেনার ।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৪
সনেট কবি বলেছেন: বেশ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ সনেট কবি ।
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৯
শুভ্র বিকেল বলেছেন: তার বাবা ফুটবলার ছিলেন জানতাম না, শুধু চাচাকেই চিনি। যা হোক শুভ কামনা।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভালো ফুটবলার ছিলেন তামিমের বাবা ইকবাল সাহেব । ইকবাল স্পোর্টিং উনার নামেই করা । পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে শেখ কামাল ক্লাবটাকে কিনে নেন এবং আবাহনী ক্রীড়া চক্র নামে নতুন যাত্রা শুরু হয় ।
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: তামিমের বাবার কথা জেনে চোখটা ভিজে গেল। দ্রুত সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরুক আমাদের লড়াকু তামিম এই দোয়া রইলো।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক মাহমুদ ভাই ।
আমীন ।
৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই ।
৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিখ্যাত ক্রীড়া পরিবারে জন্ম তার। তবে তিনি এখন স্বমহিমায় ক্রিকেট বিশ্বে আলোচিত তারকা। দেশের সেরা অপেনিং ব্যাটসম্যান ও ম্যাচ উ্ইনিং ব্যাটসম্যান। আহত অবস্থায় দেশের জন্য খেলে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন। তারে স্বাগত জানাই। আপনাকেও শুভেচ্ছা দারুন একটি বিষয় তুলে ধরার জন্য। আপনি আমার পোস্টে নিয়মিত কমেন্ট করে আমাকেও ঋণী করে রেখেছেন ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ।
আপনার দীর্ঘ মন্তব্যে খুব আনন্দ হচ্ছে ।
৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বছর কয়েক আগে এই তামিমকে নিয়ে করা ট্রলগুলো খুব দ্রুতই ভুলে গিয়ে এখন সবাই মেতেছে তামিম বন্দনায়। তবে যারা ক্রিকেট বোঝেন, জানেন তাদের কিন্তু কখনো তামিম'কে নিয়ে বা তার প্রতিভা নিয়ে কখনো বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছিল না।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
খুব মূল্যবান মন্তব্য করেছেন ।
তবে যারা না বুঝে ট্রল করেছেন, তাদের আমি বেশ কিছুদিন হলো বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখছি । তারা না বুঝেই কাজটা করেছেন । কিন্তু যারা ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে কাজটা করেছেন, তাদের একটু বাঁকা চোখে দেখতেই হয় ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: গোল রক্ষক ইকবাল তামিমের বাবা জনা ছিলো না।
পোষ্টে ++