নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি দাওয়াত ও কিছু ঘটনা (শেষ পর্ব)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

৬ষ্ঠ পর্বের লিংক: Click This Link
.
কোন একটা জিনিস ব্যবহার করে তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে, সেটা আর ছাড়া যায় না। যদিও সেটা মৌলিক প্রয়োজনের মধ্যে পড়ে না, তবুও সেটা নষ্ট হলে বা হারিয়ে গেলে, খুব দ্রুতই তা আবার কেনার জন্য মন ছটফট করে। মোবাইলটা তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ।
.
ভাগ্নির একটা মোবাইল নিয়ে দু’দিন অফিস করলাম। তারপর একটা মোবাইল কিনলাম। আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে আসে হারানো মোবাইলের স্মৃতি। আজ তেইশ দিন হলো মোবাইল ছিনতাইয়ের। মনের মধ্যে অনেক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলে, চলছে – ওই ঘটনা নিয়ে।
.
মোবাইল ছিনতাইকারী শাহানার কাছে অনুরোধ করেছিল, ওকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। সেদিন মাছ কিনে সেগুলো কুটার জন্য দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম ওর ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারটা। সেদিন রাতেই আমি ওকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু তাতেই কী ও রেহাই পেয়ে যাবে? এই যে ছেলেটা, আমার ছয় পদের মাছ কুটে এক শো আশি টাকা নিল, এমনি আরো অনেকের মাছ কুটে সে রোজগার করছে। পরিশ্রম করে জীবন চালাচ্ছে। সেই ছিনতাইকারী কী জবাব দিবে স্রষ্টার কাছে যখন উদাহরণ হিসেবে এই মাছ কুটা ছেলেটাকে হাজির করা হবে? শুধু এই ছিনতাইকারী কোন, আমরা অধিকাংশ মানুষ আমাদের মন্দ কাজের জন্য কোন না কোন যুক্তি দাঁড় করাই। একটুও ভেবে দেখি না সেই বিরূপ পরিস্থিতি অন্য একজন সৎ ভাবে সম্পাদন করছে। সুতরাং আমার –আপনার অসাড় যুক্তি সেদিন স্রষ্টার কাছে মুখ থুবড়ে পড়বে।
.
ফজরের শান্ত-ধীর সকালে মনটা খুব নরম থাকে। ইমাম সাহেবের পিছনে তারঁ সুললিত কণ্ঠের তিলাওয়াত শুনি। ভাবি, হঠাৎ ছো দিয়ে চোখের নিমেষে আমার মোবাইলটা নাই হয়ে গেল। সেটা আর ফিরে পেলাম না। এমনি করে শেষ বিচারের দিন, আমল গুলো যখন পতঙ্গের মতো উড়তে থাকবে। আমি দিশেহারা হয়ে থাকব। সেদিন যদি আমলনামাটা আমার বা হাতে এসে পড়ে। হায়! আমার মতো দুর্ভাগা তো কেউ হবে না সেদিন। ছিনতাইকৃত মোবাইল কেনা যায়, কিন্তু বা হাতে প্রাপ্ত আমল তো বদলানো যাবে না। নিজের অজান্তেই আমার চোখ ভিজে আসে।
.
ফজরের নামাজ শেষে কিছুক্ষণ হাঁটি। ভোরে ঠাণ্ডা বাতাসে মনটা জুড়িয়ে যায়। সারি সারি উঁচু দালানের মাঝেও কোথাও কোথাও এখনো ফাঁকা। নগরায়নের সেই অপূর্ণতার কারণে এখনো রাত শেষে সাদা চাঁদের দেখা পাই। কখনো সেই গোল সাদা চাঁদ দেখি আকাশের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে। কখনো ক্ষয়িষ্ণু সেই চাঁদ একেবারে মাথার উপরে, দক্ষিণ বরাবর দেখতে পাই। চাঁদের মাসের হিসেব জানি না। তবে পত্রিকা দেখে অনেক কিছু বুঝতে পারি। চাঁদের কোন তারিখে চাঁদ কী আকার ধারণ করে। বড় সুন্দর, রহস্যময় এই জগত।
.
তাঁর চেয়েও রহস্যময় মানুষের মন। সে কখন, কোন ঘটনা থেকে কী আহরণ করবে, সে নিজেও তা জানে না।
.
মো. শামছুল ইসলাম
২৭ এপ্রিল ২০১৯

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম,




বড় সুন্দর আর রহস্যময় যেমন এই জগৎটা তেমনি এই জগৎ এর মানুষগুলোও আরো রহস্যময় আর জটিল।

শেষের প্যারাটি সুন্দর একটি অভিব্যক্তি নিয়ে চাঁদের মতোই স্নিগ্ধ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৪০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।

আপনার মন্তব্য সব সময়ই আমার কাছে বিশেষ কিছু।

আপনার মন্তব্যের শেষটুকুও আমার মন ছুঁয়ে গেছে : শেষের প্যারাটি সুন্দর একটি অভিব্যক্তি নিয়ে চাঁদের মতোই স্নিগ্ধ।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:০৩

হারাধ০১ বলেছেন: সব গুলো পর্ব একবারে পড়লাম। শেষটা অসাধারণ লিখেছেন। চোখ ভিজেযাচ্ছিল।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৪৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
সব গুলো পর্ব কষ্ট করে পড়েছেন জেনে কৃতজ্ঞ বোধ করছি।

চোখ ভিজেযাচ্ছিল। - আপনার সুন্দর মন আরো সুন্দর হয়ে ওঠুক।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:০৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই ছিল দাওয়াত সিরিজের শেষ পড়তে এসে বড় ক্লান্ত হয়ে গেলাম ফিরে তাকিয়ে দেখি প্রবাসেই ২০টি বছর! জীবন থেকে ৪৩ বসন্ত চলে গেল কতো হিসাব এখনো মিলেনি। জীবন এমন বৈচিত্রময় তাই প্রতিটি ভোরের প্রতিক্ষায় থাকি। ভালো থাকুন সদায়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই।

আপনার সুদীর্ঘ প্রবাস জীবনে নতুন ভোর আসুক।

স্বদেশ সবার কাছেই প্রিয়।

আশা করি একদিন ফিরে আসবেন এই মাটিতে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে।

আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি অন্তরের অন্তস্থল থেকে।

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:৩০

এম.জে. রহমান বলেছেন: লেখাটি পড়ে মনে একধরণের দার্শনিক ভাব জাগে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ এম.জে.রহমান ভাই।

আপনার মন্তব্যটি খুব ভালো লেগেছে:
লেখাটি পড়ে মনে একধরণের দার্শনিক ভাব জাগে।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আপনার ইউনিভার্সিটি জীবনের একটা স্মৃতি বলুন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হোসাইন ভাই।

আমি পড়ালেখা করেছি চুয়েট-এ, ১৯৮৩-৮৮।

সেই সময়ের কিছু স্মৃতি আছে।

একটা লেখাও আছে - পুরনো।

খুঁজে পেলে রি-পোস্ট করতে পারি।

নতুন কিছু লেখা হয়নি আর।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: তাঁর চেয়েও রহস্যময় মানুষের মন। সে কখন, কোন ঘটনা থেকে কী আহরণ করবে, সে নিজেও তা জানে না।

একটি দাওয়াতের গল্প নিয়ে লেখা সিরিজ শেষ করেছেন চমৎকার হবে। ভালো লেগেছে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপা।

খুব সাধারণ ঘটনাও কখনো কখনো মানুষের জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করে। সেই রকম উপলব্ধি নিজের মধ্যে অনুভব করি এবং সেটাকেই ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করি।

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: শেষ বিচার দিবসের কথা মনে পড়লে খুব কষ্ট লাগে। আহারে জীবন কি করলাম আর কি করলাম না এই ভেবেই খারাপ লেগে ওঠে।
আল্লাহ্‌ যদি ক্ষমা করেন তবেই ক্ষমা না হলে কোন দিনও না।

আল্লাহ্‌ সবাইকে ক্ষমা করুক।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৪৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান ভাই।

আপনার ভাবনা, আমারও ভাবনা:
শেষ বিচার দিবসের কথা মনে পড়লে খুব কষ্ট লাগে। আহারে জীবন কি করলাম আর কি করলাম না এই ভেবেই খারাপ লেগে ওঠে।
আল্লাহ্‌ যদি ক্ষমা করেন তবেই ক্ষমা না হলে কোন দিনও না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.