নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসীম নীল আকাশে পাখী যেমন মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, কল্পনার ডানায় চড়ে আমিও ভেসে চলেছি মনের আনন্দে--রূঢ় পৃথিবীটাকে পিছনে ফেলে।

খেয়ালের বশে কোন পথে চলেছো পথিক...

শামছুল ইসলাম

পাখী ডানায় ভর করে মুক্ত নীল আকাশে মনের আনন্দে উড়ে বেড়ায়, আমিও কল্পনার ডানায় চড়ে মনের গহীন আকাশে .......

শামছুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঠ প্রতিক্রিয়া; বিপুলা পৃথিবী -অধ্যাপক আনিসুজ্জামান; প্রকাশক - প্রথমা

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৪

.
বই পড়তে পড়তে আমার মধ্যে বিভিন্ন রকমের অনুভূতি হয়-কখনো নিজের মনেই হাসি, কখনো চশমার কাঁচ মুছি। ভাবি, একটু গুছিয়ে পরে লিখবো। সেই পরেটা আর হয়ে ওঠে না;অলসতায়, সংসার-চাকরি বহুবিধ নিয়ামকের খপ্পরে পড়ে সে হারিয়ে যায়। তাই আজ ঠিক করেছি যখন যা পড়বো, তার প্রতিক্রিয়া চট করে লিখে ফেলবো। চমৎকার সেই অনুভূতিগুলো পরে আর খুঁজে পাই না, কিছু একটা হারানোর অব্যক্ত বেদনায় মনটা ভার হয়ে যায়। তাই আর নয় কাল, আজ, এখনই শুরু হোক লেখালেখি।
.
'বিপুলা পৃথিবী' অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের লেখা বিশাল স্মৃতিচারণমূলক আত্মজীবনী । ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী থেকে শুরু করে ২০০০ সালে এসে শেষ করেছেন। ৫৭১ পৃষ্ঠার এই বিশাল পুস্তকটি আমার ছেলে গতবছর মেলা থেকে আমাকে উপহার দেয়। আমি ভীষন লজ্জিত; ছাত্র হয়েও ৮০০ টাকা দিয়ে কিনে দেওয়া ছেলের বইটি আমি এখনো শেষ করতে পারিনি। ২৮৩ পৃষ্ঠায় এসে আটকে আছি।
.
আনিসুজ্জামান স্বাধীনতা উত্তর এই সময়টাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করেছেন:
১। নতুন যুগের গুরু
২। অস্তাচলের পানে
৩। হননের কাল
৪। কাছে-দূরে
৫। হালখাতা

আমি হননের কালে এসে পড়েছি। লেখক আমার সত্ত্বাকে হনন করে নিয়েছেন তাঁর সহজ-সরল ভাষার ব্যবহার ও রসবোধ দিয়ে। ২৮৩ পাতায় উনি লিখেছেন,
'তেল-ভাইস-চ্যান্সেলরকে দিতে যাচ্ছি।' - এই কথাটা পড়ে না হেসে পারলাম না। কুয়েতে আরবদের একটা সিম্পেজিয়ামে উনি গিয়েছেন ১৯৮১ সালের মার্চে। কুয়েতের অবস্থানকালীন তাঁর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন। কুয়েতে যাওয়ার আগে উপাচার্য আবদুল করিম (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ) বলেছিলেন, তাঁর জন্য সেখান থেকে এক বোতল জয়তুনের তেল আনার জন্য। লেখক তাঁর দোভাষী ছাত্রটিকে তা সংগ্রহ করার অনুরোধ করেন। সে প্রায় আধা-গ্যালনের এক প্ল্যাস্টিক-কন্টেইনারে বিদেশী অলিভ অয়েল নিয়ে আসে। সেটা সুটকেসে নেওয়া সম্ভব নয় বলে উনি কুয়েতে থেকে আবুধাবি, আবুধাবি থেকে ঢাকা, এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে সেটা হাতে করে নিয়ে আসেন। প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রে কৌতূহলীদের জবাবে বলতেন, 'তেল-ভাইস-চ্যান্সেলরকে দিতে যাচ্ছি।'
.
সেই আশির দশকে যেমন তেলের কদর ছিল, বর্তমানে ২০২০ সালে এসেও তার কদর কিছুমাত্র কমেনি-বরং বেড়েছে।
.
উনি বিখ্যাত ব্যক্তি। তাই অনেক বিখ্যাত বক্তির কথা তার এই লেখায় ওঠে এসেছে; সেই সাথে একান্ত ব্যক্তিগত কিছু স্মৃতিও তুলে ধরেছেন। আন্তরিক, বন্ধু-বৎসল, অপরকে সহজেই আপন করে নেওয়া আনিসুজ্জামানকে যতই পড়ছি, ততোই মুগ্ধ হচ্ছি।
.
আবার ফিরবো 'বিপুলা পৃথিবী' নিয়ে, যখনই মনকে নাড়া দিয়ে যাবে লেখক।
.
মো. শামছুল ইসলাম
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
.

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩০

অজ্ঞ বালক বলেছেন: দারুন একটা বই। খুব সহজ সরল ভাষায় লেখা। সেই সময়ের বেশ ভালোমতন প্রতিচ্ছবি লেখায় ফুইটা উঠছে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: সময়টাকে খুব সুন্দর ভাবে চিত্রিত করেছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথমার বইয়ের দাম অনেক বেশি। খুব বেশি বেশি।
প্রথমা হইলো ব্যবসায়ী।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। কে ব্যবসায়ী না, জানতে ইচ্ছে করছে।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

ফুলের সৌরভে ভরে যাক সারাটা বিকেল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.