নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলতে চাই

সামছুল কবির মিলাদ

আমি মুক্ত আমি স্বাধীন

সামছুল কবির মিলাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবার সিদ্ধান্ত নেবার পালা আপনার!

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩



বাংলাদেশে শিল্পাঞ্চলগুলোতে সকালবেলার একটি চিত্র আমাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে; সেটি হল দলবেঁধে নারীরা কাজে যাচ্ছে যাদের সবাই গার্মেন্টস শ্রমিক। একসময় আমরা বিস্ময় নিয়ে দেখেছি। এখন জানি তারা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে অবদান রাখছে। সেদিন খুব দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশের তরুণ তরুণীরা আউটসোর্সিং করেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনেক দূর। যা এখন হয়তো অনেকে কল্পনাও করতে পারছেন না। বাংলাদেশ এমন একটি সম্ভাবনার দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে। বলা যায় যাত্রাও শুরু করেছে সে পথে।



আউটসোর্সিং (Outsourcing) হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে বাইরের কোন প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তির সাহায্যে করিয়ে নেয়া। এই কাজ হতে পারে কোনও প্রকল্পের অংশ বিশেষ অথবা সমগ্র প্রকল্প। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) হচ্ছে যখন কোন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাজ করে থাকেন সেই প্রক্রিয়া।



ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কোনও একটি বিষয়ে দক্ষতা থাকা জরুরী। তার সাথে আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের উপরেও ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। তবে আপনার যদি কম্পিউটারের একাধিক বিষয়ে দক্ষতা থাকে, তাহলে স্বভাবতই আপনি বড় পরিধিতে কাজ করতে পারবেন।



পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় একজনকে ফ্রিল্যান্সারকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম এটা এক প্রকার নিশ্চিত। এখন কথা হল শ্রমের মর্যাদা নিয়ে। মূল্য নিয়ে। সে সব নিয়ে কখন কথা বলবেন যখন আপনারা কাছে অল্টারনেটিভ অপশন থাকতে হবে। আমার মতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বিকল্প কোন অপশন নেই।



এতো সংখ্যক শিক্ষিত তরুণ তরুণীদের স্বপ্ন বা কর্ম সংস্থান তৈরিতে কেউ কি কাজ করছেন? কেউ কি কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন? কেউ কি এগিয়ে আসবেন? আমি জানি এর উত্তর হচ্ছে একটি বড় সর “না” তাহলে এই বিশাল সংখ্যক তরুণ তরুণী কি করবেন? মামা চাচা নিয়ে দৌড়াবেন সোনার হরিণ নামের চাকুরীর পেছনে? আমিতাও মনে করি এর চেয়ে শতগুণ ভালো নিজের অধ্যবসায় চেষ্টা একাগ্রতা নিয়ে এই শিল্পে ঝাঁপিয়ে পড়লে। এতে করে আপনি নিজে যেমন উপকৃত হবেন – উপকৃত হবে দেশের অর্থনীতি।



আসুন একটি তুলনামূলক চিত্র দেখি যা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিয়ে সহায়তা করবে। ২০১২ সালে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের শ্রমিকেরা প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন (তথ্যসুত্রঃ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক) প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে এটা ধরে নিলে ২০১৫ সাল নাগাদ সেটা হবে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ইউএস ডলারের কাছাকাছি।



এবার আসা যাক আউটসোর্সিং শিল্পের দিকে। ২০১২ সালে ৩৬৫ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছেন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা। আশা করা যায় ২০১৫ সালে সর্বমোট ৪৪৩ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের কাজ আউট-সোর্স হবে। আমরা যদি এর ১০% মার্কেট শেয়ার নিতে পারি তাহলে সেটা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার এবং ৫% মার্কেট শেয়ার নিলে সেটা হবে প্রায় ২৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা কিনা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বর্তমানের সবচেয়ে বড় খাতকেও অতিক্রম করবে। - এটা কি অনেক বেশী আশাপ্রদ খবর/সম্ভাবনা নয়?



আমি এই খাতকে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখি। যেমন দেখেন আরও অনেকেই। এর কারণ আছে। তথ্য উপাত্ত সকলই এর পক্ষে যায়। আসুন সে সব জেনে আসি।



আউটসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান ওডেস্ক। ফ্রিল্যান্সিং-এর সবচেয়ে বড় এই মার্কেট প্লেসে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩য়। বর্তমানে ৭০০০ সক্রিয় বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে ওডেস্কে এবং বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০০৯ সালে ওডেস্কের মোট কাজের ২ শতাংশ করতেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা। ২০১২ সাল নাগাদ যা গিয়ে দাঁড়ায় ১২ শতাংশে। ২০১২ সালের প্রান্তিকে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা ওডেস্কে ৭ লাখ ২০ হাজার ঘণ্টা কাজ করেছেন।



ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ২৫ হাজারের বেশি নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে বলে জানা গেছে। দ্বিতীয় জনপ্রিয় সাইট ফ্রিল্যান্সার ডটকমেও বাংলাদেশিদের অবস্থান সন্তোষজনক। এ সাইটটিতে বাংলাদেশিরা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজই বেশি করে থাকেন। সর্বশেষ স্ত্রিপ্টল্যান্সডটকম সাইটটি ফ্রিল্যান্সার কর্তৃক কিনে নেয়ায় বাংলাদেশি অনেক প্রোগ্রামার এখন ফ্রিল্যান্সার ডটকমে কাজ শুরু করেছেন।

অপর জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেট-প্লেস ইল্যান্সেও প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ।



সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ইল্যান্স কর্তৃপক্ষ কন্ট্রাক্টর বাই জিওগ্রাফি ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ২৫টি দেশের নাম প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম। শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। প্রকাশিত তথ্যমতে, সাইটটিতে বর্তমানে বাংলাদেশি নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার ৩৯ হাজার ১৯৫ (৬ এপ্রিল ২০১৩ সাল পর্যন্ত) এখানে বাংলাদেশিদের প্রতি ঘণ্টায় গড় কাজের মূল্য ৯ ডলার। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা এই সাইট থেকে ৪৯ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে।



বাংলাদেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ তরুণ। তরুণরাই পারে একটি দেশের অর্থনীতির গতি পরিবর্তন করতে। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা এখন অনেক বেশি যা প্রায় মোট জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ (উৎস: CIA - The World Factbook)। ২০১৫ - ২০১৬ সালের মধ্যে এটা ৪০ শতাংশে উন্নীত হবে। কোনও দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যখন আনুপাতিক হারে সবচেয়ে বেশি থাকে তখন তাকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (Demographic Dividend) বা ডেমোগ্রাফিক বোনাস (Demographic Bonus) বলে। এ অবস্থাকে আবার উইন্ডোজ অব অপরচুনিটিও (Windows of Opportunity) বলা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে কোনও দেশের উন্নয়নের সম্ভাবনাময় দুয়ার খুলে যেতে পারে। যদি সঠিক সময়ে তাদের সঠিকভাবে কাজে লাগানো না যায় তাহলে তা যেকোনো দেশের জন্য বোঝা ও মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে আবার কাজে লাগাতে পারলে এই জনসংখ্যাই হতে পারে আমাদের তুরুপের তাস।



বাংলাদেশের শিক্ষিত বিপুল কর্মক্ষম জনগণকে অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজের যোগ্য হিসেবে অথবা ফ্রিল্যান্সার হিসাবে গড়ে তোলা গেলে আমাদের দেশের চেহারাটা বদলে দিতে খুব বেশী অপেক্ষা করতে হবে না বলেই মনে করি আমি!



নিজেকে প্রস্তুত করে এই খাতে নিজের মেধা ঢেলে দিতে পারেন। কারো মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজের চেষ্টা নিজের যোগ্যতাবলে একদিন অনেকের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠুন। তবে বলে রাখা প্রয়োজন এই পথটি যে খুব সহজ তা কিন্তু নয়। এখানে সাফল্য লাভের জন্য আপনাকে রাত দিন পরিশ্রম করতে হবে। দীর্ঘদিন একাগ্রতা নিয়ে থাকতে হবে এবং সবচেয়ে জরুরী যেটি সেটি হচ্ছে আপনাকে বিশেষ কোন কাজে অতি অবশ্যই দক্ষ করে গরে তুলতে হবে। যেহেতু কাজ করতে হবে বিদেশীদের সঙ্গে সেহেতু যোগাযোগের জন্য একটি বিশেষ কাজে দক্ষতার পাশাপাশি ইংরেজি জানা আবশ্যক। এমন টুকটাক আরও বেশ কিছু ইস্যু আছে সে সব নিয়েও আপনাকে সচেতন হতে হবে। এবার সিদ্ধান্ত নেবার পালা আপনার।বাংলাদেশে শিল্পাঞ্চলগুলোতে সকালবেলার একটি চিত্র আমাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে; সেটি হল দলবেঁধে নারীরা কাজে যাচ্ছে যাদের সবাই গার্মেন্টস শ্রমিক। একসময় আমরা বিস্ময় নিয়ে দেখেছি। এখন জানি তারা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে অবদান রাখছে। সেদিন খুব দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশের তরুণ তরুণীরা আউটসোর্সিং করেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনেক দূর। যা এখন হয়তো অনেকে কল্পনাও করতে পারছেন না। বাংলাদেশ এমন একটি সম্ভাবনার দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে। বলা যায় যাত্রাও শুরু করেছে সে পথে।



আউটসোর্সিং (Outsourcing) হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে বাইরের কোন প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তির সাহায্যে করিয়ে নেয়া। এই কাজ হতে পারে কোনও প্রকল্পের অংশ বিশেষ অথবা সমগ্র প্রকল্প। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) হচ্ছে যখন কোন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাজ করে থাকেন সেই প্রক্রিয়া।



ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কোনও একটি বিষয়ে দক্ষতা থাকা জরুরী। তার সাথে আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের উপরেও ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। তবে আপনার যদি কম্পিউটারের একাধিক বিষয়ে দক্ষতা থাকে, তাহলে স্বভাবতই আপনি বড় পরিধিতে কাজ করতে পারবেন।



পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় একজনকে ফ্রিল্যান্সারকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম এটা এক প্রকার নিশ্চিত। এখন কথা হল শ্রমের মর্যাদা নিয়ে। মূল্য নিয়ে। সে সব নিয়ে কখন কথা বলবেন যখন আপনারা কাছে অল্টারনেটিভ অপশন থাকতে হবে। আমার মতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বিকল্প কোন অপশন নেই।



এতো সংখ্যক শিক্ষিত তরুণ তরুণীদের স্বপ্ন বা কর্ম সংস্থান তৈরিতে কেউ কি কাজ করছেন? কেউ কি কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন? কেউ কি এগিয়ে আসবেন? আমি জানি এর উত্তর হচ্ছে একটি বড় সর “না” তাহলে এই বিশাল সংখ্যক তরুণ তরুণী কি করবেন? মামা চাচা নিয়ে দৌড়াবেন সোনার হরিণ নামের চাকুরীর পেছনে? আমিতাও মনে করি এর চেয়ে শতগুণ ভালো নিজের অধ্যবসায় চেষ্টা একাগ্রতা নিয়ে এই শিল্পে ঝাঁপিয়ে পড়লে। এতে করে আপনি নিজে যেমন উপকৃত হবেন – উপকৃত হবে দেশের অর্থনীতি।



আসুন একটি তুলনামূলক চিত্র দেখি যা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিয়ে সহায়তা করবে। ২০১২ সালে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের শ্রমিকেরা প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন (তথ্যসুত্রঃ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক) প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে এটা ধরে নিলে ২০১৫ সাল নাগাদ সেটা হবে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ইউএস ডলারের কাছাকাছি।



এবার আসা যাক আউটসোর্সিং শিল্পের দিকে। ২০১২ সালে ৩৬৫ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছেন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা। আশা করা যায় ২০১৫ সালে সর্বমোট ৪৪৩ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের কাজ আউট-সোর্স হবে। আমরা যদি এর ১০% মার্কেট শেয়ার নিতে পারি তাহলে সেটা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার এবং ৫% মার্কেট শেয়ার নিলে সেটা হবে প্রায় ২৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা কিনা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বর্তমানের সবচেয়ে বড় খাতকেও অতিক্রম করবে। - এটা কি অনেক বেশী আশাপ্রদ খবর/সম্ভাবনা নয়?



আমি এই খাতকে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখি। যেমন দেখেন আরও অনেকেই। এর কারণ আছে। তথ্য উপাত্ত সকলই এর পক্ষে যায়। আসুন সে সব জেনে আসি।



আউটসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান ওডেস্ক। ফ্রিল্যান্সিং-এর সবচেয়ে বড় এই মার্কেট প্লেসে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩য়। বর্তমানে ৭০০০ সক্রিয় বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে ওডেস্কে এবং বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০০৯ সালে ওডেস্কের মোট কাজের ২ শতাংশ করতেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা। ২০১২ সাল নাগাদ যা গিয়ে দাঁড়ায় ১২ শতাংশে। ২০১২ সালের প্রান্তিকে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা ওডেস্কে ৭ লাখ ২০ হাজার ঘণ্টা কাজ করেছেন।



ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ২৫ হাজারের বেশি নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে বলে জানা গেছে। দ্বিতীয় জনপ্রিয় সাইট ফ্রিল্যান্সার ডটকমেও বাংলাদেশিদের অবস্থান সন্তোষজনক। এ সাইটটিতে বাংলাদেশিরা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজই বেশি করে থাকেন। সর্বশেষ স্ত্রিপ্টল্যান্সডটকম সাইটটি ফ্রিল্যান্সার কর্তৃক কিনে নেয়ায় বাংলাদেশি অনেক প্রোগ্রামার এখন ফ্রিল্যান্সার ডটকমে কাজ শুরু করেছেন।

অপর জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেট-প্লেস ইল্যান্সেও প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ।



সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ইল্যান্স কর্তৃপক্ষ কন্ট্রাক্টর বাই জিওগ্রাফি ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ২৫টি দেশের নাম প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম। শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। প্রকাশিত তথ্যমতে, সাইটটিতে বর্তমানে বাংলাদেশি নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার ৩৯ হাজার ১৯৫ (৬ এপ্রিল ২০১৩ সাল পর্যন্ত) এখানে বাংলাদেশিদের প্রতি ঘণ্টায় গড় কাজের মূল্য ৯ ডলার। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা এই সাইট থেকে ৪৯ লাখ ইউএস ডলার আয় করেছে।



বাংলাদেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশ তরুণ। তরুণরাই পারে একটি দেশের অর্থনীতির গতি পরিবর্তন করতে। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা এখন অনেক বেশি যা প্রায় মোট জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ (উৎস: CIA - The World Factbook)। ২০১৫ - ২০১৬ সালের মধ্যে এটা ৪০ শতাংশে উন্নীত হবে। কোনও দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যখন আনুপাতিক হারে সবচেয়ে বেশি থাকে তখন তাকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (Demographic Dividend) বা ডেমোগ্রাফিক বোনাস (Demographic Bonus) বলে। এ অবস্থাকে আবার উইন্ডোজ অব অপরচুনিটিও (Windows of Opportunity) বলা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে কোনও দেশের উন্নয়নের সম্ভাবনাময় দুয়ার খুলে যেতে পারে। যদি সঠিক সময়ে তাদের সঠিকভাবে কাজে লাগানো না যায় তাহলে তা যেকোনো দেশের জন্য বোঝা ও মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে আবার কাজে লাগাতে পারলে এই জনসংখ্যাই হতে পারে আমাদের তুরুপের তাস।



বাংলাদেশের শিক্ষিত বিপুল কর্মক্ষম জনগণকে অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজের যোগ্য হিসেবে অথবা ফ্রিল্যান্সার হিসাবে গড়ে তোলা গেলে আমাদের দেশের চেহারাটা বদলে দিতে খুব বেশী অপেক্ষা করতে হবে না বলেই মনে করি আমি!



নিজেকে প্রস্তুত করে এই খাতে নিজের মেধা ঢেলে দিতে পারেন। কারো মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজের চেষ্টা নিজের যোগ্যতাবলে একদিন অনেকের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠুন। তবে বলে রাখা প্রয়োজন এই পথটি যে খুব সহজ তা কিন্তু নয়। এখানে সাফল্য লাভের জন্য আপনাকে রাত দিন পরিশ্রম করতে হবে। দীর্ঘদিন একাগ্রতা নিয়ে থাকতে হবে এবং সবচেয়ে জরুরী যেটি সেটি হচ্ছে আপনাকে বিশেষ কোন কাজে অতি অবশ্যই দক্ষ করে গরে তুলতে হবে। যেহেতু কাজ করতে হবে বিদেশীদের সঙ্গে সেহেতু যোগাযোগের জন্য একটি বিশেষ কাজে দক্ষতার পাশাপাশি ইংরেজি জানা আবশ্যক। এমন টুকটাক আরও বেশ কিছু ইস্যু আছে সে সব নিয়েও আপনাকে সচেতন হতে হবে। এবার সিদ্ধান্ত নেবার পালা আপনার



কৃতজ্ঞতাঃ লেখাটির মুল অংশ বিডিজবস এর একটি লেখার অনুলিপি। আমি শুধু কিছু অংশ সম্পাদনা করেছি। কিছু কথা যোগ করেছি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এবার সিদ্ধান্ত নেবার পালা আপনার
আমাদের
সরকারের
বেসরকারী উদোক্তাদের
বেকারত্বে হাসফাস করা তরুনের
!!!!!!!!!!!!

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন বিদ্রোহী ভৃগু ভাই। একটু খেয়াল করলেই হয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.