![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় অনেককেই বলতে শুনি পুরুষরা চোখ বন্ধ করে রাখলেই তো তারা নারীদের অশালীনতা দেখতে পাবে না, আবার প্রায় এ কথাও বলতে শুনি নারীরা নিজেদের দেহকে আবৃত করে রাখলেই তো অশালীনতা শব্দটাই থাকবে না।
এখন উপরের দুই জনের কথাতেই যুক্তি আছে। কিন্তু পুরুষরা চোখ বন্ধ করে থাকবে এটা অবাস্তব। আবার বর্তমান সমাজে আমাদের দেশে(অনেক) নারী নিজেদের দেহ আবৃত করে রাখতে চায় না তাই ধরে নেয়া যায় দুইটি ধারণা যৌক্তিক হলেও তা বর্তমান সমাজ প্রেক্ষাপটে সম্ভব নয়।
আবার আরেকটা সমস্যা আছে তা হল প্রবাদ বাক্য, যেমন আমরা জানি অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না, আবার পতিতার দেহ সবাইকে দোলা দেয় না। তার মানে দাঁড়াল চোখ বন্ধ করে থাকলেও অশালীনতা আসতে পারে আবার পতিতালয়ের আসে পাশে শালীনতার জন্ম হতে পারে।
তাহলে সিদ্ধান্ত নেয়া আরও কঠিন হয়ে গেল। এবার আমরা একটু গবেষণার দিকে যাই, বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকা কিম্বা বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান যে তথ্যগুলি আমাদের দিয়েছে সেই কল্যাণে আমরা জানতে পারি, পুরুষ নারীদের রূপের প্রতি সাড়া দিবে এটা পুরুষদের জিনগত বৈশিষ্ট্য আবার পুরুষদের প্রতি নারীদেরও দুর্বলতা তৈরি হয় এটাও নারীদের জীনগত বৈশিষ্ট্য। নারীদেহের বিভিন্ন বিশেষ অংশের প্রতি পুরুষদের দুর্বলতা বেশি দেখা যায় সে ক্ষেত্রে নারীরাও পুরুষের কিছু বিশেষ দিক নিয়ে দুর্বলতা প্রদর্শন করে। এখানেও আমরা কোন সমাধান পেলাম না কারণ, পুরুষ নারীর দিকে তাকাবে নারী তেমন পুরুষের দিকে তাকাবে এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল পুরুষের নারীদেহ ভিত্তিক আকর্ষণ তাদের জীনগত কারনে অনেক বেশি।
এবার আরও দুইটা ধারণা জানব, “নারীদেহ হল একটা চুম্বক, কুকুর যেমন একটা মাংস ছাড়ানো হাড্ডি দেখলে তার মনে এটাকে পাওয়ার কামনা জাগে, তেমনি নারীদেহের অশালীন প্রদর্শন একজন পুরুষকে কামনা জাগায়”
“টাকা হল একটা চুম্বক, গাধার সামনে মুলা ঝুলিয়ে যেমন তাকে দিয়ে নাচানো যায় তেমন নারীরা পুরুষের টাকার পেছনে ঘুরতে গিয়ে নিজেকে রক্ষিতা বানায়”
উপরের ধারণা দুইটা সবার জন্য সত্য না আবার নারীরূপ যেমন আবর্জনা না তেমন পুরুষের টাকাও ময়লা না। আবারো আমরা সমাধান পেলাম না। কেন পেলাম না? আরও একটু এগিয়ে প্রশ্নের উত্তর খুজব।
আমরা যদি খেয়াল করি তাহলে দেখব যে সব দেশ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী সে দেশ গুলিতে পারিবারিক বন্ধন নেই বললেই চলে, অধিক আত্মহত্যার প্রবনতা, ডিভোর্সের হার মাত্রাতিরিক্ত, পরিচয়হীন সন্তান জন্ম নেয় অগণিত, মাদক আর এলকোহলের মাঝে ডুবে থাকা, আর একটা দিক হল সেখানে স্বল্পবসনাদের আধিক্য অনেক বেশি।
নারী স্বাধীনতা নিয়ে যারা কাজ করে বা বেশি সচেতনতা দেখায় এমন দেশগুলির দিকে তাকাই দেখব সেখানে নারীরা যেখানে সেখানে অবাদে বিচরণ করছে প্রায় সব জায়গায় নারীদের আনাগোনা কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকে যায় সে সব দেশ কি আসলে নারীদের স্বাধীনতা দিয়েছে?
আমরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতকে দেখতে পারি তারা পাশ্চাত্যের স্রোতে গা ভাসাতে গিয়ে তাদের নিজের বলতে এখন আর তেমন কিছুই অবশিষ্ট নাই, সামাজিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরেছে শহর কেন্দ্রিক এলাকাগুলিতে, ভারত যদি আমেরিকা হয়ে যায় তাতে ভারতের জয় কোথায়?
তবে তাদের দেখে আমি এতটুকু হলফ করেই বলতে পারি নারীরা তথাকথিত স্বাধীনতা পেলে তাদের প্রথম পদক্ষেপ হয়ে যায় দেহ প্রদর্শন এখন আমরা এটাকে একটু ভদ্র ভাষায় বলব তারা নিজেদের মেলে ধরতে পছন্দ করে। হয়ত এই ধারণা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ কোন ভারতীয় বা পাশ্চাত্যের চলচিত্র আমাকে দেখায় না কোন মেয়ে শিক্ষিত হয়েছে তাই তার প্রেমে পরেছে নায়ক। তারা দেখায় ময়ূরী পেখম মেলেছে আর ময়ূর তার প্রেমে পরেছে।
না আমাকে কেউ সমাধান দিতে পারছে না। তাই তাদের দেখে বা তাদের কথা শুনে আমি কিছু বুঝতে চাই না। আমি সহজ কিছু কথা বুঝি আর তা হল নারীরা দেখাতে ভালবাসে আর পুরুষরা দেখতে, তাই নারীরা দেখাবে পুরুষ দেখবে না আবার পুরুষ নিষেধ করবে নারীরা দেখাতে চাইবে না এমন হবার নয়। তবে আমরা চাইলে এখান থেকে নিস্তার পেতে পারি এখানে পুরুষদের যেমন দায়ভার আছে তেমনি আছে নারীদের। কেউ একা হয়ে এখান থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে না।
আমাদের পুরুষদের যেমন নারীদের শুধু দেহ দিয়ে বিচার না করে তার অন্যান্য গুনাবলি দিয়ে মাপা জরুরি, তেমনি নারীদেরও বোঝা উচিত যে তার দেহ পুরুষদের আকর্ষণের বস্তু হয়ে উঠবে তাই শুধু দেহ প্রদর্শনের দিকে খেয়াল না করে তার অন্য গুণাবলী মেলে ধরার চেষ্টা করা।
আমাদের মিডিয়াজগতের উচিৎ শুধু বিনোদনের জন্য দেহকে প্রাধান্য না দিয়ে স্বাধীনতা মানে শুধু পাশ্চাত্যের সুর এমন না ভেবে সমাজ গঠনের দিকে প্রাধান্য দেয়া। আর যদি আমরা শুধু তর্ক করি “পুরুষরা চোখ কেন বন্ধ করে থাকবে? বনাম নারীরা কেন নিজেকে প্রদর্শন থেকে বিরত থাকবে?” এসব নিয়ে, মিডিয়া যদি শুধু আমাদের সমাজ সংস্কৃতি ভুলে বিদেশী সংস্কৃতিকে প্রভু বানিয়ে ফেলে, তাহলে কেউ মুক্তি পাবে না। শুধু সমাজ বিকৃত হয়ে যাবে আর মানুষ সবাই মানুষ না হয়ে পশুদের মত যৌন চিন্তা, বিনোদন আর খাবারকেই প্রাধান্য দিবে।
বিঃদ্রঃ আল্লাহ পুরুষের জন্যও কিন্তু পর্দার হকুম দিয়েছেন !!!
আল্লাহ্ বলেছেন, হে নবী আপনি ইমানদার পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে আর লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য উত্তম, তারা কি করছে আল্লাহ্ এ ব্যাপারে জানেন” সূরা নুরঃ৩০.
আশা করি ভাই ও বোনেরা সঠিক ধারণা টা বোধে আনতে পারবেন। ইন শা আল্লাহ্ ! আল্লাহ্ আমাদের বুঝার তাওফিক দিন। আমীন!!!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১০
সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। আমাদের সকলের ধর্মীয় বিধান মোতাবেক চলা উচিৎ।
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
দেশের পোলাপাইন বলেছেন: খুব ভাল লিখছেন .... +++..
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১১
সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: ধন্যবাদ.।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: চমৎকার জ্ঞণগর্ভ লেখা। ধর্মীয় বিধান মোতাবেক চললে হয়তো কোন সমস্যা থাকে না।
আপনার জন্য শুভ কামনা।