![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“Road Accident” আজকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনার একটি। প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ জন লোক মারা যায় শুধু এই কারনে। পৃথিবীর আর কোথাও এর নজির নেই। গরিব-ধনি, শিক্ষিত-অ শিক্ষিত কেউ বাদ নেই। যে পরিবারের জীবন যায় সেই জানে! কি দুক্ষ বেদনাময় বাকিটা জীবন। সড়ক দূঘটনা বন্ধ করতে হলে প্রথেমে আইনের পরিবতর্ন করতে হবে কারণ আইন কঠোর না হণে গাড়ী চালক সর্তক হবে না। এছাড়া আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশিচত করতে হবে। আমাদের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করতে হবে । সর্বোপরি আমাদের সকলের বিশেঘ করে গাড়ী চালক, আইন প্রয়োগকারী মানসিকা পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে এখন অন্য একজনের দুর্ঘটনা গটেছে ভবিষ্যতে আমাদেরও ঘটতে পারে। তবে আজ আমরা মাঠে নেমেছি। সবার ভাল মন্দ পরামর্শের সাথে আমার কিছু পরামরশ শেয়ার করলাম।
* ড্রাইভার দের কাছে জানতে হবে রাস্তায় তারা কি কি সমস্যা ফেইস করে, সে অনুযায়ী আমাদের রাস্তা গুলি সংস্কার করতে হবে।
* রাস্তার যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে অবশ্যই ২ লেইন বিশিষ্ট রাস্তা রাখতে হবে। বাঁক গুলোর আশেপাশে কোন দোকানপাট , বাড়িঘর বা কোন স্থাপনা থাকতে পারবেনা।
* প্রতিটি মহাসড়কে নির্দিষ্ট দুরত্বে কন্ট্রোলরুম থাকতে হবে যেখানে CC TV, Ambulance, Emergency চিকিৎসা সেবা সহ ডাক্তার ও নার্স থাকাটা অপরিহার্য। গাড়ির ওজন scale থাকতে হবে।
* যেকোনো দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গেলে ৫ লক্ষ টাকা এবং আহত হলে ৩ লক্ষ পর্যন্ত জরিমানা আদায় এর জন্য আইন পাশ করতে হবে।
কিছু নির্দেশনা বা অনুরুধ [/sb
পথচারীদের জন্য:
(১) মহাসড়কে বিপ্তিভাবে আড্ডা দেবেন না।
(২) অব্যশ্যই রাস্তার ডানদিক দিয়ে হাঁটবেন। অপরদিকের গাড়িগুলো দেখার সর্বোত্তম পদ্ধতি হল ডানদিক দিয়ে হাঁটা।
(৩) সাথে বাচ্চা থাকলে তাকে আপনার ডানদিকে রাখুন।
(৪) দাঁড়ানো গাড়ির পেছন দিয়ে রাস্তা পার হবেন না।
(৫) মহাসড়কে দ্রুতগামী গাড়ির কাছাকছি হঠাৎ এমন কোন আচরণ করবেন না যাতে চালক আতঙ্কিত হয়।
(৬) মহাসড়কে বাঁকের পরপরই কোন দোকান বা ঘর বানানো থেকে বিরত থাকুন।
(৭) কখনই দৌড়ে মহাসড়ক পার হবেন না। স্পীড লিমিট না থাকার কারণে মহাসড়কের গাড়িটি ঠিক কতটা আসছে তা বোঝা অসম্ভব। অপো করুন, নিরাপদে পার হউন।
(৮) রাস্তায় ধান বা অন্য কিছু শুকানো থেকে বিরত থাকুন।
(৯) বাচ্চাদের কখনও মহাসড়কে খেলতে দেবেন না।
(১০) মহাসড়কের উপর বাজারগুলোতে সড়কের জায়গা দখল করতে বিরত থাকুন এবং বাধা দিন।
(১১) যেকোন দুর্ঘটনায় পতিত মানুষের রক্তপাত বন্ধে প্রথমে সচেষ্ট হউন।
যাত্রীদের প্রতি:
(১) বাসে না ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। গবেষণায় দেখা হেছে সচেতন যাত্রীর দুূর্ঘটনায় য়তির পরিমান ঘুমন্ত যাত্রীর এক পঞ্চমাংশ।
(২) ছোট হলেও একটি ‘ফার্ষ্ট এইড’ বক্স সাথে রাখুন।
(৩) দুর্ঘটনায় নিজে বা অন্য কেউ তিগ্রস্থ হলে প্রথমে রক্তপাত বন্ধে সচেষ্ট হউন। যে কোন কাপড় জাতীয় কিছু দিয়ে তস্থান শক্তভাবে চেপে ধরলে রক্তপাত বন্ধ হবে। এছাড়া গাড়ির ব্রেক ওয়েল একটি উত্তম এন্ট্রি সেপটিক।
(৪) কখন দ্রুত চালানোর জন্য চালককে চাপ দেবেন না, উপরোন্তু যদি চালক কখনো বেপরোয়া গাড়ি চালায় অন্য যাত্রীদের নিয়ে জনমত গঠন করুন এবং একসাথে প্রতিবাদ করুন।
(৫) আপনি যে যানবাহনে যাচ্ছেন তা যদি অন্য কোন ছোট যান বা মানুষকে আঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে অবশ্যই তাকে সমর্থন না করে অন্যান্য যাত্রী সহযোগে তাকে গাড়ি থামাতে বাধ্য করুন। একটি কথা মনে রাখবেন- আপনার সাময়িক অসুবিধা হবে মহাসড়কে, হয়তো গভীর রাত, কিন্তু আপনারা ৪০-৫০জন যাত্রী একসাথে আছেন-নিরাপত্তা সুনিশ্চিত। কিন্তু আপনাদের প্রতিবাদ হয়তো বাঁচাবে অনেক প্রাণ। চালকেরাও আরও সতর্ক হবে।
(৬) রাস্তায় দুর্ঘটনায় পতিত গাড়িকে সাহায্য করুন। একই ঘটনা আপনারও হতে পারে।
চালকদের প্রতি:
(১) মনে রাখবেন- ছোট গাড়ির ওজন ৭০০ থেকে ১২৫০ কেজি. মাইক্রেবাস বা জিপের ওজন ১৫০০ থেকে ৩০০০ কেজি. কিন্তু সাধারণ একটি বাস বা ট্রাকের ওজন ৫০০০ কেজি. থেকে ১২০০০ কেজি. এছাড়া বাংলাদেশে পণ্য বোঝাই ট্রাকের ওজন হতে পারে ৩০টন-৩৫টন। গাড়ির ভরের সাথে গুণিতক হচ্ছে এর গতিবেগ। সুতরাং স্বাভাবিক গতিতে চলমান ভারী বাস বা ট্রাক নিজেই একটি মৃত্যুদূত।
(২) পণ্য বোঝাই ট্রাকের সামনে কখনই হাইব্রেক করবেন না।
(৩) বাংলাদেশের মহাসড়ক উচ্চগতির জন্য এখনও প্রস্তুত নয়, ছোট গাড়ি সহযোগে মহাসড়ক ভ্রমণ যথাসম্ভব পরিহার করুন।
(৪) মনে রাখবেন গতি বৃদ্ধির সাথে সাথে নিয়ন্ত্রণ মতা কমে।
(৫) শহরের চালক মহাসড়কে এবং সমতলের চালককে পাহাড়ে নেয়া থেকে বিরত থাকুন।
(৬) ট্রেইলর তাঁর চারপাশে খানিকটা বায়ুশুন্য অবস্থার সৃষ্টি করে যা ছোট গাড়ির জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এদের ওভারটেক করার সময় যথেষ্ট ফাঁক রাখুন।
(৭) বাংলাদেশের রাস্তায় ষ্টিল বেল্টেড টায়ার ব্যবহারে যথাসম্ভব বিরত থাকুন। অন্তত: সামনের চাকাগুলো নাইলনের ব্যবহার করুন।
(৮) নির্দিষ্ট মাইলেজ হবার সাথে সাথে ষ্টিল বেল্টেড টায়ার পাল্টে ফেলুন।
(৯) মালিকদের অনুরোধ বা আদেশেও ত্র“টিপূর্ণ গাড়ি নিয়ে মহাসড়কে যাবেন না। মনে রাখবেন, আপনার উপর নির্ভরশীল আরও অনেকগুলো যাত্রীবেশী প্রাণ।
(১০) ট্রাক চালকেরা জানেন, আপনার ট্রাকের মতা কত টন এবং আপনি কতটা বেশী লোড নিয়েছেন। প্রতিটি খারাপ রাস্তা বাঁক, ব্রীজ, ওভারটেকিং এবং বাজারে আপনার অস্বাভাবিক লোডের কথা খেয়াল রাখুন।
(১১) হায়াৎ-মউত আল্লাহর হাতে হলেও একথা মনে রাখবেন আপনার ভুলের কারণে যদি কারও মৃত্যু হয় বা পঙ্গুত্ব বরণ করে তার জন্য আল্লাহ অবশ্যই রোজ কেয়ামতের দিন আপনার বিচার করবেন এবং ভয়ঙ্কর শাস্তি দিবেন।
(১২) আপনাদের গাড়িতে যদি এন্টি সেপটিক না থাকে গাড়ির ব্রেক ওয়েল বাক্সটা ছেড়ায় ব্যবহার করুন এবং যেকোন তের রক্ত পড়া আগে বন্ধ করুন।
এই নির্দেশনা বা অনুরুধ গুলো মেনে চললে হয়তো আমরা সড়ক দূঘটনা এড়িয়ে চলতে পারবো। প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা কারো কাছে যদি এর চেয়ে ভালো পরামর্শ থাকে তাহলে শেয়ার করতে পারেন।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি। এটা আমাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ত্যের বহিঃপ্রকাশ।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯
ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: ভাল চিন্তাভাবনা!! ভাল পোস্ট!!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: ধন্যবাদ.।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছিল ।৮৮ তে লুইচ্চা এরশাদের মন্ত্রী কাজী জাফর হত্যার লাইসেন্স দিয়ে নিজে এখন লাইফ সাপোর্টইংএ শুয়ে আছে। গত কদিনে দেখছি খুব আনাড়ি চালক ,মনে হয় আগে ঠেলা গাড়ি চালাত, প্রাইভেট গাড়ি চালাচ্ছে । বাস চালাচ্ছে হেল্পার,আমার নিজের চোখে দেখছি পত্রিকা পড়ে নয়। দক্ষ চালক বিদেশের চাকরিতে চলে যাচ্ছে । ২০০৩ এ সেনাদল মাঠে নামতেই সব চালক ও পথিক ভদ্র হয়ে গিয়েছিল । এখন কেন হয়না জানিনা শুধু জানি বেশী চটকালে ৫৭ বা ৫৮ ধারায় চালান করে দেবে ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: আসলে যেমন কুকুর তেমন মুগুর। ড্রাইভাররা জাহাঙ্গীর গেট পার হয়ে সেনানিবাসে প্রবেশ করলেই তারা শতভাগ শুদ্ধ ড্রাইভার। রাস্তায় লেখা গতিশীমা পর্যন্ত দেখে গাড়ি চালায়। আর সেনানিবাসের বাইরে আবার যেই লাউ সেই কদু.।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: ৯০% একসিডেন্ট হয় অদক্ষ অশিক্ষিত ড্রাইভারদের জন্য আর তারা খুন করলেও এক মন্ত্রীর দাপটের কারনে এরা কোন শাস্তি পাবেনা। ফলে রোজ এরা মানুষ খুন করেই চলেছে। আপনার সুপারিশে কোন কাজ হবেনা।