![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘দুয়ারে হাজির’ কথাটার মধ্যে মানবিক আবেদনের মাত্রা কতটুকু- তা ভাষা ও শব্দের ব্যবহার সম্পর্কে মোটামুটি অবগত লোকদেরও বুঝার কথা। একটা উদাহরণ দিয়ে এই শব্দগুচ্ছের আবেদন ভালভাবে বুঝানো যায়। হজে গিয়ে হাজীরা কা’বা শরীফের দিকে হাঁটতে হাঁটতে বলেন ‘লাব্বাইকা আলস্নাহুম্মা লাব্বাইক’! মানে- ‘হে প্রভু, আমি বান্দা তোমার দুয়ারে হাজির!’ আমার মনে হয়, কারো সামনে বিনয়ে বা ভয়ে মাথানত করার সবচেয়ে আবেদনমীয় ‘ভার্বাল এক্সেপ্রেশন’ হচ্ছে- ‘দুয়ারে হাজির’।
এখন আমরা একটা সংবাদ শিরোনামের দিকে খেয়াল করি। গত রবিবার (২৫ জানুয়ারি) দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার প্রধান শিরোনাম এটি- ‘দুয়ারে প্রধানমন্ত্রী, ‘ঘুমিয়ে’ খালেদা’।
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুলশান গমন এবং খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে না পেরে ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে সংবাদটি লেখা।
শিরোনামের প্রথম অংশ ‘দুয়ারে প্রধানমন্ত্রী’ দেখে এক অন্যরকম অনুভুতি সৃষ্টি হয় পাঠকের মনে-একজন স্বজনহারানো মানুষ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর অন্যের পুত্রহারানোর ব্যথা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করার কথা। তার এই বেদনাবিধুর অনুভুতিকে সহানুভূতিশীল শব্দের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা খুবই ভাল, মানবিক এবং যোগ্যতার কাজ। ধন্যবাদ পাবার যোগ্য।
কিন্তু বিপত্তি বাধে পরের শব্দ দুটি - ‘ঘুমিয়ে’ খালেদা’- এর উপস্থাপনার কারণে। সাংবাদিকতা বা লেখালেখি নিয়ে সচেতন ব্যক্তিমাত্রই জানেন সিঙ্গেল কোটেশন চিহ্ন (‘’) ব্যবহারের মানে কী। কোন বক্তব্যের দায় যদি লেখক নিজে নিতে না চান বা ওই বক্তব্য নিয়ে তার নিজের সন্দেহ থাকে তাহলে বক্তব্যটি সিঙ্গেল কোটেশনের ভেতরে উল্লেখ করে তার সন্দেহটা পাঠক পর্যন্ত পৌঁছে দেন। সাংবাদিকতায় এটি বেশ জনপ্রিয় একটা প্রাকটিস।
ইত্তেফাক ‘ঘুমিয়ে’ শব্দটির ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। পত্রিকাটি তার পাঠককে বুঝাতে চেয়েছে- খালেদা আসলে ঘুমে ছিলেন না! বা তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়নি!
একজন পুত্রহারা মায়ের শোক-বিহব্বলতাকে নিয়ে একটি জাতীয় পত্রিকার প্রধান খবরের শিরোনামে এমন অপ্রমাণিত সন্দেহ প্রকাশ করা কোন মানদণ্ডেই ‘মানবিক’ হতে পারে না। এটা অবশ্যই অমানবিক!
উপরের কথাগুলো হয়তো একটু ঘুরানো হয়ে গেছে। তাই আরেকটু সহজভাবে বলার চেষ্টা করি।
সন্তান হারিয়েছেন খালেদা জিয়া। স্বাভাবিকভাবেই এখানে ‘মানবিক সহমর্মিতা’ বেশি আশা করা হবে খালেদা জিয়ার জন্য। তার প্রতি লেখকের শব্দের ব্যবহার হবে সহানুভূতিশীল। এই স্পর্শকাতর সময়ে শক্ত প্রমাণ না পেলে যেকোন ধরনের কটাক্ষ বা সন্দেহের উর্ধ্বে থাকা রিপোর্ট লেখকের সাংবাদিকতার এথিকসের অন্তর্ভুক্ত। আবার শেখ হাসিনাও সমব্যথী হিসেবে হাজির হওয়ার জন্য লেখকের প্রশংসা পাবেন, শব্দের মাধুর্যে তা ফুটে উঠবে।
কিন্তু ইত্তেফাকের সংবাদটিতে হয়েছে তার পুরো উল্টো।
২.
উপরের উদাহরণটি মিডিয়ায় ‘মানবিকতা’ এবং ‘অমানবিকতা’ প্রাকটিসের কিছুটা সুক্ষ্ম উদাহরণ। এখানে দেয়া যাক ‘নগ্ন’ একটি।
‘রস+আলো’ নামে প্রথম আলোর একটি সাপ্তাহিক প্রকাশনার কথা সবাই জানেন। এর আগে যেটির নাম ছিল ‘আলপিন’। সেটি ২০০৬ সালে হযরত মুহাম্মদ (স) কে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কৌতুক ছাপানোয় বন্ধ হয়ে যায়।
খালেদা জিয়ার ছেলের লাশ এখনো দাফন হয়নি। মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর সোমবার পর্যন্ত খালেদা জিয়া তার দুই ভাবী ছাড়া কারো সাথে কথা পর্যন্ত বলার মানসিক অবস্থায় নেই। প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রেসিডেন্ট, বহু দেশের হাইকমিশনার, হাজারো স্বজন-নেতাকর্মী বহু লোক তার অফিসে গিয়েছেন দেখা করতে, কিন্তু তিনি এখনো স্বাভাবিক হয়ে উঠতে না পারায় কারো সাথে দেখা করছেন না।
সন্তানহারা মায়ের অবস্থা যখন এই- তখন রসআলো’র সোমবারের সংখ্যার প্রধান ব্যঙ্গ-আইটেমটি হচ্ছেন স্বয়ং খালেদা জিয়া! সেখানে খালেদার ছবি ব্যবহার করে অভব্য ভাষায় ব্যাঙ্গাত্মক আক্রমণ করা হয়েছে! খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মানবিকতার সর্বগোষ্ঠি উদ্ধার করা প্রথম আলোর এই কাণ্ডটি নিয়ে আর বেশি কথা বলাই এই মুহূর্তে ‘অমানবিক’ বলে গণ্য হতে পারে।
৩.
সাংবাদিকতায় ‘মানবিক আবেদনসম্পন্ন সংবাদ’ বলে একটা কথা চালু আছে। ইংলিশে এটাকে বলে ‘হিউম্যান-ইন্টারেস্ট স্টোরি’। মৃত্যুসংবাদের সাথে এই ধরনের সংবাদের সম্পর্ক ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। এজন্য আমরা অজানা-অখ্যাত কারো অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংবাদের পাশে দেখি- ‘মায়ের হাতের পায়েশ খাওয়া হলো না রাতুলের’, ‘শিমুকে আর ঈদের জামা কিনে দেবে না বাবা’ - এরকম ছোট ছোট সংবাদ। এই সংবাদগুলো স্বজনের মৃত্যুতে ভুক্তভোগী মানুষগুলোর কষ্টের সাথে পাঠক হিসেবে আমাদের একাত্ম হতে সহায়তা করে। কিছুক্ষণের জন্য হলেও আমরা ভুক্তভোগীদের কষ্টটাকে নিজের মধ্যে অনুভব করি।
নিজের পরিবারের সব সদস্য থেকে হাজার মাইল দূরে থাকা খালেদা জিয়া গত কিছুদিন ধরে বিভিন্নভাবে যে নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে আছেন তার মধ্যে প্রিয় ছোট ছেলেকে হারিয়ে তার মানসিক অবস্থা এখন কতটা বিধ্বস্ত- এমন কোনো মানবিক আবেদনময়ী রিপোর্ট রবিবার এবং সোমবারের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোতে চোখে পড়েনি।
আমি রবিবারের প্রথম আলো, যুগান্তর, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, সমকাল, মানবজমিন, ইনকিলাব, ডেইলি স্টার ঘেঁটেছি। দুই/তিনটা ব্যতিক্রম বাদে বলতে গেলে কোকোর মৃত্যুতে কোকো বা খালেদা জিয়া কাউকে নিয়েই কোনো পত্রিকায় কোনো মানবিক আবেদন সম্পন্ন প্রতিবেদন নেই। ব্যতিক্রম যা পাওয়া গেছে তা মানবজমিনে। মৃত্যুসংবাদ, প্রধানমন্ত্রীর ফিরে আসাসহ এ সংক্রান্ত অন্যান্য খবরের সাথে ডাবল কলাম একটি বক্স আইটেম ছিল ‘শোকে মুহ্যমান খালেদা জিয়া’ শিরোনামে একটি খবর।
প্রথম আলো অবশ্য শনিবার শুধু তাদের অনলাইনে মানবিক আবেদনসম্পন্ন শিরোনাম দিয়ে একটি সংবাদ ছেপেছে- ‘ নির্বাক-মূহ্যমান খালেদা জিয়া’।
কিন্তু এ ধরনের কোনো সংবাদ তাদের পরের দিনের প্রিন্ট সংস্করনে ছিল না। আরেকটি সংবাদ ছিল এরকম- ‘শোকবিহ্বল তারেক মালয়েশিয়া যাচ্ছেন না’। এটিও প্রিন্টে দেয়া হয়নি। অনলাইনে হিট বাড়ানোর জন্য শুধু সেখানেই দেয়া হয়েছে।
যুগান্তর আলাদা কোনো মানবিক স্টোরি করেনি। লীড শিরোনাম ছিল- ‘শোকে মুহ্যমান খালেদা জিয়া, প্রধানমন্ত্রী ফিরে গেলেন’। সমকালের লীড ‘গেট বন্ধ দেখে ফিরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী’। এই পত্রিকাটিতেও খালেদার শোকবিহ্বলতা নিয়ে কোনো সংবাদ নেই।
কালের কণ্ঠের লীড- ‘হাসিনার জন্য খালেদার গেট বন্ধ!’ ইত্তেফাকের কথা আগেই বলা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার দিকে অবশ্য পত্রিকাটি অনলাইনে হিটের জন্য ‘এখনো শোকে নির্বাক খালেদা জিয়া’ শীর্ষক ছোট্ট একটা সংবাদ প্রকাশ করে। দৈনিক ইনকিলাব অবশ্য মানবিক আবেদন সম্পন্ন একটি ‘মন্তব্য প্রতিবেদন’ প্রকাশ করেছে এবং কোকোর মৃত্যু সংক্রান্ত খবরগুলো কালো বক্সে ছেপেছে। এছাড়া ‘ক্রিকেট লস্ট এ ট্রু লাভার’ শিরোনামে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকোর অবদান ঘিরে চমৎকার একটি ফিচার ছাপিয়েছে ডেইলি স্টার তাদের খেলার পাতায়।
এর বাইরে বিবিসির ‘এখনো শোকে নির্বাক খালেদা’ শিরোনামে একটি সংবাদ কিছু অনলাইনে দেখা গেছে। বাংলানিউজ মানবিক আবেদন সম্পন্ন শিরোনাম দিয়ে দু’টি সংবাদ প্রকাশ করলেও বিডিনিউজ এরকম কোন সংবাদ করেনি। বিএনপিপন্থী বলে পরিচিত অনলাইন ‘শীর্ষনিউজ’- এ ‘শোকাহত খালেদা’ শিরোনামে একটা দুর্বল হাতের সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন চোখে পড়েছে।
অথচ, এক অবরুদ্ধ মায়ের সন্তান হারানো, ভিসা জঠিলতায় ছোট ভাইকে তারেক রহমানের দেখতে যেতে না পারা, মা-ছেলের মধ্যে সর্বশেষ কথা-স্মৃতি, দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকোর অবদান, নিজের সন্তানের মৃত্যুতেও বৃহত্তর স্বার্থের আন্দোলন থেকে খালেদা জিয়ার পিছপা না হওয়ার মতো মানসিক দৃঢ়তা ইত্যাদি অনেক কিছু নিয়ে চাইলে ফিচার বা মানবিক আবেদন সম্পন্ন প্রতিবেদন তৈরি করা যেত। এবং জোর করেই বলা যায়, ভুক্তভোগী খালেদা জিয়া না হয়ে সমপর্যায়ের অন্যকেউ হলে এসবের চেয়ে অনেক বেশি কিছু করতো এদেশের মিডিয়া।
পুনশ্চ : ‘ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া’ পর্যবেক্ষণের সুযোগ না থাকায় লেখাতে ‘মিডিয়া’ শব্দটি দ্বারা ‘ইলেক্ট্রনিক’ বাদে অন্য মিডিয়াকে বুঝতে হবে।
কদরুদ্দীন শিশির (সাংবাদিক)
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
নিলু বলেছেন: দুনিয়ায় কেউ কারো নয় , নিজেকেও তৈরি করতে হয় , পরের সহানুভূতি দেখানোর জন্য ,
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
অল্পভাষী বলেছেন: আপনার আলোচনা অনেক বেশি যৌক্তিক ও মানবিক। কিন্তু....কার জন্য আপনার এই মানবতা???
খালেদা জিয়ার ‘কাছের জন’দের কাছে খালেদা জিয়ার সন্তানের মৃত্যুশোকের চেয়ে ‘গণতন্ত্র’ উদ্ধারটা জরুরি। শোকটা গৌণ বিষয়। গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ মায়েদের কোল খালি করতে কুণ্ঠাবোধ হয় না। কোকোর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে নেতারা নিষেধ করেন। তারাই আবার রাজনীতির নোংরা খেলায় মাতেন। সেখানে আমি আমরা মানবতার প্রশ্ন টেনে মানবতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবো কেন???
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
ওবায়দুল হক মাহমুদ বলেছেন: জীবনে কখনই রাজনীতি করিনি। রাজনীতি বুঝি ও না। কিন্তু রাজনীতি জিনিসটা মানুষ এর মংগল এর জন্য নয় আর বড় অমানবিক।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩৪
খেলাঘর বলেছেন:
আমার ধারণা, শেখ হাসিনা পার্টির জোরে প্রধানমন্ত্রী, রাজনৈতিক প্রতিভার কারণে নয়।
কোকো অসৎ ব্যবসায়ী, বিচারে শাস্তি হয়েছে; সেই রকম মানুষের মৃত্যুতে উনার কিছু করাই ঠিক হয়নি।
যেটা দরকার, সেটা উনি করেননি; উনার দরকার ছিল বোমায় যারা নিহত হয়েছে, তাদের পরিবারকে বংগভবনে এনে কথা বলার দরকার ছিল, সাহায্য করার দরকার ছিল।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৫৫
রাফা বলেছেন: প্রতিদিন যে নেত্রীর নির্দেশে ২/১ জন মা-কে সন্তান হারা হোতে হোচ্ছে-তার প্রতি সহানুভুতি দেখাতে পারে কিনা কোন সংবাদিক বা মিডিয়া আপনার কাছেই আমার এই প্রশ্নটা রইলো।
আমিতো বলবো আমাদের দেশের মানুষ এরপরও যথেষ্ট সহানূভুতি ও সহমর্মিতা দেখিয়ে যাচ্ছেন।যা তাদের কোন ভাবেই প্রাপ্য নয়।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৯
সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: হয়তো আপনার কথাই ঠিক। ভাই সবকিছুর উপরে মানবতা। আর তাই গত ৬ বছরে তারেক, কোকোকে ৬ লক্ষ বারের ও বেশী চোর ও খালেদাকে চোরদের মা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, তার পর ও কিন্তু তিনি তথাকথিত 'সহানুভূতি' দেখাতে সেখানে ছুটে গেছেন এটাই মানবতা। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু ভাবেন নি প্রতিদিন যে নেত্রীর নির্দেশে ২/১ জন মা-কে সন্তান হারা হতে হচ্ছে তার প্রতি কিসের সহানুভুতি?
আর একজন চোরের জানাজাই গতকাল যে জনতার ঢল নেমেছে নিশ্চয় টিভিতে দেখেছেন। না দেখলে দেখে নিন Click This Link
৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫
রাফা বলেছেন: গো.আজমের জানজা-তে লোক দেখানো হইছে ,এখন কি আমার বলতে হবে গো.আজম রাজাকার শিরোমনি ছিলোনা!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৩
এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: নিজের সন্তানের মৃত্যুতেও বৃহত্তর স্বার্থের আন্দোলন.....................................................................................................................???????????????????????????????????!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!