![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান বিশ্বে ত্রাস সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম ইসলামিক স্টেট। ২০১১ সালে সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শহর দখলের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে এই সংগঠনটি। সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরোধীতাকারী ফ্রি সিরিয়া আর্মি এবং আলকায়েদার একাংশের মধ্য থেকে উঠে আসা এই সংগঠনটি রাতারাতি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধিসহ নিজস্ব শাসনকাঠামো পর্যন্ত তৈরি করে। মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার বেশ কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন ইতোমধ্যেই ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সিরিয়া ও ইরাকের অনেক অঞ্চল দখল করে নিয়েছে।
ইরাক এবং সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা গতবছরের জুন থেকেই ইসলামিক স্টেটের দখলকৃত অংশে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু উপর্যুপরি বিমান হামলা স্বত্ত্বেও ইসলামিক স্টেটের তেমন কোনো ক্ষতি করতে পারেনি তারা। উল্টো একের পর এক মানবিক বিপর্যয়ের ঘটনা জন্ম দিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। আন্তর্জাতিক অঙ্গন ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সকল প্রকার নিষেধাজ্ঞা জারি স্বত্ত্বেও তাদের তেমন কোনো ক্ষতি না হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে ব্যস্ত। অনুসন্ধানে অনেকগুলো কারণ উঠে এসেছে, এরমধ্যে অন্যতম হলো ইসলামিক স্টেটের কাছে থাকা নয়টি অস্ত্র। এই নয়টি অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করার কারণে ইরাক এবং সিরিয়ার সেনাবাহিনী স্থলযুদ্ধে ইসলামিক স্টেট বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো উল্লেখযোগ্য সফলতা পাচ্ছে না। বাংলামেইলের পাঠকদের জন্য ইসলামিক স্টেটের কাছে থাকা নয়টি প্রাণঘাতী অস্ত্রে বিস্তারিত দেয়া হলো।
টি-৭২ ট্যাংক
ইরাকি সেনাবাহিনীর উপর প্রথম আঘাত হানার সময়ই ইসলামিক স্টেট বাহিনী প্রায় দশটি টি-৭২ ট্যাংক দখল করে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যবহৃত ট্যাংকগুলোর মধ্যে এই ট্যাংকটি ছিল বেশ আগ্রাসী। এর নির্মাতা দেশ তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। বর্তমানে টি-৭২ ট্যাংকের উৎপাদন না থাকলেও ধারণা করা হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর এরকম অনেক ট্যাংকই কালোবাজারে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠির কাছে বিক্রি হয়ে যায়।
৫৯ আর্টিলারি
যুদ্ধের ময়দানে সেনাবাহিনীর কাছে সবচেয়ে পছন্দের হলো ৫৯ আর্টিলারি। অবশ্য সেনাবাহিনীর নিজস্ব ভাষায় একে বলা হয় ‘ফিল্ড গান এম-৪৬ এম১৯৫৪’। ১৯৫০ সালের দিকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এই আর্টিলারি তৈরি করে। চেচেন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এখনও রাশিয়া এই ফিল্ডগান স্থাপন করে রেখেছে জরুরী অবস্থার অংশ হিসেবে। ইসলামিক স্টেটের কাছে এই অস্ত্র থাকার কথা প্রথমদিকে শোনা না গেলেও গত বছরের আগস্ট মাসে ইরাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এফআইএম-৯২ স্টিংগার ম্যানপ্যাড
আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা ফক্স নিউজ সূত্রে জানা যায়, ইসলামিক স্টেট বাহিনী ইরাকি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এফআইএম-৯২ ক্ষেপনাস্ত্র দখল করে। যদিও নথি ঘেটে জানা যায়, ইরাকি সেনাবাহিনীর কাছে বিমানবিধ্বংসী এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ক্ষেপনাস্ত্র ছিল না। খুব সহজে বহনযোগ্য এবং নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপনাস্ত্রটির নির্মাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে সোভিয়েতপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত মুজাহিদিন বাহিনীকে এই অস্ত্র দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
জেডইউ-২৩-২
বিমান বিধ্বংসী কামান হিসেবে জেডইউ-২৩-২ অনেক আগে থেকেই বিখ্যাত। সোভিয়েত ইউনিয়ন নির্মিত এই কামানগুলো বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। বিশেষত হেলিকপ্টার ধ্বংসে এই কামানের জুরি নেই। এই কামানও ইরাকি বাহিনীর থেকে ইসলামিক স্টেট সেনারা দখল করেছে বলে জানা যায়।
ইরাকি জীবানু অস্ত্র
গত বছরের জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায় যে ইরাকের জীবানু অস্ত্র এখন ইসলামিক স্টেটের হাতে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে উত্তরের একটি অস্ত্রগুদাম থেকে এই অস্ত্র লুট করা হয়েছে। অথচ ইরাকে জীবানু অস্ত্র আছে সন্দেহে মার্কিন বাহিনী দেশটিতে হামলা চালায় এবং সাদ্দাম হোসেনকে প্রায় বিনাবিচারে ফাঁসিতে করা হয়। ইরাক যুদ্ধের এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র বলতে বাধ্য হয় যে ইরাকে কোনো জীবানু অস্ত্র নেই। এখন আবার বলা হচ্ছে যে, ইসলামিক স্টেট বাহিনী কুর্দিদের বিরুদ্ধে জীবানু অস্ত্র প্রয়োগ করেছে।
চাইনিজ এইচজে-৮
বেশ কয়েকটি সূত্র জানায় যে, ইসলামিক স্টেট চীনে নির্মিত এইচজে-৮ অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল ব্যবহার করছে। ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে চীন সেনাবাহিনী এই ক্ষেপনাস্ত্র তৈরি করে। এই অস্ত্রটি শতকরা নব্বই ভাগ নিখুতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
৯কে৩২ স্ট্রেলা-২/এসএ-৭ গ্রিল
ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী কয়েকটি ভিডিওচিত্রে ইসলামিক স্টেট সেনাদের এই অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। কাধে বহনযোগ্য ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এই মিসাইলটির নির্মাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র।
আমেরিকান হামভি
বিমান বিধ্বংসী ট্যাংকের পাশাপাশি ইরাকি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনেকগুলো হামভি দখল করে নেয় ইসলামিক বাহিনী। অস্ত্রসস্ত্রে সুসজ্জিত এই যানটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এবং ১৯৯০ সাল পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তার বর্হিদেশিয় প্রতিটি যুদ্ধক্ষেত্রে এই যানটির সফল ব্যবহার করেছে।
এম১৯৮ হাউটিৎজার
বিজনেস ইনসাইডার নামের একটি পত্রিকার মতে, গত বছরের জুলাইয়ের দিকে ইরাকে ইসলামিক স্টেট বাহিনী ৫৫টি এম১৯৮ হাউটিৎজার ক্ষেপণাস্ত্র দখল করে নেয়। এই অস্ত্রটি ১৫৫ মিলিমিটারের শেল ৫০ মিটার দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। অস্ত্রটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্র।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: বুঝিনা ভাই,
লোকাল ষড়যন্ত্র ধরতে পারিনা আর এটাতো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র?
ছাঁদে মাল কমতো..!
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩০
ইমরান আশফাক বলেছেন: আমার কাছে পাশ্চাত্যের অপপ্রচার বলে মনে হচ্ছে।
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২২
নতুন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ব্যাস! এতেই হয়ে গেছে! আমেরিকা কাইত!!
এগুলো মনে হয় গালগল্প! কারণ তারাই এটার জন্ম দিয়েছে তার লক্ষন একটু বোধ সম্পন্ন মানুষই ধারনা করতে পারে!
আর ইসরাইলতো প্রকাশে তাদের রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে আও পরিস্কার কর দিয়েছে এইএসের জন্ম এবং লক্ষকে!!
ইসলামকে কালিমালিপ্ত করার কাজগুলোই তারা করছে!
তাদের প্রশিক্ষন দেয় ইসরাইলী বাহিনী! তাদের কমান্ডার ব্রিটিশ বাহিনীর এক্স অফিসার!!! সবই কি কাকতাল? নাকি বিশাল কোন ষড়যন্ত্র!!!
ইসরাইল যার বন্ধু! তার লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্য কি সহজেই অনুমেয়!!!
বাকীটা সময়ে প্রমাণ হবে!
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৪৩
রামন বলেছেন:
হাহাহা, মরণাস্ত্র বটে! বাস্তবতা হচ্ছে যুক্তরাস্ট্র ও তার মিত্ররা আই স্টেটে হামলা করছে না, তারা হামলার নাটক করছে। সত্যিকার হামলা হবে সেদিন যেদিন মোড়লদের ভান্ডার পরিপূর্ণ হবে, সব প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে-সেদিন এক রাতের মধ্যেই পট পরিবর্তন হয়ে যাবে, এই এস পরে রইবে বাদামের খোসার মত, আর মরণাস্ত্রগুলো হয়ে যাবে খেলনা অস্ত্র।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ব্যাস! এতেই হয়ে গেছে! আমেরিকা কাইত!!
এগুলো মনে হয় গালগল্প! কারণ তারাই এটার জন্ম দিয়েছে তার লক্ষন একটু বোধ সম্পন্ন মানুষই ধারনা করতে পারে!
আর ইসরাইলতো প্রকাশে তাদের রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে আও পরিস্কার কর দিয়েছে এইএসের জন্ম এবং লক্ষকে!!
ইসলামকে কালিমালিপ্ত করার কাজগুলোই তারা করছে!
তাদের প্রশিক্ষন দেয় ইসরাইলী বাহিনী! তাদের কমান্ডার ব্রিটিশ বাহিনীর এক্স অফিসার!!! সবই কি কাকতাল? নাকি বিশাল কোন ষড়যন্ত্র!!!
ইসরাইল যার বন্ধু! তার লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্য কি সহজেই অনুমেয়!!!
বাকীটা সময়ে প্রমাণ হবে!