নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলতে চাই

সামছুল কবির মিলাদ

আমি মুক্ত আমি স্বাধীন

সামছুল কবির মিলাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্মান পাওয়ার অধিকার একমাত্র রাজনীতিবিদদেরই আছে...!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪


ইনি ড. আতিক রহমান আমরা সবাই চিনি। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার বিজ্ঞান পরিষদ (আইপিসিসি) চতুর্থ মূল্যায়ন প্রতিবেদনের অন্যতম লিড অথর (মূল লেখক)।

কিন্তু উনার আরেকটা পরিচয় আছে যা আমরা অনেকে জানিনা।
ইনি বাংলাদেশের হয়ে প্রথম 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ' পুরস্কারে ভূষিত হন ২০০৮ সালে।

আজ ঢাকার যেখানে যাই সেখানে শুধু প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দনের বড় বড় বিলবোর্ড। বিলবোর্ডের একেকটা অক্ষর হবে আমার সমান বড় বড়। কিন্তু কেন? সব কি শুধুই তেল মারার জন্যেই। কেউ কেউ নিজের নাম সম্বলিত চরাঞ্চলের কলেজের বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড লাগায় ঢাকায় তাও আবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে ও প্রধানমন্ত্রী আসা যাওয়ার পথে। আবার কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর বোনের মেয়ে টিউলিপ লন্ডনে এমপি হয়েছে, তাকে অভিনন্দন জানাতে বাংলাদেশে বিলবোর্ড। এ যেন তেল মারার সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। শুধু তেল আর তেল। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী এতো তেলের মূল্য দিতে দিতে জনগনের তেলের মূল্য আকাশের উপরে তুলে ফেলেছেন।

উনারা বিশ্বের দুয়ারে বাংলাদেশকে সম্মানিত করছেন ওনারা অবশ্যয় সম্মান পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু আমরা কি পেরেছি ড. আতিক রহমান কে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ' পুরস্কার পাওয়ার জন্যে সম্মান জানাতে? সম্মান জানাবো কি আমরাতো জানিই না! আমরা কি পেরেছি নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস কে যথার্থ সম্মান জানাতে?
না পারিনি কারন...
এদেশে সম্মান পাওয়ার অধিকার একমাত্র রাজনীতিবিদদেরই আছে...!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না।
উনারাই সম্মানীত!

কারণ উনারা রাজনীতিবিদদের মতো সম্মান নিয়ে নোংরামী করতে ভালবাসেন না। জেলাস নন। বিনয়ী। এবং প্রকৃত সম্মানের অধীকারী বলেই তারা নিজের ঢোল নিজে পেটান না।
রাজনীতিবিদেরও মাঝেও সবাই তিনার মতো নন। যিনি বিজ্ঞাপন প্রিয় এবং তিলকে তাল করতেও লজ্জ্বিত না হয়ে গর্বিত হন!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: ধন্যবাদ।
উনারই বা কি দোষ বলেন এখন তো বিজ্ঞাপনই ভরসা। প্রচারেই প্রসার...!

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ২০০৮ সালে ড. আতিক রহমান
'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ' পুরস্কারে ভূষিত হয়ে
দেশকে সম্মানিত করার জন্য শুভেচ্ছা।

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

ভোরের সূর্য বলেছেন: যিনি এবার এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনিও যে মোসাহেবি পছন্দ করেন তা না হলে তার অফিসের সামনেই কিভাবে বিলবোর্ড শোভা পায়।তিনি নিজেকেতো নোবেল প্রাইজ পাবার যোগ্য মনে করেন।যাইহোক গত টার্ম এ ছিল ডক্টরেট ডিগ্রীর ছড়াছড়ি আর এবার বিভিন্ন পুরস্কার.....।

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

মানবী বলেছেন: এই দুই পুরুস্কার প্রাপকের মাঝে বিস্তর ফারাক!
ডঃ আতিক তাঁর যোগ্যতা বলে এই পুরস্কার অর্জন করেছেন, তাঁর কাছে এই পুরস্কার বা জনগনের হাততালির চেয়ে অনেক অনেক বেশি মূল্যবান তাঋ নিজ কাজের সত্যিকারের সাফল্য, তাঁর কর্মের যে সুফল আমরা ভোগ করছি সেটাই তাঁর সবচেয়ে বড় এওয়ার্ড এবং রিওয়ার্ড।
আর হাত তালি আর প্রচার পাবার উদ্দেশে হাজারও তদবির করে যে এই পুরস্কার নিএয়ে আসে, এটা নিয়ে নর্তন কুর্দন আর প্রচার ই তার (?)অর্জন।

দিনশেষে সত্যিকারের বিজয়ী ডঃ আতিক। তিনি অর্জন করেছেন আপনার আমার মতো মানুষের শ্রদ্ধা।
আর হাজার বিলবোর্ডে নাম প্রচার করে যারা তারা কেবল ঘৃনা আর জনগনের অভিসম্পাত নিয়ে বাড়ি ফিরে।

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

কলাবাগান১ বলেছেন: আর আমরা যারা হাসিনাকে দেখতে পারি না, তাদের গা জ্বলে (হাসিনার পুরস্কার প্রাপ্তিতে), তাই এখন একজন পাশ করে উৎযাপন করে নাই আরেক জন কেন করল তাতেই কমপ্লেন। আসলে উৎযাপনে কমপ্লেন না.... ফেল করল না কেন সেটাই জ্বালা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: "উনারা বিশ্বের দুয়ারে বাংলাদেশকে সম্মানিত করছেন ওনারা অবশ্যয় সম্মান পাওয়ার যোগ্য।"
আপনি মনে হয় লেখার এই অংশটি খেয়াল করেননি।
আর পুরস্কারটি একজন ব্যক্তি পাইনি পেয়েছে বাংলাদেশ। উৎযাপন করতে কোন বাধা নাই, কিন্তু সবকিছুরতো একটা লিমিট আছে তাই না? ধন্যবাদ

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভুলে গিয়েছিলাম।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

সামছুল কবির মিলাদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ধমনী বলেছেন: পুরস্কার/ক্রেস্টই যদি সম্মানের মাপকাঠি হয় তাহলে ক্রেস্ট ব্যবসায়ী সবচেয়ে সম্মানিত!

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:২৭

প্রলয়শিখা বলেছেন: আমার জানামতে, আমার যদি ভূল না হয়ে থাকে তবে এটাই সত্যি যে অলম্পিকে যে স্বর্ণ পদকটা দেওয়া হয় তাতে স্বর্ণের পরিমাণ অতি নগণ্য। তবুও মাইকেল ফেল্‌পস, উসাইন বোল্টরা এই পদকের জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করেন। তারা জানে স্বর্ণ পদকে স্বর্ণের পরিমাণটা আহামরি কিছু না হলেও এই পদকের সম্মানটা আহামরি একটা কিছু। তবে মাইকেল ফেলপস বা উসাইন বোল্ট এর দেশের লোকেরা পদকের প্রাপ্য সম্মানের সম্মানটা দিতে জানেন। হোক সেটা "অলিম্পিক" বা "চ্যাম্পিয়ন অফ দ্যা আর্থ"।

তেলের উপর ভাসছে দেশ। এই তেল সেই তেল না কিন্তু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.