![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দোহাই তোমার হে মহাকাল,আর একটু সময় দাও, বৈষ্যমের বেড়াজাল থাকবেনা, থাকবেনা বর্ণের বিভাজন; শুভ সত্তার কান্না বন্ধ হবে সেদিন, আর প্রতিশোধ প্রতি বিন্দু কান্নার, দেখো সেদিন বাতাসে থাকবে শুভ্রতা আর স্বর্ণালী নিমন্ত্রণ।
এখানে ওখানে শষ্যের শ্যামলীমা, জীবনের আবেদনে অপার এক বিশালতা; যেন পটে আঁকা ছবি, কোথাও কালিমা নেই তার, নেই কোন মুছে যাওয়া অশ্রুর রেখা; তাকিয়ে থাকতে হয় অবাক সম্মোহনে, চকচক করে চোখ, বিস্ময়ে, মুগ্ধতায়।কি যেন আছে এতে! এই ধানের কচিপাতার আবছায়ায়, ঘরে ফেরা পাখির ডানায় আর দিগন্তের ঐ বর্ণীল আলপনায়;কিন্তু কি সেটা?ওহ!কি সেটা? কাকে যে শুধাই,আচ্ছা পেয়েছি,অ্যাই যে শালিক,শালিক ভাই, হ্যাঁ হ্যাঁ, তোমাকেই বলছি, এদিকে শুনে যাও,কি বাপু!খাচ্ছ-দাচ্ছ,ঘুরছো যে বড়! তুমিই বলো,কি সেটা? হ্যাঁ, মায়া; মায়াময় এ পৃথিবী।
ওপরে নিঃসীম নীলাকাশের হাতছানি আর নিচে? এ মূহুর্তে বিশাল বিস্তীর্ন মাঠ, ধানক্ষেত।তারই এক আইলে বসে আছে একটি কিশোর; চিন্তাযুক্ত চেহারা, কপালে ভাজঁ। বিশ্বসভ্যতা, সমাজকাঠামো, জীবন, মানুষ, সত্যঅনুসন্ধান উঁকি-ঝুঁকি দিয়ে যাচ্ছে ওর মনের আঙ্গিনায়।কিন্তু, ওরা বড্ড দুষ্টু!,চপল কিশোরী বালিকার চেয়েও দুষ্টু, শুধু উঁকি-ঝুঁকিই দেয়,ধরা দেয়না পূর্নাঙ্গ, প্রাঞ্জল হয়ে।আলো-আঁধারির কিশোর মন ওর, মস্তিষ্কে প্রশ্নের জাল। ও ভাবছে……………….
আকাশটা কত বড়, কত বিশালই না তার বিস্তৃতি; অদ্ভুত কৌ্তুহলী এক ভূবন। আর তার নিচে প্রানী-বৈচিত্রের কোন শেষ নেই। সবচেয়ে বিচিত্র হয়ত মানুষই।বর্নালীর রংযের ছটা তার মস্তিষ্কের প্রতিটি সিনাপ্সে। যারা ভাঙ্গে, দুমড়ে-মুচড়ে ফেলে পৃথিবী, সৃষ্টি করে কাল-অধ্যায়ের; আপন খেয়ালে। ঠিক তখন, জেগে ওঠে বাবুই পাখির মত কিছু মানুষ; যারা আবার গড়ে তোলে ঢঙে,নতুন ছাঁচে। সেই মানুষ একদিন এই পৃথিবীকে ভেবেছিল শুধু খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকার উপকরণ। তারপর বয়ে গেল কত জল; কত লিখিত-অলিখিত জীবনসংগ্রাম, কত যুদ্ধ,মৃত্যু, আর আত্নত্যাগ। বিবর্তনের সিঁড়ি বেয়ে, মানব সৃষ্টিশীলতার উৎকর্ষে মা্নুষ আজ একবিংশ শতাব্দীতে উপনীত। যাকে বলা হচ্ছে “পোস্ট মডার্ণ এজ”;কিন্তু আসলে কি রঙিন জীবনের আহ্বানে , তথাকথিত আধুনিকতার জোয়ারে মানুষ তার নিজস্ব সত্তাগুলোকে হারিয়ে ফেলছে?পরিনত হচ্ছে অনুভূতিবিহীন যন্ত্রে?অদ্ভুত আধাঁর কি এসেই পড়ল এ পৃথিবীতে আজ? কি জানি! হতেও পারে। না হলে কেন ইদানিং সমাজটাকে কুষ্ঠরোগী মনে হয়?কেন মনে হয় এর রূপটা ঠিক কাথার মত?;সম্মুখপাঠ পরিপাটি, অভ্যন্তরে অসংখ্য সেলাইয়ের ফোঁড়, অবিন্যস্ত।আপাতসুন্দর সম্পর্কগুলোর অভ্যন্তরে কুৎসিত কংকালের ততোধিক কদাকার ভেংচি।
ধ্রুবতারার প্রশ্ন- কেন আজও পৃথিবীতে অগণিত শিশুর কান্না একটি নতুন পোশাক কিংবা খেলনার জন্য নয় বরং একমুঠো ভাঁতের জন্য? শিশির ভেজা ঘাসে পা ডুবিয়ে ঘাসফড়িংয়ের পিছে ছুটে চলা কিংবা ঝুম-বর্ষায়, নাইবা জুটলো সর্ষে-ইলিশ কিন্তু বুকভরে কদমফুলের ঘ্রাণ নেওয়া,আঁদুর গায়ে বৃষ্টির প্রতি ফোঁটাকে অনুভব করা, এই বিষয়গুলো কেন কোন মানবশিশুর কাছে মনে হবে বড্ড বেশি বিলাসিতা? সে জীবন জুয়ায় হেরেছে বলেই কি? কিন্তু কি বা প্রকৃতি তাকে দিয়েছিল বিড করার মত? একটা ফুটাযুক্ত হৃদপিন্ড? নাকি কারন এটাই যে,সে তোমাদের ধলামুলা স্কেলে তথাকথিত সুন্দর নয়? তোমাদের এই পরিপাটি সমাজে শূন্যতা আর পূর্ণতার পাশাপাশি প্রদর্শনীটা এত স্পষ্ট কেন? পৃথিবীর প্রতিটি মানবসন্তানই তো মানুষ; আর মানুষ তো মানুষই, তার কেন এত বিভাজন, বর্ণ, গোত্রভেদ? কবে বন্ধ হবে ধর্মোন্মত্ততা? এটাই কি কালপ্রবাহের নীতি?
তবে যে “কাজী নজরুল ইসলাম” বলতেন-
নাই দেশ-কাল পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম,জাতি;
সবদেশে, সবকালে,ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
তা কি ঠিক নয়?
না,না, কক্ষনো না; এটাই শাশ্বত শিক্ষা। থাম,থাম হে ধ্রুবতারা, আর শুনতে চাইনা;
শুধু এটুকু জানি, দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেন শুধিতে হইবে ঋণ।
সূর্য্য অস্ত গেছে কিন্তু যেন তার স্নিগ্ধ মায়াবী উত্তাপটুকু রয়ে গেছে ছড়িয়ে পড়েছে আকাশময়। পুরন্ত শিল্পীর চলমান ক্যানভাস। গোঁধুলীর এই আকাশ যেন বিয়ের আসরে বসা কনে, মুখে তার লজ্জা-রক্তিম আভার সাথে মিলেমিশে হয়ে আছে সপ্ন। সে সপ্ন এক অকলুষ আগামীর। তারপর এক সময় গোঁধুলীর রংয়ের খেলা সাঙ্গ হয়, আঁধার নামে।এটাই কি মানব মানসিকতার চিরায়ত আঁধার? হ্যাঁ, হতে পারে।
কিশোরটি ওঠে ওকে বাড়ি ফিরতে হবে; ও কি পারবে সত্য অনুসন্ধান করে হাজার কেন-এর উত্তর খুজতে? নীতির শাশ্বত মশালের ইন্ধন হতে?
হ্যাঁ, ওকে যে পারতেই হবে।না হলে আর্তের আহাজারি, সত্যের আহবান মিলিয়ে যাবে অতল তলে, নৈরাশ্যের অন্ধ গহ্বরে।ও আজ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
একটাই বানী আজ আকাশে বাতাসে-
শুভসত্তা তোমার কান্নার দিন শেষ, তোমার ধ্বনি পৌছে গেছে কারো হৃদয়-প্রাচীর বিদীর্ণ করে হৃদয় আঙ্গিনায়।
ডঙ্কা আজ বেজেই গেছে, ওইযে, ওইতো, কান পাত….
নব জাগরণ মন্ত্রণা শোন, ঋজু হও তাজা প্রান,
নব মোড়কে বাসি জিনিসের হইয়াছে অবসান;
একসাথে আজ গাইব মোরা শিকল ভাঙ্গার গান।
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
সুপ্ত-আগ্নেয়গিরি বলেছেন: হুম,
বয়েছি কালিমা বুকে, পিঠে, মনে, হোক অবসান।
শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ ভোর ৪:২৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: নব জাগরণ মন্ত্রণা শোন, ঋজু হও তাজা প্রান,
নব মোড়কে বাসি জিনিসের হইয়াছে অবসান;
একসাথে আজ গাইব মোরা শিকল ভাঙ্গার গান।