![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দোহাই তোমার হে মহাকাল,আর একটু সময় দাও, বৈষ্যমের বেড়াজাল থাকবেনা, থাকবেনা বর্ণের বিভাজন; শুভ সত্তার কান্না বন্ধ হবে সেদিন, আর প্রতিশোধ প্রতি বিন্দু কান্নার, দেখো সেদিন বাতাসে থাকবে শুভ্রতা আর স্বর্ণালী নিমন্ত্রণ।
মেয়ে, তুমি গল্প জানো?
আমি আজ গল্প শুনতে চাই;
জোনাকির আসরে অতিথি হয়ে, গল্প শুনতে চাই;
জোছনারাতের খাজনা দিয়ে, গল্প শুনতে চাই;
গল্প শুনেই চলে যাব;
তোমার কোলে মাথা রাখার অভিলাষ নাই।
আচ্ছা মেয়ে, কি গল্প শোনাবে?
দাঁড়াও, দাঁড়াও, তার আগে বলে দিই-
হাঁপানি রোগী, চৌকিদার বশির শেখের গল্প নয়;
সন্ধ্যার আঁধারে তাড়া খাওয়া পকেটমারের গল্প নয়;
ছাইপাঁশ কবিতা লেখা কবির গল্প নয়;
কাঁটাতারের শোভা বাড়ানো ফেলানীর গল্প নয়;
চেনা আপন মুখগুলোর অচেনা হওয়ার গল্প নয়;
প্রানের ভয়ে কোনা খোঁজা তেলাপোকার গল্প নয়;
আঁতুড়ঘরেই স্বপ্নভাঙা বনফুলের গল্প নয়;
প্রতিরাতে রানী হওয়া তানির গল্প নয়;
বৃদ্ধ ইঞ্জিনের, রঙচটা ট্রাকের গল্প নয়;
ক্ষুধার্ত শিশুকে ছলনা করা মায়ের গল্প নয়;
লাশকাটা ঘরে হা-হুতাশ করা ফ্যানের গল্প নয়;
ফিনকি দিয়ে বের হওয়া রক্তের গল্প নয়;
যার অপেক্ষায় ছিল তৃষ্ণার্ত, তপ্ত বালুকনা;
অপেক্ষায় আছে ক্ষুধার্ত, ব্যাগ্র পোকারা।
এই গল্প আমি জানি;
ঈশ্বরের করুণার পেয়ালা উল্টে পড়েছে যার উপর, সেতো জানবেই;
এতে আর আশ্চর্য কি!
তুমি বরং আমাকে সেই গল্প বলো;
যেই গল্প শুনে অনেকগুলো বিন্দু মিলে রেখা হয়ে যাবে;
ফোকলা বুড়োর বৃদ্ধ হাড়ে বিদ্যুৎ খেলে যাবে;
পাড়ার “ঘশেটি বেগম” খ্যাত মহিলাটিও বলবে-
বাঁইচা থাক মা, বাঁইচা থাক;
আল্লায় তুমার ভালা করুক।
©somewhere in net ltd.