![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দোহাই তোমার হে মহাকাল,আর একটু সময় দাও, বৈষ্যমের বেড়াজাল থাকবেনা, থাকবেনা বর্ণের বিভাজন; শুভ সত্তার কান্না বন্ধ হবে সেদিন, আর প্রতিশোধ প্রতি বিন্দু কান্নার, দেখো সেদিন বাতাসে থাকবে শুভ্রতা আর স্বর্ণালী নিমন্ত্রণ।
মৃত্যুকে প্রচন্ডরকম ভালবেসেছিলেন যে কবি,
সব দিয়ে যিনি বসেছিলেন সর্বনাশের আশায়,
সেই মৃত্যুও তাকে ফিরিয়ে দিল; অনাদরে।
স্পিরিট ল্যাম্পের মত লকলকে শিখা নিয়ে জ্বলে উঠেছিল তার হতাশা;
আলো বিনে বাড়ন্ত কুয়াশা;
মরা মাছের মত নিষ্প্রাণ চোখে তাকিয়েছিল প্রিয় কবিতারা।
সেই বেদনার নীল রঙ ছুঁয়ে গিয়েছিল, সিলিঙয়ের আয়েশি টিকটিকিটাকেও;
কেড়ে নিয়েছিল আবেগী বেড়ালটার ঘুম;
বিধুর পাতারা তাই ঝরে পড়ল অকালে;
তুর্কি ঘোড়ার মত দুর্বার গতিতে ছুটলো সিগারেটের ধোঁয়া,
ফুসফুসের অলিতে গলিতে; বিষাক্ত ছোবল দেবে বলে।
এরপর কোন একদিন কবি বসেছিলেন দিগন্তছোঁয়া প্রান্তরে,
খসে পড়া তারকার গল্প শুনবেন বলে;
সেই সুক্ষণে বা কুক্ষণে, রাতের আঁধার এসে বাহুপাশে বসে,
কানে কানে বলে- আমার সঙ্গী হবে?
সেই শুরু, সেই শুরু;
তারপর হঠাৎই প্রেম হয়ে যায় আঁধারের সাথে;
তাও আবার যে সে প্রেম নয়, গভীর প্রেম;
কপোত-কপোতীর বাকবাকুম প্রেম।
ইরোস ভাবলেন- যাক, প্রেম তো হলো, এবার নব উন্মোচন পালা;
তো, যেই ভাবা সেই কাজ;
আঁধার তার তীক্ষ্ণ, সুচালো,এবড়োথেবড়ো সৌন্দর্য মেলে ধরল কবিকে;
কবি হতবাক হলেন;
এতো তার দেখা সাজানো,গোছানো, গোলগাল সৌন্দর্য নয়;
এ যে ফণা তোলা সর্পের সৌন্দর্য, বাঘিনীর দর্পের সৌন্দর্য।
শুরু হলো এক উন্মত্ত সময়ের;
কবি হারালেন স্থান,কাল, পাত্রের জ্ঞান;
একটি-দুটি রাত্রি কাটে কবিতার উন্মাদনায়;
কবি তার সমস্ত রাগ, ক্ষোভ, আর অপূর্ণতা নিয়ে ডুব দেন আঁধারের নিকষকৃষ্ণ সরোবরে;
এরপর, দিন ঘুরে মাস, মাস ঘুরে বছর হয়;
ধরণী তার ভোল পাল্টায়;
গ্রাম্য কিশোরের মনে রঙ লাগে, সপ্নচুরি হয় কিশোরীর;
মানবতা চামারের চটি হয় তবুও বিকার নেই বিভূতির।
সব দেখে শুনে কবি করলেন প্রত্যাবর্তন;
লেকের জলে ভুশ করে ভেসে ওঠা হাঁসের মতন।
কিন্তু কয়েক প্রশ্ন, কয়েকটি উদ্ভ্রান্ত প্রশ্নের জবাব পাননি কবি;
ওরা ঘুরেছে তৃষ্ণার্ত মশকের মত তার চারপাশে।
তিনি জানেন না, যে ভাবাবেগ তাকে ঘুরিয়ে আনলো স্বর্গে, মর্তে, নরকে,
তা কি আসলেই কোন উচ্চতর বোধ?
যে বোধ তাকে নিয়ে যাবে মানবকাল ছাপিয়ে মহাকালের পথে;
নাকি শুধুই টিনএজ মনে সুড়সুড়ি দেওয়া দুঃখবিলাস?
তিনি শুধু এতটুকু জানেন,
সমগ্র সত্ত্বা যখন উটপাখি হয়ে যায়, মুখ লুকাতে চায় বালুতে,
শিরা উপশিরার রক্তগুলো সব বিশ্বাস ভাঙ্গে হৃদপিন্ডের,
মাথা নত কবি তখন স্বীয় নখের খুঁটিনাটি দেখেন।
এ আবিষ্কার কবির জন্য লজ্জার, আত্নগ্লানির।
কবি বুঝলেন তিনি হয়ত অতিমানবের স্রষ্টা,
কিন্তু নিজে নিতান্তই অকিঞ্চিৎকর, ক্ষুদ্র অতি;
অসংখ্য নারী, শিশুর দেহ, মনের মাধুকরী হওয়া,
এই তার নিয়তি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: