![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দোহাই তোমার হে মহাকাল,আর একটু সময় দাও, বৈষ্যমের বেড়াজাল থাকবেনা, থাকবেনা বর্ণের বিভাজন; শুভ সত্তার কান্না বন্ধ হবে সেদিন, আর প্রতিশোধ প্রতি বিন্দু কান্নার, দেখো সেদিন বাতাসে থাকবে শুভ্রতা আর স্বর্ণালী নিমন্ত্রণ।
ইহা একটি উত্তরাধুনিক কবিতা; পাঠকবৃন্দের কেহ যদি মাথার উপর বিশফুটি অ্যান্টেনা লাগাইয়াও ইহার ভাবার্থ উপলবদ্ধি করিতে না পারেন তাহা হইলে এই দুর্বোধ্যতার দরুন কবিকে কোন ক্রমেই দায়ী করা চলিবে না। বরং উহাই উত্তরাধুনিক কবিতার শান বা সৌন্দর্য।
বেলের পাতায় ফুটন্ত ঘি ঢেলে দিলো,
ঈর্ষান্বিত ইউক্যালিপ্টাস;
বিদ্রোহী কাকেরা তাই গলা ফাটালো;
দেবদারুর ডালে বসে।
শোরগোলে, স্লোগানে ঘুম ভাঙল কাঁঠালচাঁপার;
থেমে গেল পিপীলিকার পদযাত্রা;
ওদের জন্য জারি হলো ১৪৪ ধারা।
কুজকাওয়াজ, কুজকাওয়াজ;
লেফটরাইট ,লেফটরাইট।
খসড়া খাতার অস্পষ্ট আঁকিবুঁকিরা সব রাজপথে নামলো;
দীপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করলো ৩ দফা দাবি।
চাই, চাই ,চাই
জীবনটা চাই;
চাই, চাই ,চাই
শরীরটা চাই;
চাই, চাই ,চাই
অনুভূতি চাই।
সেকি উচ্ছ্বাস! সেকি উচ্ছ্বাস!
সেকি জাগরণ! সেকি জাগরণ!
কয়েক রাউন্ড গুলি, আবার ছন্দপতন।
লাশের স্তূপে বসে উল্লসিত বিন্নি শকুন;
ঠোঁটে মহাজনের কুটিল হাসি;
বাতাসে অনাগত লাশের আগমন বার্তা।
পশুত্বের এমন নজির দেখেনি বৃদ্ধ তেলাপোকাটাও;
রক্তবিলাসের এমন পুলক!
আহা! আহা! এ যে ঈপ্সিত;
হার মানালো শৃঙ্গার সমাপ্ত শিশ্নটিকে।
আচমকাই বাতাসের সুর পাল্টালো;
ফিসফাস, ফিসফাস
কানাঘুষা,কানাঘুষা
শুকনো পাতার পথ মাড়িয়ে,
নিষিদ্ধ সুরে শিস বাজিয়ে,
দৃশ্যপটে এলেন-
একালের প্রমিথিউস।
উৎসর্গ: এসময়ের সকল 'উত্তরাধুনিক কবি'কে।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩
সুপ্ত-আগ্নেয়গিরি বলেছেন: থ্যাংকস গড যে বুঝতে পারেন নাই;
'উত্তরাধুনিক কবিতা' হইছে তাইলে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৬
বৃতি বলেছেন: দেশ আর দশের প্রয়োজনে একালের প্রমিথিউসের আগমনবার্তা বুঝতে পেরেছি, কিন্তু ইউক্যালিপ্টাস কেন বেলের পাতার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে ফুটন্ত ঘি ঢেলে দিলো- এই অংশটা বিশফুটি অ্যান্টেনা লাগিয়েও ধরতে পারলাম না ।