নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজপথ ঘুরে, নর্দমা খুড়ে, খুজি জীবনের মানে।

নব জাগরণ মন্ত্রণা শোন, ঋজু হও তাজা প্রান, নব মোড়কে বাসি জিনিসের হইয়াছে অবসান; একসাথে আজ গাইব মোরা শিকল ভাঙ্গার গান।

সুপ্ত-আগ্নেয়গিরি

দোহাই তোমার হে মহাকাল,আর একটু সময় দাও, বৈষ্যমের বেড়াজাল থাকবেনা, থাকবেনা বর্ণের বিভাজন; শুভ সত্তার কান্না বন্ধ হবে সেদিন, আর প্রতিশোধ প্রতি বিন্দু কান্নার, দেখো সেদিন বাতাসে থাকবে শুভ্রতা আর স্বর্ণালী নিমন্ত্রণ।

সুপ্ত-আগ্নেয়গিরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুপুরের গন্ধ

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯







কিছুদিন আগে একটা জানাজায় অংশগ্রহণ করেছিলাম; জানাজাটা ছিল আমার এক বন্ধুর বাবার। ওর কান্না দেখে আমার চোখটাও সজল হয়ে উঠেছিল। নিজেকে প্রবোধ দিলাম আর চোখটাকে বললাম- ও পোড়া চোখ! এমন কেন করিস? বড় হলে কি যখন তখন সজল হওয়া সাজে!

তার আগে “শাওন ও মুন্নি’র” কাহিনী শুনেছিলাম রেডিও আমারে, “আমার ভালবাসা” প্রোগ্রামে। তারপর মনে হলো কোন ভালবাসার মানুষের চিরবিদায়ের অনুভূতি নিয়ে একটা গান লিখি।



কিন্তু লিখতে গিয়ে আশ্চর্য হলাম; দেখলাম, আমার ভেতরে প্রিয় মানুষের সাথে চিরবিদায়ের গভীর কোন অনুভূতি নেই। নিজেকে কেমন যেন অনুভূতিশূন্য বৈদ্যুতিক খাম্বা মনে হতে লাগল।

জীবনে শুধু একবার কারো মৃত্যুতে সত্যিকারের পাঁজরভাঙা কষ্ট পেয়েছিলাম; সেই মানুষটি হলেন আমার ছোটবেলার গৃহশিক্ষক।



কিন্তু তাঁর জানাজায়ও আমি যায়নি অদ্ভুত এক কারনে; কারণটা হলো- আমি তাঁর মৃত, নিশ্চল দেহ আর নিষ্প্রাণ মুখ দেখতে চায়নি।

তাইতো আমার স্মৃতিতে এখনো তিনি হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরপুর।



গানটা লিখতে গিয়ে তাই বেশ একটা সংকটে পড়লাম। শেষ পর্যন্ত আরকি!

ধার করা অনুভূতি আর অভিজ্ঞতা দিয়ে কাজ চালাতে হলো।



ফলশ্রুতিতে, গানটা আমার মনের মত হলো না।



গানটা এরকম (নামঃ “পারাপার”)-



এই যে পোকা, তুই তো বোকা;

বুকের মধ্যে জমাট রক্ত, থোকা থোকা।



তবুও কেন মরিস ঘুরে,

করোটীটা ছিদ্র করে?

হৃদয় আমার ভাঙল যবে,

মস্তিষ্কে কি আর হবে!

বাঁধভাঙা রক্তক্ষরণ।



যেদিন সে যে শান্ত পায়ে,

উঠলো গিয়ে মৃত্যু-নায়ে;

ধরা হলো সাদাকালো;

সব আলো নিভে গেলো;

সুনসান অন্তকরন।



খোলস ভেঙে কষ্ট বলে,

ভাসিস কেন আঁখির জলে?

হিয়া আমার নিথর তখন;

শব্দগুলো বোবার মতন;

প্রতি শ্বাসে তাকেই স্মরণ।



বিধির কাছে প্রশ্ন এটাই,

নিঠুর খেলা থামবে কোথায়?

বাবুই বলে- জীবন তটে,

মৃত্যু আসে দৃশ্যপটে;

স্পর্শ করে মানবচরণ।



দিনের পরে রাত্রি দেখা;

মৃত্যুপুরের গন্ধ শোঁকা;

বিধির খাতায় এইতো লেখা;

কাঁদিসনে তাই ওরে বোকা;

ফিরতি পথে পদচারণ।





আর গানটা লিখতে লিখতেই একটা ভাবনা মনের কোণে উঁকি দিয়েছিল; তা হলো-

আমি যখন নিজের জীবনে, রক্তমাংস দিয়ে এই অনুভূতি লাভ করবো, তখন গানটা আবার মনের মত করে লিখব।



ভাবনাটা আমার সহ্য হয়নি; সাথে সাথেই সরিয়ে দিলাম মন থেকে; আর নিজের প্রতি লজ্জিত হলাম।

এই গানটা বরং চিরদিনই আমার কাছে অসম্পূর্ণ, অগভীর মনে হোক; ক্ষতি নেই।

তবুও আমাকে যেন প্রিয় মানুষের সাথে চিরবিদায়ের অনুভূতি পেতে না হয়; গানটা যেন আবার মনের মত করে লিখতে না হয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৪

উদাস কিশোর বলেছেন: আবেগ আপ্লুত

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

সুপ্ত-আগ্নেয়গিরি বলেছেন: :)

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪২

এহসান সাবির বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.