![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দোহাই তোমার হে মহাকাল,আর একটু সময় দাও, বৈষ্যমের বেড়াজাল থাকবেনা, থাকবেনা বর্ণের বিভাজন; শুভ সত্তার কান্না বন্ধ হবে সেদিন, আর প্রতিশোধ প্রতি বিন্দু কান্নার, দেখো সেদিন বাতাসে থাকবে শুভ্রতা আর স্বর্ণালী নিমন্ত্রণ।
হৃদয়ের মোড়ে মোড়ে ইদানীং চলছে শাবল;
হরদম, হররোজ।
গাইতি, শাবলের ঝনঝনানি যে এত মধুর লাগতে পারে,
ভাবিনি কোনদিন!
তাইতো আবার সঙ্গোপনে,
স্মৃতির দেরাজ খুলে বসেছি।
আলতো হাতে ছুঁয়ে যাচ্ছি,
ফেলে আসা সময়ের দলিল-দস্তাবেজ।
পুরোদমে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি।
প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানী চোখে,
আগ্রহ আর কৌতূহল।
রোমন্থনের ডামাডোলে থমকে দাড়াই,
মনে হয়,
কিসের আমার অস্থিরতা!
কিসের এই তালাশ?
কিসের কিসের সম্মোহনী আকর্ষণ!
ঠোকর খেতে খেতে, উদ্ভ্রান্ত আমি,
উপস্থিত হই,
স্মৃতির বিস্মৃত এক গিরিখাদে।
আশ্চর্য এক উপত্যকায়।
না, না,
সেখানে কোন নহর ছিল না,
ছিলনা আয়ত নয়না হুরীর দল;
গেলমানেরা ছোটাছুটি করেনি ইতিউতি।
শুধু ছিল, একজোড়া তীব্র চোখের কটাক্ষ,
আর,একপশলা স্নিগ্ধ হাসির প্রতিধ্বনি।
তাতেই আমি বিবাগী হলাম!
জন লেননের আশীর্বাদ নিয়ে,
ঘুরে এলাম সাত আসমান!
সেই আসমান মুক্ত ছিল,
কোন জ্ঞানপাপীর ১৪৪ ধারা, একে আড়ষ্ট করেনি;
আবদ্ধ করেনি।
ছিলনা সেখানে সোনার-রূপার প্রবেশদ্বার,
ছিলনা বদখদ কোন প্রহরী, কিংবা,
ছয়শত পাখার গাইড রূপী জোকার!
সে ভ্রমণ উচ্ছল ছিল,
উদ্দাম ছিল,
নির্মল ছিল,
আর ছিল, একপশলা বোধের বারিষ!
অতঃপর আমি,
নির্দ্বিধায় পায়ে দললাম,
অমরত্বের আহ্বান,
অনন্ত যৌবনের আহ্বান,
মহিমান্বিত দাসত্বের আহ্বান।
যোগ ও বিয়োগের বাহাস শেষে,
গুন ও ভাগের বাহাস শেষে, হলাম,
শান্ত, সমাহিত, স্থির।
সেঁজুতি, আসামী হাজির!
তোমার সব অনুযোগের জবাব দেব এবার!
ঠোঁটের উষ্ণতায় মেলাবো,
মান- অভিমানের ব্যাল্যান্স শিট।
ব্যালকনির চড়ুই গুলো লজ্জা পেলে পাক!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫
সুপ্ত-আগ্নেয়গিরি বলেছেন: ধন্যবাদ, রাখাল ভাই!
কথা হবে কবিতায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ কবিতা