| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শরিফ নজমুল
চাইনা আর কোন মায়ের বুক খালি হোক এই নষ্ট রাজনীতিবিদদের ক্ষমতার সিড়ি হবার জন্য।
কদিন আগেই পত্রিকায় এসেছে মোটা চালের দাম বৃদ্ধির জন্য ভাতও কম খেতে বাধ্য হচ্ছে দরিদ্র মানুষ। মাছ, মাংস, সবজি, ডাল অনেক আগেই খাওয়া কমাতে হয়েছে। এখন ভাত খাওয়াও কমাতে হচ্ছে।
অথচ অর্থনীতি বড় হচ্ছে। বলা হচ্ছে আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হ্যেছি বা হচ্ছি। আমরা গর্বের সাথে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করছি। দারিদ্র কমছে। জিডিপি তে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে প্রতি বছর।
দারিদ্রের হার কমে আসলেও এখনো অনেক মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করে। মোট সঙ্খ্যার বিবেচনায় সেই সংখ্যাটা অনেক বড়। অন্তত ২-৩ কোটী মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করে।
অর্থনীতি বড় হচ্ছে, গড় আয় বাড়ছে। চাহিদা বাড়ছে, বাড়ছে ভোগের মানসিকতা। মানুষের স্বার্থপরতা বাড়ছে, অন্যের দিকে তাকানোর সময় নাই। সমাজের সেফটি নেট গুলো (কাবিখা, বয়স্ক ভাতা ইত্যাদি) দক্ষতার অভাবে এবং দুর্ণীতির কারনে কাংখিত ফল আনতে পারছেনা।
প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর বাড়ছে, ইউটিলিটি র দাম বাড়ছে। বাড়ছে দাম নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের।
কিন্ত সবার আয় আয় বাড়ছে না, অন্তত সেই একই অনুপাতে তো অবশ্যই না।
বাড়ছে বৈষম্য।
কাজেই কিছু লোক “ভাতও কম খেতে হচ্ছে” এই অবস্থায় চলে যাচ্ছে। অনেকটা চলন্ত ট্র্বনে ওঠবার মত। যার সামর্থ নাই, সে ছিটকে পড়ে যাচ্ছে, অন্যরা তাকে ফেলেই চলে যাচ্ছে। সম্ভবত এরকম কোন সুত্রে মোটা চালের দামও বাড়ছে কিন্তু সেটা কিনার মত আয় বাড়ছে না অনেকের।
এই সংখ্যাটা কিন্তু কম নয়। বাংলাদেশে ১৬কোটি মানুষের মধ্যে যদি ১৫% হয় অতি দরিদ্র, সংখ্যা হিসাবে কিন্তু সেটাও ২ কোটির উপরে!
রাষ্ট্র কে এখানে খুবই গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে। এই দরিদ্র লোকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিকল্প কর্ম সংস্থান করতে হবে। তাদের ছেলে-মেয়েরা যেন সরকারী ব্যাবস্থাপনয় পড়াশুনা চালিয়ে নিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারী হাসপাতাল গুলোতে উন্নত মানের চিকিতসা নিশ্চিত করতে হবে। পুরো বাজার নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে প্রান্তিক আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
সকল কে নিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.