ছোট বেলার স্মৃতি চারণ

০৩ রা মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৫৬

ছোট সময় ছিলাম আমি যেই মায়ের আচলে সেই মায়েরই কথা আমি ভুলি কি করে।আমি যখন ছোট ছিলাম । ছিলাম অসহায় মা ই তখন ভালবেসে করেছেন সহায়। তখন বাবা মা দুজনই ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক আমার। কিন্তু আজ আমার বাবা নেই । বাবা মারা গেছেন প্রায় ৫বছর হয়ে গেল।বাবার কথা এখনো ভুলতে পারিনা।যখনই মনে পড়ে বাবার স্মৃতি চারণ তখনই আমার অশ্রু সিক্ত হয়ে উঠে দুটি আখি।বুক ফেটে যায়। চিৎকার করে কান্না করতে ইচ্ছা করে। মাঝে মাঝে যা করা হয়। কিন্তু কোন লাভ নেই তাতে। বরং বাবার জন্য খাছ করে দোয়া করাই মঙ্গল জনক হবে। আর এটা ছাড়া কোন উপায়ও নেই। যদি অন্য কোন উপায় থাকতো তাহলে যাদের বাবা মা দুনিয়া থেকে চিরবিদায় হয়েগেছেন। তারা সবাই চাইতো বাবা মাকে পৃথিবীতে রাখতে। কিন্তু বিধাতার এই নিয়মেই সবাইকে চলতে হবে। পবিত্র কোরআন শরীফে বলা হয়েছে । কুল্লু নাফছিন যা ইকাতুল মাউত। অর্থাৎ প্রতিটি নফছকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। পরম করুণাময় অশেষ দয়ালু আল্লাহর দরবারে পানাহ চাই। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দেন। এবং আমার বাবাকে পরম শান্তিতে রাখেন। আমিন।

পৃথিবীতে এখন বেঁচে আছেন আমার জননী মা। যার স্মৃতি চরণ বলে শেষ করা যাবে না। মা, মা, মা । বলতেই যেন ভাল লাগে। কারণ বাবা দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার বেদনাটা একমাত্র জননী মাকে দেখেই ভুলে থাকি। তাই আমার মনে হয় মা আছেন তো সবই আছেন। মা জননী আমার যেমনটি আছেন সুখে তার চেয়ে বেশী আছেন দুঃখে। খুব ছোট থেকেই একটি হাদিসের কথা বার বার শুনে আসছি । হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একদিন এক সাহাবী জিঞ্গাসা করলেন হে আল্লাহর রাসুল সবচেয়ে কার মর্যাদা বেশী, তখন রসূল (সবললেন তোমার মায়ের । সাহাবী আবার জিঞ্গেস করলেন তারপর কার? আল্লাহর রসূল বললেন, তোমার মায়ের ।সাহাবী তৃতীয়বার জিঞ্গোস করলেন তারপর কার? আল্লাহর রসূল তৃতীয়বারও বললেন তোমার মায়ের। অতপর সাহাবী চতুর্থবার জিঞ্গেস করলেন তারপর কার? তখন আল্লাহর রাসূল বললেন তোমার বাবার। মা জননী সম্পর্কে আরো বিভিন্ন হাদীস রয়েছে। যেমন বাবা মা দুজনের সম্পর্কেই একটি হাদীস হলো.... ..... পিতা মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং পিতা মাতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি (তিরমিযি শরীফ) এতে করে বুঝা গেল শুধু মায়ের নয় বাবারও অনেক মর্যাদা আছে।

এবার আসি আমার সেই ছোট বেলার আত্বীয় স্বজনের কথায়। ছোট সময় আত্বীয় স্বজনেরাও কতইনা ভালবাসতেন। কিন্তু তারাও এখন চির বিদায় হয়েগেছেন। আল্লাহ তাদেরকে শান্তিতে রাখুন।আমিন। কিন্তু এখন যারা বেঁচে আছেন তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা আমাদের কর্তব্য ।আত্বীয়স্বজনের ব্যাপারেও কিন্তু হাদীসে বলা হয়েছে.....অর্থাৎ আত্বীয়তা ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না। আল্লাহ মাফ করুণ

৩ টি +১/-০