নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেও ভালোবাসা পেতে পছন্দ করে, কেও ভালবাসতে পছন্দ করে, আমি হয়তো এতোদিন প্রথমটি ছিলাম

শারমিন রাবেয়া

মারাত্ত্বক অলস মানুষ, কোনো কাজই পারিনা, কিন্তু তাও নিখুঁত না হলে কিছু খুতখুতে থাকে মন। মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকে, কিন্তু দেখে কেও বুঝবে :)\nএকা থাকতে বেশ পছন্দ করি।

শারমিন রাবেয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি যেভাবে নিজের সমস্যার সমাধান করি

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে কম বেশি সবাই কিছুটা ডিপ্রেশন এ ভুগি, এর কারন হয়তো যা চাইছি তা পাচ্ছিনা, অথবা যা পাচ্ছি তা ছুটে যাবার ভয় নিরন্তন।
আসলে ব্যাক্তিগত বা ব্যাবসায়ীক অথবা যেকোন কর্মক্ষেত্রে আমরা মোটামুটি ১০০% সন্তুষ্ট হতে মনে হয় তেমন পারিনা।

যদি একটা দিকে মোটামুটি সন্তুষ্টী থাকে অন্য দিকে এমন তাড়া করে ফিরে যে একটা যায়গায় যে ভালো আছি তা নিয়ে শোকরান আদায় করারো সময় বা বুদ্ধি কাজ করেনা।

আসলে আমরা সমস্যা গুলো তখন সমাধানের অস্বাভাবিক চিন্তা করে করে মরি।

আমি খুব পেঁচিয়ে না বলে কয়েকটা সাধারন কথা বলে চেষ্টা করবো বুঝাতে কিভাবে আমি আমার ব্যাবসায়ীক আর পারিবারিক দুই ক্ষেত্রে মোটামুটি ব্যালেন্স আনি।

প্রথমত খুব প্ল্যান করে আগালে আমি বেশ হতাশ থাকতাম, টু ডু লিস্ট পড়েই থাক্তো কাজের কাজ কিছুই হত না।
তাই লিস্ট বানানো বন্ধ করেছি তা না, তবে যেগুলো আসলেই করতে পারবো তা লিখি, কিন্তু টাইম ফিক্সড রাখিনা, এতে আসলেই নিজের উপর প্রেশার না দিয়ে কাজ গুলো করে ফেলি।

যখন কারো সাথে মিট করার টাইম দেই বেশির ভাগ সময়-ই অভারলেপিং হত, আমি খেয়াল-ই করতাম না সেম টাইম আমি আরো ২/৩জনকে দিয়েছি।
এটা নিয়ে খুব অনুশোচনায় থাকতাম।

পরে নিজের লাগাম এভাবে টেনেছি, কেও টাইম চাইলে যখন পারবো অই সময়ে ফোন দিব বলে ঠিক করি, বা খুব ভি আই পি টাইপ হলে বা খুব দরকারি বিজনেস এর জন্যে এমন কিছু হলে,এলার্ম দিয়ে রাখি রেগুলার যাতে জানান দেয় ।

আসলে আমি বেশ ভুলোমনে থাকি বলে এমনটা করতে বাধ্য হয়েছি।

যখন কাজের চাপে মাথা হ্যাং হয়ে যায় ,এলোমেলো লাগে আমার মনে হয় তখন রিলাক্সের জন্যে গেম বা মুভি বা বই না পড়ে কিছু (প্রতিদিন) সময় চুপচাপ চোখ বন্ধ করে সব কিছুর আগাগোড়া চিন্তা করা।

সেটা ভালো কোন মুহুর্তের হতে পারে, ব্যাবসায়ীক কোন ভালো অর্জনের হতে পারে, তবে অবশ্যই ঝামেলা কিছু ব্যাপার প্রথমেই না চিন্তা করা।

এতে দারুন দারুন কাজের আইডিয়া আর কাজ করার ইচ্ছে বেড়ে যায়।

এবার আসি পারিবারিক ঝামেলায়, যেহেতু বাসায় কম থাকা হয় তাই খুব সময় পাই টুকটাক সমস্যার কথা শুনতে বাসায়, কিন্তু যখন অনেক দেরীতে কিছু শুনি, যেমন মা এর কাছে কেও এটা ওতা আবদার করেছিলো মা হয়তো দিতে পারেনাই, তার খারাপ লেগেছিলো, আমার ব্যাস্ততার কারনে আমাকে বলতে গিয়েও পারেনাই।
বা কোন প্রোগ্রাম অথবা কোন বিশেষ অনুষ্ঠানে আমার বোন , ভাই বা মা কে কেও আমার বিয়ে নিয়ে খোচা মারা কথা শোনালো, এরকম কিছু তৎক্ষণাৎ শুনলে উত্তর দিয়ে শান্তি পেতাম, পরে শুনলে কতক্ষনে তাকে ধরে সরাসরি জিজ্ঞ্বেস করবো সেই রাগে অন্যান্য কাজে ব্যাঘাত ঘটতো।

ইদানিং তা হচ্ছেনা, এখন আগের চেয়ে বেশি সময় বাসায় থাকি, অনেক বেশি সবার মতামত শোনার চেষ্টা করি, একটা সমাধান দেয়ার চেষ্টা থাকে, কেও কোন আবদার বা চাওয়া থাকলে সম্ভবপর উপায়ে করার চেষ্টা করি।

কারো কোন খারাপ মন্তব্যে ঠাস করে ধরিনা, নিজেকে অনেক সময় দেই, চুপ চাপ থাকি, পরে দেখা হলে আরো ভালো করে তাকে আপ্যায়ন করি , নিজে বসে থেকে তার সমাদর করি।

রাত শেষে সবার সব কিছু ক্ষমা করে দেই, ক্ষমা বলতে কারো কোন নেগেটিভ কথা নিয়ে মাথা ঘামাই না, এই-ই।

আমার মনে হয় চারপাশে যতবেশি পজিটিভ মানুষদের মেশা যাবে ততই মঙ্গল।

যারাই খারাপ কিছু বলবে চুপচাপ তাদের ইগ্নোর করতে শিখতে হয়।

কেও বা হয়তো এমনও আছেন উপরে ভালো মানুশী দেখিয়ে বা আপনার বেশ হিতাকাংক্ষী ভাব ধরে হাসতে হাসতে আপনার ছোটখাট খুত গুলো নিয়ে কথা বলবে। তাদের ও ৩টা লাথি মারতে ভুল্বেন না।

কেও বা আছে যারা জামাইর সাথে সমস্যা কেনো, এতো ঝগরা ঝাটি করলে এই সেই ক্যারিয়ার বা হাবিজাবি প্রশ্ন তুল্বে, কেও বা সামনে এক রকম পিছনে আরেকরকম , যেমন আপনার সামনে আপনার সাথে বেশ ভালো , আপনার প্রিয়জনের কাছে আপনাকে নিয়ে কটুক্তি করবে, কত উপায়ে প্যারা দেয় ঘরের মানুষ সেগুলো জানান দেয়, কেওবা ঠান্ডা মাথায় আপনার অলসতা, ফোন না ধরা বা কিছু বদঅভ্যাস নিয়ে আপনাকে দারুন খোচা দিবে, আপনি হয়তো ব্যাপারটা একেবারেই ব্যাক্তিগত রাখতে চাইছিলেন, কিন্তু এতার খোচার জন্য হলেও ব্যাক না দিয়ে ঠান্ডা মাথায় তাকে চুপচাপ বাতিল খাতায় রাখবেন।

এখন চিন্তা করছেন এতো বাতিল করতে গেলে “আছের” খাতায় কি থাকবে,
একটা কথা পুরোনো হলেও বেশ উপকারী, দুষ্ট গরুর চাইতে শুন্য গোয়াল বেশ ভালো, খুব বেশি ভালো”

মন দিয়ে চুপচাপ কাজ করে গেলে সত্যিকারের বন্ধুর অভাব হবেনা। যাদের আপন ভেবে কাছে টেনে ধাক্কা খেয়েছেন বা কেও আঘাত দিয়েছে বলে কষ্ট পাবেন, তা করবেন না, তাদের সাথে কথাও বন্ধ করে দেবেন তা না, বরং যতটুকু না বললেই নয় ঠিক ততটুকুই।

আসলে আমি বেশ কিছু সমস্যা যখন একসাথে গুবলেট পাকায়া ফেলি নিজেকে নিজেই কিছু অটোসাজেশন দেয়, আল্লাহর কাছে খুব করে চাই যা কিছুর আসলেই হবার না তা মেনে নিতে ধৈর্য যাতে বাড়ে।

আর খুব কাছের ১/২জন (যারা সত্যিকার ভাবেই যেকোন বিপদে কাছে থাকে) তাদের সাথে শেয়ার করি কিছু কিছু দিক, তারা যে কি অসাধারন ভাবে সাহায্য করে, মনে হয় মাঝে মাঝে আমি বোধহয় আল্লাহর কাছে খুব চাইছিলাম দেখে আল্লাহ তো আমার কাছে অহী পাঠাবেন না নিশ্চয়-ই , এসব মানুষদের রহমত হিসেবে কাছে পাই।
সবাই যে যার কাজে খুব ভালো থাকুন, সর্বোচ্চ বিপদে দোয়া দুরুদ ভালো কাজ দেয়।

সবচেয়ে বড় কথা সবচেয়ে বিপদের সময়েও যা কিছু আছে তার জন্যে সন্তুষ্ট থাকি আসুন। সন্তুষ্টিতে অনেক প্রশান্তি।




মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: যখন কাজের চাপে মাথা হ্যাং হয়ে যায় ,এলোমেলো লাগে আমার মনে হয় তখন রিলাক্সের জন্যে গেম বা মুভি বা বই না পড়ে কিছু (প্রতিদিন) সময় চুপচাপ চোখ বন্ধ করে সব কিছুর আগাগোড়া চিন্তা করা।---না, মাথা হ্যাং হয়ে গেলে চোখ বন্ধ করে চিন্তা না করে অফিস/কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সাথে গল্প করুন, আমার মনে হয় এটাই বেটার।





এখন চিন্তা করছেন এতো বাতিল করতে গেলে “আছের” খাতায় কি থাকবে, একটা কথা পুরোনো হলেও বেশ উপকারী, দুষ্ট গরুর চাইতে শুন্য গোয়াল বেশ ভালো, খুব বেশি ভালো”
-- হুম তাই, সময় হলে বন্ধুর অভাব হবে না।




সবচেয়ে বড় কথা সবচেয়ে বিপদের সময়েও যা কিছু আছে তার জন্যে সন্তুষ্ট থাকি আসুন। সন্তুষ্টিতে অনেক প্রশান্তি।---পুরো লেখায় ভাল লাগা লাইন এটি।








ভাল থাকুন সবসময়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪২

শারমিন রাবেয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ইমতিয়াজ ভাইয়া। এতো সুন্দর করে আরো ভালো ভাবে সমাধান দিয়ে সাহায্য করার জন্যে ধন্যবাদ।

কষ্ট করে পড়েছেন বলে আরো ১হালি ধন্যবাদ।

সামনে আরো ভালো ভাবে লিখবো এমন উৎসাহ পেলে :)

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন । হ্যাপি ব্লগিং :)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪২

শারমিন রাবেয়া বলেছেন: ধন্যবাদ রায়হান ভাইয়া :)

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুস্বাগতম ব্লগে। চালিয়ে যান । শুভকামনা রইল।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৩

শারমিন রাবেয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুজন ভাইয়া। এভাবে উৎসাহ দেয়ার জন্যে অনেক কৃতজ্ঞতা :)

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৫৭

খাটাস বলেছেন: সুন্দর, নতুন কিছু অভিজ্ঞতা জানলাম। শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ। ভাল লিখেছেন।
হ্যাপি ব্লগিং ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৯

শারমিন রাবেয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া :) (খাটাস ভাইয়া বলতে পারছিনা :( )

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪২

খাটাস বলেছেন: আছছা ঠিক কাছে আপু, অনিক ভাইয়া বলতে পারেন। :) অনেকের আমার নামটা নিয়ে একটু সমস্যা হয়। :#> :)
ভাল থাকবেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৪০

শারমিন রাবেয়া বলেছেন: বাহ দারুন নাম তো । অনিক ভাইয়া মাঝে মাঝে পরামর্শ দিলে বেশ কৃতজ্ঞ থাকবো :)
ধন্যবাদ ভাইয়া।

ভালো থাকবেন।

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: পুরো ১ হালি ধন্যবাদ !!!! একটাও কম না।


১ টা কম ১ ডজন ধন্যবাদ আপনাকে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

শারমিন রাবেয়া বলেছেন: ১টা কম :) তাও তো ১১টা!!
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.