![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মারাত্ত্বক অলস মানুষ, কোনো কাজই পারিনা, কিন্তু তাও নিখুঁত না হলে কিছু খুতখুতে থাকে মন। মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকে, কিন্তু দেখে কেও বুঝবে :)\nএকা থাকতে বেশ পছন্দ করি।
-"তারেক কি করছো?"
-কিছুনা আপু
-কেনো কিছু করছোনা, কিছুতো করা দরকার।
- আচ্ছা করবো
-কি করবা
-আপু জানিনা।
-
আরে জানিনা মানে!! তোমার না সামনে পরীক্ষা? তো পড়ছোনা কেনো? তোমাকে ছুটিও দিলাম, তুমি বললে লাগবেনা। তো এখানে বই নিয়ে আস্লেও তো অবসর সময়ে বসে না থেকে পড়তে পারতে
-আপু আমার মন ভালো নেই
- কি আজব তোমাদের এতো মন খারাপ থাকে কেনো!!
এখন তো দুরন্ত সময়, বয়স্কদের মত কথা বার্তা বলছো কেনো!!
-আচ্ছা বুঝতে পেরেছি, যাও ঘুরে আসো
-আপু আপনি বুঝতে পারছেন না আমার মানসিক অবস্থা ভালোনা, আমি পরীক্ষাও দিতে পারবোনা।
-কি আশ্চর্য !! কি হয়েছে তোমার বলতে না পারো, কিন্তু এই ডিসিশন কেনো নিচ্ছো!
পরীক্ষা না দেয়ার সিধ্বান্তে তুমি পরবর্তীতে অনুশোচনায় ভুগবে তারেক।
২) -ফারিয়া তুমি সারাদিন মোবাইলে খুটখুট করে কি কর?
-আপু এইতো ফ্রেন্ড দের আড্ডা দেই।
-মোবাইলে?
-হ্যা আপু, ফেসবুক, ভাইবার (আরো কি কি যেন বলল )
-আমি তো দেখেছি তোমার ভার্সিটির ফ্রেন্ড রা এখানে দেখা করতে আস্লেও তুমি তেমন একটা সময় দিতে চাও না, তো অনলাইনেই কথা বলে ফেলো ,তাই?
-না আপু স্কুল কলেজ বা ভার্সিটির ফ্রেন্ড না, এদের সাথে অনলাইনেই পরিচয়।
-আচ্ছা।
-আপু আপনার ভাইবার নাই?
-নাহ
-আপু আপনি একটা স্মার্ট ফোন নিয়ে নেন, কি মজা সারাদিন বুঝবেন, আর আপনার হাতে এই পুরান যুগের সেট মানায় না।
-ফারিয়া তোমার বই পড়তে ভালো লাগেনা?
-আপু আমার ধৈর্যে কুলোয়না, ২/১টা পড়েছিলাম, শেষ করতে পারিনা।
-ও আচ্ছা আমি কিছু ই-বুক দেই? পড়বে?
-আপু বই পড়ার সময় কই।
৩) -রাশেদ তুমি ফ্রী টাইমে কি কর?
-আপু ফ্রী টাইম আছে নাকি?
- না মানে যখন শোরুমে আসোনা, বা শোরুমের ভিতরেও চাপ যখন থাকেনা?
- আপু এইতো গান টান শুনি, অনলাইনে থাকি।
-আমার তো মনে হয় তুমি আমার ডেস্কে রাখা বই গুলো ঘাটাঘাটি করেছো, তাইনা? ভালো লেগেছে সেদিন দেখে।
-না আপু, অই বই এর ভিতরে কিছু ক্যাশ মেমো আর ভাংতি টাকা রেখেছিলাম।
-কি বল! ক্যাশ মেমো বই এ কেনো, তাছাড়া টাকা কি ক্যাশ এ রাখোনা?
-আর তুমিতো ইউটিউব বা গুগল এ সার্চ টার্চ দিয়ে কিছু কাজ টাজ নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে পারো।
-কি কাজ?
-কেনো তুমি ডিজাইনিং নিয়ে কিছু পড়, নাহয় গ্রাফিক্সের অনেক টিউটোরিয়াল আছে, সেগুলো টুকটাক দেখতে থাকো, পরে সমস্যা হলে এক্সপার্ট দের সাহায্য নিলে দ্রুত শেখা যাবে।
-আপু এতো ধৈর্য নাই আমার।
:: আমরা কি দিনে দিনে একটু একটু করে অস্থির হয়ে পড়ছি! আমার মনে হচ্ছে, সবাই খুব ব্যাস্ত , নিজেকে সময় দেবারও কারো সময় নাই, স্কীল ডেভেলপ করার যে সময়টুকু থাকা দরকার অনেকের সেটা নাই, কারন আমরা এখন বেশ ব্যাস্ত।
আমরা এখন ফেসবুকে ব্যাস্ত, আমরা গেম খেলতে ব্যাস্ত, আমরা কত কিছুই না করি!
আমাদের চাওয়া গুলো ছোট কেনো হয়ে যাচ্ছে!
আমরা কোনভাবে পাশ টাশ করে চাকরি খুঁজবো, এই চিন্তা কেনো সবসময় ধারন করি!
আমার খুব নিজেকে বুড়ো হয়ে গেছি মনে হচ্ছে। আব্বু আম্মুরা কত কত বকা দিতো পাঠ্য বই এর বাইরে অন্য বই পড়তাম দেখে।
কিন্তু মাঝে মাঝে নিজেরাই বেশ ভালো কিছু বই নিয়ে আসতো মেয়ের জন্যে।
এখন স্বামী হয়তো স্ত্রী কে সময় দেয়ার সময় নাই, অফিস থেকে ফিরেই হয় ফেসবুক নাহয় গেম!!
অথবা স্ত্রীদেরও সময় নেই স্বামীকে সময় দেয়ার, সেও হয়তো সেম কাজ করছে।
মেয়ের সময় নাই মা কে সময় দেয়ার, কথা হয়তো মা বলেই যান পাশে বসে , মেয়ে অনলাইনে অন্য কাজে ব্যাস্ত থাকে।
এখন বেরাতে গেলেও উপভোগের সময় নাই, কখন সেলফি তুলে আপ্লোড দিবো ! সেতা হয়ে গেলে ঘোরাও শেষ!
আজমীর বা মক্কা তে গেলেও অনুভব করার চাইতেও ছবি তোলাতে ব্যাস্ততা (বলতে খুব খারাপ লাগছে, আমি দেখেছি কয়েকজন কে,তাই বলছি)
বিজনেস এর প্ল্যান করার সময় নাই, নিত্যনতুন ভালো ভালো আয়ডিয়া নিয়ে খেলার সময় নাই, কপি পেস্ট এর দিনে এতো চিন্তার কি আছে!
"অমুক একটা বিজনেস করে সফল হয়েছে, আমিও সেটা করে বড় হয়ে যাবো"
এমন একটা ধারনা যদি থাকে, তাহলে সেটা কিভাবে লং টার্মের বিজনেস হবে!
কিভাবে টিকে থাকা সম্ভব!!
বিজনেস টাই তো একটা বিশাল গেম, প্রতিনিয়ত প্ল্যান চেঞ্জ করা, এভাবে না হলে ওভাবে, ওভাবে না হলে অন্যা আরেকভাবে, কোন টা ক্লিক করে কেও বুঝবে!
ডিজাইন এ দিনে দিনে উন্নতি ঘটানো, কিভাবে আরো ইনোভেটিভ উপায়ে মার্কেটিং বা ব্রান্ডিং করা যায় সেটাও তো একটা গেম হতে পারে।
বিজনেসের চেয়ে বড় কোন গেম আছে নাকি!
চাকরি যদি করে, সেটা আরেক জনের বিজনেস না? সেটা তেও যদি প্রতিদিন নতুন কিছু না করা যায়, না নিজের মন বসবে, না প্রমোশনের চিন্তা মাথায় আনা যাবে!
আসলে আমরা সময় না পাওয়ার যে কথা বলি সেটা জাস্ট অজুহাত ছাড়া আর কিছুই না, এই যে আমরা ফ্রাসটেশনে ভুগি মাঝে মাঝে সেতাও দুঃখ বিলাস ছাড়া কিছুই না।
দুশ্চিন্তা করার সময় না থাকা ভালো অবশ্য।
এইযে সালমানশাহ মারা গেলো ,১৮ বছর পরেও ওর অল্প কয়েকটি ছবির জন্যে কেমন হাহাকার করি আমরা!!
সৃষ্টি বেঁচে থাকে, সবসময় ভালো কোন কাজ করে যাওয়া উচিত। সবসময় নেয়া না, কিছু কিছু দিতেও হয়।
আচ্ছা আমার আজ কি হল!! এসব কি ভাবছি!!
ভালো থাকুক সবাই, ভালো থাকুক সব ব্যাস্ত মানুষ রা ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
শারমিন রাবেয়া বলেছেন: অনেক বেশি প্রেরনা পাচ্ছি ভাইয়া আপনার কাছ থেকে। অনেক ধন্যবাদ।
আচ্ছা সে কিছু সময় না পেয়ে একটু বেশি সময় পেলে অনেক সমস্যা হয়ে যাবে?
সারাজীবন তো কাটাতেই হবে, তাহলে একটা মুল্যবান সময়ে অবহেলা করা কি ঠিক ভাইয়া?
অনেক অনেক ভালো থাকুন। অনেক শুভকামনা দুজনের জন্যেই ।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: না, সে একটু বেশী সময় পেলে সম্পর্কটা আরো গভীর হয় কিন্তু জয়েন্ট ফ্যামিলিতে ওকে বিশেষ ভাবে মূল্যায়ন করা সব সময় সম্ভব হয় না। আর সে তো আমার এবং আমার সন্তানদের একমাত্র বাস্তবাত। বলুনতো এটা কি ব্যাখ্যার বিষয়।
দোয়া আপনার কাছে আমার পরিবারের জন্য এবং দোয়া ও শুভেচ্ছা রইল আপনার , আপনার অনাগত ভবিষ্যত এবং সর্বোপরী আপনার প্রেরণার উৎস তাঁত কর্মীদের প্রতি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
শারমিন রাবেয়া বলেছেন: সবাই মিলে এভাবে থাকাতে কি যে আনন্দ !!! সন্তানদের তিনি যে সারাদিন দেখভাল করছেন এটা কিন্তু আপনার প্রতি চরম ভালোবাসার-ই প্রতিক।
আপনার এই বাস্তবতা ব্যাখ্যার মত নয়,শুধুই অনুভবের।
অনেক অনেক ভালোবাসা আয়মান আর আরহামের জন্যে। ভাবির জন্যে অনেক শ্রদ্ধা ।
ভালো থাকবেন সবসময় ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: কাজের ব্যস্ত থাকার মজাই আলাদা। যখন অফিসে থাকি তখন সময়দেই কাজকে আর যখন বাসায় থাকি তখন সময়টা ভাগ করে নেয় আয়মান ও আরহাম এর মাঝেও কিছুটা সময় থাকে বাবা মা বোন ভাই, ভাই এর বউ এর জন্য। বাকী থাকে সে ......। সত্যি বলতে তার জন্য সময় বের করা হয় না তার পরও সে কিছু সময় পায়।
আপনার লেখায় ++