![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মারাত্ত্বক অলস মানুষ, কোনো কাজই পারিনা, কিন্তু তাও নিখুঁত না হলে কিছু খুতখুতে থাকে মন। মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকে, কিন্তু দেখে কেও বুঝবে :)\nএকা থাকতে বেশ পছন্দ করি।
উপহার পেতে কে না ভালোবাসে!!
জন্মদিন , ম্যারেজ ডে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে বা উপলক্ষ্য ছাড়াও উপহার পেতে সবার-ই ভালো লাগে।
কিন্তু এই উপহার ঘটিত সমস্যায় আমাদের কম বেশি সবাইকে পরতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
কি দিবো, কি দেয়া যায় এই সব।
স্ত্রী কে কি দেয়া যায়, গার্ল ফ্রেন্ড কে কি, হাসব্যান্ড কেই বা কি দেয়া যায়... সম্প্রতি আমার বান্ধুবী বিপাকে পড়েছিলো শাশুড়ি কে কি দেবে তাঁর জন্মদিনে এই নিয়ে।
# গার্লফ্রেন্ডকে কি দিবেন...
১) এক গুচ্ছ টকটকে লাল গোলাপের থেকে চমৎকার উপহার আর কিছু হতে পারে? প্রিয়তমার বয়সের বছর গুণে ঠিক সে কটিই গোলাপ দিবেন। সবগুলো গোলাপ দিতে পারেন আধ ফোটা কলি। আর অবশ্যই দেখবেন প্রতিটি গোলাপের লম্বা লম্বা ডাঁট যেনো থাকে। এদের মধ্যে যেকোনো একটি গোলাপের পাপড়িতে লিখতে পারেন, "ভালবাসি তোমাকে।"
২) আরেক টি হতে পারে, প্রেমিকার জন্মদিনের আদর্শ উপহার দিবেন তার প্রিয় ফুল ও প্রিয় বই।
নিজেদের ভালো লাগা সময়গুলো ধরে রাখার জন্য যে কোন স্মারক বা এলবাম ও আদর্শ উপহার হতে পারে। মনে রাখবেন, ভালোবাসার মানুষের মন জয় করতে যে কোন উপহারে টাকার অংকের চেয়ে আন্তরিকতা অনেক বেশী জরুরী।
জন্মদিনের শুরুতেই তাকে শুভেচ্ছা জানানো, একসাথে সময় কাটানো, ভালো রেস্তোঁরায় খাওয়া, ভালো সময়গুলোর জন্য ধন্যবাদ জানানো, তার জীবনের পরিকল্পনায় পরামর্শ দেয়া ইত্যাদি অন্য কোন বস্তু-উপহারের চেয়ে অনেক মূল্যবান।
আর গার্লফ্রেন্ডটি যদি এসবে খুশী না হয়ে, শুধু দামী দামী বিভিন্ন বস্তুকেই প্রতি জন্মদিনে উপহার পেতে চান তেমন যদি হয় –তবে “সাবধান!”।
৩) আমার ধারনা আপনার পছন্দের মানুষটি এটেনশন এবং সময় ছাড়া আর তেমন কিছুই চায় না। সাথে দিতে পারেন একটি গোলাপ ফুল ও চকলেট।
চকলেট যদি পছন্দ করে তাহলে তো আর কোনো কথায় নাই। এছাড়াও পছন্দের মানুষটিকে তার জন্মদিনে তার পছন্দের জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যেতে পারেন, অনেক সময় ধরে ঘোরা ঘুরি করবেন। আর দিনটা শেষ করতে পারেন রোমান্টিক একটি ডিনার দিয়ে।
৪) অনেকের মতে সবচেয়ে ভালো উপহার হলো ক্যাকটাস গাছ দেয়া , কেননা ক্যাকটাস গাছকে নাকি বলা হয় ভালোবাসার প্রতীক । ভালোবাসা যেমন কখনো শেষ হয় না ,তেমনি ক্যাকটাস গাছ যে কোন পরিবেশেই বেঁচে থাকে ।
৫) আরেকটি যেটা আমার ভীষন রকম বড় উপহার মনে হয়েছে জীবনে, সেটা হলো ভালো বাসার স্মৃতি ধরে রাখার জন্যে প্রতিটা দিনের অনুভূতি নিয়ে একটা তার নাম এ ব্লগ খোলা, বা দুজনের গোপন নামেও হতে পারে।
তার জন্য একটা ব্লগ খুলুন! জন্মদিনে কেক কাটার পাশাপাশি সবার সামনে (বা দু'জনে একাকি) তাকে দিয়ে অফিসিয়ালি তা উদ্বোধন করান! ব্লগে কি লিখবেন? যেমন টপ টেন থিংস দেট আই লাইক এবাউট ইউ। বা মজা করে টপ টেন থিংস দেট আই হেট আবাউট ইউ। এসব! (মোট খরচ ০ টাকা!)
আমার প্রেমের সেরা উপহার কিন্তু এটাই ছিলো...
৬) এছাড়াও কয়েকটি বক্স করে আলাদা আলাদা প্যাকেট এ আলাদা সব তার পছন্দের জিনিস দিতে পারেন, যেমন টিপ আর চিরুনি একটা তে, আয়না আর কানের দুল বা নাক ফুল, পারফিউম বা বডি স্প্রে, চুড়ি ইত্যাদি আতকে যেগুলোতে ভালো লাগে আপনার চোখে।
আমাকে কাজল দিয়েছিলো সে, আমি খুব কম দিতাম কাজল, সেই কাজল গিফট পাবার পর থেকে এখন রেগুলার দেই, কারন বুঝে নিয়েছি আমাকে কাজল পরিহিত তার চোখে ভালো লাগে।
৭) হাত ঘড়ি (এখন বিভিন্ন ডায়াল চেঞ্জ করে বা বেল্ট এর পাওয়া যায়) দারুন উপহার এখন।
৮) তার হাতের মোবাইলটি স্মার্ট ফোন না হলে , সেটিও দিতে পারেন, একটা মোডেম দিতে পারেন না থাকলে, বা বাজেট বেশি হলে ল্যাপটপ ও দিতে পারেন,
স্পীকার বা হেডফোন ও ভালো হয় উপহার হিসেবে।
আসলে আপনার গার্লফ্রেন্ড এর সম্প্রতি কোন জিনিসটি খুব দরকার কিনতে গিয়েও পারেনি কিনতে সেটি আপনার আয়ত্ত্বের মধ্যে থাকলে দিয়ে দিন, খুব খুশি হবে দেখুন।
৯) সারাজীবন পাশে থাকার অঙ্গীকার স্বরুপ একটা চিরকুট লিখে , সাথে রবীন্দ্রনাথ বা শরৎচন্দ্র দিয়ে একগুচ্ছ লাল গোলাপ দিতে পারেন।
১০) তবে আমার ধারনা সব চাইতে খুশী হবে, আপনার ফেসবুকের পাসঅয়ার্ড টা একটা কাগজে লিখে ৩৬৫ টা সেফটিপিন দিলে।
সাথে আলাদা ১টি সর্বমোট ৩৬৬ টা সেফটিফিন দিয়ে কারন স্বরুপ বলবেন, সারা বছর ৩৬৫ দিনেই তাকে তার জামার সাথে আপনার শার্ট টা আটকে রাখতে, যে বছর লিপইয়ার সে বছর বাড়তি টা।
ভয় পাবেন না, তা সে নিজের জন্যেই করবে না, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী খুশী হবে।
১১) কাস্টম মগ ও দিতে পারেন , দুজনের ছবি সম্বলিত বা তার একা ছবির।
১২) প্রিয়তমার জন্মদিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে সবচেয়ে ভালো উপহার হতে পারে একটি সারপ্রাইজ পার্টি। খুব ভালো হয় যদি সারপ্রাইজ পার্টিটা আপনার বা তার বাসায় দিতে পারেন।
বাকি বন্ধুদের নিয়ে প্ল্যান করে,
প্রিয় বান্ধবীটির বাসার মানুষজনকেও না হয় দলে নিয়ে নিলেন। আসল কথা হল উপহার দেয়া মানে দামী কিছু দিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করা,তা নয়। বরং আপনার উপহারটি আপনার আন্তরিকতা কতটা প্রকাশ করে সেটিই আসল বিষয়। সুতরাং বাজার থেকে কেনা উপহারই হোক কিংবা নিজের বানানো কোনো উপহার, সেটাতে যেনো আন্তরিকতার ছোঁয়া থাকে আপনার ,সেটি নিশ্চিত করুন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৩
শারমিন রাবেয়া বলেছেন: ধন্যবাদ মিজানুর ভাইয়া, উপকারে আসলে আমার বেশ ভালো লাগবে।
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম বেশ ভালো সব আইডীয়া আইডিয়া
+++++
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:৫৪
শারমিন রাবেয়া বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা ভালো লাগার জন্যে
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আপনাকে নতুন দেখলাম ব্লগে,
আইডিয়াগুলো ভালো লেগেছে !
ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮
শারমিন রাবেয়া বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক গ্রানমা ।
আপনার ভালো লাগাতে আমি স্বার্থক।
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩২
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ৬ নাম্বার টা পড়ে ওর জন্মদিনের জন্য দারুন একটা আইডিয়া মাথায় এলো। থ্যাংকস
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
শারমিন রাবেয়া বলেছেন: শুনে ভালো লাগলো কোনো একটা নাম্বার কারো কাজে লাগলো। ধন্যবাদ অনেক নাহিদ ভাইয়া।
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আইডিয়া গুলোর জন্য ধন্যবাদ। প্রত্যেক্টিই ভালো লেগেছে।
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৯
খেপাটে বলেছেন: ঢাবিতে চান্স পাওয়ার পর ডায়মন্ড এর নোসপিন গিফট করেছিলাম ,,,কারন একমাত্র ওর কারনেই আমি আজ ঢাবিতে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২১
মিজানুর রহমান তালুকদার বলেছেন: খুব উপকারী পোস্ট