নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নপূরণই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়।তাই বলে স্বপ্নকে ত্যাগ করে নয়,তাকে সঙ্গে নিয়ে চলি।ভালো লাগে ভাবতে, আকাশ দেখে মেঘেদের সাথে গল্প পাততে, বৃষ্টি ছুঁয়ে হৃদয় ভেজাতে, কলমের খোঁচায় মনের অব্যক্ত কথাগুলোকে প্রকাশ করতে...

শাওন আহমাদ

এটা আমার ক্যানভাস। এখানে আমি আমার মনের কোণে উঁকি দেয়া রঙ-বেরঙের কথাগুলোর আঁকিবুঁকি করি।

শাওন আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসুস্থ মস্তিষ্ক নিয়ে বেড়ে উঠছে আগামী প্রজন্ম

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:২২



বর্তমান প্রজন্ম ঠিক কোথায় যাচ্ছে এটা নিয়ে আমি ভীষণ চিন্তিত, এটা এখন শুধুই চিন্তার বিষয় নয় সমাধানের বিষয় হয়েও দাঁড়িয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বিকৃত মনোভাব আর মস্তিষ্ক নিয়ে বেড়ে উঠবে আমাদের প্রজন্ম, ফলশ্রুতিতে নৈতিক অবক্ষয় আর অপরাধে ছেয়ে যাবে পুরো জাতি। আমি আমার প্রত্যক্ষ করা ও মিডিয়া-পত্রিকায় প্রকাশ করা কিছু ঘটনা শেয়ার করছি ব্লগে।

ঘটনাঃ

১. কয়েকদিন আগে দেখলাম ফেসবুকে একটা ভিডিও সেই লেভেলের ভাইরাল হয়েছে, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন মেয়ে তার অন্তর্বাসের ফিতা কেটে এনে বয়ফ্রেন্ডের হাতে পরিয়ে দিচ্ছে, শুধু সেই মেয়েই নয় আরও অনেক মেয়েই এই কাজ করছে তাও সেটা কোনো এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিতরে। এটাই নাকি ট্রেন্ড চলছে, এই কাজ না করলে নাকি প্রেমিক সমাজে মুখ দেখানো যাচ্ছেনা।

২. একবার আমার এক মেয়ে কাজিন আমাকে বলছিলো; ওরা বান্ধবীরা নাকি একজন আরেকজন কে জিজ্ঞেস করে, দোস্ত কয়টা পোলা খাইলি? একটা সময় ছেলেরা এই বিকৃত কাজে প্রতিযোগিতা করতো, এখন মেয়েরাও এতে পিছিয়ে নেই। রাস্তায় কয়েকজন মেয়ে একসাথে থাকলে ছেলেদের দেখলে ব্যাড কল দেয় ইভেন মাল ও বলে! এটাই এখন ট্রেন্ড।

৩। আমার ভাতিজা ক্লাস থ্রীতে পড়ে, একদিন সন্ধ্যাবেলা ওর মা ওকে পড়াতে বসিয়েছে, কোনো একটা কাজে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। খেয়াল করলাম আমার ভাতিজা তার মিডল ফিঙ্গার দেখিয়ে তার মাকে জিজ্ঞেস করছে এটার মানে কী? ভাবী পুরাই থ হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ভাতিজাকে জিজ্ঞেস করলাম এটা কোথায় পেলে? সে বলে তার এক ফ্রেন্ড নাকি কাকে এটা দেখিয়ে ফাঁক বলছে! বুঝুন অবস্থা! ক্লাস থ্রীর একটা বাচ্চা সে মিডল ফিঙ্গার দেখিয়ে অন্যকে ফাঁক বলা শিখে গেছে। অথচ এই বয়েসে আমি আলাদা জেন্ডারই চিনতাম বলে মনে হয় না।

৪। গত পরশু একটা নিউজ দেখলাম, ষাটঊর্ধ্ব এক মহিলা মেয়ের জামাইয়ের জন্য গরুর মাংস নিয়ে মেয়ের বাড়ি গিয়েছেন, মেয়ের জামাইকে খাওয়াবেন বলে। রাতে সেই মেয়ের জামাই শ্বাশুড়িকে প্রেশারের ওষুধ বলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাতভর ধর্ষণ করেছে! সেই মহিলা মিডিয়ার সামনে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন আর বলছিলেন, আমি নিজের ছেলেরে মতো যাকে মনে করতাম সেই আজ আমাকে এই কলঙ্ক দিলো।

৫। পাশাপাশি প্রতিবেশী দুই পরিবারে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো, এর মধ্যে এক প্রতিবেশী পরিবার আরেক পরিবারকে বলেছিলো তোদের আমরা এমন কলঙ্ক দিবো যা সারা জীবনেও মুছবেনা। যেই কথা সেই কাজ, যে পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছিলো সেই পরিবারে একজন বিধবা বৃদ্ধা ছিলেন তার ছেলেদের সাথেই মূলত জমি নিয়ে বিরোধ হচ্ছিলো হুমকি দেওয়া প্রতিবেশী পরিবারের ছেলেদের। একদিন রাতে হুমকি দেওয়া পরিবারের ১৬-১৭ বছরের এক ছেলে এসে ভিকটিম পরিবারের বৃদ্ধার ঘরের জানালা ভেঙ্গে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত করে, সেই বৃদ্ধা নাকি ছেলেটাকে বারবার বলছিলেন তুই আমার নাতীর বয়সী তুই এই কাজ করিস না আমার সাথে, আমি বৃদ্ধ মানুষ আমাকে ছেড়ে দে কিন্তু সেই নরপিশাচ সেই কথা না শুনে মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে এমন নির্মম ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন সেই বৃদ্ধা।

৬। ক্লাস ফাইভের কয়েকজন ছেলে মিলে সিনেমার মতো কায়দায় একটি মেয়েকে ধরে ধর্ষণ করেছে। জানতে চাইলে বলা হয়েছে তারা মুভি দেখে এসব শিখেছে। এখন মুভি থেকে শুরু করে শিশুতোষ অনেক কার্টুন আছে যেখানে ভালোবাসা, চুম্মাচাটি দেখানো হয়।

৭। বাসায় আমার এক ভাতিজী খেলার ছলে গোসল করছে, যে গোসল করছে সে অন্য ভাতিজীকে বলছে লুকিয়ে লুকিয়ে তার গোসল দেখতে। বাসা থেকে বলা হল, এটা আবার কেমন খেলা? তার উত্তরে বললো তারা টিভিতে দেখেছে একজন বাথরুমে গোসল করছে অন্যজন লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে। তাই তারা এভাবে খেলছে।

৮। আমার ভাতিজার যখন টিচার আসে তখন আর পড়া রেডি করা ব্যাতীত বাকি সকল সময় মোবাইল না হয় টিভিতে মুখ গুজে থাকে, এই সময় দুনিয়া উলটে গেলেও তাকে সেখান থেকে ইচ্ছেমতো মাইর দেওয়া ব্যাতীত উঠানো যায় না। হয়ও তাই, প্রতিদিন মাইর পড়ে পিঠে। যখন নেট লাইন বা বিদ্যুৎ থাকেনা তখন কিন্তু সে আবার ঠিকি নানান রকমের ইনডোর খেয়ার ব্যস্ত থাকে।

৯। আমার ফুপু ভীষণ অসুস্থ, কোমড়ের ব্যথায় বিছানা থেকে মুভ করতে পারছেন না, সারা রাত না ঘুমিয়ে একাধারে বসে রাত কাটিয়েছেন, পাশে ফুপা বসে ছিলেন। ভোরবেলায় আমাকে ফোন করলেন বাসায় গিয়ে দেখি ফুপু কান্না করেই যাচ্ছেন, ঈদের রাত বলে ডাক্তারের ব্যবস্থাও করা যায়নি এতো রাতে। বাসায় গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম মিরাজ কোই? ফুপু বলে সারা রাত নেট ব্রাউজ করে এখন পড়ে পড়ে ঘুমচ্ছে, মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম এ কেমন ছেলে! মায়ের এমন অবস্থায় কারো ঘুম আসে? আমি দৌড়ে গিয়ে ডাক্তার নিয়ে এলাম। খবর পেয়ে বাসায় অনেকেই এসেছেন, ভালোই কথাবার্তা হচ্ছে, ডাক্তার ট্রিটমেন্ট করে চলে গেলেন। ফুপুর আদুরে ছেলে তখনও গুমচ্ছে!

১০। আমার আরেক কাজিন হোস্টেলে থেকে বড় হয়েছে, বাবার অঢেল টাকা। হোস্টেল থাকা অবস্থায় ইচ্ছেমতো টাকা উড়িয়েছে, এখনো উড়াচ্ছে। এই ছেলের বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি তার কোনো মায়া নেই। সে তার জগতে চলে, তার মতো করে। শুধুমাত্র টাকার প্রয়োজন হলে বাবা মায়ের সাথে কথা বলে টাকা নেয়, এর বাইরে আর কোনো কথা বলেনা। অথচ ওর মা-বাবা খুব করে ওর সান্নিধ্য চায় কিন্তু পায় না।

১১। আমার এক পরিচিত মহিলার ছেলে, বয়স খুব বেশী হলে ১৩-১৪ সেই ছেলে নাকি দিনরাত পর্ণ মুভিতে বুঁদ হয়ে থাকে। কিছুদিন আগে আমার এক কাজিনের মা আমাকে তার ছেলের সম্পর্কে বিচার দিলো, বললো তার ছেলেও নাকি খারপ ছবি দেখে, সে এটা আন্দাজ করতে পেরেছেন এবং বিছানায় বার কয়েক স্পার্ম ও পড়ে থাকতে দেখেছেন কন্ডম সহ। আমার এই কাজিনের বয়স ও খুব বেশি না, আমার চেয়ে ৯ বছরের ছোট হবে। এই হচ্ছে অবস্থা! তার বসয়ে আমি বন্ধুদের মুখে উল্টাপাল্টা কিছু শুনলেও মুখ ঘুরিয়ে রাখতাম

১২। তথাকথিত টিকটক সেলিব্রিটির সাথে টিকটক করতে গিয়ে মেয়ে টিকটকার গ্যাং রেপ হচ্ছে, সেই ভিডিও ধারণ করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে ভারতের পতিতালয়ে।

১৩। যে ওয়েতে তাপ দিয়ে টিশার্টে স্টিকার বসানো হয়, সেই ওয়েতে ঠোঁটে রঙ মেখে ,কোনো এক বিশেষ কাগজে সেই রঙ মাখা ঠোঁটে ইচ্ছেমতো চুমিয়ে সেই ঠোঁটের ছাপ তাপ দিয়ে টিশার্টের বুকে লাগিয়ে বয়ফ্রেন্ডদের উপহার দেওয়া হচ্ছে। এটা না করলেও নাকি প্রিমিক সমজে আর সম্মান থাকছেনা প্রেমিকের।

এরকম আরও অনেক ঘটনা আছে যা লিখে শেষ করা যাবেনা। আমাদের সকল পরিবারের দায়িত্ব আধুনিকতার নামে আমাদের পরিবারের বাচ্চারা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে এবং কাদের সাথে মেলামেশা করছে খোঁজ রাখা। সময়ের স্রোতে গাঁ ভাসিয়ে স্বধীনতা দেবার নামে আমাদের বাচ্চাদের জীবন কে ধ্বংস করে দিচ্ছি কি না সে বিষয়েও আমাদের খেয়াল রাখা উচিৎ, পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তারা ঠিক কী করছে সে বিষয়েও নজর রাখা উচিৎ। যদি আমরা সবকিছু এভাবে লাগামহীন ভাবে ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে বসে থাকি তাহলে সত্যিই আমাদের খুব বাজে কিছুর অম্মুখীন হতে হবে এবং তা খুব শীঘ্রই।

ছবিঃ গুগল

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৩

মোগল সম্রাট বলেছেন:



বিরাট উদ্বেগ জনক বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আমাদের যাদের বাচ্চা আছে তারা আসলেই উৎকন্ঠা নিয়েই দিন কাটছে।

বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শুধু বইপুস্তক পড়ানো ছাড়া আর নুন্যতম কোন শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ হয়না। যেমন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা, শিষ্টাচার, এগুলোর উপর বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। বছরে একবার ক্রিড়া প্রতিযোগীতা, একদিন গানের প্রতিযোগিতা হয়। বছরের বাকিদিন গুলো পিঠে বিশাল বইয়ের বস্তা নিয়ে দৌড়ানো। যদিও অনেকে বলেন ওগুলো পরিবার থেকে শিখানো উচিৎ। তাদের কথায় অনেক যুক্তি থাকলেও কয়টা এখনকার কয়টা পরিবারের দ্বারা রেগুলার সেটা সম্ভব হয়?

যেখানে দেশের বিরাট অংশ অসচেতন, অর্ধশিক্ষিত, মুরুক্ষ সেখানে উদীয়মান প্রজন্ম টিভি, ইন্টারনেট, আর সোস্যাল মিডিয়ার অসুস্থ কন্টেন্টে ডুবে থাকলে এবং এগুলোর অনিয়ন্ত্রিত অপব্যবহার ঘরে বাইরে থেকে প্রতিরোধ করা না গেলে সত্যিই পরবর্তী প্রজন্মকে বিরাট দুঃসময় মোকাবেলা করতে হবে।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৪১

শাওন আহমাদ বলেছেন: বেশ দরকারি মন্তব্য করেছেন, পুরো লেখা পড়েছেন, আমিও পড়লাম অনেক টাইপিং মিসটেইক ছিলো, অফিসে বসে লেখা কিনা। এখন পড়ে ঠিক করে দিলাম। ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ে, প্রোডাক্টিভ মন্তব্য করার জন্য।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেক্স করাটা ডাল ভাত হয়ে যাচ্ছে মনে হয়। সামনের দিনগুলিতে পরিবার টিকিয়ে রাখা মুশকিল হবে।

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

শাওন আহমাদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই, এখন পোলাপাইন রিলেশানে যায়ই সেক্স করার জন্য আর এখন এটাই নাকি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ও ত্যাগ। রিলেশানের বাইরেও ছেলে-মেয়ে বন্ধুদের মধ্যে মিউচুয়াল সেক্স এর ঘটনাও কম নয় সমাজে।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১১

ধুলো মেঘ বলেছেন: আমাদের সময়ে প্রেম করাটা একটা সম্মানের ব্যাপার ছিল। কারণ কোয়ালিটি মেয়ে পটানো খুব একটা সহজ ছিলনা। এখন যে আমার বউ, তাকে পটাতে আমার ইনিশিয়াল ইনভেস্টমেন্ট ছিল কষ্টার্জিত টিউশনি থেকে উপার্জিত প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি। এর পাশাপাশি যে শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করতে হয়েছে, সেটার কথা আর নাইবা বললাম।

কিন্তু এখনকার প্রেম দেখলে আফসোস লাগে। এখন মেয়েরা নাকি উলটা ছেলেদের পটাতে খরচ করে। আমার ভাতিজার পেছনে এক মেয়ে লেগে আছে। দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী হলেও ও পাত্তা দিচ্ছেনা। ওর নাকি এসব প্রেম প্রীতিতে কোন আগ্রহ নেই। আমি বুঝলাম না দুনিয়া এত তাড়াতাড়ি পরিবর্তন হয়ে গেল কিভাবে?

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

শাওন আহমাদ বলেছেন: ভাই এসব দেখে সত্যিই অবাক লাগে, আমি নিজেও এসব থেকে দূরে থাকি এবং মেয়েদের প্রস্তাব গ্রহণ করিনা, আজ এর সাথে কাল ওর সাথে এসব লুতুপুতু সম্পর্কের কোনো মানে নেই আমার কাছে। এই যুব সমাজের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে সত্যিই এর চেয়েও খুব বাজে কিছুর সাক্ষী হতে হবে আমাদের।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১১

রুদ্র পাঠক বলেছেন: সময়োচিত লিখা। এদিকে নজর না দিলে সামনে খারাপ দিন আসছে।
প্রযুক্তির সহজলভ্যতার অপব্যবহার করছি আমরা।

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

শাওন আহমাদ বলেছেন: একদম, সবাই সারক্ষণ এই চারকণা বাক্স নিয়ে ভীরের মাঝে থেকেও একা হয়ে থাকে নিজের কল্পনার জগতে। এই নিয়ে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি।

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:২৬

করুণাধারা বলেছেন: পড়ার পর কিছুক্ষণ থ হয়ে বসে থাকলাম। এমন পরিস্থিতি হয়েছে আমার জানা ছিল না। অবশ্য নামী স্কুলের শিক্ষক আমার বান্ধবী বলেছে, মাঝে মাঝে ছাত্রীদের দেহ তল্লাশি করে মোবাইল ফোন পাওয়া যায় এবং তাতে এমন মেসেজ পাওয়া যায় যা আমরা কখনো ভাবি নি কোন স্কুল ছাত্রীর কাছে পাওয়া যেতে পারে।

আমাদের সমাজটা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। এর থেকে উত্তরণের পথ কি! :(

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬

শাওন আহমাদ বলেছেন: আরও অনেক কিছুই হচ্ছে ভিতরে ভিতরে যা আমারা জানিনা, এই নিয়ে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় আমাদের মাশুল গুণতে হবে।

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:

একটা সময় আমরা স্কুলে নীতি নৈতিকতার শিক্ষা পেতাম। আমরা আমাদের ভেতরে নম্রতা ভদ্রতা শিষ্টাচার এসব বিষয়ে শিক্ষা পেতাম। কিন্তু এখন এসব কথা শুনলে লোকে হাসে। কারণ তারা ছোট থেকেই এসব বিষয়ে শিক্ষা পায় না।

আমাদের কালচারের অবস্থা আরও খারাপ। সেই সাথে ইন্টারনেট সহজলভ্যতা ও মোবাইলের যত্রতত্র ব্যবহার অনেকাংশে দায়ী। আবার বলা যায় আমাদের পারিবারিক শিক্ষা অবস্থা তেমন একটা ভাল নয়।

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

শাওন আহমাদ বলেছেন: যথাযথ বলেছেন ভাইয়া। এখন পোলাপান স্কুলে এমন স্টাইলে যায় দেখলে মনে হয় ভার্সিটি গিয়েছে। আমার কাকি একটা হাই স্কুলের শিক্ষক তিনি বলেন বাচ্চারা এতো বেয়াদব যে তাদের সাথে কথা বলতেও কয়েকবার ভাবতে হয়! এই হচ্ছে অবস্থা!

৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

রানার ব্লগ বলেছেন: বাচ্চারা স্কুলে যে শিক্ষকের কাছে পড়ে বা বাসায় যে বাবা মা এর কাছে থাকে তারা কি সচেতন এই বিষয়ে আগে এটা জানুন। বাচ্চাদের দোষ দিয়ে লাভ কি ?

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:১৫

শাওন আহমাদ বলেছেন: ভাইয়া আমি শুধু বাচ্চাদের দোষ দিচ্ছিনা পুরো সিস্টেমকেই দায়ী করছি। আমাদের যে লাইনে থাকার কথা সে লাইন থকে ছিটকে যাচ্ছি, অধুনিকতার দোহাই দিয়ে নোংরামো করছি , প্রযুক্তির অপব্যবহার করছি, বাচ্চাদের অবাধ স্বাধীনতা দিচ্ছি কিন্তু খোঁজ নিচ্ছিনা তারা এটাকে কিভাবে ব্যবহার করছে, বা কাদের সাথে মিশছে।

৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: খুবই ভয়াবহ অবস্থা। সামনে আরও কঠিন দিন আসতেছে.............।

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৩২

শাওন আহমাদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই,খুবই ভয়াবহ অবস্থা।

৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

রাসেল বলেছেন: খুবই দুঃখজনক। হয়তো আমরা সবাই সমাধান জানি কিন্তু আমরা তা করি না। আমাদের আদরের নতুন প্রজন্ম নষ্ট হচ্ছে, আমরা আমাদের অনৈতিক লাভের জন্য তাদের রক্ষা করছি না।

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

শাওন আহমাদ বলেছেন: যথাযথ বলেছেন ভাইয়া, আমরা সবাই নিজেতে মজে আছি এর বাইরে গিয়ে যে ভাবা যায় এটা আমরা ভুলেই গিয়েছি!

১০| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: ভয়াবহ বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। প্রতিটা পয়েন্টই মনে ভয় জাগানোর মতো। বর্তমান প্রজন্ম আসলেই কোথায় যাচ্ছে!!! ইন্টানেটের নেগেটিভ ব্যাবহার আর যৌনতার উপকরনগুলো চারপাশে সহজলভ্য হওয়াতে সমাজে ভয়/লজ্জা উঠে যাচ্ছে দিনকে দিন।

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৬

শাওন আহমাদ বলেছেন: ঠিক ভাইয়া, লজ্জা বলে আর কিছুই নেই। যখন কেউ কোনোকিছুতেই আর লাজ্জা পাবেনা তখন তার জন্য কোনো কাজই অস্বাভাবিক মনে হবেনা। কিছুদিন আগে এক ছেলেকে দেখলাম জিন্স পড়েছে তার এমন জায়গায় স্টাইল করে ছেড়া যে তার আন্ডারওয়্যার ও ওরুর লোম দেখা যাচ্ছে এটা নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যথাই নেই! সেই তার মতো স্বভাবিক চলাফেরা করছে। লাস্ট কয়েকদিন আগে বৃষ্টির মধ্যে এক মেয়ে বাইক-আরোহী কে দেখলাম জ্যামের মধ্যে সে পিছন থেকে চালোকের পিঠের উপরে উঠে প্রায় শুয়ে আছে, এদিকে তার গায়ে দেয়া সফেদ পোশাক ভিজে তার গায়ের সাথে লেপ্টে অন্তর্বাস সহ তার গায়ের লোম পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। একবারের বেশী কেউ তার দিকে তাকাতে পারছেনা। অথচ এদিকে তার কোনো খেয়াল নেই। সে ওড়না গলায় ঝুলিয়ে তার মতো শুইয়েই আছে। এই হচ্ছে অবস্থা!

১১| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: মনে হচ্ছে আমরা একটা ভূমিধ্বস সামাজিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এতে পরিবারের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা, আইনের শাসনের অভাব, শিক্ষা ব্যবস্থার চরম অবনমন ইত্যাদি অনেক কারণ নিহিত রয়েছে।

এর থেকে সত্বর উন্নতি লাভের সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭

শাওন আহমাদ বলেছেন: ঠিক সবকিছু মহামারি আকার ধারণ করেছে, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

১২| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ!

বর্তমান প্রজন্ম অস্থির, তাদের প্যারেন্টসরা অস্থির, শিক্ষকরাও অস্থির।
চারদিকের অস্থিরতার ফলপ্রকাশ ওপরে উল্লেখিত ঘটনাগুলো।
সুস্থ চিন্তাভাবনা ও মূল্যবোধের চরম ঘাটতি এখন।
সবাইকে যার যার জায়গায় থেকে সচেতন হতে হবে, সচেতন করতে হবে।


২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৯

শাওন আহমাদ বলেছেন: এ ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই! এভাবেই যতোটুকু ধরে রাখা যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আখেনাটেন বলেছেন: মনে হচ্ছে আমরা একটা ভূমিধ্বস সামাজিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এতে পরিবারের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা, আইনের শাসনের অভাব, শিক্ষা ব্যবস্থার চরম অবনমন ইত্যাদি অনেক কারণ রয়েছে।

একমত

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৪

শাওন আহমাদ বলেছেন: জি ভাইয়া আমিও সেটাই মনে করছি।

১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সমাজ অসুস্থ, সমাজের মাথারা অসুস্থ, অসুস্থদেরকে যারা চিকিৎসা করবে কিংবা পথ দেখাবে তারা অসুস্থ; সেখানে আপনি আগামী প্রজন্ম সুস্থ হয়ে বেড়ে উঠবে..........এটা আশা করেন কিভাবে বুঝলাম না। লাগাবেন নিমগাছ, তাতে আশা করবেন আমের ফলন............উচ্চাশা হয়ে যায় না? B:-)

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

শাওন আহমাদ বলেছেন: আসলেই তাই, কি যে সব চিন্তা করিনা! :|

১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দিনে দিনে আরও কতকিছু দেখতে হবে!! টিকটক আমাদের এক গোপাল ভাঁড় প্রজন্ম উপহার দিচ্ছে।

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫

শাওন আহমাদ বলেছেন: সত্যিই আরও অনেক বাজে কিছু দেখার অপেক্ষায়।

১৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: সামাজিক অবক্ষয় সমাজের সবর্ত্র।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

শাওন আহমাদ বলেছেন: হুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে।

১৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

রানার ব্লগ বলেছেন: দেখতেই পাচ্ছি বর্তমান প্রজন্মের করুন অবস্থা ।

ডিম পারে হাসে খায় বাঘডাসে এর সাথে লালসালূর মজিদের ক্যারেক্টারাইজেশান করতেই এদের কাল ঘাম ছুটে যাচ্ছে । অথচ বাঘডাস আর মজিদ একই চরিত্রের অধিকারী । এটাই তারা বুঝতে পারছেনা উলটা ট্রল করে হাসাহাসি করছে। এই প্রজন্ম ট্রল শিখছে । কিন্তু তা কোথায় ব্যবহার করতে হয় উহা শিখছে না ।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

শাওন আহমাদ বলেছেন: যথাযথ বলেছেন। সত্যিই এই প্রজন্ম ট্রল শিখছে । কিন্তু তা কোথায় ব্যবহার করতে হয় উহা শিখছে না ।

১৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪২

ফাহমিদা বারী বলেছেন: কী ভয়ংকর! কী ভয়ংকর! পড়তে পড়তে গা শিউরে উঠছিল। আঠার বছরে পা দেওয়া একজন ছেলে সন্তানের মা আমি। আল্লাহপাক আমাদের সকলের সন্তানকে হেফাজত করুন। এর বেশি কিছুই আর বলার নাই!

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

শাওন আহমাদ বলেছেন: আমীন, আল্লাহপাক আমাদের সকলের সন্তানকে হেফাজত করুন।

১৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:১০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: কি সাংঘাতিক সময় আমরা পার করছি। যেখানে মা-বাবাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত--সেখানে দেখি বেশির ভাগ বাবা-মা সন্তানকে উল্টো দামী মোবাইল কিনে দেয়। এমনো দেখেছি যে স্কুলে পড়ুয়া মেয়ে বলছে যে তাদের বন্ধুদের আইফোন আছে, তাই আইফোন কিনে না দিলে তার প্রেজটিজ পাংচার হয়ে যাবে। স্কুলে পড়ুয়া সন্তানের জন্য বাবা ২ লক্ষ টাকার উপরে হুন্ডা কিনে দেয়। একেবারে ছো্ট্টটি হতে গুড প্যারেন্টিং করা দরকার। সন্তানকে নীতি নৈতিকতার উপার শিক্ষা দেয়া উচিত। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘুণ্টিটা কে বাঁধবেরে ভাই। মায়েরা তো নিজেরাই রিইউনিয়ন করতে কত ধরণের রান্নার বাহারী আয়োজন করে খাওয়াতে আর দাওয়াত নিয়ে পরে থাকে। ---- খারাপ লাগে--ভীষণ খারাপ লাগে----
সময় উপযোগী পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১

শাওন আহমাদ বলেছেন: আপু আমি আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। বাবা মায়ের উচিৎ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সন্তানের অন্যায় আবদার না মেনে তাদের সঠিক শিক্ষায় বড় করে তোলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.