![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকাল যেন সব মাকে মুরগী মায়ের মত মনে হয়।একটা মুরগী বাচ্চা ধীরে ধীরে বড় হয়।তারপর বেশ চকচকে পালকের তেলতেলে লাবন্যময় মুরগীটার একটা বন্ধু মোরগ হয়।বেশ একসাথে ছোটাছুটি,হুটোপুটি,খাওয়া দাওয়া চলে।বন্ধু পেয়ে মুরগীটা পেছনের সব ভুলে যায়।মুরগীটা প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং ডিম পাড়ার জন্য একটা জায়গা ঠিক করে।অহংকারী গলায় ক্ক্ক্ ক্ করে বাসা পরিপাটি করে।মাঝে মাঝে সন্গীও এসে দেখে তার লাল ঝুটির মাথা নেড়ে ঘাড় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে।একটা একটা করে মুরগীটা ১২/১৪টা ডিম পাড়ে।এক একটা ডিম পেড়ে কষ্টের কথা ভুলে ক্ক্ক্ক্ করে খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসে ,তারপর শুরু হয় তা দেওয়ার পালা।তা দেওয়ার সময় সে খুব কম সময়ই খাওয়ার জন্য ব্যয় করে,আর এভাবে না খেয়ে থাকতে থাকতে মুরগীটা অনেক শুকিয়ে যায়।তার শরীরের সব লাবণ্য হারিয়ে যায় আর সে শুধু পালকগুলো ফুলিয়ে অনবরত ডিমে তা দিয়ে যায়।সারাক্ষণ সতর্ক ডিমের দিকে।২১দিন পর আস্তে আস্তে একটা একটা বাচ্চা বেরিয়ে আসে ডিমের খোলস থেকে।খুশীতে মুরগী আহ্লাদে আটখানা হয়ে যায়।মা মুরগী ঠোঁট দিয়ে টেনে আনে বুকের মধ্যে।শরীরের তাপ দিয়ে বাচ্চাগুলোকে পরিবেশের সাথে সহনীয় করে তোলে।সর্তক দৃষ্টি রাখে চতুরদিকে।ধীরেধীরে বেরিয়ে আসে খাঁচা থেকে খাওয়ার অন্বেশনে।অযথাই শব্দ করে ,চোখে তার পুলিশি দৃষ্টি নিয়ে।ঝাপটা মারে এদিক ওদিক আর বাচ্চারা মু্র্হূতে এসে ডানার নিচে আশ্রয় নেয়।এ যেন এক ট্রেনিং পিরিয়ড।খাদ্য খুঁজে খুঁজে খাওয়ায় আর বাচ্চাকে পরিচিত করে পরিবেশের সাথে, পৃথিবীর সাথে। ধীরে ধীরে বাচ্চারা বড় হয় মাকে রেখে এদিক সেদিক যায়।মা মুরগী চেচিয়ে ওঠে ক্ক্ করে আর খুঁজে ফিরে দুষ্ট বাচ্চাগুলোকে। আবার বাচ্চাগুলো দূরে চলে যায়,আর মা মুরগী তাদের খুঁজে বেড়ায়।মনে হয় সে যেন বলছে...আলাল কই...দুলাল কই?....কিন্তু না তারা এখন আর মা মুরগীর ডাকে ফিরে আসে না,তারা এখন স্বনির্ভর ।
বিসন্ন মুরগী একা একা ঘোরে,কখনও বসে থাকে।মালিক ভাবে মুরগীটা মনেহয় বৃদ্ধা হয়ে গেছে। আর তাই একদিন মুরগীটাকে মশলা মাখা অবস্থায় উনুনর উপর দেখা যায় ।
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০১
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৫
অবিনাশী অন্ধকার বলেছেন: স্বাভাবিক মনের চিন্তা একটু অন্য রকম
ভাল ।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আমার লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করছি বাকি লেখাগুলোও দেখবেন।
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২২
শক্তি শুধা বলেছেন: লেখার ধাঁচ অনেক খুব সুন্দর। ভালো লাগলো।
৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪২
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ধন্যবাদ ,ভালথাকুন ।
৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
লিরিকস বলেছেন: আপনার ১ম পোস্টে আমি আছি।
৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪২
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অনেক দিন পরে হলেও ব্লগের এই পোস্টটা পড়েছেন তাই খুব ভাল লাগছে । এটা আমার প্রিয় লেখা গুলর একটা ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: মুরগীর জীবন প্রণালীর সাথে বাঙালী মায়ের তুলনাটা হৃদয়স্পর্শী হয়েছে। ভালো লেগেছে।
তবে, শেষ বাক্যের শেষাংশটুকু বাদ দেয়া যায় কিনা, তা ভেবে দেখতে পারেন। শেষের সাতটি শব্দ ভালো লাগেনি।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার প্রথম পোষ্টে আসার জন্য । বানান গুলো শুধরে নিলাম আর শেষ অংশটুকুও সরিয়ে নিলাম ।
হ্যাঁ আজ গল্পটা পড়ার পরে বাক্যগুল বড্ড কর্কশ মনে হচ্ছিল ,আবারও ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা ।
১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আমার সাজেশনটুকু গ্রহণ করার জন্য। এখন সমাপ্তিটা বেশ ভালো হয়েছে।
১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বাংলার ছেলেপেলেরাও মুরগী হয়ে গেছে| তবে দেশী না পুরাই বয়লার!
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: হ্যাঁ আপনার মন্তব্যের সাথে আমি এক মত । আমার প্রথম পোষ্টে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৮
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ভালো লিখেছেন !
প্লাস +++