![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বারান্দায় দুপুর থেকে রোদের প্লাবন বয়ে যায় , তাই সেখানে কত গুলো গাছের স্থান হয়ে গেল । বেশ সজীব আমার সব গাছগুলো , আমার এক ফুপু ছাদে টবে মধ্যে অনেক গাছের সাথে এসট্রবেরি গাছও লাগিয়েছেন এবং ফলন এত ভাল হয়েছে যে উনি আশে পাশে বিলি বণ্টনও করেছেন । তাই আমিও কয়েকটা চারা
টবে বসিয়ে দিলাম , মনে মনে ভাবছিলাম , আহা থোকা থোকা ফল ধরবে, আমরা নিরাপদ ফল খাবো । আমার অতি আদরে ফল গাছগুলো চার পাশে শাখা ছড়িয়ে লতার আকারে বড় হয়ে উঠলো ।
হ্যাঁ সব ঠিক ভাবেই হচ্ছিল , গাছে ফুল এল ফল হ্ল , বাসার সবাই দিনে দুচারবার দেখতে আসছে আহা কি আকর্ষণীয় এই ফুলের ঘ্রানে । আমার কষ্ট বৃথা যায়নি এই চিন্তা আমাকে বেশ আনন্দিত করল । সবাইকে ডেকে দেখালাম , হ্যাঁ ফুল থেকে ছোট একটা বেবি স্টবেরি বেরিয়ে এল , বাসার সবাই বেশ চমকিত হ্ল , কিন্তু চমকটা বেশীক্ষণ স্থায়ী হ্ল না কারন গাছের চারধারে মৌমাছির আনা গোনা শুরু হ্ল । আমার বাসার উৎসাহী জনগণ জানালার ফাঁক দিয়ে পর্যবেক্ষণে রইল, ব্যাপারটা আমার অনেক ভাল লাগছিল ,ওরা প্রকৃতিকে বুঝতে পারছে । ভেবেছিলাম এরকম দুচারটা পোকামাকড় আসতেই পারে , না তা নয় অনেক মৌমাছি
এসে হাজির হ্ল এবং আমার বারান্দার কর্নারে যে ফোলডিঙ মই রাখা হয়েছে সেখানে তারা ঝুলন্ত প্রাসাদ বানানর কাজ সুরু করে দিল । জানতাম মৌমাছিরা সরিষা ক্ষেতের পাশে বাসা বাঁধে তাই বর্তমানে সরিষা এবং মধু দুটোর উৎপাদন প্রক্রিয়া এক সাথে করা হয় । তাইবলে আমার বারান্দার সাত আটটা গাছের জন্য এখানে মৌমাছিদের বহুতলা প্রাসাদ তৈরি করার প্রয়োজন ছিল কি ?
এই বাড়তি সমস্যা সমাধানের জন্য আমাকেই সবাই এগিয়ে যেতে বলে , আমার সহযোগী মেয়েটি আমাকে উদ্ধার করে । খালা আগুন দিলে সব চইলা যাবে । আমি
বললাম তাহলেতো অনেক গুল মরে যাবে তার চেয়ে মশার কয়েল জ্বালিয়েদে । তাই হ্ল কিন্তু না , ওরা ওদের কাজ চালিয়ে গেল একটু এদিক ওদিক পরিবর্তন করে ওরা আবার গৃহ নির্মাণে ব্যাস্ত হয়ে পড়ল , যেমন চট্টগ্রামে পাহাড়ের পাদদেশে বিপদ জেনেও অনেক মানুষ ঘর বাঁধে , তারপর অতি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে পড়ে অনেক ক্ষতি হয় তারপর ও আবার পাহাড়ের ঢালে বাসা বাঁধে ।এবার আমাকে দ্বিতীয় পদক্ষেপ নিতে হ্ল যদিও অনেক খারাপ লাগছিল তবু কিট নাশক স্প্রে করতে হ্ল , বেশ কিছু মশা বেহুস হয়ে মেঝেতে পড়ে রইল, কিছু উড়ে কোথায় যেন চলে গেল । ওদের বাসাটি ভেঙে দেয়া হোল ।
আমি দেখলাম এক ঘণ্টা সময়ে বানান অনেক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরটি কি চমৎকার ,ছোট কক্ষে ভরা । হয়তবা ধীরে ধীরে আরো বড় হত , তা আর হতে পারল না। এর পর আমার গাছে আর কোন ফল হয়নি ।
স্রষ্টার দানের কোনটিই হেলাফেলা নয় , কিছু আমরা আগে বুঝি কিছু পরে বুঝি
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । বানানটি ঠিক করে নিলাম , ধন্যবাদ ।
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের শেষে যে উপলব্ধির কথাটুকু বলে গেলেন, সেজন্যে ধন্যবাদ।
গল্পে ভাল লাগা + +
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫১
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । এটি কিন্তু একটি সত্য ঘটনা , ভাল থাকুন ।
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বেশ ইন্টারেস্টিং ঘটনা! মৌমাছি গুলো তাড়ালেন আর সেই সাথে ফল ও হল না। অনেক আগে আমার বাসায়ও একটি তারকাটাকে কেন্দ্র করে মৌচাক বানানো চলছিল। ১ ইঞ্চি ও বানানো হয় নাই। তার আগেই নষ্ট করে দেয়া হয়। শেষ লাইনের সাথে সহমত।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: মন্তব্যে ভাল লাগা রইল ।
৪| ২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪২
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বাসাটি না ভাঙ্গলেও পারতেন। বুঝতে পেরেছি, ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। আসলে, ভয়ের তেমন কিছু নাই। ওদের বাসা বাঁধতে দিলে গল্পটা কিন্তু অনেক সুখপাঠ্য হতো, হতো অন্য রকম। ধন্যবাদ।
২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: এই সমস্যার আর কোন সমাধান খুঁজে পাইনি তাই এমনটি করতে হয়েছিল , ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫
সুমন কর বলেছেন: আপনার ছোট অনুভূতির কথা পড়ে ভালো লাগল। +।
লেখায় হ্ল চোখে লেগেছে...