![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
ক্লাস নাইন থেকে স্কুলে পদার্থ বিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত এবং সাধারণ গণিত বিষয়ের কোন ক্লাস হয় নাই।
ভালো কোন শিক্ষক প্রাইভেটও পড়ায় নাই, অপরাধ যদি আমি ফেল করি তাহলে ঐ শিক্ষকের বাজারে ধ্বস নামবে! কারন আমার এইট পর্যন্ত পড়াশুনা অন্য থানাতে, সুতরাং ওনারা জানেন না আমি কেমন ছাত্র!
এলাকার একজন শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট পড়তাম, ঐ এক জন শিক্ষক পেয়েছিলাম যিনি না জানলে বলতেন, ভাইরে পারি না তবে কাল একবার দেখাইস দেখি আমি কিছু সমাধান বের করতে পারি কিনা! উনি যেভাবেই হোক সমাধান বের করে নিতেন, কখনো আবার সমাধান দেখে দুই জনেই বুঝে নিতাম আসলে সমস্যাটা কোথায়। শিক্ষক যে বন্ধু হতে পারে তা উনাকে দেখেই শিখেছিলাম। তবে আমাদের এই বন্ধু হতে ছাত্রের হাতে লাইটার দিয়ে সিগারেট ধরাতে হয় নি, যা আজকালের বহু শিক্ষক অহরহ করছেন বন্ধু হবার খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে!
এর পরে ভর্তি হলাম এলাকার কলেজে, সেখানের বহুল আলোচিত যত্নের কথা নাই বা বললাম! শুধু এই টুকুন বলি এক বন্ধু এস এস সি তে ৪.৫০ পেয়ে যত্নের অতিসহ্যে এইচ এস সি তে ২.৭৫ পেল! বাদদেই সেই সকল সুখ স্মৃতি!
এলাকার কলেজ থেকে যখন, কোচিং এ ভর্তি হলাম, তখন তো কেউ চিনেই না, বেশির ভাগেরই ধারণা এমন সব অজ পারা গায়ের কলেজের ছেলেরা কোচিঙের অর্থ যোগান দাতা হিসেবেই আসে এদের দ্বারা চান্স হবে না! ফলে কোচিং এর ক্লাসে নটরডেমিয়ান বা এমন মানের সারা দেশের কলেজের ছেলেদের গুরুত্ব দিতে দিতেই ভাইয়েরা অস্থির থাকত! আমাদের মত ......... কলেজের শিক্ষার্থীদের পিছনে খামোখা সময় নষ্ট করার সময় কই তাঁদের!
কোচিং থেকে শিখলাম ............ ............ কলেজ না বলে এ জে কলেজ বললে অনেকে সম্মান দেয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বলতাম এ জে কলেজ, যে জিবনে নামও শুনেনি সেও বলত হুম, কোথায় যেন শুনেছি! তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের ভালো কলেজ প্রীতি ছিল উল্লেখ করার মত আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার ধরন বুঝতে বুঝতেই ২ বছর চলে গেল কারন কোন বান্দাই ক্লাসে কোর্সের আউটলাইন কিংবা প্রশ্নের ধরন নিয়ে কোন কথাই বলেন না! অথচ ইউ সি, বারকেলের মতে এই ভাবে লেকচার দেয়া এক ধরনের জালিয়াতি এবং শিক্ষক হিসেবে সে এথিকাল সন্ত্রাস চালানোর সমান! ওদের ট্রেনিং নিচ্ছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম আমি কত গুলো সন্ত্রাসের স্বীকার হয়েও আজ তোদের ক্লাস করতে পারছি এবার চিন্তা করে দেখ! চিন্তা করে কোন কুল কিনারা করতে পারবে কিনা আমি সন্দিহান!
পিছনের দিকে তাকালে বার বার সেজদাহ দিতে ইচ্ছে হয়, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন কোন নিন্ম স্তর থেকে তুলে আলহামদুলিল্লাহ্ এ পর্যন্ত রিজিকের ব্যাবস্থা করে যাচ্ছেন! সুবহানআল্লাহ! আল্লাহু আকবার!
#SMU
২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৮
মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন?
১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: কোন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। আশা করি দ্বিতীয় প্রশ্ন পাব না।
৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: টিচার লাইটাত জ্বালিয়ে দিলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়?
ডিরোজিও তার শিষ্যদের সাথে মদও খেতেন, এই বাংলাতেই। কৈ এতে তার দীক্ষা তো বিফলে যায়নি।
১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: ডিরজিও কই বাংলাদেশী ছিলেন?
বাঙালি সংস্কৃতি ধরে রাখতে আন্তপ্রান কিন্তু মূল্যবোধ ধরে রাখতেই যত সমস্যা!
ভালোই বলেন আপনারা!
৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: এটা আমাদের দেশের একটা কমন সমস্যা। আমাদের এলাকার আর.কে লাইসিয়াম নামে একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল আছে। জেলায়, খুব নামকরা। তো আমি যখন প্রাইমারি পাশ করে মাধ্যমিকে ভর্তি হলাম তখন ঐ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এক ডজন ছাত্র আমাদের সাথে ছিলো। ক্লাস 'সিক্স' এর দ্বিতীয় সাময়িক শেষে একদিন গনিতের স্যার পেপার'স নিয়ে হাজির হলেন। একে একে নাম দেখে দেখে সবাইকে নিজ নিজ পেপার বা খাতা নিতে বললেন। সবাইই নিলো, শুধু আমি আমার'টা পেলাম না। অবশিষ্ট ৮-১০ টা টেবিলে আছে। স্যারকে বললাম, আমার'টা পাচ্ছি না। শুনে তো উনি রেগে আগুন। বলো কি? যাইহোক, একটা বের করে বললেন, নাম কি লিখা এখানে। স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে না, সম্ভবত - জুবায়ের আহমেদ। মার্কস ০৭। রোল'টা ও আমার নয়। ভর্তি পরীক্ষার পর, আমার রোল ছিলো ১৭, এখানে ২৭।
স্যার কথা-টথা না শুনেই নাম লিখতে জানো না বলে, বেশ পেটালেন। যারা ভালো মার্কস পেয়েছে তারা হাসলো। পরে, পাশের একজনকে সাথে নিয়ে আবার যখন বললাম। তখন গ্লাস'টা ঠিক করে, ভালো করে দেখে জিজ্ঞেস করলেন- রোল ২৭ কার? এবার ইংলিশ মিডিয়ামের স্পেশাল ছাত্র দাঁড়ালো। নাম জুবায়ের? মাথা নাড়লো। আবার জিজ্ঞেস করে বললেন, ঠিক করে বলো। সে মাথা ঝাকালো। পরে অবশ্য পেটালেন।
কিন্তু আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই পেটালেন। কারণ, আমি কোনোএক পাড়ায়ের কোনায় পড়ে থাকা, ভাঙ্গাচুরা প্রাইমারীর ছাত্র। সুতরাং 'ন' তে 'ব' আর 'দ' তে 'র' লিখে ফেলতেই পারে। এই হলো, আমাদের দেশের অবস্থা।
(পরে, অবশ্য স্যার অনেকবার নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। এমনকি বাবাকেও এই ঘটনা বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।)
১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: অবস্থাটার ধনাত্মক দিকে পরিবর্তন খুব জরুরি ছিল কিন্তু হচ্ছে ঋণাত্মক দিকে !
৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এই বন্ধু হতে ছাত্রের হাতে লাইটার দিয়ে সিগারেট ধরাতে হয় নি, যা আজকালের বহু শিক্ষক অহরহ করছেন!
এতে আপনি খারাপ কি দেখছেন,একটু খোলসা করে বলবেন?
১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: উপরে লিখেছি। খারাপ হল বাঙালি সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ এটা সমরথন করে না।
৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০০
এহতেশাম আহমেদ বলেছেন: লেখার বিষয় যাই হোক না কেন, আপনার ভাষাগত জ্ঞান কিন্তু ভাল।
৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো লেখা।
১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: হুম এমনি মনে হল কিছু লিখি তাই লিখলাম, গুছিয়ে লেখার মত সময় এখন খুব বেশী হয়ে উঠছে না। নিজের অবস্থান এবং আল্লাহ্র রহমত নিয়ে চিন্তা করছিলাম, চিন্তা করলাম অনুভূতিটা শেয়ার করি আমার মত হয়ত অনেকেই আছেন। এই যা .।.।।
৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হচ্ছে, প্রতিকুল অবস্হার মাঝে আপনি নিজের চেষ্টায় ভালো করেছেন; এখন ভাবে, যারা আপনার সময় স্কুলে যেতে পারেনি, তারা কি অবস্হায় আছেন?
১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: আমাদের জেলাতে স্কুল/কলেজ থেকে ঝরে পরাদের সংখ্যা নগন্য এবং কারন অভাব না, কারন ওদের বাবার ব্যবসা কিংবা কৃষির হাল ধরা। ফলে খারাপ অবস্থাতে আছে এমন কেউ নেই। আলহামদুলিল্লাহ সবাই নিজ নিজ অবস্থানে সন্তুষ্ট আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:০০
সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহু আকবার!