নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথা নয় কাজকে ভালবাসি। মানুষকে যেটা শিখাবেন সেটা যেন কাজে লাগে।

শিমুল খান

আমি বলার থেকে শুনতে ভালবাসি। আমি কথাই না কাজে বিশ্বাসী।

শিমুল খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন বিলাল ফিলিপ্স কে বক্তৃতা দিতে দেওয়া হল নাহ?

০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

১. যাকাত কীভাবে সম্পদ পবিত্র করে।

২. মতভেদ উপেক্ষা করে কীভাবে উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করা যায়।

৩. তাওহিদের উপর বিশ্বাস থাকা কেন জরুরী।
X(( X(( X(( X((



এই ৩ টা বিষয়ের মাঝে আপনারা কি কোন জঙ্গীবাদ বা সরকার বিরোধীতার ইঙ্গিত পাচ্ছেন ? না এই ৩ টা বিষয় কোন রাজনৈতিক দলের এজেন্ডার সাথেও জড়িত না। বিলাল ফিলিপ্স ঠিক এই ৩ টা বিষয়ের উপর বক্তৃতা দিতেই বাংলাদেশে এসেছিল। তাইলে এই যে বিলাল ফিলিপ্স কে আওয়ামী লীগ সরকার এই বক্তৃতা গুলি দিতে দিল না এটা কি আওয়ামী লীগের ধর্ম নিরপেক্ষতার চিন্তা চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক নয় যদিও আমি বাক্তিগত ভাবে আওয়ামী লীগ করি তবুও বলতে হচ্ছে।। ধর্ম নিরপেক্ষতা বলতে তো আমরা এটাই বুঝি ইসকন রামকৃষ্ণের নেতারা যদি বাংলাদেশে এসে হিন্দু মন্দির গুলিতে বক্তৃতা দিতে পারে, তথাকথিত তীর্থ দর্শনের নামে ভারত থেকে হিন্দু নেতারা এসে এই দেশের সহজ সরল হিন্দু গুলিকে ভুলভাল ভুলিয়ে গঙ্গায় স্নান করিয়ে নিয়ে আসতে পারে তাইলে বিলাল ফিলিপ্স কেন ইসলামের অরাজনৈতিক দিক গুলি নিয়ে বক্তৃতা দিতে পারবে না। আজ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। আওয়ামী লীগের এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আওয়ামী নীতি নির্ধারকদের কাছে আমি এই প্রশ্নটা রাখলাম। আপনি যদি ঢাকার ইত্তেফাক মোড়ে অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনে যান বা সিলেটের ওসমানী মেডিক্যালের সামনে ইসকনের মন্দিরে যান তাইলে সেখানে দেখবেন অনেক বড় বড় পোস্টারে ভারত থেকে আগত অনেক বড় বড় হিন্দু সাধকের নাম ঝুলানো আছে যারা এইসব হিন্দু মন্দিরে নিয়মিত বক্তৃতা দেয়। তাইলে বিলাল ফিলিপ্স কি দোষটা করল যে সরকার উনাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বের করে দিলে ? বিলাল ফিলিপ্সের সাথে সরকারের এই অভদ্র আচরণটা যে বাঙ্গালী জাতিকে আরব বিশ্বের কাছে কতটুকু ছোট করল তা যারা প্রবাসে থাকেন তারাই বুঝবে। আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম যেখানে ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশনের নেতারা ঠিকই বাংলাদেশে আসতে পারবে কিন্তু কোন বিদেশী মুসলমান বাংলাদেশে আসতে পারবে না। এর নামই কি ধর্ম নিরপেক্ষতা ?



বাংলাদেশ সরকার বলতাছে টুরিস্ট ভিসায় এসে কেউ বক্তৃতা দিতে পারবে না। তো আমি জানতে চাই বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস গুলিতে কি বক্তূতা ভিসা নামক কোন ভিসা চালু আছে যে সেই বক্তৃতা ভিসা নিয়ে কেউ বাংলাদেশে আসলে তারপরেই কোন বিদেশী বাংলাদেশের কোন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে পারবে ? বাংলাদেশের বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নিতে প্রায়ই অনেক বিদেশী প্রফেসর আসেন টুরিস্ট ভিসায়। তারা কিন্তু এই টুরিস্ট ভিসা নিয়েই বাংলাদেশের বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নেয়। তাইলে বিলাল ফিলিপ্স টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে কি দোষ করল ? বাংলাদেশ এমন কোন ধনী দেশ না যে এইখানে কেউ স্টুডেন্ট ভিসা বা বিসনেস ভিসা নিয়া আসবে। গোয়েন্দাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে প্রতি বছর লাখ লাখ ইমিগ্রেন্ট ভিসার আবেদন পরে। বাংলাদেশে যারা আসে তারা সব টুরিস্ট ভিসা নিয়েই আসে।



কিন্তু এই সব ছোট খাট মতপার্থক্য বাদ দিয়েই আমরা সবাই একসাথে থাকতে পারিআমার মনে হয় কোন একটা ভুল হয়েছে, অবশ্যই আমাদের কে খেয়াল রাখতে হবে এটা ইসলামি আইন দ্বারা পরিচালিত একটি দেশ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.