![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তনু হত্যাকান্ডে সরকার এবং সেনাবাহিনী স্পষ্টতত বিব্রত। পাহাড়ে ধর্ষনের অভিযোগ ( যা হরহামেশাই ঘটে থাকে) আর কুমিল্লা সেনানীবাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বলয়ের ভেতর ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ যে এক বিষয় নয় সেটা আমাদের সেনাগণ বড্ড দেরিতে বুঝতে পেরেছেন। এমন ঘটনা শুধু আমাদের দেশ নয়; অন্যান্য দেশ যেমন মিশরের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। সরকার যেহেতু তার অস্তিত্তের জন্য সেনাবাহিনীর উপর নির্ভরশীল সেহেতু সেনা স্বার্থ মানেই সরকারের স্বার্থ । এক্ষে্ত্রে সরকার এতটাই দুর্বল অবস্থানে যে, প্রধাণমন্ত্রী যিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীও বটে, তার পক্ষে এব্যাপারে কোনরকম ব্যাখ্যা চাওয়ার মত সৎ সাহস দেখাতে পারেননি। শুধু তাই নয়, বিএনপি বা সমমনা দল যাদের জন্য এটি সরকার বিরোধী একটি চমৎকার ইস্যু হতে পারত তারাও সতর্কতার সাথে বিষয়টি থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে। এর বার্তা স্পষ্ট , তারাও এমন কিছু চায় না যার ফলে সেনাবাহিনী অসন্তুষ্ট হয়। ক্ষমতায় থাকলে হলে, কর্পোরেট পুঁজি আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে রাজিখুশি রাখতে হবে। এটাই বর্তমান বাস্তবতা।আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ক্যান্টনমেন্টকে “গণতন্ত্র বিতরণের দাতব্য কেন্দ্র" বলেছিলেন একসময়; ৯০ এর গণান্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেলেও গণতন্ত্রের সুরক্ষায় ক্যান্টনমেন্ট এর ভূমিকা আজো কোন অংশে কম নয়। শুধু তাই নয় মিডিয়ার ভূমিকাও এব্যাপারে সমান্তরাল। সেনা তোষামদ আর লেজুরবৃ্ত্তির এক এক অনন্য দৃষ্টান্ত । (প্রায় ৫ দিন পর) বর্তমানে মিডিয়া যে কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে সেটা যে অনেকটা মুখ রক্ষার জন্য সেটা খুব সহজেই বলা যায়।
বর্তমান অবস্থায় সশস্ত্র বাহিনী তাই বলা যায় ঈশ্বরের নিকটবর্তী। আমাদের ঈশ্বর বাস করেন বিশ্বাসে যদিও, এই দেবতা আমাদের মধ্যেই বাস করে! দেবতাকে প্রশ্ন করা চলে না তাই ডিজিএফ আই এর খবর পরিবেশনার জন্য ডেইলি স্টার সম্পাদককে এক হাত নেয়া গেলেও সেই ডিজিএফ আই ওয়ালাদের টিকিটা স্পর্শ করা সরকারের সম্ভব নয়। ! তবে এক্ষেত্রে ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যম এর বিপরীত ভূমিকা দেখা যায়। যার ফলে একধরনের উত্থান আমরা দেখতে পাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরকম আচরণ নতুন কিছু নয়। তবে তা নাহায়াতই আবাগ নির্ভর এবং আদর্শিক অবস্থান না থাকার কারনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা কাঙ্খিত ফলাফল আনতে ব্যার্থ হয়। ( আরব বসন্ত) এর কথা এ ব্যাপারে উল্লেখ যোগ্য। ফেসবুক বা সোসাল মিডিয়া আসলে একটি ইউটপিয়ান রাজ্য যেখানে নৈতিক মান দন্ডে একেকজন গৈতম বুদ্ধ সমপর্যায়ের, সেখানে তনু ইস্যুতে সোসাল মিডিয়া যে ফুসে উঠবে সেটা সহজেই অনুমেয়। এক্ষে্ত্রে নিজেকে উপস্থাপন করা কিংবা লাইক পাবার মত টুনকো বিষয় নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায়। তবে, চোখে পড়ার মত বিষয় হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের রাস্তায় নেমে আসা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ঘটনার ৪ দিন পরও সেনাবাহির পক্ষ থেকে একটি শব্দও বলা হয়নি! আইএস পি আর গণতান্ত্রিক হবে এমনটা অন্তত বাংলাদেশে আশা করা যায় না। এমনকি সামরিক বাজেট কালকে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর মত জন সমুখে প্রকাশ করবেন এমনটাও আমাদের মহামান্য সামরিক কর্মকর্তাদের থেকে আশা করা যায় না। আর, রাষ্ট্রীয় গুরুত্তপূর্ণ তথ্য আর ক্যান্টনমেন্ট এর ভেতর ধর্ষণ -হত্যা যে এক বিষয় নয় আশা করি এইএসপিআর বুঝতে একটু বেশী সময় নিয়ে নিয়েছে। রাষ্ট্রের ১৮৩৮৩ কোটি টাকা দিয়ে যে বাহিনীর বরাদ্দ ( যেখানে ১৬ কোটি মানুষের সস্থ্য নিশ্চিত করা হচ্ছে ১২৫৬০ কোটি টাকা দিয়ে!) জাতীয় নিরাপত্তার সাথে যুক্ত বলে এর একটি টাকার হিসাবও জনগণের পারার অধিকার নেই! কিন্তু সে টাকাও অপর্যাপ্ত পরিগণিত হচ্ছে! তাই নিশ্চিন্তে ব্যাবসা করার সুযোগ দেওয়া হযেছে ( বর্তমানে যা ৳৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলায়) বাহিনীর সুরক্ষার মাঝে থেকে একজন মানুষ খুন হবে আর এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা পাব ৪ দিন পর! আর এ বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ হলে ষড়যন্ত্র তত্ত এর ধোয়া তুললে মানুষ শান্ত হয়ে যাবে এতটা আশা করা ঠিক হয়নি সম্ভবত।
সরকার সেটা ভাল করেই জানে। তনুকে নিয়ে ইতোমধ্যেই তদন্তের নামে এই রাষ্ট্র রীতিমতো রসিকতা শুরু করে দিয়েছে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সেইভ করা। মোটামোটি এক কাহিণী দাড়া করা যাতে কোন উপায়ে ইস্যুটিকে ধামাচাপা দেয়া যায়। কে এই কাজ করেছে কিংবা কেন করেছে সেটা বিবেচ্য বিষয় নয় । বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে সেনাবাহিণীকে তার দেবতুল্য স্থানে রেখে এর একটি চলনসই সামাধান। এটি যথেষ্ট কাঠিন কাজ হলেও সরকারকে তা পারতেই হবে , অন্তত নিজের স্বার্থ রক্ষার তাগিদেই।
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৩
world of Tranquility বলেছেন: ঠিক আছে বাংলা নাম পরিবর্তন কর কিন্তু কিভাবে সেটা বলুন । ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমরা ইংরেজী নাম ব্লগ নাম হিসেবে অনুমোদন করি না। অনুগ্রহ করে নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে আপনি দ্রুত ফিডব্যাকে যোগাযোগ করুন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনার কাছ থেকে সাড়া না পেলে, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।