![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো থাকব নিরন্তর।
আজাইরা আলাপ of Couple
১. তারপর, হোম কোয়ারেন্টিনে ভাবীদের কী অবস্থা? বাচ্চা কোনটা বেশি জ্বালাচ্ছে? নিজেরটা নাকি শ্বাশুড়িরটা?
২. দাদা, লকডাউনে কী শিখলেন? দাদা - ঘর ঝাঁট দেওয়ার সময় সামনে এগোতে হয়, আর ঘর মোছার সময় পিছিয়ে আসতে হয়।
৩. তিন মাস হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পর-
গৃহিনী : আপা, ছেলে না মেয়ে?
ডাক্তার ম্যাডাম : এটা আপনার পেটের চর্বি।
৪. আজ ২১দিন ঘরে শুয়ে বসে আছি, বউ আসছে যাচ্ছে আর বলছে, এই আপদ কবে বিদায় হবে কে জানে? বুঝতে পারছিনা আমাকে বলছে নাকি করোনাকে।
৫. করোনার জন্য বাসায় থাকবেন ভালো কথা, কিন্তু দেশের জনসংখ্যা যেন আবার না বাড়ে।
৬. এই মার্চ এপ্রিলে জন্মানো বাচ্চাদের নাম কী হতে পারে? স্যানিটাইজার চৌধুরী, লকডাউন হক, মাস্ক ইসলাম, আইসোলেশন মিত্র, কারফিউ উদ্দীন, করোনা পাল।
৭. এই কোয়ারেন্টিনে যারা মোটা হবে না, তারা বাকি জীবনেও মোটা হতে পারবে না।
৮. ২১ দিন বন্দী থাকার পর আবার ১২ দিনের সাজা ঘোষণা; পরবর্তী শুনানীর দিন এখনো ঠিক হয়নি; জামিন পেতে এখনো দেরি আছে।
৯. মনে হচ্ছে যেন আদিম যুগে রয়েছি। না বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছি, না কলেজে, না অফিস, কেবল খাওয়া, ঘুমানো আর গুহায় থাকা। সবজি বাজার আনতে যাওয়াকে মনে হচ্ছে শিকারে যাচ্ছি।
১০. লকডাউনে থেকে একটা জিনিস শিখলাম, জীবন যাপনের খরচ কিন্তু অনেক কম। তবে Lifestyle দেখানোর খরচ বিস্তর।
আজাইরা আলাপ of Students :
১. দেশের জন্য আমরা আমাদের এক্সাম হাসতে হাসতে Sacrifice করে দিতে রাজি।
২. In a relationship with ঘর।
৩. কী জ্বালা বলুন তো! এই লকডাউনের চক্করে কবে কত তারিখ, কী বার কিছুই বুঝতে পারছি না।
৪. করোনা ভাইরাস আর যাই হোক আমাদের কলেজে কখনো ঢুকতে পারবেনা; কারণ ID Card ছাড়া সিকিউরিটি গার্ড কখনো ঢুকতে দিবে না।
৫. লকডাউনের পর - আমি : কোন কলেজে পড়তাম যেন!!
৬. চায়না মাল ৭ দিনের বেশি টিকে না, কিন্তু শালার এই করোনা এতো লাস্টিং করলো কিভাবে?
৭. সারাদিন ঘরে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এমন অবস্থা হয়েছে যে, ঘুমের মধ্যেও স্বপ্নগুলো রিপিট হচ্ছে, আবার মাঝে মাঝে এডও আসছে।
৮. আমার নতুন জামা-কাপড়গুলো ভেবেই নিয়েছে যে, আমি মারা গিয়েছি।
৯. সারাদিন ঘরে থাকতে থাকতে কখন যে সকাল হয়, কখন যে বিকাল হয়, কখন যে রাত হয় কিছুই বুঝতে পারি না।
১০. ছেলেমেয়েগুলো হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে এমন ভাব করছে, মনে হয় যেনো ওরা রাস্তায় খেতো, রাস্তায় ঘুমাতো, রাস্তায় Potty করতো।
১১. খাচ্ছি দাচ্ছি শুচ্ছি ঘুমাচ্ছি, নিজেকে বেশ জমিদার জমিদার মনে হচ্ছে। তবে এ সুখ বেশিদিন টেকসই হবে না! পকেট সিগন্যাল দিচ্ছে ভিখারি হওয়ার।
১২. বাবা, মা আদর করে নাম রেখেছিল ‘কমলাকান্ত’, কিন্তু আইডি কার্ডে নাম এসেছে ‘করোনা আক্রান্ত’।
১৩. শুক্রবারের জন্য একসময় অপেক্ষা হতো, সেই শুক্রবারকে কেউ এখন পাত্তাই দিচ্ছে না।
১৪. সেরে ওঠ শহর, সেরে ওঠ। এখনো অনেক স্বপ্ন দেখা বাকি।
আজাইরা আলাপ of General People
১. একে তো চিন্তায় আছি, তার উপর পাশের বাসায় কোন শালায় গান চালিয়েছে - জীনা ইয়াহা, মারনা ইয়াহা, ইসকে সীবা জায়ে কাহা।
২. রাশিয়ায় ৮০০ বাঘ রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছে এটা গুজব, কিন্তু বাংলাদেশে কয়েক হাজার গাধা রাস্তায় ঘুরছে এটা একদম পাক্কা খবর।
৩. সারা পৃথিবী ভাবছে কিভাবে ভাইরাসকে ফাঁকি দিবে, আর বাঙ্গালী ভাবছে কিভাবে পুলিশকে ফাঁকি দিবে।
৪. শালা, দেশে কি অসুখ আইলো রে ভাই, কাশিটাও এখন পাদের মতো লুকাতে হচ্ছে।
৫. কি ছিড়লাম বানিয়ে এতো পরমাণু,
পিছনে মেরে চলে গেলো ছোট্ট একটা জীবাণু।
৬. লকডাউন ওঠার পর যে যে জায়গায় সবচেয়ে বেশি ভীড় হবে সেগুলো হলো - বিউটি পার্লার, বিরিয়ানির দোকান, হোটেল, ফুচকাওয়ালার টং।
৭. পুলিশ এক মাতালকে মদ খেতে দেখে এ্যারেস্ট করে থানায় নিয়ে গেলো। থানার বাইরে ২০০ লোকের জমায়েত হলো শুধু এটা জানতে, ও মদ পেলো কোথায়!
৮. অবশেষে ৪৭ বছর পর ঋষি কাপুর তার প্রশ্নের উত্তর পেলেন -
বাহার সে কোই আন্দর না আ সাকে, অন্দর সে কোই বাহার না যা সাকে,
সচো কভি এ্যাইসা হো তো ক্যা হো গা
৯. ওগো করোনা, দেশের চোরদের কেনো ধরনা?
১০. মাটি খুব ক্ষুধার্ত, লাশ খাওয়ার প্রচুর নেশা উঠেছে।
১১. মৃত্যু is downloading ......
১২. ব্যস্ত শহর আজ নীরবতায় থমকে গেছে।
১৩. ভীড়ে নয়, নীড়ে থাকুন।
১৪. ঘর খুলিয়া বাহির হইয়া জোছনা ধরতে যাই; হাত ভর্তি চান্দের আলো, ধরতে গেলে নাই।
(সবগুলো আজাইরা আলাপ বিভিন্ন পোস্ট থেকে কালেকশান করা)
০৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৯
মুহা. নাজিম উদ্দীন বলেছেন: চারিদিকে শুধু হতাশার খবর। তাই এর থেকে একটু বাইরে আসার চেষ্টা মাত্র। সম্পূর্ণ লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতিও রইল অফুরন্ত শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
২| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ৩:২৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
সামুতে স্বাগতম। চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সুন্দর লিখেছেন।
০৯ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:০২
মুহা. নাজিম উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাদের প্রশংসা আমাকে ব্লগে টিকে থাকতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩০
আল-ইকরাম বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম। ভাল লাগলো। পাঠককে আনন্দ দেয়া ও নিজে আনন্দ পাবার শ্রমসাধ্য একটা প্রচেষ্টা। বেশ ভাল। শুভ কামনা রইল।