নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নশ্বর পৃথিবীতে মরণের স্বাদ সবাই পায়, জীবনের স্বাদ পায় অল্প ক’জন। - রুমি

মুহা. নাজিম উদ্দীন

ভালো থাকব নিরন্তর।

মুহা. নাজিম উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লকডাউনে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন, তরতাজা মন তৈরি করবেন কী করে?

২২ শে মে, ২০২০ রাত ২:১৫

কোভিড-১৯ শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক, তা এত দিনে সবাই জেনে গিয়েছেন। কিন্তু লকডাউন উঠে গেলে দেশ পরবর্তী যে বিপদের মুখে পড়বে, তা হল দীর্ঘ গৃহবন্দি জীবনে জন্মানো একগুচ্ছ মানসিক অসুস্থতা। এমনিতেই মনের অসুখ নিয়ে যথেষ্ট সচেতনতা আমাদের দেশে নেই। থেরাপিস্ট, সাইকোলজিস্ট এবং সাইকিয়াট্রিস্ট— তিন জনকেই ‘পাগলের ডাক্তার’ মনে করা হয়। কর্মক্ষেত্রে ডিপ্রেশনের কথা জানাজানি হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ সুনজরে দেখবেন না, এমন ভয়ও পান অনেকে। ফলে করোনার মতোই, মাথার ভেতর বেড়ে চলা অন্ধকার লুকিয়ে রাখেন অনেক মানুষ।

এই সমস্যাগুলির দিকে আমাদের এখন থেকেই মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন মহিলা ফ্যাকাল্টি, যিনি কি না পূর্ণ সময় একা থাকছেন, তাঁর তরফে কিছু মতামত রইল।

• বাড়িতে যত ক্ষণ থাকবেন, খোলা জানলা বা বারান্দার পাশে থাকুন। আকাশ দেখুন। সামান্য শরীরচর্চা করুন ছাদে বা বারান্দায়।

• বাড়িতে থাকা প্রতিটি সদস্যের কমফর্ট জোন বোঝার চেষ্টা করুন। যে আত্মমগ্ন, তাকে অকারণ হইচইয়ের মধ্যে ফেলবেন না। যে বাইরে যেতে না পেরে মুষড়ে পড়ছে, তার সঙ্গে সময় কাটান। বাড়ির কমবয়সিটি ফোনে বা ভিডিয়ো কলে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছে দেখলে বকাবকি করবেন না। এটা এখন তার প্রয়োজন, বিলাসিতা নয়। প্রয়োজনে বাড়ির সবাই বসে স্থির করে নিন, কে কী ভাবে সময় কাটাতে চায়। কথা বলুন নিজের অসুবিধা নিয়ে।

• যে মানুষটিকে অফিসের কাজ করতে হচ্ছে, তার ঘরের কাজের ভার নিন। তাকে একটা শান্ত, নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশ দিন। যে কাজ আপনি বা অন্য কেউ করতে পারে, তার জন্য তাকে বার বার ডাকবেন না। এমন একটা ঘর বা ডেস্ক তাকে দিন যেখানে বাকিদের যাওয়া বারণ করে দেওয়া হবে। ঘুম থেকে উঠে তাকে প্রস্তুত হওয়ার সময় দিন। অফিসের কাজের পর কিছুটা বিশ্রাম নিতে দিন। চা বানানো, রান্না, বাসন মাজা, ঘর সাফ, এগুলো ভাগ করে নিন। মনে রাখবেন, সে পরিশ্রম করছে যাতে বাকিরা ভাল থাকে। তার দক্ষতার প্রশংসা করুন। তার সমস্যা হলে গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করুন।

• যদি বাড়িতে অপ্রীতিকর পরিবেশ থাকে, সচেতন ভাবে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। কোনও কথা কাটাকাটি, তর্ক, ঝগড়ায় থাকবেন না। অপছন্দের মানুষটির মুখোমুখি হবেন না। নিজেকে কাজ দিন এবং মন ঘুরিয়ে নিন। এই পরিস্থিতি এক দিন কেটে যাবে যদি সামান্য বোঝাপড়া করে নেন— এই ভাবনা নিয়ে খুশিমনে কাটানোর চেষ্টা করুন।

• সময় দিন। একসঙ্গে সিনেমা দেখুন। কোনও ভাল ভিডিয়ো বা আর্টিকল পেলে পড়ে শোনান। যে ছেলেটি বা মেয়েটি অনলাইনে পড়াশোনা করছে তার পাশে বসে আপনিও কয়েকটা ক্লাস করুন। ফোন ব্যবহার করতে হচ্ছেই যখন, আত্মীয়বন্ধুদের খবর নিন। ভার্চুয়াল পৃথিবীতে ঘুরতে ঘুরতে কিছু বাস্তব চরিত্রের সামনেও আসুন। তাতে মনের ভারসাম্য বজায় থাকে।

• অনেক অনেক কথা বলুন। পরিবারের সঙ্গে, সহকর্মীর সঙ্গে, ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে। নিজেকে মানসিক ভাবে অন্তত বিচ্ছিন্ন ভাববেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রেজেন্টেশন অভ্যাস করুন। ফাঁকা সময়ে কাজের বিষয়ে ভিডিও বানান। টেড টক শুনুন। গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ির সবার সঙ্গে আলোচনা বা বিতর্কের আয়োজন করুন। যত বেশি কথা বলবেন, তত আপনার চর্চা বাড়বে।

আমাদের সমবেত উদ্দেশ্য, একটা স্বাস্থ্যোজ্জ্বল আগামী তৈরি করা। শরীরের পাশাপাশি একটা তরতাজা মন নিয়ে যেন আমরা সবাই কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারি, আমাদের ছাত্রছাত্রীরা যেন পূর্ণ উদ্যমে জীবনের মূল স্রোতে ফিরতে পারে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভীষন গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। একসময়ে সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে লুকাছোপা করা হলেও আজকাল গ্লোবাল এওয়ারনেস তৈরি হচ্ছে। আপনার এই পোস্টটি সচেতনতা তৈরিতে অনেক ভূমিকা রাখবে।

চমৎকার বিষয়ে নির্বাচনে ধন্যবাদ।
হ্যাপি ব্লগিং!

২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫০

মুহা. নাজিম উদ্দীন বলেছেন: আপনার প্রতিও রইল অজস্র শুভকামনা....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.