নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি \'স্মৃতিকাতরতা \' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার চিকিৎসার প্রয়োজন।

স্বপ্নবাজ সৌরভ

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......

স্বপ্নবাজ সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবুজ সিগন্যাল ---- ( আমার স্কুল , আমার ছেলেবেলা, স্মৃতি ও অন্যান্য)

১৫ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

প্রতিদিন অফিস থেকে বাড়ি ফেরের পথে বনানী আর বিজয় সরণিতে বিদঘুটে জ্যামে পড়তে হয় ।ট্রাফিক বাতি গুলো লাল সিগন্যাল জ্বালে। আমার ভাবনার রাস্তায় তখন সবুজ সিগন্যাল জ্বেলে সংকেত দেয়। সে রাস্তায় কোনো জ্যাম নেই। ট্রাফিক নেই। গতি রোধকের বালাই নেই।আমি শুধু ড্রাইভিং সিটে স্টিয়ারিং ধরে বসে থাকি। ভাবনার রাস্তা অজানা গন্তব্যহীন। খুব সহজেই ছেলেবেলায় পৌঁছে যাওয়া যাই। আমার পুকুরপাড় ,আমার ইমরান খান ব্যাট কিংবা পরিচিত রাস্তা ধরে আমার প্রিয় স্কুলটা।

আমি হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে ছিলাম ১৯৯৪ সালে ক্লাস সিক্সে। সাদা শার্ট আর নেভি প্যান্ট , জাম্প কেডস , ব্যাগ ঘাড়ে করে প্রথম স্কুলে গেলাম। এইতো সেদিনের কথা। আমাদের সময় স্কুল ড্রেস বাধ্যতামূলক ছিল না। তাই স্কুল ড্রেস পড়ে গিয়ে খুব লজ্জা লাগলো।
অতি পরিচিত মানুষ গুলোকে অচেনা লাগতে লাগলো। আব্বা (হেডস্যার), আজিম স্যার (এসিস্ট্যান্ট হেডস্যার ) , বিনোদ স্যার , আব্দুল্লাহ স্যার কিংবা দপ্তরি কেরামত চাচা, হামিদ ভাই সবাই যেন অচেনা। আমার এতকালের পরিচিত শৈশবকে আচমকা পাল্টে দিলো স্কুলটা।

আসলে স্কুলের সাথে পরিচয় আমার অনেক আগে থেকে। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা , ঈদ এ মিলাদুন্নবী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুব মনে পড়ে। বিনোদ স্যারের পরিচালনায় সুন্দর সুন্দর নাটক হতো- কাঁকলাস, গাধা।প্রথম কৃষ্ণচূড়া গাছ চিনেছিলাম স্কুলের শহীদমিনারে পাশের গাছটাকে দেখে। এখন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় কিনা না জানি না। নাটকের রিহার্সাল , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক , সেসব তো কবেকার কথা। সবকিছুতেই আব্বার সাথে চলে যেতাম। তাই সেই ছোটকাল থেকেই স্কুলটাকে নিজের মনে হতো।

বড় ক্লাসে হেডস্যারের নিয়মিত ক্লাস ছিল। তিনি আসতেন চতুর্থ পিরিয়ডে, টিফিনের আগে। তিনি পড়াতে পড়তে টিফিনের ঘন্টা পরে যেত। আমরা জানলার বাইরে তাকিয়ে অন্য ক্লাসের ছাত্রদের বের হয়ে যেতে দেখতাম। টিফিনের ঘন্টা পড়ে গেলেও কিছুটা সময় বেশি পড়তেন।অনেকেই ছটফট করতো।আমাকে সবাই খোঁচাতো। আমি একদিন বাড়িতে গিয়ে আম্মাকে বললাম , আব্বা (হেডস্যার )আমাদের টিফিনের ঘন্টা পড়ার পরেও ক্লাস নেন। আম্মা হেসে বললো, এসিস্টেন্ট হেড স্যারের কাছে জানাতে।
মনে মনে ভাবলাম , এসিস্টেন্ট হেডস্যার কাছে যাওয়ার চাইতে টিফিন পিরিয়ডে না খেয়ে থাকা ঢের ভালো ! সামনে পড়লে হাঁটু কাঁপে, গলা শুকিয়ে আসে। এসিস্টেন্ট হেডস্যার ব্যাপারে আমার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আছে।

১৯৯৪ সালে সার্ক চারজাতি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয়। এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। আমি গিয়েছিলাম ছুটি নিতে। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সব দলের অধিনায়কের নাম মুখস্ত করে গেলাম। কিন্তু স্যার আমার কাছে জানতে চাইলেন ফিল্ডার পজিশন। খুব কষ্টে পার করেছিলাম সে যাত্রা ।
তারপরেও গেলাম স্যারের কাছে। স্যার শুনে মিটিমিটি হেসে বললেন , “তুমি তো গুরুতর অভিযোগ নিয়ে এসেছো !" অনেক কষ্টে মুখ দিয়ে উচ্চারিত হলো , জ্বি-ই স্যার।
স্যারের রুম থেকে বেরিয়ে একবুক নিঃশ্বাস বুকে নিয়ে সোজা চলে গেলাম ক্লাসের তিন নম্বর বেঞ্চে। এর পরে আর একা একা স্যারের রুম মুখ হয়নি।

মধ্যবিত্ত মেধার ছাত্র হওয়ার দরুন ফাস্ট বেঞ্চে বসতে চাইতাম না।সংশয়ে সংকোচিত হয়ে থাকতাম। থার্ড বেঞ্চে বসে ভাবতাম কখন ছুটি হবে। টিফিন পিরিয়ডে সময় কাটানোর রসদ হিসেবে রাখা থাকতো নন্টে ফন্টে , চাচা চৌধুরী , টিনটিন, রাশিয়ান বই আর তিন গোয়েন্দা ! টিফিন পিরিয়ডে চলে যেতাম মসজিদ গলির পাশে মির্জা ভাইয়ের দোকানে। সেখানে মজাদার প্যাটিস আর লাভলী চানাচুর। কখনো আবার স্বপন হোটেলের জিলাপি আর সিঙ্গারা। বাইরের খাবার খেতাম কম , মাঝে মধ্যে। আসলে স্কুলের গন্ডি থেকে বের হতাম একেবারেই কম।

মধ্যবিত্ত মেধা বিষয়ে সংশয় দূর করেন ক্লাস এইটের বিজ্ঞানের শিক্ষক রব স্যার। স্যার আমাকে ফাস্ট বেঞ্চে বসান। অনুপ্রেরণা দেন।স্যারের কথা খুব মনে পরে। ক্যান্স্যারের সাথে লড়াই করে স্যার মারা যান। আমরা খবর পেলাম সকালে।
ওয়াজেদ ভাই নোটিশ নিয়ে এলো। স্যারের মৃত্যু সংবাদ সাথে ছুটির নোটিশ... হুম ছুটিই তো!
প্রথম পিরিয়ডের পর আর কোনো ক্লাস হবে না।
ছুটির নোটিশে আমরা কোনো আনন্দ পেলাম না। কোনো শোরগোল হলোনা। কেবল , কেবলই চোখটা ঝাপসা হয়ে উঠলো। বাদ জোহর স্যারের জানাজা হলো। জানাজা পড়ালেন হাফেজ আব্দুর রশিদ ( হাফেজ স্যার) ।
তিনি হু হু করে কাঁদলেন। কাঁদালেন। রব স্যার আমার বড় ক্ষতি করে চলে গেলেন। মধ্যবিত্ত মেধার কিন্তু ভীষণ অভিমানী ছেলেটি ফাস্ট বেঞ্চ ছেড়ে আবার চলে গেলো থার্ড বেঞ্চে।

মশিউর স্যার এবং তার স্কাউটিং এর কথা খুব মনে হয়। ক্যাম্পিং , হাইকিং ছিল শাহরিয়ার কবিরের বইয়ের মত এডভেঞ্চারময় ! জীবনে যা ভালো কিছু শিখেছি তার প্রায় সবই স্কাউটিং থেকে।

সময় কত দ্রুতই না চলে যায় !
ঢং ঢং ঢং.... । ভেড়ামারা পাইলট হাইস্কুলের আমাদের শেষ ক্লাসের শেষ ঘন্টাটা বেজে উঠলো।চতুর্থ পিরিয়ডে আমাদের ছুটি হয়ে গেলো।যে যার মত হৈ রৈ করতে করতে ক্লাস থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। আমি চলছি ধীরে। চারপাশের কলরব আমার কানে আসছে না। মাথার মধ্যে কেমন যেন সব ফাঁকা মনে হচ্ছে। মধ্যবিত্ত মেধার স্কুল ফাঁকিবাজ ছেলেটির এই প্রথম স্কুলের জন্য খারাপ লাগতে লাগলো। ঝাপসা চোখে কৃষ্ণচূড়া গাছ , শহীদ মিনার ,মঞ্চ , পাশে বাতাসে ওরা পতাকা , দূরে গোলপোস্ট।
যে গোলপোস্টে আমি কোনোদিনই গোল দেয়নি , তারপরও খারাপ লাগতে লাগলো।

হেঁটে হেঁটে চলে এলাম হেড স্যারের রুমের সামনে। তিনি বসে কাজে করছেন। তারসামনে একটা মিষ্টি , একটা সিঙ্গারা আর এককাপ চা রাখা। অনেকেই হয়তো জানেনা, তিনি স্কুলের তিরিশ টা বছর দুপুরে শুধু একটা মিষ্টি, একটা সিঙ্গারা আর এককাপ চা খেয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন।
হেড স্যারের রুমে আর গেলাম না।ভীষণ এক অদ্ভুত অনুভূতিকে পুঁজি করে পেরিয়ে এলাম স্কুলের চৌকাঠ। পেছনে আমার স্কুল। আমার স্কুলটা।

২০ শে জানুয়ারি , ২০১৮। শনিবার। ভেড়ামারা হাইস্কুল প্রাঙ্গনে বিশাল প্যান্ডেল । সারি সারি চেয়ার সাজানো। সুসজ্জিত স্কুল ময়দান। ভেড়ামারার প্রধান সড়ক গুলো পরিষ্কার , সাজানো। ছিমছাম , স্বপ্নের মত।
স্বগর্বে দাঁড়িয়ে থাকা স্কুলটা। শহীদ মিনার , কৃষ্ণচূড়া গাছ কিংবা একজন হেডস্যার আর সাথে আমরা---ইতিহাস। জানুয়ারীর শীতল সকালের সূর্যটা আভা ছড়াবে। ছড়িয়ে যাবে রেলির একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।
বাস থেকে নেমে হঠাৎ মনে হলো------
আমরা যখন শতবর্ষ উদযাপন করছি কিংবা স্মৃতিচারণ করছি ঠিক সেসময় শোভন মাহমুদ , মোনায়েমুল কিংবা মোমিনুলরা পৃথিবীর আরেক প্রান্তে কনস্ট্রাক্শন হেলমেট টা মাথায় লাগিয়ে নিচ্ছে , কেউ গাড়ির স্টিয়ারিং শক্ত করে চেপে বসে আছে।
এরপরেও কিছু সময়ের জন্য তারা আমাদের সাথে মিশে যাবে। জায়গা করে নিবে সারিবদ্ধ চেয়ারে , শোভা যাত্রার মাঝখানে , স্মৃতিচারণ মঞ্চে। কিংবা .... কিংবা ওই কৃষ্ণচূড়া গাছটার নিচে।
ভাবনার রাস্তায় সবুজ সিগন্যাল ধরে সোজা আমাদের সাথে। আসতেই হবে। এটাই নিয়তি!

** এই লেখাটি আমার স্কুলের শতবর্ষ উপলক্ষে লেখা হয়েছিল।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: কি লিখলেন ভাই! মনটাই আদ্র হয়ে উঠলো।

আমি স্কুলে নয়, মাদ্রাসায় পড়েছি। মাদ্রাসা লাগোয়া একই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠিত একটা হাইস্কুলও ছিল, তার সামনে বিশাল একটা মাঠ। ক্লাস নাইনে থাকতে আমি আর আবু সাঈদ চৈত্রর এক দুপুরে বায়োলজির ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ওই মাঠে চলে গেলাম চলতে থাকা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিং করতে। ক্লাস থেকে আসাদ স্যার সেটা দেখে ফেললেন। পরদিন ক্লাসে ঢুকই আসাদ স্যার বললেন- আম্পায়ার দুইজন কান ধরে দাড়া....

দীর্ঘদিন পর মুহসীন হলে থাকাকালীন সময়ে একবার আসাদ স্যারের চিঠি পেলাম, সম্বোধন করেছেন- 'আম্পায়ার সাহেব'....!
কত শত ছাত্র একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে বছর বছর, আবার চলে যায়। তার মধ্য কোথাকার কোন এক ছাত্রের একদিনের এক কীর্তিকে মনে রেখে স্যার 'আম্পায়ার সাহেব' বলে চিঠি লিখলেন।

মনটা খারাপ হয়ে যায়। এইসব আপনজনদের জন্য আসলে কিছুই করতে পারিনি আমরা। তখনকার দিনে তো আর এখনকার মত টিউশনির রমরমা ছিলো না, আপনার হেডস্যারের মতই মফস্বলের অধিকাংশ স্যারই খেয়ে না খেয়ে পড়িয়ে গেছেন আমাদের, মানুষ হতে সাহায্য করেছেন। বছর দু'য়েক আগে আবু সাইদের সাথে কথা বললাম- চল, দু'জন মিলে একবার সব স্যার-হুজুরদের কাছে যাই ছোট্ট একটা গিফট নিয়ে, দেখা করে আসি.... হলো না, আমাদের জাগতিক ব্যস্ততা দুমড়ে মুচড়ে দিলো সে পরিকল্পনা।

ব্লগে বেশি মন্তব্য পাওয়া বা ভিউ পাওয়ার কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে, আপনার এই লেখাটা সেই ক্রাইটেরিয়াতে পড়েনি, তাই ভিউ বা মন্তব্য কম পাবেন। মন খারাপ করবেন না। লেখাটা হৃদয়ছোঁয়া বলেই আমার মনে হয়েছে।

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি 'স্মৃতিকাতরতা ' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার জন্য দোয়া করবেন। অনেক দিন পর ব্লগে আসলাম। ভালো থাকবেন সব সময়। শুভ ব্লগিং।

২| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ ,




আপনার এমন নষ্টালজিক লেখার কারনে সকল পাঠকের ফেলে আসা স্কুলের দিনগুলোর সৌরভ হুড়মুড় করে ছড়িয়ে যাবে বুকের গহীনে !

খুব ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ ।

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি 'স্মৃতিকাতরতা ' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার জন্য দোয়া করবেন। অনেক দিন পর ব্লগে আসলাম। ভালো থাকবেন সব সময়। শুভ ব্লগিং।

৩| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

সাহিদা সুলতানা শাহী বলেছেন: মিষ্টি ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ, বেশ ভালই লাগল।

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি 'স্মৃতিকাতরতা ' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার জন্য দোয়া করবেন। অনেক দিন পর ব্লগে আসলাম। ভালো থাকবেন সব সময়। শুভ ব্লগিং।

৪| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর ! মন ছোঁয়া লেখা !!
প্রায় সবাইকে ই এসব লেখা নস্টালজিক করে দেয়, লেখকের সাথে পাঠকের নিজের স্মৃতির জানালা ও খুলে যায়।

মুগ্ধতা রেখে গেলাম।

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি 'স্মৃতিকাতরতা ' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার জন্য দোয়া করবেন। অনেক দিন পর ব্লগে আসলাম। ভালো থাকবেন সব সময়। শুভ ব্লগিং।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: সুখ যেন আজ মৃত আত্মাদের মত,
ঘুমিয়ে আছে জীবন
নামের কবরে।

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি 'স্মৃতিকাতরতা ' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার জন্য দোয়া করবেন। অনেক দিন পর ব্লগে আসলাম। ভালো থাকবেন সব সময়। শুভ ব্লগিং।

৬| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২০

ওমেরা বলেছেন: আবেগ দিয়ে লিখা মন ছুয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ নিবেন।

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি 'স্মৃতিকাতরতা ' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার জন্য দোয়া করবেন। অনেক দিন পর ব্লগে আসলাম। ভালো থাকবেন সব সময়। শুভ ব্লগিং।

৭| ১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

জুন বলেছেন: আমি মনে হয় এই প্রথম আপনার লেখা পড়ছি স্বপ্নবাজ সৌরভ ।
পড়তে পড়তে মন ছুটে গেল সেই জীবনের প্রথম স্কুলে যেখানে আমি মাত্র বছরখানেক পড়েছিলাম । সামনে সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠ আর পেছনে সার সার সেগুন গাছ পেরিয়েই বিশাল দিঘী । আপনার মত আমিও কিছুটা ভাবুক টাইপের ছিলাম। দুরন্ত মেয়েরা টিফিন পিরিয়ডে বৌ চি খেলায় অত্যন্ত দ্রুততায় প্রতিপক্ষের মেয়েদের ছুঁয়ে আসতো। তারা আমাকে কক্ষনো খেলায় নিতনা। আমি সাইডে দাঁড়িয়ে দেখতাম আর ভাবতাম এতক্ষন তারা কি করে দম রাখছে !
অনেক ভালোলাগা রইলো আপনার লেখাটিতে ।
+

১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমার লেখা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানায়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে আমি কখনো আমার সিট ছেড়ে উঠিনি। টিফিন পিরিয়ডে ছেলেরা মেয়েদের সাথে বৌচি , বরফ পানি খেলতো আমি শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.