নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......
১.
প্রায় দুই সপ্তাহ পর দেখা হলো। কাছে থেকেও কতদূরে!
একসময় ইচ্ছে হলেই চলে যাওয়া যেত, ক্লাস শেষ করে সোজা স্টার কাবাব, এক কাপ চা।
সময় পাল্টাচ্ছে, উদ্যানে থাকছে না ঘাস, কংক্রিটে বাসা বাঁধছে কর্পোরেট
স্বপ্ন.... খবরের কাগজ বিছিয়ে সংসার পাতা হয়না অনেক দিন!
তারপরেও একটা দিনের জন্য সব উলট
পালোট হবে...একটা দিনের সেই হারানো সুর
বাজবে.. এইরাত তোমার আমার!
ভালো থেকো, কোন এক ছুটির দিনে আবার
দেখা হবে...।
--- স্বপ্নবাজ সৌরভ ।
২৫.০১. ২০১৩।
২.
বয়স ১৩ ।
সাথে সাথে তোমাকে পরীক্ষা দিতে হবে বাঁচা মরার...
জিপিএ পেলে বাঁচো না পেলে বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই! বাংলাদেশ জিপিএ
ফাইভ আর ডাক্তার ইন্জিয়ারের দেশ....
বুড়ো রবীন্দ্রনাথ, এস এম সুলতানের ঠাঁই এদেশে নেই।সিদ্ধান্ত তোমার ডাক্তার হও, নয়তো মরো।
জানিনা, মৃত দুজনার মধ্যে কেউ জাফর ইকবাল স্যার
কিংবা আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার ছিলেন কিনা। একজন সাকিব আল হাসান হলেও হতে পারতো!
গর্ভধারনের সাথে সাথে ভ্রুণের একটা টেস্ট নিয়ার সিস্টেম
থাকলে ভালো হত....ভ্রুণ জিপিএ না পেলে বাবা বলবে, মেরে ফেলো...
ডাক্তার ইন্জিয়ার হবার ক্ষমতা এ শিশুর নেই! শুধু শুধু গর্ভধারনের দশ মাসের কষ্ট আর বাকি জীবনের পরিতাপ।
মা ও অতি আনন্দে রাজী হবে, যাক বাঁচা গেল!
কন্যা শিশু হত্যার কারণ কারণ কি তাহলে পরিষ্কার হচ্ছে ?
কন্যা সন্তানের কিছু করার ক্ষমতা নেই! তাই ভ্রুণ হত্যা অথবা জ্যান্ত কবর! জাহেলিয়াতের সময়ে!
আদিমতা কে আমরা বর্বরতা বলি আর আমরা এখন বাস করছি অতি আধুনিক
বর্বর যুগে...যে যুগে 'সাদা খাতায়' হেরে যাওয়াদের মরে যাওয়ার আশ্বাস দেয়।
--- স্বপ্নবাজ সৌরভ । ২৯.১২.২০১৫।
৩.
বাঁটা মসলায় গরুর মাংস রান্না অনেকদিন খাওয়া হয়না।এখন আছে রাধুঁনী মরিচের গুড়া, মাংসের মসলা। আগে মনে আছে বাড়িতে মাংস রান্না হতো শুকনা মরিচ বেঁটে, মাটির হাঁড়িতে। অপূর্ব একটা গন্ধ পেতাম, টকটকে লাল তেল ভাসতো আর ঝোলটা হতো অনেক গাঢ়, আস্ত সিদ্ধ নরম রসুন, কয়েকটা কাঁচা মরিচ!! নাহ্ সেই স্বাদ অনেকদিন পাইনা।
শীতের দিনে রান্না হতো, সাথে গমের আটার গরম তপ্ত রুটি। গরম রুটির গন্ধটা ই অন্য রকম। রান্নাঘরে পিঁড়িতে বসে, গরম রুটি ছিঁড়ে লাল লাল তেল যুক্ত ঝোল মাখিয়ে.... আহারে! আহারে!!
----স্বপ্নবাজ সৌরভ । ২৯.১১.২০১২।
৪.
কেউ একজন চেয়েছিলো স্বপ্ন
দুলাইন লেখা অথবা অক্ষরমালা।
অক্ষরমালা কুটিকুটি করে ছিঁড়ে
বাতাসে মিলিয়ে দিয়েছিলাম সে বহুকাল আগে,
আমি আজ ডানা ঝাপটায়...বাতাসে কান পেতে
শুনে ফিরি কবিতার অভিশাপ!
কেউ শুধু নেহায়াতি দুটো বাক্য চেয়েছিলো
অথবা বাক্যে আবদ্ধ একটা স্বপ্ন....
একটাই শুধু।
--- স্বপ্নবাজ সৌরভ।২৭.১১.২০১২।
৫.
আজ বারোটায় কোচ। বরাবরের মত তোমাকে রেখে ভেড়ামারা চলে যাবো। বরাবরের মত ই বুকটা হু হু করবে, গলা আটকে আসবে! নিউমার্কেট থেকে বিকল্পে যখন উঠি ঠিক এক ই অবস্থা হয়েছিলো... এই বাসটায় উঠবো না, পরের বাসে যায়... তোমার পাশে আরো কিছুক্ষন থাকার জন্য ।
বাসে উঠার সাথে সাথেই চোখটা ভিজে গেল, এই অবস্থা প্রকৃতি তোমার দিকে তাকানোর ক্ষমতা এখনো দেয় নি। তার পরের তোমার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে দেখলাম তুমি অন্য দিকে তাকিয়ে আছো... বুঝলাম, প্রকৃতির ব্যবহার দুজনার জন্য ই সমান। সাত বছর ধরে হচ্ছে এখনো হয়... আসলে কংক্রিটে কর্পোরেট স্বপ্ন বাসা বাঁধলেও তোমার আমার চোখের জল আটকে রাখার দুঃসাহস রাখে না!
ভালো থেকো, ভালোবাসি.... ।
---স্বপ্নবাজ সৌরভ। ২২.১০.২০১২।
৬.
তুমি বললে, জানো আজ মনে হয় বৃষ্টি হবে?
আমার শরীরে জ্বর, হঠাৎ করেই শরীরটা আনচান করে উঠলো।
আমি বললাম, বৃষ্টিতে ভেজা মাটির গন্ধতোমার কেমন লাগে?
তুমি উৎফুল্ল হয়ে বললে, ভীষণ ভালো!
কিন্তু ঢাকা শহরে মাটি কোথায়?
নিখাদ মাটির গন্ধ নিতে হলে গ্রামে যেতে হবে।
আমি চুপচাপ তোমার কথা শুনছি--
তুমি আবার বলে উঠলে, আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর তাই না?
এখানে ভেজা মাটির গন্ধ, ঝমঝম বৃষ্টির শব্দ! কোন কিছু না থাকার মাঝেও অনেক কিছু তাই না?
আমি তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি--
জানালার ঠিক পাশে তুমি দাঁড়িয়ে।
বাইরের দিকে তাকিয়ে তুমি বললে, জানো আমার খুব বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছা করছে!
বলতে বলতে তোমার চোখ ঝাপসা হয়ে উঠছে!
আমি তোমার আপনজন আমি বুঝি। আমার শরীরে অসুখ, আমি তোমার দিকে তাকিয়ে।
তোমার চোখ আর আকাশ দুজনায় বৃষ্টির অপেক্ষায়!!
--- স্বপ্নবাজ সৌরভ। ১৭.০৩.২০১২।
৭.
হাসপাতালের ছোট একটা কেবিন। সাদা বেডকাভার,সাদা বালিশ। জানালার পর্দা গুলোও সাদা। রুমটা দোতলায়। জানলাটা খোলা। আমার মাথার কাছে অনেক গুলো বই। একটা বইয়ের নাম 'রুপেরডালি খেলা'! রাশিয়ান একটা বই।
নিচে কয়েকজন ছোট ছেলে ক্রিকেট খেলছে।ফর্সা ছিপছিপে কোঁকাড়া চুলে ছেলেটার হাতে একটা ব্যাট। ব্যাটে গোটা অক্ষরে ইংরেজিতে ইমরান খানের নাম লেখা, পাশে সিগনেচার। ঐ ব্যাটটা আমার।
আমি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দেখি। আমার শরীরে অসুখ।
দীর্ঘ ঘুমের মধ্যে ভাঙা ভাঙা অনেক গুলো স্বপ্নের একটি দৃশ্যপট। ছোট ছোট বেলা কেটেছে অসুখে অসুখে... এখনো পিছু ছাড়েনি।পৃথিবীর সকল ছানাপোনারা ভারো থাকুক। ইচ্ছের নীল রং আকাশ ছুঁয়ে যাক্।
---স্বপ্নবাজ সৌরভ। ১৭.০৯.২০১২।
৮.
সিএনজির ভেতর একবার মনে হলো আমি আর বাঁচবো না! আমি বোধহয় বমি করতে করতে মারাই যাবো।
সিএনজি চালক ভীত চোখে আমার দিকে তাকায়। জ্যামে আটকে থাকা রিকশা থেকে প্রেমিক প্রেমিকার জুটির প্রেমিকাটা বলে উঠলো, 'চাচা সিএনজি সাইড করান! মাথায় পানি দেন।'
প্রেমিক পুরুষটা ভ্রু কুঁচকায়।
বিকট শব্দে আর একবার বমি, তিতা তরল গুলো ছিঁটকে বের হয়।
উতলা সিএনজি চালক বলে, "বাজান, আপনের বাসা ঠিকানা বলেন।"
আমি আরেকবার বমি করতে করতে বলি, আমি মরবো না!
ইতিমধ্যে সিএনজি সাইড করা হয়ে গেছে। চায়ের দোকান থেকে পানি এনে মাথায় ঢালছে সেই ফুলওয়ালী মেয়েটি! কোথায় যেন বলে ছিলাম, ফুলওয়ালী মেয়েটা বেমালুম ভুলে যাবে ফুলের নাম!
আমি মরিনি। গত তিনঘন্টা আগে বাসায় এসেছি। বাসায় এসে আবার বমি। শেষ তরল পদার্থ টুকু ছিটকে পড়লো। আর বেশী কিছু মনে নেই। হাতরে হাতরে ফোনটা হাতে নিলাম... আমাদের বাংলাদেশে প্রেমিকা মেয়েটা, বুড়ো সিএনজি চালক, ফুলওয়ালী মেয়েটা কোন একটা কিছু কোনদিনই ভুলে না!
---স্বপ্নবাজ সৌরভ। ২৬.০৯.২০১৩।
চলে যাওয়া দিন হাতড়ে ফিরি।টুকরো টুকরো স্মৃতি গুলো দেয়ালে সেঁটে দেয়ার চেষ্টা।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।
টুকরো টুকরো স্মৃতি ঘাঁটি মাঝে মাঝে। ব্লগে সংরক্ষণ করতে ইচ্ছা হলো।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনি ভালো থাকবেন।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বেশ সুন্দর একটা পোস্ট, অনেকগুলো সমস্যার কথা বললেন, ভালো লাগলো। কবিতা গুলোও চমৎকার কথামালায় সাজিয়েছেন।
তিন এ বলা কথাগুলো একদম সত্য, এখন সবকিছু নতুন পুরোনো স্বাদ নিতে পারা খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার।
ভালো লাগলো ভাই
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: শুধু ৪ নম্বর টা কবিতা লিখেছিলাম। একবন্ধুর জন্য।
বাকি গুলো nokia xpressmusic 5130 হাতে হুট হাট করে লিখে ফেলা তাৎক্ষণিক আবেগ !
আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ভালো থাকবেন। যদি সম্ভব হয় ৩ নম্বরের মত রান্না করে খাওয়াবো একদিন। ভালো থাকবে।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সহজ সরল আমাদের রাজীব ভাই। ভালো থাকবেন আপনি।
কোন অংশ আপনার বেশি ভালো লেগেছে?
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মাংসের অংশ ও খেলার অংশটা এবং প্রথমটা বেশ লেগেছে।
মজটরশুটি দিয়ে গরুর মাংস খেলাম বলার মত স্বাদ নয় তবে বুটের ডাল দিয়ে গরুর মাংস দারুন লাগে।
ভাল থাকুন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মটরশুঁটি দিয়ে মাংস আমার ভালো লাগেনা।
এমনিতে মটরশুঁটি আমার অনেক ফেবারিট। সারাবছর ফ্রিজে রেখে খাই।
আপনিও ভালো থাকবেন। কিছু অংশ ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ জানবেন।
৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
সাইন বোর্ড বলেছেন: সব গুলোই অসাধারন লেগেছে । কিন্তু এক সাথে এত গুলো কেন ?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ সাইনবোর্ড। হমম ... পাঁচটা যথেষ্ট ছিল।
পরবর্তীতে অল্প অল্প দিবো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩১
কিরমানী লিটন বলেছেন: ভার্চুয়াল দিনলিপি - ১
মুগ্ধ ভালোলাগা....।