নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......
শুভ অপরাহ্ন। এই দুপুরে ঘুমঘুম চোখে খুব সহজেই কিন্তু শৈশবে ফিরে যাওয়া যায়। আমার দিব্যি মনে আছে দুপুরের খাওয়ার পর রাশিয়ান বই পড়তে পড়তেই ঘুমিয়ে যেতাম খুব ছোট বেলায়। সেই অসংখ্য বই ছবি আর গল্পের ভিড়ে আজ একটি ঝকঝকে শৈশব নিয়ে এলাম।
লাল বইয়ের মলাটে জড়ানো অদ্ভুত সুন্দর এক শৈশবের বই 'গল্প আর ছবি।' লাল মলাটের এই বইটি নিমেষেই শৈশব কে রাঙিয়ে দিতো চমৎকার কিছু চকচকে ছবিতে।রাশিয়ান শিশুতোষ বই গুলোর ছবি গুলো যে কি সুন্দর হতো , এই বই না দেখলে বোঝা যাবে না। 'গল্প আর ছবি' এর একটা ছবি গল্প আজ নিয়ে এলাম।
প্রগ্রতি প্রকাশনের ছাপাখানা বন্ধ হয়েছে বহু বছর আগে।এখনকার বাচ্চাদের কাছে সেই বই গুলো নেই। অনেকে শৈশবের মহামূল্যবান সম্পদ গুলো আজ আগলে রেখেছেন , বুক সেলফে রঙিন সেই শৈশব সবচেয়ে বেশি ঝলঝল করে , ঝকঝকে সোভিয়েত শৈশব।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস বাচ্চা এবং বাচ্চার বাবা মায়ের জন্য। আমার মত যারা এখনো বাচ্চা আছেন তাদের জন্য।সবার জীবনে শৈশব আসুক ফিরে ----------
গল্প : বিপদ তারণ পাচন
বাড়ি যাচ্ছিলো সজারু। পথে সঙ্গ ধরলো খরগোশ , চলল তারা দুজন মিলে। দুজনে পথ পাড়ি , অনেক তাড়াতাড়ি।
বাড়ি তো কাছে নয় , যায় , যেতে যেতে গল্প করে।
পথে পড়েছিল একটা লাঠি।
গল্প করছে খরগোশ , নজর করেনি , হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে আর কি।
'বটে ! ' রেগে উঠলো খরগোশ , লাথি মারলে লাঠিতে , দূরে গিয়ে পড়লো লাঠিটা।
সজারু কিন্তু কুড়িয়ে নিলে লাঠিটা। কাঁধে তুলে চলে গেলো খরগোশের সঙ্গ ধরতে।
খরগোশ দেখে সজারুর কাঁধে লাঠি। অবাক হয়ে বলে :
'লাঠিটা নিয়ে কি হবে তোর , কী বা লাভ ?
' এ লাঠি সাধারণ লাঠি হয়' , বললে সজারু , ' এ হলো বিপদ তারণ পাঁচন। '
জবাবে কেবল ফ্যাঁচ করলে খরগোশ।
যেতে যেতে পড়লো নদী।
এক লাফে পেড়িয়ে গেল খরগোশ। অপর পাড় থেকে চেঁচিয়ে বললে :
' এই কাঁটা-মাথা , লাঠিটা ফেলে দে , লাঠি ঘরে পাড় হতে পারবি না!'
কিছু বললে না সজারু। একটু পেছিয়ে গেল সে, তারপর ছুটে এসে নদীর মাঝখানে লাঠি গেঁথে তার উপর ভোর দিয়ে এক লাফে পেড়িয়ে গেল অপর পাড়ে, দাঁড়ালে গিয়ে খরগোসের পাশেই , যেন কিছুই হয় নি।
দেখে হাঁ হয়ে গেল খরগোস :
' দেখছি তুই লাফ মারতে পারিস খাসা। '
সজারু বললে , ' লাফাতে আমি মোটেই পারি না। আমাকে সাহায্য করে ওই বিপদ তারণ পাঁচন , লাঠির ভরে বাঁচন।'
চলল তারা এগিয়ে। যেতে যেতে পৌঁছলো এক চোরাবালিতে।
খরগোস লাফিয়ে যায়। সজারু পেছু পেছু আসে , লাঠি দিয়ে মাটি পরখ করে দেখে।
' এহ , কাঁটা-মাথা কোথাকার , অমন কুঁতে কুঁতে আসছিস কেন ? বোধ হয় তোর ওই লাঠিটা...'
কথাটা শেষও হল না , লাফ দিতেই চোরাবালিতে ডুবে গেল একেবারে কান পর্যন্ত। এই বুঝি সে খাবি খেয়ে তলিয়ে যায়।
খরগোশের কাছে একটা ঢিবিতে এসে সজারু বললে :
' নে লাঠিটা ধর বেশ শক্ত করে। '
লাঠি আঁকড়ে ধরল খরগোশ।প্রানপনে বন্ধুকে চোরাবালি থেকে টেনে তুলল সজারু।
শক্ত ডাঙায় এসে খরগোশ বললে সজারুকে :
' ধন্যি তুই সজারু , আমায় বাঁচালি। '
'কি যে বলিস , এ ওই বিপদ তারণ পাঁচন , খানাখন্দে বাঁচন।'
চলল এগিয়ে , মস্ত এক ঘন কালো বনের প্রায় মুখে এসে দেখে মাটির উপর পাখির ছানা।
বাসা থেকে পড়ে গেছে , করুন স্বরে চিঁচিঁ করছে , মায়ে বাপে পাক দিচ্ছে কেবলি , জানে না কী উপায়।
' বাঁচাও গো সাহায্য করো আমাদের। ' কাকলী করে উঠল তারা।
বাসাটা অনেক উঁচুতে , নাগাল পাওয়া ভার। খরগোশ সজারু কেউ তো আর গাছে উঠতে জানে না। অথচ বিহিত একটা করা দরকার।
ভাবল সজারু , ভেবে উপায় বের করলে।
খরগোশকে হুকুম দিলে , ' গাছের দিকে মুখ করে দাঁড়া! '
গাছের দিকে মুখ করে দাঁড়াল খরগোশ। সজারু লাঠির ডগায় বসালে ছানাটিকে , নিজে লাঠি নিয়ে উঠলো খরগোশের কাঁধে , তারপর যতদূর পারে উঁচু করে তুলে ধরল লাঠিটা , প্রায় বাসার কাছেই পৌঁছলো ডগাটা।
ছানাটা এক লাফ দিতেই একেবারে বাসার মধ্যে।
মা বাপের তখন কী আনন্দ ! খরগোশ আর সজারুর চারপাশে উড়ে উড়ে কিচিরমিচির করে :
'ধন্যি তোমাদের , ধন্যি তোমরা ! '
আর সজারুকে বললে খরগোশ :
' সাবাস তোকে সজারু , বেশ বুদ্ধি করেছিলি !'
'কী যে বলিস , এ সবই ওই বিপদ তারণ পাঁচন , গাছে তোলায় বাঁচন।'
ঢুকল বনের মধ্যে। যতই ভেতরে ঢোকে ততই বন ঘন, ততই বন আঁধার।
ভয় লাগে খরগোশের। সজারু কিন্তু পরোয়া করে না , সামনে এগিয়ে চলে , লাঠি দিয়ে ডালপালা সরায়।
হটাৎ বনের ভেতর থেকে একেবারে সামনের দিকে লাফিয়ে এল প্রকান্ড এক নেকড়ে।
রাস্তা আটকে গর্জন করে উঠলো:
'থাম !'
থেমে দাঁড়ালো খরগোশ সজারু।
ঠোঁট চেটে দাঁত শানিয়ে বললে নেকড়ে :
'তুই সজারু সারা গায়ে কাঁটা তোর , তোকে ছোঁব না , কিন্তু তুই ট্যারা-চোখো খরগোস ,
তোর ল্যাজা মুড়ো সবশুদ্ধ গিলব। '
ভয়ে কেঁপে উঠলো খরগোস , লোম তার সাদা হয়ে উঠল , শীতকালে যেমন হয়।
ছুটতেও পারে না , পা যেন গেঁথে গেছে মাটিতে। চোখ বন্ধ করে ক্ষণ গুনছে এই বুঝি নেকড়ে তাকে খেলে।
সজারু কিন্তু ঘাবড়ালে না। লাঠিটা হাঁকিয়ে যত জোরে
পারে বাড়ি মারলে নেকড়ের পিঠে।
যন্ত্রনায় কঁকিয়ে উঠল নেকড়ে , লাফিয়ে উঠে দে
ছুটে...
সেই যে ছুটল , ফিরেও আর তাকাল না।
'ধন্যি তুই সজারু , নেকড়ের হাত থেকেও তুই আমায় বাঁচালি। '
' এ ওই বিপদ তারণ পাঁচন , পিটুনি দিয়ে বাঁচন। '
চলল আরো এগিয়ে। বন উজিয়ে বেরিয়ে এল পথে। তবে পথ আর দুর্গম , পাহাড় ভেঙে ওঠা।
সজারু লাঠিতে ভর দিয়ে খুটখুটিয়ে ওঠে , আর বেচারি খরগোস পিছিয়ে যায় , ক্লান্তিতে উল্টে পড়ে আর কি ।
বাড়ি প্রায় এসে গেছে। খরগোস আর চলতে পারে না।
'ভাবনা নেই ', বললে সজারু , 'আমার লাঠিটা ধর। '
লাঠি চেপে ধরলে খরগোস , সজারু থাকে টেনে তুলতে লাগল পাহাড়ে।
খরগোশের মনে হল পাহাড়ে উঠতে বেশ হালকাই লাগছে যেন।
বললে , ' দ্যাখ , তোর বিপদ তারণ পাঁচন আমায় এবারেও সাহায্য করল তাহলে।'
এমনি করেই সজারু ঘরে পৌঁছে দিলে খরগোস কে। খরগোস গিন্নি আর ছানাপোনারা তারই পথ চেয়ে বসেছিল।
সবার আনন্দ আর ধরে না। সজারুকে বলে খরগোশ :
' তোর এই বিপদ তারণ যাদু পাঁচন নইলে আর আমার ঘরে ফিরতে হত না। '
হেসে সজারু বললে :
'লাঠিটা তোকে উপহার দিলাম , কাজে লাগবে। '
অবাক হল খরগোস :
'এমন যাদু লাঠি ছাড়া তোর চলবে কি করে ?'
'ভাবনা নেই , ' বললে সজারু , 'লাঠি সব সময় মেলে , কিন্তু বিপদ তারণ ---- সেটা এইখানে। '
এই বলে নিজের মগজটা দেখাল সজারু।
সব তখন পরিস্কার হয়ে গেল। খরগোশ বললে :
' ঠিক বলেছিস , লাঠিটা কিছু নয় , বড়ো কথা হল বুদ্ধিমন্ত মাথা আর দয়াবন্ত বুক। '
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
বিপদ তারণ পাঁচন - গল্প এখানেই শেষ হলো। আগামীতে অন্য কোন ছবি গল্প নিয়ে আসবো বাচ্চা আর বাচ্চার বাবা মায়েদের জন্য। ভালো থাকুন। শৈশব ফিরে আসুক।
মাঝে মাঝে শৈশবের সেই রাশিয়ান বইগুলো বুকের মাঝখান থেকে আচমকা বের হয়ে আসতে চায় লেখায়। খুব ছোটবেলায় যখন আব্বা আমাকে বই পড়ে শোনাতেন , যখন আমি বানান করেও পড়তে পারতাম না , যখন আমি স্কুলেও যেতাম না -- তখন থেকেই রাশিয়ান বইগুলো আবার সাথেই আছে। তাই সেই 'ছোটমানুষের ' বইগুলোকে মাঝে মাঝে আমি শৈশবের স্কুল বলে ডাকি !
আরো সোভিয়েত শৈশব :
রাশিয়ান শৈশব: ছবি ব্লগ ( বাচ্চা এবং বাচ্চাদের বাবা মায়েদের জন্য )
রুটির ফুল --- আমার সোভিয়েত শৈশব (আমার শৈশবের স্কুল !)
সাত বন্ধু ইয়ুসিকের - ( আমার সোভিয়েত শৈশব )
রূপের ডালি খেলা - (আমার সোভিয়েত শৈশব)
জ্যান্ত টুপি (আমার সোভিয়েত শৈশব)
সভ্য হওয়া - (আমার সোভিয়েত শৈশব)
মালপত্র (আমার সোভিয়েত শৈশব)
শেয়ালের চালাকি ১ (আমার সোভিয়েত শৈশব)
মোরগ ভাইটি (আমার সোভিয়েত শৈশব)
বীরব্রতী ভাসিয়া -- আমার সোভিয়েত শৈশব (আমার শৈশবের স্কুল !)
আমার সোভিয়েত শৈশব - আমার শৈশবের স্কুল !
শুনছি , ঘাস বাড়ছে...
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই। আমার প্রচেষ্টা অনুপ্রাণিত হয় আপনাদের মন্তব্যে। ভালো থাকবেন।
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫২
জুন বলেছেন: ছোট বেলার কথা মনে পরে গেলো। ছোট বেলায় আনন্দ নিয়ে আসা বইটি আমার সংগ্রহে ছিল অনেকদিন।
+
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বেশ কিছু বই আমার কাছে আছে। এই বইটার উপর আলাদা মোহ ছিল। কি চমৎকার ছবি আর গল্প। ধন্যবাদ জুন আপু। ভালো থাকবেন।
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
সাইন বোর্ড বলেছেন: দারুণ আয়োজন !
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমার সামান্য প্রচেষ্টা। হয়তো কারো ভালো লাগবে। মন্তব্যে অনুপ্রেরণা।
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: কিছুদিন পূর্বে আপনার কল্যাণে পড়েছিলাম। আজ আবারো....
বাচ্চাকাচ্চার মা বাবারা উপকৃত হবেন।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমার প্রচেষ্টা তবে সফল হবে। মন্তব্যে সীমাহীন প্রেরণা।
ভালো থাকবেন।
৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭
সুনীল সমুদ্র বলেছেন: স্মৃতি জাগানিয়া দারুন এক পোস্ট। আমাদের অনেকের শৈশবের স্মৃতিতেই এই বইগুলো কোন না কোন ভাবে মিশে আছে ..।
আমার স্মৃতির মধ্যে আরও আছে (সম্ভবতঃ) 'যুববার্তা' নামে এক সাপ্তাহিক রুশ ম্যাগাজিনের স্মৃতি, যেটি ফ্রি সাবস্ক্রিপশন এর মাধ্যমে ডাকযোগে বাসায় পৌঁছে যেত প্রতি সপ্তাহে ..। আছে ধানমন্ডির ৭ নম্বর রোডের লেকের পাড়ে রাশিয়ান কালচারাল সেন্টারে গিয়ে ছবি দেখার স্মৃতি ..। .... 'রুশদেশের উপকথা', 'কাশতানকা' ইত্যাদি আরও কিছু বইয়ের কথাও মনে পড়ছে ..।
ধন্যবাদ আপনাকে, এমন একটি সচিত্র সুন্দর নস্টালজিক স্মৃতিজাগানিয়া পোষ্টের জন্য !
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমি বই অনেক বই পেয়েছিলাম উত্তরাধিকার সূত্রে , বড় বোনদের থেকে। আব্বা ঢাকা অথবা যোশরে গেলে নতুন বই কিনে আনতেন। এরপর তো প্রকাশনা বন্ধই হয়ে গেলো। আমার সব বই আব্বা কিনে দিয়েছেন। আব্বা ঢাকা অথবা যশোর গেলেই বইয়ের জন্য অপেক্ষা করতাম। আমাদের ওদিকে পাওয়া যেত না তেমন। একদিন অনেক রাত করে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম ভেঙে দেখি মাথার কাছে দুইটা বই আর বেশ কয়েকটা লজেঞ্চ। অরেঞ্জ লজেঞ্চ কমলার কোয়ার মত দেখতে। সম্ভবত ২৫ পয়সা করে নিতে। সেই সকালের অনুভূতি আর বই দুটোর কথা কোনদিন ভুলবোনা। বই দুইটা ১৯৮৬ সাল থেকে আমার মাথার পাশেই থাকে।
রুশদেশের উপকথা', 'কাশতানকা' আমার কাছে আছে। ইচ্ছা আছে ধীরে ধীরে শৈশব ফিরিয়ে আনবো। ভালো থাকবেন। মন্তব্যে অনেক সাহস পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯
হাবিব বলেছেন:
আহা রে শৈশব কোথা গেলি আয় দেখি
বুকে নিয়ে কাঁদা-জল সারা দেহে সোনা মাখি।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: চমৎকার বলেছেন স্যার। ধন্যবাদ নিন। শুভকামনা নিরন্তর।
৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১
কিরমানী লিটন বলেছেন: কোথায় হারালো সে প্রাণের শৈশব - দারুণ নষ্টালজিক....
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ ছন্দময় কবি। ভালো থাকবেন।
৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫
তারেক ফাহিম বলেছেন: শৈশবের ভাবনা মাথায় আসলে অন্যরকম অনুভুতি হয়।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: এই বই গুলোর যখন পেজ উল্টায় যখন কেমন যে লাগে !!
মন্তব্যে ভালো লাগা। ভালো থাকবেন।
৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!
দারুন লাগলো পাঠে!
যেন ছোটবেলায় ফিরে গেলাম
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা অনুপ্রাণিত হলো।
১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ ভালো লেগেছে। কিন্তু মেঘের পরীক্ষার জন্য ওকে কিছু বলতে পারলাম না । সোজা প্রিয়তে।
চমৎকার পোস্টে ভালোলাগা++
শুভকামনা প্রিয় সৌরভ ভাইকে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: =====
আসুক পরীক্ষাটা তারপরে ছুটি
তারপর ঝোলা গুড় আর পাউরুটি
পাগলা দাশুতে আছে ছুটির মেজাজ
সেসব পরের কথা পরীক্ষা আজ। ----- কবীর সুমনের গান।
আগে পরীক্ষা শেষ হোক। আমিও আরো কিছু রেডি
করতে থাকি। মেঘদের জন্য ভালোবাসা বরাদ্দ থাকলো।
মন্তব্যে অশেষ অনুপ্রেরণা। ভালো থাকবেন।
১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৯
করুণাধারা বলেছেন: কি দারুন গল্প, আর কি তার দারুন অনুবাদ! ছবিগুলোও চমৎকার! গল্পগুলো সব শিক্ষামূলক, এমন শিশুসাহিত্য আর কোন দেশে নেই বলেই মনে হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ এই চমৎকার গল্পটা আরেকবার পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: গল্প ছবি আর অনুবাদ প্রচন্ড মোহময় আর কি শিক্ষণীয় !
আপনার মন্তব্যের সাথে আমি একমত। রাশিয়ান
রাশিয়ান শিশু সাহিত্যের তুলনা নেই। ++
মন্তব্যে অফুরন্ত প্রেরণা। ভালো থাকবেন।
১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৩
বন্য যোবায়ের বলেছেন: স্মৃতিরা অবসর নিয়েছিল, আজ ফিরে এসেছে। সুন্দর আয়োজন!
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। স্মৃতি ফিরে আসুক , শৈশব ফিরে আসুক। মন্তব্যে প্রেরণা পেলাম।
১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৯
সোহানী বলেছেন: আহ্ সেই শৈশবের দিনগুলো। বাবার ছিল বিশাল বইয়ের সংগ্রহ, আর তাতে ছিল অনেকগুলো রাশিয়ান অনুবাদ। কেন যেন আগের দিনে প্রচুর সেসব অনুবাদ পাওয়া যেত যা এখন তেমন দেখা মিলে না।
অনুবাদ সহ সবকিছু অসাধারন লাগলো।................
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আসলে অনুবাদ টা অন্য মাত্রার। বিশেষ করে ননী ভৌমিকের অনুবাদ। আমার শৈশব রাশিয়ান বই আর ননী ভৌমিকের কাছে চিরঋণী।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাদের মন জুড়ানো মন্তব্যে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা অনুপ্রাণিত হয়।
ভালো থাকবেন।
১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২১
শিখা রহমান বলেছেন: আপনি আসলেই স্বপ্নবাজ!! কি আনায়াসেই ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন সেই স্বপ্নময় নির্ভার শৈশবের দিনগুলোতে।
পরের পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভকামনা প্রিয় কবি-লেখক। ভালো থাকুন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মন্তব্যে অফুরন্ত প্রেরণা। ভালো থাকবেন। বই হারিয়ে গেলেও শৈশব হারাবে না।
পরের পোস্ট ধীরে ধীরে তৈরী করছি। অপেক্ষায় থাকেন। আমার কষ্ট সার্থক হোক।
১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৩
ইমরান আশফাক বলেছেন: আমার ও ছিলো এই বইটি, এখন কোথায় পাওয়া যায় এইসব বইগুলো?
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হয়তো পাওয়া যাবে না।
আমি মাঝে মাঝে নীলক্ষেতে খোঁজ করি। হঠাৎ একদিন মিরপুর ১০ এর পুরোনো বইয়ের দোকানে পাঁচ ছয়টা বই পেয়েছিলাম।
ভালো থাকবেন। আমি পেলে আপনাকে জানাবো।
১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২১
ল বলেছেন: সব্যসাচী স্বপ্নবাজ.....
শৈশবের বেভুল জীবনের যত সাজ....
চমৎকার +++
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বেঁচে থাক শৈশব
রাশিয়ান বই সব !
ভালো থাকবেন। অশেষ ভালোলাগা আর অনুপ্রেরণা মন্তব্যে।
১৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই বইটা আমার মেয়ের জন্য কিনতেই হবে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: পাবেন কিনা জানি না রাজীব ভাই। যদি পান আমার জন্যেও একটা রাখবেন। আমি আবার লাগবে। এইগুলো সম্পদ। ভালো থাকবেন।
১৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭
ডি মুন বলেছেন: দারুণ পোস্ট
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।মন্তব্যে অশেষ প্রেরণা।
১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৪
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
রাশিয়ান বই গুলো এখন আর তেমন পাওয়া যায় না ।
তবে হ্যা পুরাতন বইয়ের দোকানে পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশি চায় ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: শিশু সাহিত্য কি পাওয়া যায়? আমি সেদিন 'দুনিয়া কাঁপানো দশদিন' পেলাম। ৫০০ টাকা চাইলো। কিন্তু শিশু সাহিত্য পাচ্ছি না।
২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১২
ওমেরা বলেছেন: খুব শিক্ষনীয় গল্পটা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: গল্প ছবি আর অনুবাদ প্রচন্ড মোহময় আর কি শিক্ষণীয় !
তুলনা নেই।
২১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: কোল্ড ওয়ারের দিনগুলোতে আমাদের স্কুল গোয়িং হৃদয়ে উষ্ণতা ছড়ানো গল্পের স্বপ্নবাজী -----চমৎকার, স্বপ্নবাজ সৌরভ !!
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: এই বই হাতে পেয়েছিলাম আমি ১৯৮৫ সালের দিকে। একেবারেই ছোট আমি। তবু মনে আছে।
হৃদয়ে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে পেরে ভালো লাগছে। আপনাদের অনুপ্রেরণায় আমার রাশিয়ান শৈশব অব্যাহত থাকবে। ভালো থাকবেন।
২২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২
ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। রাশিয়ান শৈশবের শুভেচ্ছা নিন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭
ইসিয়াক বলেছেন: ঝলমলে শৈশব ....।বাহ চমৎকার