নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......
ব্লগ টিম চমৎকার সব উদ্যোগ নিচ্ছে। কন্টেন্ট রাইটিং, ফিচার প্রতিযোগিতার, স্মৃতিচারণ প্রতিযোগিতা। আমি ফিচার লিখতে পারিনা। তাই চেষ্টা করেও লেখা হয়নি। অনেকদিন ব্লগের বাইরে ছিলাম। স্মৃতিচারণ প্রতিযোগিতা হচ্ছে জেনেও ব্লগে আসতে পারিনি। সময়ের অভাবে লিখতেও পারিনি। শেষ মুহূর্তে কিছু লিখতে ইচ্ছা হয়েছিল কিন্তু কোন ভাবেই কিছু একটা দাঁড় করানো গেল না ।
ভাবনা এবং লেখায় খরা চলছে। চট করে তেমন কিছু মাথায় আসছে না। আমার শৈশবে আহামরি কিছু নেই যেটা রচনার মত লিখে ফেলা যাবে। স্কুলে থাকতে পরীক্ষায় রচনা লিখতে হতো। সবাই সময়ের মূল্য, শ্রমের মর্যাদা লিখে ২০ শ ১৫ পেতো আর আমি একটি বর্ষনমুখর সন্ধ্যা/রাত, আমার শৈশব স্মৃতি লিখে ১০ও পেতাম না। তারপরেও এই টপিক গুলো কেন বাছাই করতাম কে জানে।
আমার শৈশব ঘটনা বহুল হয়। তবে জীবনের সবাই আনন্দময় আর ক্ষণস্থায়ী সময় বলেই হয় মনে আলোড়ন তোলে। শৈশবের সামান্য কিছু অনুভূতি গুলো দারুণ আবেগি হয়ে উঠে।
ছোট ছোট বিষয় গুলো স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠে। কেন জানি কিছুতেই ভোলা যায়। মন থেকে মুছে যায় না। আহামরি কোন বিষয় না তবুও ক্ষুদ্র বিষয় গুলো ভুলতে পারিনা। বারবার মনে হয়, শিহরণ জাগে , সাথে মন খারাপ হয়।
আমার আব্বা ছিলেন প্রধান শিক্ষক। বিকেলে বাড়ি ফিরতেন। তাঁর জন্য অপেক্ষা করতাম বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে। এই সবই আমার শৈশবের অংশ। আহামরি কিছু নেই। সেই বিকেল গুলোতে অনেক কিছু করার থাকতো। ইমরান খানের ব্যাট হাঁকানো, মাছ ধরা, ফড়িংয়ের পিছে দৌড়ানো। না, সেই সময়টাতে আমি কোন কিছুই করতাম না। পড়ন্ত বিকেলে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতাম রাস্তায়।রাস্তার মাথায় একসময় আব্বা দৃশ্যমান হতেন। অদ্ভুত আনন্দ। এটাই আমার শৈশব ।
১৯৯২ সাল। এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিলো। ভেড়ামারা পাইলট হাইস্কুলের হেডস্যার হাসিমুখে বাড়িতে ফিরলেন। উনার পিছনে স্কুলের দপ্তরীর দুইহাতে মিষ্টির প্যাকেট। স্কুলের ছাত্র ফেরদৌস ওয়াহেদ তপু বোর্ড স্ট্যান্ড করেছেন। আব্বার হাসিমাখা মুখ দেখে আমার মনটা খারাপ হতে থাকলো। কিছুদিন পর তপু ভাইয়ের সাথে আব্বার ছবি ছাপা হলো। আব্বার পকেটে গোঁজা রেড লিফ কলম আর চোখে কালো ফ্রেমের ভারি চশমা , ঠোঁটের কোণে হাসি। মনটা খারাপ হলো কারণ এমন উপলক্ষের ছবি আব্বার সাথে কোনদিনই তোলা হবে না।
লেখাপড়া আমার কাছে বিভীষিকার মত ছিল যেন। শৈশবের সবচেয়ে ভয়ংকর অধ্যায়। যার ভয়াবহতা এখনো কাটেনি। কিন্তু ক্লাস ওয়ানের সেই সাদা জামা আর নীল হাফ প্যান্ট পড়ে প্রথম দিনটা আর স্কুলে ভর্তি হবার উৎকন্ঠা , আয়োজন কোনটাই কম ছিল না । নিয়মিত স্কুলে না গেলেও ক্লাস ফোর পর্যন্ত আমার রোল নং ছিল এক। ক্লাসের অনেকেই আমাকে এক বলে ডাকতো। ক্লাসে ঢোকা মাত্র অনেকেই বলে উঠত , 'এক' আসছে। 'এক' আসছে।
এক ক্লাসে আসা বিশেষ ব্যাপার হয়তো। কারণ এক নিয়মিত স্কুলে আসতো না। আমার জন্য ফাস্ট বেঞ্চে জায়গা রাখা হতো। আমি ক্লাসে ঢুকে বেঞ্চে চুপ করে বসে থাকতাম। ক্লাসরুম থেকে বেরুতাম না।
টিফিন পিরিয়ডে সবাই হৈ হৈ করে বের হতো। আমি চুপ করে বসে টিফিন সাড়তাম। সবাই যখন স্কুল প্রাঙ্গনে বউচি , গোল্লাছুট খেলছে আমি তখন চুপ করে বসে নিজের মনেই খেলি -- এনা, বেনা , রেস...'
‘কুইন্তের , কন্তের , জেস!’ রাশিয়ান বইয়ের সেই রূপের ডালি খেলার সেই অদ্ভুত খেলাটা যেখানে 'যে ন্যায়পর অজ্ঞতায় আমরা তখন ছিলাম তাতে ভালো মানুষকে ধরা হতো সুন্দর আর খারাপ কে অসুন্দর !'
সাত নম্বর ফ্ল্যাটের নিন্কা ছিল অসাধারণ অসুন্দর! তবুও সেই ছিল আমাদের কাছে সবচেয়ে সুন্দর। আমার শৈশবটা অর্থবহ ছিল। সেই শৈশবে সুন্দরের মানে ভিন্ন ছিল। বড় হয়ে ভুল শিখলাম। ভুলে গেলাম ভালোই সুন্দর।
আমার দাদা মারা গেলেন কোরবানি ঈদের আগে দিন মাগরিবের আজানের পর। ঘর থেকে ছুটে বের হয়ে উঠোনে এসে থমকে দাঁড়ালাম। সামনেই দাদার ঘর , সেই জানালায় দাদা বসে থাকতেন। জানালায় বসে আমাকে দেখা মাত্রই ' কুটি ভাআআই’ বলে আর কেউ ডাকবে না।
সবাই হুহু করে কাঁদছে। দাদাকে দেখতে বাড়িতে মানুষের ঢল নামছে। সবাই চোখ মুছছে কিন্তু আমার কান্নাটা কোথায় যেন আটকে গেল।
আব্বা আমার মাথার পিছনে হাত বুলিয়ে দিলেন। আমি আর আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম না। চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম- আমার দাদা মরিনি, আমার দাদা মরিনি। দূর থেকে ' ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক....' ভেসে আসছে। ঈদের শুভেচ্ছা আর জামাতের সময় নিয়ে মাইকিং বের হয়েছে। ঈদের নামাজ দাদা পড়াতেন। আর পড়াবেন না। কুটি ভাআআই বলে কেউ ডাকবে না। কেউ না। একটু পরে দাদার শোক সংবাদ নিয়ে মাইকিং বের হবে। আগামীকাল ঈদ। কোন আনন্দ নেই। একটুও না।
আমার দাদা যে জানালায় বসে আমাকে ডাকতেন , সবকিছু দেখতেন ঠিক তেমন একটা জানালা আমার আছে। দক্ষিণের জানালা। কাঠের দুইটা পাল্লা , তাতে কাঠের হুড়কো দিয়ে আটকানো। সেই জানালায় আমি শৈশব দেখি। সেই জানালা মাত্রই ধানখেতের সবুজ হাওয়া দোল দিয়ে যায়। আমি খেতের ধার ধরে দৌঁড়াতে থাকি , দৌঁড়াতে থাকি , খোলা প্রান্তরের দিকে।
আমার এই জানালা শৈশবটা এক্কেবারে স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দেয়। সেই জানালায় আমি একটা ইদরা (কূপ ) দেখতে পায়। সেই ইদরার ধারে ছোটদের যাওয়া মানা ছিল। আমি দুরে দাঁড়িয়ে দেখতাম শুধু। কৌতূহল হতো খুব। কি আছে দেখার জন্য। একবার আব্বা ইদরার ধারে নিয়ে গেলেন। কোলে করে ঝুকে ইদরা দেখালেন । আমি অবাক হলাম , কি গভীর! অনেক নিচে পানি , দড়ি বাধা বালতি ফেলে পানি তুলতে হয়। আব্বা আমাকে চিৎকার করে কিছু বলতে বললেন। আমি চিৎকার করে বললাম , আব্বাআআ !
কি অদ্ভুত ! ভীষণ গভীর থেকে ইদরা যেন আমার কথা ফেরত দিলো।
আমি অবাক হয়ে আবার চিৎকার করে উঠি। দারুন মজার একটা খেলা যেন।
আব্বা বললেন , কেন এমন হয় জানো ?
আমি জানাতাম না এবং সেই সময় জানতেও ইচ্ছা হলো না। কারণে অদ্ভুত খেলায় মেতে থাকতে মন চাইলো।
আমার সেই জানালা এমন অনেক কিছুই দেখায়। আমি বড় হলেও জানালার বয়স বাড়ে না। বাড়ে শুধু স্মৃতি আর শৈশবের অফুরান দৃশ্যপট। আমি যেগুলো বললাম সেগুলো সবই সেই জানালায় ভেসে ওঠা জীবন্ত দৃশ্যপট। আমার জানালা আমার শৈশব আর বাবা ছেলের গল্প গুলো নিখাদ অনুভূতি গুলো কোন এক সুতোয় বেঁধে রাখে। খিল দেয়া সেই জানালা। তবে আমি ইচ্ছে করলেই খুলতে পারি। আহা আমার দক্ষিণ খোলা জানালা......
আমার ছেলে নতুন এক খেলা শিখেছে। আমাদের বাড়িতে দুইতলা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। নতুন পলেস্তরা করা ঘরে উচ্চস্বরে কথা বললে দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে। প্রথম দিন ভয় পেয়ে বললো , "বাবা ! কে ছব্দ করে ?"
ব্যাপারটা বোঝার পর ভয় পরিণত হয়েছে খেলাতে , মজার সেই খেলা । বাবা বলে চিৎকার করে উঠে আর বাবা ফিরে ফিরে আসে। দারুন একটা মজার ব্যাপার আর সেই সাথে বিস্ময় ! আমাকে বলে , "বাবা , তুমি বাবা করো।"
আমি চিৎকার করে 'বাবা' বলে উঠি। চার দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে শব্দটা অদ্ভুত হয়ে ফিরে আসে। ছেলেটা হা হা করে হেসে উঠে আর হাততালি দেয়। ফিরে আসে হা হা হাসির শব্দ , ফিরে আসে হাততালি , ফিরে শৈশব ! আহ শৈশব ! কি অদ্ভুত শৈশব !!
আমি আবার চিৎকার করে বলি , বা-বা !
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমার উত্তর খোলা জানলায়
বাড়ে বয়স
যা কিছু স্মৃতি স্বত্তা
কাঁপে দারুন
বাড়ে বয়স ।।
২| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আমিও ইভানের মতো বাবা বাসায় না ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতাম।
বাবা ফিরে আসলে কেমন যেনো একটা শান্তি শান্তি অনুভব।
যতক্ষণ না ফেরে কেমন এক অস্থিরতা।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
এই সামান্য দৃশ্যপট আর অনুভূতি গুলো যে তার লেখায় অসম্ভব ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে তাকে আমার হিংসা হয়।
৩| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
শাওন আহমাদ বলেছেন: কত্ত দিন পর! মিসিং ইউ ম্যান। আপনি একজন স্মৃতিখোর মানুষ তাই শৈশবে রচনা লেখার জন্য স্মৃতি কেই বেছে নিতেন। অনেকদিন পর আপনার স্মৃতি পড়লাম, ভালো বোধ হচ্ছে।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:০১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আপনাদের মিস করেছি।
আপনি দারুণ স্মৃতি আর অনুভূতি লেখেন।
৪| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কর্তৃপক্ষ কে অনুরোধ করে এখন দিয়ে দেন, কি সমস্যা? একজনো তো নির্বচকরা কাজ শুরু করেন নি।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ভাই লেখাই তো রেডি নাই।
৫| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:০৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
এডমিনকে জানিয়ে লিখুন,পুরস্কার আসতে পারে।
০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
পুরস্কার পাবার মত কোন লেখাই রেডি নাই।
৬| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি কি রাশান বাংলা ম্যাগাজিন “উদয়ন” পড়েছেন? আপনার লেখা ভালো আপনি স্মৃতিমূলক গল্প পোস্ট দিতে পারতেন।
১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:২৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
সোভিয়েত নারী এবং আরেকটি ম্যাগাজিন পেয়েছিলাম। মনে করতে পারছি না।
প্রতিযোগিতায় দেয়ার মত কোন পোষ্ট তৈরি করতে পারিনি। চেষ্টা করেছিলাম। দাঁড় করাতেই পারিনি। শুধু শেষের প্যারা টুকু ছাড়া।
ধন্যবাদ আপনাকে। আগে নিয়মিত আপনার সাথে আড্ডা হতো।
৭| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার লেখার স্ট্যাইল ভালো, বেশ পরিপাটি লেখা।
১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:২৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
হ্যাঁ আমার একটা স্টাইল আছে যেটা নিজের কাছেও ভালো লাগে।
ধন্যবাদ ক্যাপ্টেন জ্যাক।
৮| ১০ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার লেখা মিস করেছি প্রতিযোগিতায় । আপনার একটা লেখা লিস্টে এড থাকলে লিস্টাটা পরিপূর্ণ হয়ে উঠতো ! এখান থেকে সব লেখা গুলো পড়ে ফেলতে পারেন।
১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:১৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আপনার তালিকায় আমার কোন লেখা থাকলে ভালো লাগতো। সেটা আর হলো না।
৯| ১০ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: আমরা প্রতিযোগীতার জন্য দারুণ একটা স্মৃতিকথন মিস করলাম। এটা থাকলেও বেশ হোত।
অত ভাবনা চিন্তা করে লেখা দিতে গেলে তাঁর মধ্যে সত্যিকারে প্রান থাকে না।
১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:১৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
কোন কিছুই ঠিকঠাক মিলছে না।
১০| ১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: হুটহাট কোথায় চলে যান!!!
অন্তত আমাকে বলে যাবেন তো।
১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:১৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
হুটহাটই চলে যেতে হয়।
ইদানীং ফিরতেও ইচ্ছা হয় না।
১১| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: যাক আপনার স্বাপ্নিক লিখা আবার পেলাম !!
আপনার লিখা পড়লেই আমার অস্বস্তি হয় সেটা বলেছিলামও আমি আগে , কেন তা জানি না !! স্মৃতিকাতর মানুষ আমি অন্যের স্মৃতি পড়লেও এই অস্বস্তি হয় আর মহীনের ঘোড়াগুলি গান শুনলে তো আর কথাই নেই ।। আপনার সাথে একদিন দেখা করতে হবে আর এই দেখা করবারটা নাম হবে " দুই ভুবনচিলের ভুবনালাপ ! "
ভালো থাকবেন !!
১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:১৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
হ্যাঁ। স্মৃতিচারণ পোষ্ট লেখার আগে শেষের প্যারা টুকু মাথায় এসেছিলো। তারপর আর লেখা দাঁড় করাতে পারিনি। নিজের প্রতি হতাশ হয়েছি।
ধন্যবাদ নিবর্হণ। ভালো থাকবেন।
১২| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:২০
চারাগাছ বলেছেন:
স্বপ্নবাজ, স্মৃতিচারণে আপনার লেখা না থাকাটা বেমানান। আমার মত অনেকেই আছে যারা শুধু আপনার স্মৃতিচারণ ভীষণ পছন্দ করেন। আপনি বিচ্ছিন্ন ঘটনা গুলো এক সূত্রে বেঁধে ফেলেন। সেই সময়টাকে আপনি দারুণ ভাবে ফোকাস করেন।
টুকরো টুকরো ঘটনা গুলো শেষ প্যারাতে মিশে গেলো। অনুভব করতে পারলে বুকে কাপন তুলবো। এটা সঠিক পুরো পোষ্টে আহামরি কিছু নেই। সামর্থ্য স্বাভাবিক ঘটনা মাত্র।
শেষ অংশে এসে আপনি নিজেই শৈশবে ফেরত গেলেন। অদ্ভুত না?
ব্লগ টিমকে অনুরোধ জানাতে ইচ্ছা করছে বিশেষ বিবেচনায় আপনার এই লেখাটি অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা।
এই লেখাতে আপনি হয়তো পুরস্কার পাবেন না। খুব বেশি বাহবা পাবেন না কিন্তু অপু তানভীরের মত আমাদের কোন আক্ষেপ থাকবে না।
ধন্যবাদ। আপনার ছেলের জন্য ভালোবাসা রইলো।
সে নতুন নতুন খেলা আবিষ্কার করুক যাতে আপনি ওর সাথে শৈশবে ফিরতে পারেন পুনরায়।
১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:১৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনি আমার লেখা যথেষ্ট মন দিয়ে পড়েননি।
ধন্যবাদ চারাগাছ।
আমি নিজেই হতাশ হয়েছি কিন্তু।
১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই লেখাটিই তো যেমন আছে তেমনই দিয়ে দিতে পারতেন প্রতিযোগিতার জন্য। পুরস্কার না হয় নাই পেলো, পাঠকের হৃদয় তো স্পর্শ করতে পারতো!
চারাগাছ এর মন্তব্যটা ভালো লেগেছে।
পোস্টে দশম লাইক।
২৭ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:২৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
শেষ মেষ আর লেখা পাঠানো হলো না।
১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৫৮
আলামিন১০৪ বলেছেন: আপনি কি ৯২-৯৪ গ্রুপে আছেন?
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
না আমি ঐতিহাসিক ৯৯!!
১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আলামিন১০৪ বলেছেন: ও, তাহলে আপনার তপু ভাই ছিলেন ৯২ এসএসসি ব্যাচ, তিনি এখন কি করেন?
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ২:২৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
তপু ভাই এইচএসসিতেও বোর্ড স্ট্যান্ড করেছিলেন। এরপর তিনি ইউএসএ চলে যান। ইউএসএ থেকে ফেরেন মাথা খারাপ করে।
মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন। এরপর আর স্বাভাবিক হতে পারেননি।
১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:০৬
আলামিন১০৪ বলেছেন: আপনার লেখার ঢঙ অনেকটা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর মতো, মন খারাপ করিয়ে দেওয়ার একটা সুর আছে। অপু ভাই কি ৯২ তে স্ট্যান্ড করেছিলেন নাকি ৯৩ তে? ভেড়ামারা পাইলট স্কুলের তথ্যে গড়মিল আছে বোধ হয়।
আপনার প্রধান শিক্ষক বাবা এখন কেমন আছেন?
ভেড়ামারা নামের উৎস পাওয়া গেল না
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমিও খুজলাম কোনো তথ্য পেলাম না।
তপু ভাই ১৯৯২ তে বোর্ড স্ট্যান্ড করেছিলেন।
আব্বার অবস্থা ভালো না। কয়েক বছর ধরে বিছানায়। এখন নড়াচড়া করতে পারেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
মিরোরডডল বলেছেন:
অনেকদিন পর এই গানটা শুনলাম। থ্যাংকস শেয়ার করার জন্য।