নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের কথিকা

শশিকলা

ছাত্র, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

শশিকলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ের পক্কতা

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

সৌহার্দ্য পড়াশুনার ব্যাপারে তেমন একটা উদাসীন বা সিরিয়াস কখনই ছিল না, তবে সেটা কেবল নিজের বেলায়। ঢাকায় থাকা হয় তাই টিউশনি করতে খুব ভাল না লাগলেও হলেও করতে হয়। তবুও সে যা পারে নিজের চেষ্টায়, তার ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝাতে চেষ্টা করে। প্রাইভেট পড়াতে গেলে অনেক মজার ঘটনা যেমন ঘটে, তেমনি কিছু বিব্রতকর ঘটনাও ঘটে। আর ঢাকায় খুব পরিচিত না হলে, কোন অভিভাবক, তার মেয়েকে, কোন ছেলে শিক্ষক এর নিকট পড়াতে চান না। এটা সবাই জানে, তবে পরিচিত যারা আছে তারা যে খুব একটা সম্মান দেখায় তাও না। সস্তা আর ভাল হলে, মাঝে মাঝে একটু আধটু উপকার পাওয়া যায়। যদিও আখেরে লাভ ওদরেই হয়।
তবে ওর কিছু সমস্যা আছে তা হচ্ছে, সহজেই মানুষকে আপন করে নেওয়া আর বিশ্বাস করা। ও যে বোঝে না তা নয়, কিন্তু তারপরও কেন যেন এই তথাতথিত অবস্থা থেকে বেরোতে পারে না। চেষ্টা কম করে নি। অনেক সমস্যার সম্মুখীন ও হয়েছে ঠিক, কিন্তু কয়েকদিন আগে যেটা ঘটে গেল, সেটা বোধহয় আর সব কয়টাকেই লজ্জা দেবে। ও নিজেও খুব হতাশায় পড়েছে।
ঘটনাটা হচ্ছে, ও এক বাসায় দুটি ৫-৬ শ্রেণীর বাচ্চা পড়ায়, খুব কাছের এক ভাইয়ের আত্মীয়, তাই ভাই বোন সম্পর্কে, পড়ায়। মেয়েটি পড়ে পঞ্চম শ্রেণীতে আর ছেলেটি পড়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে। ও ভাবেওনি কি বিস্ময় কাজ এরা দুই জন করতে পারে। ওর এত ছোট কোন ছাত্র-ছাত্রী পড়ানোর অভ্যাস নেই, তারপরও খুব কাছের ভাই, অনুরোধ হওয়ায় পড়াচ্ছে, যদিও পরে, ওই ভাই আর তার বোন ওকে বলেছিল, পড়ানো বাদ দিয়ে দিতে। কারণটা ও প্রথমে বুঝেনি কিন্তু ঘটনার পর বুঝেছিল। এমনিতে ঢাকায় পড়াচ্ছে প্রায় ৫ বছর, তাই মেয়েদের ব্যাপারে ও ভালই জানে আর তাই বেশ সতর্ক। তারপরও এ বাচ্চা মেয়ে। তারপরও সৌহার্দ্য এর প্রতি এরা কেন এমন করল, সে বুঝে উঠেনি।
জানি ঘটনা বলা হয়নি, সংক্ষেপে ঘটনা হচ্ছে, সৌহার্দ্যকে তার ছাত্র-ছাত্রীদের মা বলে দিয়েছেন, যেন ওনার মেয়েকে এমন কিছু না বলে যে ওর আত্ম সম্মানে আঘাত হানে!!!! প্রথমে থতমত খেলেও পরে ও বুঝেছিল, ওদের বেশি ভাল মনে করে আপন ভেবেছিল তাই এ অবস্থা। যাই হোক একটা ৫ম শ্রেনীর মেয়েকে অসম্মানিত করবে এমন কোন কথা ও কোন দিন বলেছিল কিনা, সৌহার্দ্য মনে করতে পারে না। কারন ওতো আজ প্রায় ৩বছর এদের পড়ায়, তাই অবাক আর বিস্মিত!!! সেই ২য় শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকে এই পিচ্চি মেয়েকে পড়াচ্ছে, তাই আর কিছু না বলে ও ফোন রেখে চিন্তায় পড়ে গেল, যে কি জমানা এল!!!!
নামাজটা ঠিক মত না করলেও ওর ভেতর এমন কোন কিছু আছে যা ওকে সবসময় যতরকম খারাপ কাজ আছে মেয়েদের ব্যাপারে তা কোনদিন করতে দেয়নি। আর , এই সব কথা শুনে ওর বন্ধুরা তো অবাক!!
কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে, ওর এটা বুঝে নেওয়া উচিত যে, সবাই সবকিছু সমান ভাবে নেয়না যেটা সে অনেক পরে বুঝেছে আর তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে কেউ আপনার নয়, সবাই বাণিজ্যিক, পড়ানো টা কেবল টাকার জন্যই তো, এটা তারও অনুসরন করতে হবে। সম্মান কি কেবল তাদের আছে সৌহার্দ্য এর নেই। সম্মানটা বলে পাওয়া যায় না, এটা আপনা আপনি আসে। হৃদয় থেকেে একদম অন্তর থেকে। আর আল্লাহ সবার বুঝ দান করেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। সৌহার্দ্য তাই আল্লাহর ভরসায় এতদিন ছিল যখন শেষদিন পর্যন্ত থাকতে পারবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পারবে নিশ্চয়ই,

ব্লগে স্বাগতম।

ভাল্লাগছে

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

শশিকলা বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী, উৎসাহের জন্যে পুরোনো শব্দ “ ধন্যবাদ” কিন্তু আপনার লেখার জবাব নাই

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ধন্যবাদ।

কিন্তু জবাব দিতে সবুজ তীরের মত চিহ্নটায় ক্লিক করে জবাব দিন। তাহলে মন্তব্যকারী নোটিফিকেশন পাবে। শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.