নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় জানতে চেয়ে লজ্জা দিবেন না। খুবই ক্ষুদ্র একজন মানুষ আমি, বিশেষ কোন পরিচয় নাই

সৌমিক প্রান্ত

সৌমিক প্রান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিভেদ...

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

~~~কি আছে একজন নারীর শরীরে? একজন নারী যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায়- সব শ্রেনীর মানুষ খুব কুৎসিত ভাবে তাকায়। ছাত্র, শিক্ষক, চাচা, মামা,খালু, রিকশাওয়ালা, হকার, এমন কি মাত্র নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বের হওয়া একজন মুরুব্বী পর্যন্ত। যারা এই কুৎসিত ভাবে তাকায়, তখন আমি তাকাই তাদের দিকে- তাদের দিকে তাকিয়ে তখন আমার মনে হয় দুনিয়ার সবচেয়ে নোংরা কিছু তাদের চোখে মুখে খেলা করে। একদিন আমার খুব রাগ হলো- আমি একজনকে প্রশ্ন করলাম- ভাই এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? মেয়েটিকে কি আপনারে পরিচিত? কুৎসিত ভাবে তাকানোর কি আছে? এখন কেউ যদি আপনার মা, বোন অথবা আপনার স্ত্রী'র দিকে এভাবে তাকায়! লোকটি আমার ওপর রেগে গেল।

খবরের কাগজে যখন কোনো ধর্ষণ এর খবর পড়ি- আমি প্রচিন্ড অবাক হই। ব্যথিত হই। যারা ধর্ষণ করে তাদের চেয়ে খারাপ লোক আর এই দুনিয়াতে নেই। মেয়েরা যতই শিক্ষিত হোক, তারা আসলে বোকা। ৯০ ভাগ শিক্ষিত মেয়েরা বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক করে। বোকা মেয়ে গুলো বুঝে না শারীরিক সম্পর্ক দিয়ে ছেলেরদের আটকে রাখা যায় না। তারা ঠিকই ছুটে যায়। আপনাকে ভোগ করে, অন্য মেয়ের পিছে ছুটে। আপনার সাথে মিথ্যা প্রেমের অভিনয় করবে, আপনাকে বিয়ের কথা বলবে- আপনাকে মানসিক ভাবে দুর্বল করে আপনাকে বিছানায় নেবে। যৌন সুখ ভোগ করবে- দিনের পর দিন। তারপর আপনাকে ছুড়ে ফেলবে। আপনি কাঁদবেন। কিন্তু কেঁদে ফয়দা নেই। অবশ্য তাতে আপনার কিছু যায় আসে না। আপনার বাবা মা আপনাকে অন্য কারো সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে। এই ভাবেই চলছে এযুগের প্রেম ভালোবাসা।


এখন, নিজের কথা বলি- আমি যখন রাস্তা দিয়ে চলাচল করি- কোনো মেয়ের দিকে তাকাই না। ইচ্ছেই করে না তাকাতে। কেন কুৎসিত ভাবে তাকাবো? লাভটা কি? আমার পাশ দিয়ে কানা খোড়া নাকি বিশ্ব সুন্দরী গেলো তাতে আমার কি? যে আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছে- সে তো কারো না কারো আদরের সন্তান, কারো বোন অথবা কারো স্ত্রী। অনেক সময়- অনেক আত্মীয় স্বজন বা পরিচিতরা বলেন- সেদিব তোমাকে দেখলাম- আমার পাশ দিয়ে গেলে কিন্তু আমার দিকে ফিরেও তাকালে না। অনেকে ভাবেন আমি ভাব দেখাই। আসলে আমার কোনো দিনই- এক মুহূর্তের জন্যও কোনো মেয়ের দিকে তাকাতে ইচ্ছা হয়নি। যারা রাস্তা ঘাটে কুৎসিত ভাবে মেয়েদের তাকায়, ভিড়ের মধ্যে মেয়েদের গায়ে হাত দেয় অথবা খারাপ মন্তব্য করে আমার ইচ্ছা করে তাদের জুতা দিয়ে মারি। কান ধরে তাদের বাবা-মা'র কাছে নিয়ে যাই। বাবা-মাকে বলি- দেখুন আপনার সন্তান কি করছে? সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দেন। যদি সন্তানকে ভালো শিক্ষা না দিতে পারেন তাহলে সন্তান জন্ম দিবেন না।

যারা রাস্তায় কুৎসিত ভাবে মেয়েদের দিকে তাকায়, বিচ্ছরি মন্তব্য করে অথবা সুযোগ পেলেই বাসে, মেলায় বা শপিং মলে গায়ে হাত দেন- এসব করা থেকে বিরত থাকুন। মেয়েদেরকে মানুষ ভাবুন। তাদের শ্রদ্ধা করুন। সম্মান করুন। তাদের সাথে পবিত্র সম্পর্ক রাখুন। তাদের বিপদে স্বচ্ছ ভাবে এগিয়ে আসুন। আপনারা তাদের কে সম্মান করবেন, শ্রদ্ধা করবেন, আপনার মা বোনকে তাহলে অন্য পুরুষরা শ্রদ্ধা করবে, সম্মান করবে। একে অপরের প্রতি স্বচ্ছ ভালোবাসায় সহযোগিতায় শ্রদ্ধায় এবং শুদ্ধ মানসিকতায় এগিয়ে যাবে দেশ। নিজের মাকে ভালোবাসুন। অন্যের মাকেও ভালোবাসুন। নিজের বোনকে স্নেহ করুন, মায়া করুন, অন্যের বোনকেও মায়া করুন, স্নেহ করুন। অন্যের স্ত্রী'র দিকে পবিত্র দৃষ্টিতে তাকান, সম্মান করুন তাহলে মানুষ আপনার স্ত্রী'র দিকেও কুৎসিত ভাবে তাকাবে না।

আমার চোখে পুরুষ-রমনী কোনো ভেদাভেদ নাই।
বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
---- কবি কাজী নজরুল ইসলাম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.