নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় জানতে চেয়ে লজ্জা দিবেন না। খুবই ক্ষুদ্র একজন মানুষ আমি, বিশেষ কোন পরিচয় নাই

সৌমিক প্রান্ত

সৌমিক প্রান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

~~~বখে যাচ্ছে একটি জাতি~~~

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৮

~~~ভুম ভুম করে একে বেকে বাইক চালিয়ে চলে যায় ছেলেগুলো। রাস্তার মোড়ে আঙুলের ফাঁকে সিগারেট রেখে কাউকে তোয়াক্কা না করেই মাথা উঁচু করে ধোয়া ছাড়ে। যেন তারা আজকাল এলাকার বিশাল সিনিয়র কেউ। কিন্তু এখনো সকালে স্কুল ড্রেস গায়ে পরতে দেখা যায় ওদের। আগে শার্টের কলার উঁচু রাখতো আর এখন গলা পর্যন্ত বোতাম লাগায়। চুল আগেও খাড়া থাকতো এখনো খাড়া কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে এখন মাথার দুই সাইডের চুল একদম আর্মি টাইপের কাট। মাঝখানে অনেকগুলা চুল। এদের কখন কি ট্রেন্ড চেঞ্জ হয় বুঝি না। শুধু বুঝি বেলাইনে চলে যাচ্ছে ছেলেগুলো।
বখে যাওয়ার অনেক উপায় ছিল। বিভিন্ন সার্কেল থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে এসেছি। বাবা মা'র কথা শুনতাম না ঠিকই কিন্তু বুঝতাম কাদের সাথে ঘোরাফেরা করলে, আড্ডা মারলে আর যাই হোক কেউ বলতে পারবে না যে, ছেলেটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাজে ছেলেদের সাথে যে চলাফেরা একেবারেই করতাম না তা না কিন্তু নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতাম সবসমই। সন্ধ্যার সময় ঘরে ঢুকে যেতাম সারাদিন হই হুল্লোড় করলেও। কারেন্ট যাওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম, কখন যাবে আর একটু নিচে নামব। সেই দিন এখন নেই। অনেক পরিবর্তন এখনকার সময়ে।
সেদিন দেখলাম এক পিচ্চি ছেলেকে বাইক কিনে দিয়েছে বাবা। পিচ্চি, বাবা দুজনকেই চিনি। ছেলে সেভেন এইটে পড়ে হয়তো। বটবটি টাইপ বাইক। দেখলাম গলির ভিতর থেকে ধুম ধাম করে ধোঁয়া উড়াতে উড়াতে বেড়িয়ে যাচ্ছে। যেন জাহাজ গেল কোন। অথচ এখনো সিনিয়র কাউকে দেখলে দূর থেকেই গিয়ার নামিয়ে ফেলি বাইকের।
দোষটা কার আসলে? ওই ছেলেটার নাকি বাবা মায়ের।
ছেলে আবদার করেছে, একটাই সন্তান, এরকম অজুহাত দিয়ে আজকাল পার পাওয়ার চেষ্টা করেন গার্ডিয়ানরা। কিন্তু দিনশেষে ওই বাপ মা জানেন না ছেলেটা আমার কি করে বেড়াচ্ছে। আমাদের মায়ের মতো ছেলে বাসায় ফিরলে শার্টের গন্ধ শুঁকে দেখেন না তারা। দেখেন না ড্রয়ারে কোন সিগারেটের প্যাকেট আছে কিনা গোপনে।
গার্ডিয়ানদের দোষ অবশ্যই আছে। তাই বলে নিজেকে ভাসিয়ে দেয়া ঠিক নারে ভাই। টাকা দিয়ে যে কাজ হয় না সে কাজ হয় ব্যবহারে, আদবে। বাপের টাকায় বাইক কিনে মেয়েদের স্কুলের সামনে ভুম ভুম করে লাভ নেই। এলাকায় গ্যাং বানিয়ে লাভ নেই যদি তা মানুষের উপকারে না আসে। এলাকায় ডিস্কো, স্টার না সেজে অন্তত একটা টিওশনি করে প্রথম মাসের টাকা দিয়ে বাবা মাকে কিছু কিনে দাও। দেখবে নেশা ধরে যাবে। বাজে কোন নেশা না। বাবা মায়ের চোখে মৃদু জল আর মুখে এক চিলতে হাসি দেখার নেশা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

শরতের ছবি বলেছেন:



আপ্নার কথার সাথে আমার কথার ভীষণ পাচ্ছি । ধন্যবাদ ।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

একজন সত্যিকার হিমু বলেছেন: একটা মেরুদন্ডহীন প্রজন্ম গড়ে উঠছে দিনদিন ।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাবা মায়ের চোখে মৃদু জল আর মুখে এক চিলতে হাসি দেখার নেশা। - এখানে এসে চোখগুলো একটু ঝাপসা হয়ে এলো। বুকের মাঝে এক স্নিগ্ধতার সুবাতাস বয়ে গেল।
যেমন গাছ, তেমনই ফল হবে- এটা খুবই স্বাভাবিক।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: একটা টিওশনি করে প্রথম মাসের টাকা দিয়ে বাবা মাকে কিছু কিনে দাও। দেখবে নেশা ধরে যাবে। বাজে কোন নেশা না। বাবা মায়ের চোখে মৃদু জল আর মুখে এক চিলতে হাসি দেখার নেশা।

পুরো লেখাটার পাঞ্চলাইন এটাই ছিলো।

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এতো কোন একার বদল নয়!
ব্যক্তির বদল নয়!

পুরো সমাজের অধ:পতনের একটা ইন্ডিকেশন মাত্র! চিরায়ত বাংলা আর বাঙালী চেতনার ধ্বসের এক টুকরো খন্ড চিত্র!
ভোগ বিলাস আর পূজিবাদের যে বিষ রন্ধ্রে রন্ধ্র ছড়িয়ে পড়েছে তার ক্ষুদ্রতম প্রকাশ
সাংস্কৃতকি দৈনতার চিহ্ণ
ধর্মকে সরিয়ে দিয়ে অতি আধুনিক হবার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাত্র..

যােই হোক যেভাবেই হোক এ কাঙ্খিত নয়।
এখনই সময় সতর্ক হবার প্রতিটি পরিবারের। প্রতিটি নাগরিকেরও বটে

++++

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

সৌমিক প্রান্ত বলেছেন: দরকার নিজেদের কে change হওয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.