নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিচয় জানতে চেয়ে লজ্জা দিবেন না। খুবই ক্ষুদ্র একজন মানুষ আমি, বিশেষ কোন পরিচয় নাই

সৌমিক প্রান্ত

সৌমিক প্রান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে কী হবে?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩


যেকোনো রাষ্ট্রের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে তার দক্ষ জনশক্তি। এই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করে তার শিক্ষাব্যবস্থা। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্র তার নাগরিকদের সম্পদ হিসেবে তৈরি করার জন্য গড়ে তোলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যার সর্বশেষ অঙ্গ হলো দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ তথা বিশ্ববিদ্যালয়। তো, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে গিয়ে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়িয়েই যাচ্ছে দিন দিন।
কিন্তু এগুলোর পড়ালেখা আর গবেষণার মান বাড়ানোর ব্যাপারে থাকছে বেখেয়াল। এখন প্রশ্ন হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা পড়বে, কি জন্য পড়বে? পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তারা গবেষক হওয়ার জন্য পড়ে। তাদের এই গবেষণা সরাসরি স্টেট পলিসিকে প্রভাবিত করে। রাষ্ট্র সে মোতাবেক তার অর্থনীতি, সমাজ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি প্রভৃতি বিষয়ে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যাদের পড়াশোনা ততটা ভালো লাগে না তারা তাদের আগ্রহী বিষয়ের উপর ডিপ্লোমা করে জীবিকার্জন করে।
আমাদের দেশে আমরা ছোটবেলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কথা ভাবি চাকরির জন্য। যেখানে নতুন কোনো কিছু শেখা, করা বা উদ্যোগ নয়, বরং চাকরিই থাকছে মুখ্য বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পড়ায় প্রোডাক্টিভ হবার জন্য আর আমরা হয়ে যাই প্রোডাক্ট। তাই আমাদের শিক্ষা কাঠামো চেঞ্জ করা দরকার যাতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি চেঞ্জ হয়। এর দায় বর্তায় রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারকদের উপর। কেননা রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক বিষয়ে গবেষণা ফিল্ড দিতে পারে না। ফলে টেক্সটাইল, পদার্থবিদ্যা, কেমেস্ট্রি, ত্রিপোলি, মাইক্রোবায়োলজি, অর্থনীতি, ফার্মেসি, পরিবেশ বিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান, জিওলজিক্যাল সায়েন্স এর মতো বিশেষায়িত সাবজেক্টে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বস্ত্র প্রকৌশলী, প্রশাসন, ব্যাংক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাবৃদ্ধি নয়, বরং মানসম্মত ও পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ই রাষ্ট্রের জন্য জরুরি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

ভাবুক কবি বলেছেন: যদি মানই না থাকে তবে এ শিক্ষা দিয়ে কি হবে!!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

সৌমিক প্রান্ত বলেছেন: gash kata chara ar kisui kora somvob na

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্যাঁ, প্যাঁ কম করেন, গিয়ে রিকসা চালনা শিখেন, যারা পড়তে চায় পড়ুক।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

সৌমিক প্রান্ত বলেছেন: ta apni koi porsen? oxford? naki cambridge university?

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: আমাদের উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যই হচ্ছে প্রথমতঃ অফিসার এরপর বস হওয়া !
এরপর যা করি- ওই প্রতিষ্ঠান কিভাবে চুষে নয়তো বেঁচে খাবো এই ধান্দা ! সরকারী প্রতিষ্ঠান হলে তো কথাই নেই, যেমন- একজন কৃষি বিষয়ক কর্মকর্তা; কৃষকদের জন্য সরকারের বরাদ্দগুলো মাশাল্লা ওনাদের বৌ-সন্তানদের জন্য বরাদ্দ হয়ে যায় ! একজন বন কর্মকর্তা; আলহামদুলিল্লাহ পূর্বজন্মে কোনো ভালকর্মের প্রতিদান হিসেবেই ওনারা এই পদে চাকুরীটা পেয়েছেন ! কাস্টমস সেক্টরে ? ওহ গড ! ওখানে অফিসার হওয়ার দরকার নেই; সুইপার-ঝাড়ুদারের পোস্ট হলেই চলে, চৌদ্দগুষ্ঠি স্বর্গে !
এই হলো আমাদের শিক্ষার নমুনা !

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

সৌমিক প্রান্ত বলেছেন: bapar ta khu jogonno holeo sotto kotha

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.