নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবতার তরে, মানুষের জন্য...

সৌরভ খাঁন

সত্যের সন্ধান করতে ভালবাসি। আবেগ নিয়ে লিখতে চেষ্টা করি। নতুনত্বের সন্ধান করি।

সৌরভ খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৃষ্টিকর্তার স্রষ্টা কে?

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

আমাদের এই পৃথিবীর সবকিছুরই সৃষ্টিকর্তা একজন রয়েছেন আর তিনি হচ্ছেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন, তাঁর কোন স্রষ্টা নেই। প্রগতিশীলরা আমার সাথে একমত পোষণ করবেননা হয়তো। আপনারা বলবেন, সবকিছুরই স্রষ্টা যদি থাকে তাহলে সৃষ্টিকর্তার স্রষ্টা কে? আসুন তাহলে এই পয়েন্টে! আমরা INVENT & DISCOVERY দুটোর অর্থই জানি আবিষ্কার। তবে আবিষ্কারের মধ্যেও যে পার্থক্য আছে নিশ্চয়ই জানা আছে। একটি হচ্ছে নতুন কোন কিছু উদ্ভাবন আর অন্যটি হচ্ছে আগে প্রকৃতিতে ছিল যা কোন একজন প্রথম লক্ষ্য করতে পারা।
আল্লাহ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। আগুন, পানি, মাটি,বিভিন্ন ধাতু, বায়ুসহ সবকিছু! মানুষ কেবলমাত্র নিজ বুদ্ধি খাটিয়ে এগুলো থেকে বিভিন্ন দিক হতে উপকৃত হচ্ছে। আর এই বুদ্ধিও আল্লাহর দান। কিন্তু মানুষ এক সময় নিজেকে অতি জ্ঞানী ভেবে স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
মনে করি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার একটি বিল্ডিং এর কাঠামো তৈরী করলেন। বিল্ডিং টা কিন্তু নির্মাণ করবেন রাজমিস্ত্রীরা। কাঠামো পাওয়ার পর বিল্ডিং বানানো শেষে যদি রাজমিস্ত্রীরা বলে বিল্ডিংটা উনারাই তৈরী করেছেন আর বিল্ডিং নির্মাণে ঐ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কোন অবদান ই নেই তাহলে আপনি মেনে নিবেন? আল্লাহ তেমনি আমাদের দুনিয়ায় চলার জন্য বুদ্ধি, বিবেক, শক্তি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। আর এগুলোই হচ্ছে কাঠামো! আমরা এসব কাঠামো পেয়ে দুনিয়া জয় করার ক্ষমতা রাখি। তাই বলে আমরা সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে যাব?
এখন আমাদের অতি জ্ঞানী প্রগতিশীলরা বলবেন সবকিছু প্রকৃতির সৃষ্টি আর আমরা এর ফল। এখন কথা হচ্ছে আমরা সবাই কম্পিউটার চিনি। কম্পিউটারে প্রোগ্রাম বলে একটি কথা আছে। প্রোগ্রারামাররা যেভাবে চায় সেইভাবে প্রোগ্রামকে চালনা করতে পারে। অর্থাৎ সে যেভাবেই চাইবে সেভাবেই প্রোগ্রাম রান করাতে পারবে। আমরা যদি প্রকৃতির ফল হয়ে থাকি তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের তৈরী জিনিস ও প্রকৃতির ফল! আমাদের এই তৈরী যখন আপনা আপনি চলতে পারেনা সুতরাং আমাদের প্রকৃতিও আপনা হতে চলতে পারেনা! নিশ্চয়ই একজনের ইশারায় তা পরিচালিত হচ্ছে! আর তিনি হচ্ছেন আল্লাহ।
আর এজন্যই আল্লাহ বলেছেন-“যদি আসমান ও জমিনে একাধিক ইলাহ থাকত তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত।”
এখন আমাদের অতি জ্ঞানী ভাইরা হয়তো বলবেন আমি না দেখা জিনিস বিশ্বাস করব কেন? আচ্ছা! আপনি যাদের মা-বাবা বলে জেনে আসছেন আপনি সিউর উনারা আপনার মা-বাবা? হয়তো না ও হতে পারেন তাই নয় কি? আপনি মা-বাবা বলে আসছেন কারণ ছোটবেলা থেকেই সমাজ হোক আর পরিবার হোক আপনাকে জানিয়ে আসছে উনারাই আপনার মা-বাবা। আপনি সমাজের কথা মানবেন কেন? DNA টেস্ট করবেন মা-বাবা প্রমাণ করে ডাকার জন্য? তাহলে জেনে রাখবেন আপনার মত এমন সন্তানের কোন দরকার নেই আপনার মা-বাবার। সুতরাং প্রচলিত নিয়ম শুধুই যে কুসংস্কার এমন না! অনেক কিছুই বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্টিত। তাহলে বোঝা গেল এসব জিনিস বিশ্বাসের কারনেই সমাজ আজ ও ঠিকে আছে। সুতরাং আল্লাহকে বিশ্বাস না করলেও আল্লাহর কোন জিনিস যায় আসেনা। বরং আপনার ক্ষতিই হবে। থাপ্পর খেলে যেমন ব্যথা দেখা যায়না তবে বিশ্বাস করে নিতে হয় ব্যথা লেগেছে তেমনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন এটিও বিশ্বাস করতে হবে।
এবার কথা হল সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তা কে? আমরা সবাই গনণা করতে জানি। ৫ থেকে উলটোভাবে গুনে আসি? ৫,৪,৩,২,১। তারপর? ০ (শূণ্য) আর ০ (শূণ্য) মানেই নাই। অর্থাৎ আল্লাহ এক আর তার কোন সৃষ্টিকর্তা নাই।তার আগে কেউ ছিলনা!
আমি আর একটি কথাই বলব, “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর।”

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ব্যাপারটা নির্ভর করে দুটো জিনিসের উপর - সময় ও স্থান। স্রষ্টাকে যদি আগের সময় ধরেন এবং সৃষ্টিকে পরে - তাহলে স্রষ্টা এবং সৃষ্টির মধ্যে চরিত্রগত পার্থক্য পরিষ্কার হবে। সেক্ষেত্রে স্রষ্টা কেবল স্রষ্টাই, তিনি কোন সৃষ্টি নন। অপরপক্ষে, সৃষ্টি একটি স্থানে করা হয়ে থাকে, কিন্তু স্রষ্টার কোন স্থান নাও থাকতে পারে।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২৫

মেমননীয় বলেছেন: আজ আমি এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি।
৫ বছরের এক ছেলে আমাকে এই প্রশ্ন করেছে।
আমি কোন ভাল উত্তর দিতে পারিনি।

আমার মনে আছে, ছোটবেলায় এই প্রশ্নটা আমার মনেও ছিল।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১১

সৌরভ খাঁন বলেছেন: নীল আকাশ ২০১৪: সৃষ্টি একটি স্থানে করা হয়ে থাকে, কিন্তু স্রষ্টার কোন স্থান নাও থাকতে পারে। এর মানে কি বুঝিয়েছেন ভাই?

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৬

সৌরভ খাঁন বলেছেন: মেমননীয়: আমার লিখা থেকে সামান্য হলেও উপকৃত কেউ হলে আমার লিখা সার্থক। :)

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

নতুন বলেছেন:

ঘটনা মনে হয় এই রকমের :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

সৌরভ খাঁন বলেছেন: অনেকটা বলা যায়। :)

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: @ সৌরভ খান, আমাদের চারপাশে আমরা যা কিছু দেখি, তার সব কিছুই কোন না কোন স্থান জুড়ে আছে। আলোর কনিকার খদ্রতম অংশের নাম ফোটন - যত খুদ্রই হোক - এই মহাবিশ্বে তা কোন না কোন স্থান অধিকার করে আছে। কিন্তু স্রষ্টা হোল সেই সত্তা - যিনি তার সৃষ্টি - ক্ষুদ্রতম কোয়ার্টজ ফোম হতে শুরু করে বৃহত্তম কোয়েজার রাখার জন্য এইসব স্থানের সৃষ্টি করেছেন। আবার বলি, স্রষ্টা স্থানের সৃষ্টি করেছেন।

তার মানে সময় ও স্থানের অস্তিত্ব আগে ছিলনা। কোন বস্তুর অবস্থান এবং পরিবর্তন সম্পর্কে জানানোর জন্য স্রষ্টা এই দুটি জিনিস সৃষ্টি করেছেন। ভেবে দেখুন তো, এই দুটি ব্যাপার যদি নাই থেকে থাকে, তবে স্রষ্টার নিজের কাছে কি ছিল? কাজেই স্রষ্টাকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য কোন কিছু না ভাবাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তিনি একটা সও্বা - এর বেশি কিছু নয়।

পরের প্রশ্নের অপেক্ষায় থাকলাম।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪২

সৌরভ খাঁন বলেছেন: @নীল আকাশ ২০১৪: হ্যাঁ! স্রষ্টা যেমন স্থান সৃষ্টি করেছেন তেমনি দিন, মাস, বছর হিসেব রাখার জন্য চন্দ্র-সূর্য তৈরী করেছেন। এগুলো আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। ( কাজেই স্রষ্টাকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য কোন কিছু না ভাবাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তিনি একটা সও্বা - এর বেশি কিছু নয়।) এই কথাটা আপনি অনেক সুন্দরভাবে বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.