![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে । যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে । যদি থাকি কাছাকাছি, দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি– তবু মনে রেখ
কুয়াশা মোড়া শীতের সকাল!
চোখ বুজলেই মনের পর্দায় ভেসে ওঠে একটি দৃশ্য। হাড় কনকনে শীতে জবুথবু একটি গ্রামের ভোর। কুয়াশা ঢাকা কিষান বাড়ির উঠোনের একপ্রান্তে গনগনে জলন্ত উনুন। সে আগুনের আঁচে উনুনের ধার ঘেষে বসে আছে বাড়ির ছেলেবুড়ো সকলে।হাসিখুশী কিষানী বৌটির সুনিপুন হাতের পটুতায় ঢাকনা ঢাকা হাড়ির উপরে, একরতি কাপড়ের ভাজে ভাজে উঠছে আতপচালের গুড়ো ঢাকা, নতুন খেঁজুর গুড় আর নারকেল কোরা দেওয়া ছোট বাটি।নামছে গরম ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা হয়ে একেকবার একেকজনের পাতে । এ ছবি পরম মমতার, স্নেহ ও ভালোবাসার এবং পাবিরাবিক অটুট বাঁধনের এক চিরায়ত গ্রামবাংলার চিরচেনা শীতকালীন ছবি।
মোড়ের চা দোকান ঘিরে ভোর হতেই জমতে থাকে জটলা।সবার গায়েই যার যার সাধ্যমত শীতের চাদর, সোয়েটার, কিংবা ছেড়াখোড়া কাঁথাকানি! গল্পে গল্পে একের পর এক খালি হয় চা'য়ের কাপ! জমে ওঠে আড্ডা! চিরাচরিত গ্রাম-বাংলার এই তো শীত ঋতু!
শৈশবে আমার শীতের এক আলাদা অনুভূতি ছিল। কুয়াশায় আচ্ছন্ন শীতের সকাল! মুখ খুললেই ধোঁয়া বের হওয়া দেখে অবাক হয়ে যাওয়া। ভাপা, চিতুই, পাটিসাপটা, পুলি, কুলি নানা ধরনের পিঠা । ঘুম ভাঙ্গলেও বিছানা ছেড়ে উঠতে মন না চাওয়া । তুলে রাখা তোরঙ্গের লেপ কাঁথা কম্বলের সে এক দারুন মজা। রোদে দেওয়া ওম। তুলোর ফাঁকে ঢুকে থাকা রোদের গন্ধ। সন্ধ্যাকাশে দিগন্ত জুড়ে সারি বেঁধে উড়ে চলা অতিথি পাখির দল। কিচির-মিচির শব্দ শীতের প্রকৃতিকে করে তুলতো অন্যন্য।
যদিও নগর জীবনে শীতের আবেদন আলাদা তবে গ্রামে যেন প্রতি পদক্ষেপে আলাদা করে অনুভব করা যায় শীত ঋতুর তাৎপর্য্য। বাংলার পথে-প্রান্তরে, মাঠেঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে খেজুরগাছের আগায় ঝুলছে ছোট্ট রসের হাড়ি।কোথাও গাছ থেকে রস নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন গাছিরা। আর ফসলের মাঠজুড়ে সোনালি আভায় সকাল সন্ধ্যা জমে হিম হিম কুয়াশা। শীতে জ্বাল দেওয়া গরম রস বা কাঁচা রস দুই এর স্বাদই অতুলনীয়! আর রসে ভেজানো রসের পিঠার তো জুড়িই নেই কোনো।
শুস্ক এ ঋতুতে এ সময়টা শুকিয়ে আসে খাল বিলের পানি। কোথাও হাঁটুজল, কোথাও বা খটখটে চর জাগে। আর তাই গ্রামের দূরন্ত কিশোর-কিশোরীরা মেতে ওঠে অল্প পানিতে মাছ ধরার উৎসবে। সেইসঙ্গে খাবারের খোঁজে খাল-বিল আর মাঠে-ঘাটে ঝাঁকে ঝাঁকে নামে সাদা বকের ঝাঁক। ঝাঁকে ঝাঁকে সাদাফুলের মত বসে থাকা বকের শুভ্রতা সেও এক অপরূপা দৃশ্য।
গ্রামও শহরের হাঁট বাজারগুলোতে সব্জীপসারীর ডালায় ডালায় থরে থরে সাজানো শীতের সব্জী ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, শালগম, ওলকপি, গাজর, টমেটো চোখ জুড়ায়, মন ভরায়।
শীতের আরেক স্বর্গীয় সৌন্দর্য্য বিরাজ করে সরিষা ক্ষেতে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে ফুটে থাকা হলুদ সরিষার ফুল যেন বিছিয়ে রাখে হলুদ ফুলেল চাদর।আর সেই ফুলকলিদের উপর উড়ে চলা রঙ্গিন প্রজাপতি আর মৌমাছিদের মেলা মন হরন করে।
মটরশুঁটি আর সবুজ ঘাসের ডগায় ঝুলে থাকে শিশির বিন্দু। সকালের রোদের আলোকচ্ছটার নানা রঙ ছড়ায় তাতে হীরক দ্যুতি। একসময় সেই রঙিন জলমোতি টুপ করে ঝরে পড়ে মাটির কোলে।
পৃথিবীর যেখানেই যাই না কেনো সে সৌন্দর্য্যের তুলনা হয়না বুঝি আর কিছুর সাথেই এই মর্ত্যলোকে!
মনে পড়ে যায় কবিগুরুর অসাধারণ সেই কবিতার লাইনগুলি—
বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে—
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে—
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপরে
একটি শিশির বিন্দু।
তবে এই অপরুপ শীতের সৌন্দর্য্য অনুভবে ও উপভোগে ভুলে যাওয়া যায়না সেইসব ছিন্নমূল মানুষদের কথা। একটুকরো শীতের কাপড় বা মাথা গোঁজার ঠাই নেই যাদের তাদের জীবনে শীত আনন্দের নয়, অভিশাপের আর তাই যে যার সাধ্যমত কাছের দরিদ্র মানুষটির প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই ও পৃথিবীকে করে তুলি সুন্দর ও মঙ্গলময়।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব।
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০২
সুমন কর বলেছেন: ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
ভাল লাগল।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: প্রতি বছর শীত যখন আসে। এমনি সব নানারকম স্ম্বতি হুড়মুড় করে মনে পড়ে যায় আমার। সেই ছেলেবেলা। কত না মধুর সেই ছেলেবেলা। শীতের কুয়াশামাখা ভোর। আমার ছেলেবেলার কিছুটা সময় কেটেছে হিমালয়ের পাদদেশে তেঁতুলিয়ায়। যেখানে কাঞ্চনঁজংঘার শিখরে জমে থাকা তুষার রোদের আলোয় জ্বলে হিরকের মত। বিকাল তিনটা বাজতেই অন্ধকার হয়ে আসে চারিদিক। তারই মাঝে ব্যাডমিন্টন খহেলে হাত ব্যাথা করা। কতইনা সুন্দর ছিলো সেসব দিনগুলো।
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০২
কিপটে মানুষ বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।।।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ অসংখ্য। ভালো থাকবেন। সুস্থ্য থাকবেন এই শীতের দিনগুলোয়।
৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৪
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আপনার পোষ্টটা দেখার পর গ্রাম আমায় প্রবল টানছে তার অন্তরায়।
কিন্তু আমি যে যান্তিক...............
নির্ধারিত সিমানায় আমি আমার ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারি।
সিমানা পেরুলেই অচল ।
ধন্যবাদ আপনাকে মনকাড়া এই পোষ্টা করার জন্য।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৭
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আমার তো রোজ ভোরেই চলে যেতে ইচ্ছে করে নরম রোদে ভাসা হলুদ সরিষা ফুলের ক্ষেতে কিংবা সেই বিরান মাঠের মাঝের ঝুপসিঘরের কুঁজোবুড়ির বাড়িতে যেখানে সে একদিন বিকালে গাছ শুদ্ধ মটরশুটি তুলে এনে দিয়েছিলো আমাদেরকে আপ্যায়নের জন্য।
৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আমার তো এখনি এমন কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে ! শীতের মজা গ্রামেই !
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩০
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ঠিক তাই। গ্রামের ভোরের আগুন পোহানো সকালবেলা , কুঁড়ের হেশেলের গরম ভাতে একটুখানি ঘি আর ভর্তা । সেতো অমৃত।
৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯
জুন বলেছেন: যেমন বর্ননা তেমনি ছবি দুটোই শীতের আমেজ এনে দিল ময়ুরাক্ষী
+
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩২
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৫
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
খেজুরের রস খাবার কথা মনে
করিয়ে দিলেন, এখন কোথায় পাই ?
অনেক ভালো লাগলো পিঠা পুলির পোস্ট!
ভালো থাকুন, উষ্ণতায় আর মানবতায়!
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আমিও পাইনা খেঁজুর রস। তবে খুব শিঘ্রী গ্রামে যেতে পারি। গ্রাম ছাড়া কি আর শীতকাল আসে? আমাদের দেশে খেঁজুর রসের একরকম ক্ষীর বানানো হয় সেই ক্ষীর এই পৃথিবীর যে কোনো খাবার থেকেই আলাদা স্বাদের।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৯
তুষার কাব্য বলেছেন: এরকম দৃশ্য এই বাংলায় ছাড়া আর কোথায় পাওয়া যাবে ...
অনেক ভালোলাগা মাটির গন্ধমাখা পোস্ট এ
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৫
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কোথাও না।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।
অসংখ্য ধন্যবাদ তুষার কাব্য।
৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি ময়ূরাক্ষী ,
ছবির মতোই সুন্দর, মনের পর্দায় ভেসে ওঠা দৃশ্যগুলো ।
কিন্তু কনকনে শীতের রাতে খেজুরের রস চুরি কই গেলো ?
শীতকালে এর চে' মধুর স্মৃতি আর কি আছে !
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনিই বলুন না আপনার সেই রস চুরির মজাদার কাহিনী। আমার তো এই রস চুরির অভিজ্ঞতা নেই ভাই। আপনার কাহিনীটা জানতে পেলে খুব খুশী হবো।
প্লিজ ছোট করে হলেও আমাদেরকে জানান।
১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।
১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৯
নাহিনরানা বলেছেন: রাত এগারোটায় ভাপা পিঠা খেতে মন চাইছে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪০
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: পৌষ পার্বনে পিঠা খেতে বসে খুশীতে বিষম খেয়ে
আরও উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি খেয়ে।
আমার তো এই পোস্ট লেখার সময় এমনই পিঠা খাবার সাধ হলো ।কিন্তু কোথাও পিঠা পেলাম না আর আজকে।
১২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৬
আলম দীপ্র বলেছেন: শব্দ ও ছবির অপূর্ব মিলন ! বাহ !
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪১
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ আলম দীপ্র।
১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪০
ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব সুন্দর ছবিসহ একটা অসাধারণ পোস্ট। খুব ভাল লাগল।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪০
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ অসংখ্য ঢাকাবাসী।
১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট!
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালোবাসা।
১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৬
আবু শাকিল বলেছেন: আপনার ছবি এবং বর্ণনায় সুন্দর একটি শীতকাল পেলাম
চমৎকার
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ছবির মত কোনো এক গ্রামে চলে যেতে ইচ্ছে করে।
ধন্যবাদ আবু শাকিল।
১৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫০
ইমিনা বলেছেন: কত বছর ধরে যে খেজুর রস খাই না তা ভুলে গেছি। আপনার এই পোস্ট দেখে দুঃখটা আবার মনের মধ্যে জেগে উঠলো
যাই হোক, শীত আমার খুব খুব পছন্দের
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: রস আর রস দিয়ে বানানো চালের ক্ষীর এই দুই এর কথা বড় মনে পড়ে। আজকাল আর কেউ খাওয়ায় না। রস ও এই শহরের যান্ত্রিক জীবনে চোখেই পড়েনা।
শীত আমার খুব পছন্দের না এক গাঁদা গরম কাপড় ও সর্দি কাশীর ভয়ের জন্য কিন্তু শীতের সৌন্দর্য্য কি তাই বলে ঠেকিয়ে রাখা যায়। এমন কুয়াশা ঘেরা ভোরবেলা আর পিঠাপুলি আর গরমরোদে দেওয়া লেপ কাঁথার ঘ্রান কোথায় পাবো আর?
ধন্যবাদ ইমিনা। ভালো থাকুন।
১৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: প্রিয় ঋতু, প্রিয় হিম হিম সময়, উপভোগ করি।
গ্রামে গেলেই অনেক মজা হয়। খেজুর রসের ছবিটা আমাদের এলাকার
কলাই ক্ষেতে কুয়াশার মাঝে জ্যোৎস্নার ঝাপসা আলো মায়া আধারি! বর্ণনা কয়ার সম্ভব না!
ভালো থাকবেন খুব খুব
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: শীত আমার প্রিয় ঋতুর তালিকায় দ্বিতীয়। তবে শীতের আমেজ ও শীতের প্রকৃতি নস্টালজিক করে যেমনি তেমনি শীতের সৌন্দর্য্যে কবি গুরুর মত শীতের হাওয়ায় আমলকির ডালে নাচন লাগলেও নাচন লাগে আমার মনে।
আচ্ছা খেঁজুর রসের ছবিটা আপনাদের এলাকার বুঝলেন কিভাবে বলেন তো?
আর কলাই ক্ষেতে কুয়াশার মাঝে জ্যোৎস্নার ঝাপসা আলো মায়া আধারি! এই অভিজ্ঞতার সাথে আমি পরিচিত নই তবে জানতে ইচ্ছে করে সময় করে একটু বলে যাবেন এক সময়।
আপনিও ভালো থাকুন শুভকামনা ও ধন্যবাদ অপূর্ণ।
১৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৯
নাজনীন পলি বলেছেন: বাহ ! যেমন সুন্দর লেখনী তেমন সুন্দর ছবি । শুভেচ্ছা রইলো ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা নাজনীন পলি। ভালো থাকবেন।
১৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ছবির নিচে নাম লেখা আছে কালকিনি! এটা দেখে বুঝলাম!
হুম! কিভাবে বুঝাই। পোস্ট হয়ে যাবে। আমি গ্রামে গেলে শীতকালে আর কি, সন্ধ্যার পরে হাঁটতে বের হই, কয়েকজন মিলে। শীতকালে কলাই হয় জানেন নিশ্চয়ই। হয়তো গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে কোন বিশাল মাঠ পরে, কেটে নেওয়া ধানের নাড়া বা কুটা বা খড় যাই বলেন, তার ভিতরে কলাই বপন করা হয়। অনেকটা ম্যাট্রেস এর মতো ওগুলো। ওখানে বসে আড্ডা দেই। কেউ হয়তো কিছুটা জায়গা পরিষ্কার করে আগুন জ্বালায়। কুয়াশা পরে। আর যদি আকাশে চাঁদ থাকে তাহলে তো কথাই নেই। ঝাপসা এক ধরণের আলো থাকে। একবার অনেকদিন আগে একটা হাস ঝলসিয়ে খেয়েছিলাম এরকম কোন এক রাতে। ফেরার পরে খেজুর রস খাওয়া, নিজেদের গাছের কিংবা চুরি করা! কি আসে যায়! এই স্বাদ অন্য কথাও পাওয়া যাবে না ।
ভালো থাকবেন
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: আপনাদের সেই কলাই ক্ষেতে বসে হাঁস ঝলসিয়ে খাবার দৃশ্যটা যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম। সত্য বলতে আমি কলাই ক্ষেত দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। দেখেছি হয়তো কিন্তু এখন তা মনে নেই।
তবে গ্রামে আমি অনেকবার গেছি এবং থেকেছিও। আমার দেশের সকল ভালোলাগার উৎসই আমি খুঁজে পাই গ্রামে। এর পর গ্রামে গেলে কলাই ক্ষেত খুঁজে বের করবো। তবে রাত দুপুরে সেখানে বসে জ্যোস্না দেখা হয়তো হবেনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার অবিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য । এই পোস্ট লিখতে গিয়েও যেমন বার বার নস্টালজিক হয়েছি। কমেন্টে কমেন্টে আরও শীত, গ্রাম , শীতের পিঠা, রসের ক্ষীর এসব মিস করছি।
২০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন:
সবুজটা কলাই ক্ষেত। এটা মনে হয় ছোট কলাই বলে। বড় কলাই ও আছে। মাসকলাই না কি যেন নাম, শিওর না।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: এত সুন্দর কলাই ক্ষেত।হলুদের পাশে সবুজ। অবাক করা ভালো লাগা।
অসংখ্য ধন্যবাদ অপূর্ণ।
২১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৯
জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: শীতকালীন ছুটিতে আসছি বাড়িতে। এই কিছুহ্মন আগে একটা খেজুর গাছে হাড়ি বেধে দিয়ে আসলাম বন্ধুরা মিলে...... কাল সকালে টাটকা রস...... সাথে পিঠা তো থাকছেই......... শীতের সকাল...... অসাধারন......
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০০
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: সব কিছু নিয়ে একটা পোস্ট দিন। আপনার মত শীতের ছুটি কাটাতে না পারলেও পোস্ট দেখেই না হয় শান্তি পাবো। আপনার শীতকালিন অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
২২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
লাজুক ছেলে...... বলেছেন: শীতের সকালের আর একটা রুপ কিন্তু আছে...... নীচে নমুনা প্রমাণ পত্তর হিসাবে দিয়া দিলাম.....
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: যাক এতক্ষনে প্রমান পেলাম আপনি আসলেও লাজুক। কিন্তু লেপ কাঁথা কম্বলের শীতের সকালের কথা পোস্টে আছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার শীতের ছবিটি শেয়ারের জন্য।ভালো থাকুন।
২৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩২
সকাল রয় বলেছেন:
হেব্বি শীতে হেব্বি পোষ্ট দিয়েছেন। ভালো লাগলো।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৯
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ সকাল রয়।
২৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯
মুন্না হাসান(অচেনা পথিক) বলেছেন: অনেক ভাল লাগল।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধন্যবাদ মুন্না হাসান। ভালো থাকুন।
২৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ছবিগুলা ক্লিয়ার আসলে আরো চমৎকার লাগতো।
এক ক্লাসমেটের গ্রামের বাড়ী যাওয়ার প্ল্যান আসে শীত দেখার জন্য ||
০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: কুয়াশায় ছবি তো এমনই হয়। তবে ছবি আমি তুলিনি । নেট থেকে পাওয়া। ধন্যবাদ মুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শীতের চমৎকার রূপ এঁকেছেন শব্দের জাদুতে। খুব ভালো লাগলো।