নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘন্টায় দেড়শো পৃষ্ঠা পড়তে পারি

সিগন্যাস

নিশাচর প্রানীরা দিনের বেলা কিছু দেখতে পাই না।তাদের কাছ থেকে আলো ঝলমলে দিনের অসাধারণ সৌন্দর্য গোপন রাখা হয়েছে।আচ্ছা আমাদের কাছ থেকে কি গোপন রাখা হয়েছে সেটি কি কেউ ভেবে দেখেছে?

সিগন্যাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনারা যারা ভূতে বিশ্বাস করেন না

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

এই পোষ্টের প্রতিটি ঘটনা সত্যি।

ঘটনা-১ : একবার এক বন্ধুর সাথে কারওয়ান বাজারে গিয়েছিলাম মিষ্টি কিনতে। বন্ধুটি তাঁর পরিচিত এক দোকানে ঢুকলো। বলা বাহুল্য সেই দোকানের মিষ্টি আমার কাছে অসম্ভব ভাল লেগেছিল। তারপর থেকে নিয়মিত সে দোকানে যায়। এভাবে নিয়মিত যাতায়াতের ফলে সেই দোকানের দোকানী আজহারের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। একদিন একটু রাত করে সেই দোকানে গেলাম৷ গিয়ে দেখি দোকান পুরো খালি,আর আজহার দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি মিষ্টি চেয়ে পাঠালাম কিন্তু সে বলল মিষ্টি নেই। অথচ কাঁচের র‍্যাকে প্রচুর মিষ্টি রাখা। সেদিকে ইশারা করতেই আজহার বলল সেটা আমার জন্য নয়। আগেই বলেছি লোকটি আমার বন্ধুর মতো,তাই একটু চাপ দিতেই বললো র‍্যাকে যে মিষ্টি রাখা সেগুলো গভীর রাত্রে 'তেনারা' এসে খান।
যদি মিষ্টি না পায় তাহলে পুরো দোকানে ভাঙচুর চালাতে পারে। এটা শুনে আমি হেসে উঠলাম। আজহার আমার সামনে দোকান বন্ধ করে বলল 'তোমারতো বিশ্বাস হয়না। কাল ভোরে এসো' বলে চলে গেল। পরদিন খুব ভোরে সে দোকানের সামনে এলাম। যথারীতি দোকান বন্ধ।কিছুক্ষণ পর আজহার এসে দোকান খুলতেই দেখলাম র‍্যাক পুরো খালি। একটা মিষ্টিও নেই। তখন দোকানী আজহার মুচকি হেসে বললো 'এবার বিশ্বাস হয়েছে?'।

ঘটনা ২ : এই ঘটনাটি পার্বত্য চট্রগ্রামের ।সেখানকার পাহাড়ের নিচের এক গ্রামের লোকজনের সাথে ঘটনাটি কয়েকশো বছর ধরে ঘটে আসছে। গোপনীয়তার কারণে সেই গ্রামের নাম বলছিনা। গ্রামটার লোকজন মূলত কৃষিকাজ করেই জীবন কাটায়। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো প্রতিবার ফসল তোলার পূর্বে গ্রামের লোকজন এক শতবর্ষ পুরোনো অশ্বত্থ গাছের নিচে অশরীরীদের উদ্দেশ্যে খাবার নিবেদন করে। এটাকে স্থানীয় ভাষায় "ভোগ" বলা হয়। যদি কখনো "ভোগ" না দেওয়া হয় তাহলে নাকি সমস্ত ফসল পোকা খেয়ে ফেলে। এমনবহুবার ঘটেছে যে তারা শীতকালীন ফসল তুলবে কিন্তু "ভোগ" দেয়নি। অতঃপর তাদের সমস্ত ফসল ঘরে তোলার আগেই পোকা আক্রমণ করে খেয়ে ফেলেছে।

ঘটনা-৩ : এই ঘটনাটি শুনেছি গ্রামের এক চাচার কাছে। উনি অত্যন্ত ধার্মিক এক লোক। যৌবনে স্টেশন মাষ্টার হিসেবে কাজ করতেন। উনি যে স্টেশনে কাজ করতেন সঙ্গত কারণে সেটার নাম বলছিনা। কিন্তু স্টেশনটা কেমন ছিল তার একটা ধারণা দিচ্ছি। সাধারনত দেখা যায় যে রেল স্টেশনের নিকটে কোন বাজার কিংবা জনবসতি থাকে। কিন্তু ঐ স্টেশনের দুমাইলের মধ্যেও কোন জনবসতি বা হাটবাজার ছিল না। কারেন্ট তো অবশ্যই না। গ্যাস লাইট দিয়ে তখন আলো জ্বালাতে হতো। জায়গাটা এমনিতেই ভীষন নীরব। সন্ধ্যার পর জায়গাটায় কবরের নিস্তব্ধতা নেমে আসতো। আর সেই সাথে নেমে আসতো অশরীরীরা।আধার হলে চাচা তাঁর ঘরে ভেতর থেকে তালা মেরে বসে থাকতো। কেননা তখন স্টেশনে অশরীরীদের মেলা জমে গেছে। কে যেন হাঁটছে। গান গাইছে। কাঁদছে । চিৎকার করছে। এমন বহুশব্দ শুনতে পেত চাচা। কিন্ত জানালা একটু ফাঁক করে বাইরে তাকালে দেখা যেত সব খালি। কেউ নেই। তবে শব্দ কোথা থেকে আসতো?এমনকি একদিন চাচা গভীর রাতে উঠে শুনতে পান কে যেন ভয়ানক শব্দ করে বাইরে হাঁটছে। জানালা হালকা ফাঁক করে বাইরে তাকান। যা দেখেন তাতে জমে যান। অতিকায় এক অবয়ব রেল লাইনের মাঝখান দিয়ে হাঁটছে।দৈত্য বললেও এটাকে কম বলা হবে। এতো লম্বা যে মাথাটা ঠিকমতো দেখা যাচ্ছেনা।

তাই ভূতপ্রেতকে অবজ্ঞা করবেন না। করলে আপনিও হঠাৎ রাস্তাঘাটে গায়েব হয়ে যেতে পারেন।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আজ কাল মানুষজন গায়েব হয়ে যায় । সেটা কি ভুতের জন্য।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

সিগন্যাস বলেছেন: জ্বি সেটা সম্ভব ।
আজকাল আর অসম্ভব কিছুই নেই।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

গরল বলেছেন: এসব গল্প অনেক শুনেছি অনেক ছোটবেলায়, নতুনত্ব কিছু নাই। আপটুডেট ভূতের গল্প জানতে হলে ডিসকোভারি চ্যানেলে ঘোস্ট হান্টারস নামে একটা প্রোগ্রাম হয়, সেটা দেখবেন।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

সিগন্যাস বলেছেন: প্রথমত এইগুলো গল্প নয়।বাস্তব ঘটনা।এগুলোর কোন ব্যাখ্যা নেই।আর ঘোস্ট হান্টারস এর কয়েকটা এপিসোড দেখেছি।ভালোই লেগেছে।আপনার মন্তব্যে খুশি হলাম গে গড়ল

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ওরা কারা
যারা ভূত বিশ্বাস করে??

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

সিগন্যাস বলেছেন: আপনি ভূত বিশ্বাস করেন না?

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আজহারের ঘঠনাটা মার্কেটিং, ঐ দোকানের মিষ্টি তেনাদের পছন্দ তাই রোজ রাতে খেতে আসে। আমি এক ব্যবসায়ীকে চিনি যে বলে বেড়াতো সে দোকান বন্ধের পর তাকে কেউ বাড়িতে পৌঁছে দিতো আর বলতে রহমত তুই যতদিন সৎভাবে ব্যবসা করবি ততদিন আমরা তোকে তোর বাড়িতে পৌঁচে দিবো। বাজার থেকে বাড়ি ৪কিঃমিঃ দূর হবে।
ফসলের পোঁকা খাওয়ার ব্যপারটি কাকতালীয় হবে।
আর আপনার স্টেশন মাষ্টার ভ্রম দেখতো নির্জন জায়গায় একা থাকতে থাকতে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

সিগন্যাস বলেছেন: প্রিয় নূর আলম ভাই,
আপনার ব্যাখ্যা খুব সুন্দর হয়েছে।কিন্তু আজহার সাহেব কিন্তু মার্কেটিং এর জন্য এসব করেনি।আমি অনেক জুরাজুরি করারপর আজহার আমাকে বিষয়টা বলেছে।আর বাকি দুইটা ঘটনাও সত্যি।

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভূত বলে কিছু নাই; এগুলো দুষ্ট জ্বিন হতে পারে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

সিগন্যাস বলেছেন: প্রিয় শাহরিয়ার ভাই,
জ্বিনভূত একই কথা।উভয়েই আমাদের ভয় দেখায়।জ্বিনে বিশ্বাস মানেই ভূতে বিশ্বাস

৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হ্যালুসিনেশন বা গায়েবী আওয়াজ – দৃষ্টি ভ্রম দেখা, এটা তার মানসিক রোগ। হ্যালুসিনেশন হলো
মানব মস্তিষ্কে সৃষ্ট এক ধরনের কৃত্রিম অনুভূতি, যা বাস্তব বলে মনে হয়।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

সিগন্যাস বলেছেন: হ্যালুসিনেশন ভূত দেখার একটা ভাল ব্যাখ্যা।কিন্তু প্রতিদিনই কি হ্যালুসিনেশন সম্ভব?সম্ভব না।তাই যারা দীর্ঘদিন ধরে ভূত দেখে আসছে তাদের জন্য হ্যালুসিনেশন ভাল ব্যাখ্যা নয়

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

দূর পাহাড়ে বলেছেন: খলাকল ইঙসানা মিং সল সলিঙ কাল ফাক্কার ওয়া খলাকল জান্না মিম মারিযিম মিন নার - আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুকনো মাটি থেকে আর জিনকে অগ্নিশিখা থেকে সৃষ্টি করেছি (আর রহমান)

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

সিগন্যাস বলেছেন: প্রিয় পাহাড়,
হঠাৎ কুরআনের আয়াতের উদ্ধৃতি দিচ্ছেন কেন?

৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

দূর পাহাড়ে বলেছেন: জিন অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে এজন্য কুরআনের আয়াত দিলাম

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সিগন্যাস বলেছেন: জ্বি ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন।জ্বিন-ভূত একই কথা।

৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত হাসতে হাসতে বিদায় নিচ্ছি। পরে আবার আসছি। তেনাদের মিষ্টি খাওয়া হা হা হা।

প্রিয় সি..... গ..... ন্যা...... স ভাই। আমার আবার তেনাদের ভীষণ ডরাই ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১০

সিগন্যাস বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই,
আমি একটা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে কথা বলছি।এটা কিন্তু মোটেও হাসির বিষয় না।আপনিও কিন্তু রাস্তাঘাটে গায়েব হয়ে যেতে পারেন।পরে কিন্তু আমাকে দোষ দিবেন না যে 'সিগন্যাস ভাইয়ের পোষ্টের জন্য আজ আমি কবরে'

১০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

জুন বলেছেন: আপনি সঙ্গত কারনে কোন জায়গারই নাম বলছেন না সিগ্ন্যাস, এতে আমার মনের মধ্যে প্রবল সন্দেহের উদ্রেক হচ্ছে /:)
=p~
থাইল্যান্ডে দেখা যায় ছোট বড় সব বট পাকুড় গাছে কাপড় পেঁচিয়ে বাধা এবং এমন অনেক গাছের নীচে ও বিভিন্ন ছোট মন্দিরে খাবার সামনে নিয়ে মুর্তিরা বসে আছে। তারা নাকি স্পিরিট বা আত্মা। তবে কার আত্মা, কিসের আত্মা সেটা কেউ বলে না।অনেকেই তাদের সামনে খাবার দিয়ে ধুপকাঠি হাতে প্রার্থনা করছে মাথা নীচু করে। এ ব্যপারে শিক্ষিত অল্প শিক্ষিত সবার মাঝেই এদের নিয়ে একটি ভীতি লক্ষ্য করেছি । তাদের আশপাশ থেকে কেউ সুতোটা পর্যন্ত ছোয় না , ছুলে নাকি ঐ সব আত্মারা বাড়ি পর্যন্ত এসে হাজির হয়। এই সব স্পিরিটরা কাপড় চোপর পরে ভদ্রলোকের মতই বসে আছে। কোন রকম অতিপ্রাকৃত চেহারা দেখিনি কখনো । আমার কোহ সামুই পোষ্টে তারানিম পার্কে এমন একটি আত্মার ছবি দিয়েছি দেখতে পারেন।

আর ৩ নং ঘটনায় তারা কেমন তেনারা যে বন্ধ দরজার ভেতর প্রবেশ করতে পারে না ! যদি নাই পারে তবে আজহারের দোকানের মিষ্টি খায় কারা ;)
:P
+

০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১১

সিগন্যাস বলেছেন: প্রিয় জুন আপু,

আপনার মন্তব্য পড়ে কিছুটা কিছুটা কষ্ট পেলাম।ভেবেছিলাম আপনি অন্তত ভূত বিশ্বাসী ।কিন্তু এখন দেখছি আপনি শার্লক হোমসের দিদি সেজে বসেছেন।আচ্ছা দেখি যুক্তি খন্ডন করতে পারিনা।শুরুতেই থাইল্যান্ডের স্পিরিটের কথা বাদ।তারা পুরোটাই ভুয়া । সেটা খালি চোখেই দেখা যায়।এবার আসি আসল প্রশ্নে।'তেনারা' কেন মিষ্টির দোকানে
প্রবেশ করতে পারে কিন্তু স্টেশন মাস্টারের ঘরে কেন প্রবেশ করতে পারেনা।এখানে আপনাকে লক্ষ করতে হবে যে আমি কখনো বলিনি 'তেনারা' স্টেশন মাষ্টারের ঘরে প্রবেশ করতে পারেনা।'তেনারা' এই কাজ করতেও সমর্থ।কিন্তু তাদের প্রবেশ করার দরকার নেই।'তেনারা' মিষ্টিপ্রিয় তাই মিষ্টির দোকানে রাত্রে প্রবেশ করে।কিন্তু স্টেশন মাষ্টারের ঘরে ঢোকার মোটিভ কি?স্টেশন মাষ্টারতো আর 'তেনাদের বিরক্ত করছে না'।বুঝলেন?

১১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




ভাবছি জ্বীনের সাথে দেখা হলে অদৃশ্য হওয়ার ইস্যুটা রপ্ত করে নেবো! শয়তানও একটা জ্বীন, তাই সকল মানুষের নিকটেই জ্বীন রয়েছে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৫৭

সিগন্যাস বলেছেন: আসল কথা হলো আপনি জ্বিনে বিশ্বাস করলেও ভূতে বিশ্বাস করছেন না।বুঝতে পারছেন না যে জ্বিন ও ভূত একই জিনিস

১২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৭

টেকনিক্যাল এনালিসিস বলেছেন: যুক্তিবিদ্যার বই বেশি পড়ুন, ভুত ফুত পালাবে

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৫৯

সিগন্যাস বলেছেন: আপনি আমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝান আপনি একজন মানুষ

১৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভৌতিক গল্পে আমার সবসময় ভীষন আগ্রহ ।
ঘটনা গুলো সাধারণ হলেও ভালো লাগলো ।
হয়তো হতেও পারে , নিজের চোখে দেখা জিনিস ছাড়া লোকমুখে শোনা জিনিস এ ভয় কম কাজ করে ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:০৫

সিগন্যাস বলেছেন: জ্বি সাধারণ ঘটনার মাঝেই অসাধারণ ঘটনা লুকিয়ে থাকে।আমি এক মাদ্রাসার হুজুরকে চিনতাম।ওই হুজুর আমাকে বলেছিল যে তিনি যে মাদ্রাসায় পড়ান সেখানকার অর্ধেক ছাত্র জ্বিন।শুনে প্রথমে বিশ্বাস নাহলেও ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকদের কাছেও একই কথা শুনি।ওই মাদ্রাসার অর্ধেক ছাত্র জ্বিন।আপনার কথাই ঠিক শোনা জিনিস এ ভয় কম কাজ করে

১৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৫৮

পথিকের পাঁচালী বলেছেন: এ সমস্ত গল্পগুলো আগে বেশী শুনতাম এখন খুব কম শোনা যায়।ভূত প্রেত কি কমে গেল ? নাকি বিদ্যূতের আলো এবং শিক্ষার আলো বেড়্ব যাওয়াতে এরা সামনে আসতে ভয় পায়।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:০৮

সিগন্যাস বলেছেন: পোষ্টের শুরুতেই উল্লেখ করেছি ইহা কোন গল্প নয়।আপনি সেটা লক্ষ করেননি।এই ঘটনাগুলো আগে আমিও বেশি শুনতাম।কারণ তখন চারপাশের পরিবেশ ভৌতিক ঘটনা ঘটার জন্য উপযুক্ত ছিল।এখন আর সেই পরিবেশ নেই।মানুষও বদলে গেছে।

১৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৩৭

নিশি মানব বলেছেন: অনেক আগের কথা। নব্বই দশকের দিকের ঘটনা। হাফ প্যান্ট পড়তাম তখন।
সে সময় মুরুব্বীরা উপদেশ দিতো, গভীর রাতে বাহির থেকে কেউ ডাকলে সাড়া দিবেনা। দরজাও খুলবেনা। বাহিরেও যাবেনা।
এখন ঐ মুরুব্বীরা আর নাই। তাই কেউ উপদেশ দেয়না। তবে তেনারা আছেন। রাত গভীর হলে তেনারা পুলিশের পোষাকে আসেন। কখনো সাদা পোষাকে। নিজেরদেরকে পরিচয় দেন সিআইডি বা ডিবি বলে। এরপর সাড়া দিতে যাওয়া বা দরজা খুলতে যাওয়া লোকেরা হাওয়া হয়ে যান। কখনো পাওয়া যায় উদভ্রান্ত অবস্হায় আবার কখনো পাওয়া যায় নদী নালায় ঘাড় মটকানো অবস্হায়।

আমাদের স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আবুল একটা। প্রেস বিফিংয়ে তিনি এটা বলতো পারতেন, তাহাদেরকে তেনারা নিয়ে গেছে। যেমনটা বিএনপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতেন, আল্লাহর মাল আল্লাহয় নিয়া গেছে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:০২

সিগন্যাস বলেছেন: হা হা হা ভালো বলেছেন।
কিন্তু ভাইয়া আমিতো এখানে রাজনীতি নিয়ে আলাপ করছিনা।আমি সত্যিকার ভূতপ্রেত নিয়ে কথা বলছি।আপনি যদি 'তেনাদের' বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে লিখুন

১৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: সিগন্যাস ভাই, আমি কি করতাম বলেন তো :(( আমার তো ভূতের গল্প পড়লে, ভূতের সিনেমা দেখলে ভয় তো লাগেইনা উল্টো হাসি পায় :(( আমার অতিসত্বর তেনাদের সাথে সাক্ষাৎ করা লাগবে :P কিন্তু সেটা কিভাবে ? ? ? :(

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

সিগন্যাস বলেছেন: তেনারা কি মিষ্টির দোকানের রসগোল্লা যে চাইলেই পাওয়া যাবে? /:)
'ভূতের গল্প পড়লে হাসি পাই' এইসব কথা ব্লগেই সীমাবদ্ধ রাখেন।তানহলে আপনিও রাস্তাঘাটে গায়েব হয়ে যাবেন :)

১৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

নতুন বলেছেন: আপনি বিশ্বাসী মানুষ ভালো... কিন্তু অন্ধ বিশ্বাস করবেন না প্লিজ...এটা ভালো না।

ঘটনা ১:- আপনি সারা রাত দোকানের কাছে ছিলেন না তাই জানেন না যে অন্য কেউ রাতে মিস্টি নিয়েছে কিনা।
দেখা গেলো অন্য কারুর জন্য বুকিং ছিলো তারা রাতে নিয়ে গেছে। আপনার বন্ধু পরিস্কার করে না বলে তিনি বলেছেন তেনারা নিয়ে গেছে। << এটা প্রমানিতি কিছু না।

ঘটনা ২;- এটা প্রমানিত হলে সবাই প্রতিবছর অবশ্যই ভোগ দিতো... কারন কেউই তাদের ফসল নস্ট হতে দিতে চাইবেনা।
তারা শীতে ভোগ দেয়নি এবং পোকায় ফসল খেয়েছে প্রমান করে যে তারাই জিনিসটা বিশ্বাস করেনা।
<< এটা একটা কোইনসিডেন্স...বানাবো কাহিনি।

ঘটনা ৩:- চাচার মানুষিক সমস্যার কারনে এই রকমের দেখতেন... আপনি যদি এখন ঐখানে রাত কাটান তবে কিছুই পাবেনা।
এই রকমের কাহিনি অনেক আছে...কিন্তু প্রমান নেই।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

সিগন্যাস বলেছেন: প্রিয় নতুন ভাই,
আপনি প্রাচীন ব্লগার।আপনার যুক্তি অবশ্যই ঠিক আছে।যদি উপরের সমস্ত ঘটনা মিথ্যেও হয় তবুও কি আপনি বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন অতিপ্রাকৃত বলে এই পৃথিবীতে কিছু নেই?গভীর রাত্রে শশানঘাটে যেতে কি আপনার বুক কাঁপবেনা?

১৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

নতুন বলেছেন: মানুষ ভয় করে মৃত্যুকে তাই গভীর রাতে শশানে/কবর স্হানে যেতে ভয় পায়, যদি মারা যায় তাই।

কিন্তু সত্যিটা হলো.... অতিপ্রাকৃতিক বলে কিছুই নাই। কিছু জিনিস আছে যা ব্যক্ষা করতে পারেনা তাই অতিপ্রাকৃতিক বলে ধারনা করে নেয় জনগন।

কিন্তু সেই ঘটনাগুলি ভালো করে চিন্তা করলে বা গবেষনা করলে অবশ্যই তার যৌক্তিক ব্যক্ষা পাওয়া যাবে।

সাধারন একটা বিষয় মনে রাখবেন.... ১+১=২... যখন অন্য কিছু আসবে তখন সেটা বাইরে থেকে যোগ করা হয়েছে ...

দুনিয়ার প্রতিটি বিষয়ই physics এর নিয়ম মেনে চলে....

ঘটনা ১:- মিস্টিগুলির ভর আছে... সেটা বাতাসে মিলিয়ে যেতে পারেনা।
ঘটনা ৩:- কথা বলতে হলে মানুষের স্বরযন্ত্রর দরকার। গান হলে কথার সাথে বাজনাও দরকার.... সেইগুলি কোথা থেকে আসবে...

যৌক্তিক ভাবে বিশ্লেসন করুন... আপনিই উত্তর পেয়ে যাবেন...

আপনি যে কমেন্টটা পড়ছেন তা আমি দুবাইতে আমার অফিসের কম্পিউটারে বসে কি বোডে বোতাম চাপছি।

এটার ও ব্যক্ষা আছে.... কিভাবে সম্ভব হচ্ছে.... তাই এটা অতিপ্রাকৃতিক না.... :)

যৌক্তিক ভাবনা শুরু করেন.. এই সব ভুতুড়ে কাহিনির ব্যক্ষা আপনি নিজেই পাবেন।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

সিগন্যাস বলেছেন: বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর

ভাইয়া আমি নিজে অতিপ্রাকৃত ঘটনায় বিশ্বাসী । সময় পেলেই স্টিফেন কিং এর বই নিয়ে বসি।তাছাড়া গ্রাম বাংলার বহুলোক এখনো নানা রকম অতিপ্রাকৃত ঘটনার শিকার হয়।

১৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

নতুন বলেছেন: আপনি বিশ্বাস করে ভুতের গল্প পড়ে মজা পেলে ভালো...

কিন্তু বাস্তবতা হলো এই গুলি সবই মনের ভুল...আর কিছু মানুষর প্রতারনা।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

সিগন্যাস বলেছেন: প্রিয় নতুন ভাই,
থাকুক না কিছু বিষয় অমিমাংশিত।সব কিছু জানার দরকার নেই।

২০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

بيت دعارة বলেছেন: এসব ভূত নয়, জ্বীনের কারসাজি।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

সিগন্যাস বলেছেন: আমিতো জ্বিন আর ভূতের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখিনা

২১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রিয় নতুন ভাই,
থাকুক না কিছু বিষয় অমিমাংশিত।সব কিছু জানার দরকার নেই।


আপনি স্টেফেন কিং এর বই পড়তে পারেন তাই আপনি সমস্যায় পড়বেন না।

কিন্তু গ্রামের অনেকেই ফকিরের কাছে যাবে আর টাকা দেবে এই সব আজগুবী কিহিনিকে পুজি করে ব্যবসা করবে কিছু ধান্দাবাজ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:০৬

সিগন্যাস বলেছেন: আসলে ভাইয়া গ্রামের লোকেরা এইসব বিশ্বাস করে আনন্দ পাই।তাই তারা এইসব করে।এতে দোষের কিছু নেই

২২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৮

নীলপরি বলেছেন: আপনার ভৌতিক কাহিনী ভালো লাগলো ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:০৬

সিগন্যাস বলেছেন: আচ্ছা :)

২৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নতুন ভায়ার সাথে তর্ক করে লাভ নেই । উনি বিশ্বাস করে না।

একথায় বলে দিবেন যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে।

জ্বীনের মাধ্যমেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

সিগন্যাস বলেছেন: জ্বি ভাইয়া
যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে।
এইসব বিষয়ে তর্কে লাভ হয়না।জ্বিন আর ভূতের মধ্যে কোন তফাত নেই

২৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

সোহানী বলেছেন: আপনার অদৃশ্য ভুতের গল্প বা বাকি সবগুলোই শুনে শুনে বড় হয়েছি। যাহোক আপনার ব্লগময় দেখি ভুতদের ছড়াছড়ি। আমার অাবার ভুতদের সাথে ভালো জমে কারন আমি ওদের কাছাকাছি যেতে চাইলেই ওরা পালায়।

যাহোক, নেক্সট এরকম কিছুর দেখা পেলে আমাকে খবর দিবেন। স্বশরীরে হাজিরা দিবো, কারন একটা ভুতকে বোতলে ভরার ইচ্ছে বহুদিনের............ ;) ;)

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

সিগন্যাস বলেছেন: হাজিরার জন্য শুভেচ্ছা হে সোহানী আপু,
আপনার মতো আমিও এইসব ভূতের গল্প শুনে বড় হয়েছি । কিছু কিছু নিজেও দেখেছি । যার ফলে ভূত নিয়ে আমার এতো আগ্রহ ।
নেক্সট টাইম অবশ্যই আপনাকে জানাবো । দেখি ভূত পালায় কিনা :)

২৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:


বাইচা থাইকা কি উগলাইলাম ! মরে গিয়ে ভূত হয়ে গেলেও ভাল হত, "তেনারা খাবেন"- ফ্রি ফ্রি খাওয়া যেত !

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

সিগন্যাস বলেছেন: হে হে হে
আপনার মন্তব্যে মারাত্মক মজা পেলুম :) :) :)
উত্তরে কি বলবো বুঝতে পারছি না । এমন চিন্তা আমার মাথায় আগে আসেনি ;) ;) ;)

২৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষকে ভয় ধরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ভয় পেয়েও যাচ্ছে বলে মনে হয়। :)
একজন প্রশ্ন করেছেন, আজকাল হরহামেশা মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে। এসবও কি "তেনাদের" কাজ কিনা। প্রশ্নটা ভাল লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.