নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব কিছুর উর্ব্ধে উঠা যায় না, তবু মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়...
পাকা মিষ্টি আম খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবেনা বললেই চলে। তবে বিগত বছরে এর উচ্চ দামের কারণে অনেক স্বল্প আয়ের মানুষই হোঁচট খেয়েছে; যা এবারের আম-বাজারে এর ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
মৌসুমের শুরুটা সাধারণতঃ গোপালভোগ এবং হিমসাগর দিয়েই শুরু হয়। যদিও অনেক জাতের আঁটি আমও উঠে তখন; কিন্তু ওগুলো খেতে টক বলে অনেকেরই তা অপছন্দ। শুরুতে গোপালভোগ ও হিমসাগর ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও পরে তা ৬০-৬৫ টাকা কেজিতে চলে আসে এবং শেষে ৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়েছে। এরপর বাজারে আসে আম রূপালি। এর নাম যেমন সুন্দর খেতেও অনেক মজা; শুরুতে এটি বিক্রি হয়েছিল ৬০-৭০ টাকা কেজিতে তবে ১ সপ্তাহের ব্যবধানে এর দাম ৪০- ৪৫ টাকা কেজিতে নেমে আসে। কিন্তু এখন এ আমের মৌসুম অনেকটা শেষ হওয়ার কারণে দাম বেড়ে আবার ৬০-৭০ টাকা কেজি হয়ে গেছে।
বর্তমানে বাজারে ৪০ থেকে ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে ল্যাংড়া এবং হাড়িভাঙ্গা আম। আমার জানা মতে বিগত ৭-৮ বছর এর মধ্যে ৪০ টাকা কেজিতে ল্যাংড়া আম কেউ কিনতে পেরেছে বলে মনে হয় না; অন্ততঃ ঢাকা এবং এর আশে-পাশের জেলাগুলোতে এই দামে কেনার প্রশ্নই উঠেনা।
এখন প্রশ্ন হলো, এবার আমের দাম কম হওয়াতে লাভবান হচ্ছে কারা ? নিঃসন্দেহে ভোক্তা শ্রেণী। তবে একটা শ্রেণী ক্ষতিগ্রস্থও হচ্ছে; বিশেষ করে আমচাষী এবং মধ্যস্বত্বভোগী ব্যাপারীরা। ব্যাপারীদের ক্ষেত্রে অবশ্য বিষয়টা আলাদা, কারণ এরা প্রতি বছরই অধিক লাভ করে থাকে। এবার ধরা খেয়েছে মূলতঃ আমের অধিক ফলন হওয়া এবং অপরিপক্ক আম বিষ দিয়ে পাকিয়ে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করতে না পারার কারণে। তবে আম চাষীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু আলাদা, আর তা হলো যে সব চাষী আমের মুকুল অবস্থায় বাগান বিক্রি করে দিয়েছিল তাদের উপর এ ক্ষতি বর্তায় না; কিন্তু যারা এটা করেনি, সে সব আম চাষীকে এ ক্ষতি বহন করতে হচ্ছে। বর্তমানে চাপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর পাইকারী আমের বাজারে নাকি ৬০০ টাকা মন আম বিক্রি হচ্ছে, তবে সে আম ঢাকাতে পৌছাতে এর চেয়ে বেশি লাগছে পরিবহন খরচ।
এত কিছুর পরও গরীব ও স্বল্প আয়ের মানুষ যে, হিমসাগর, আম রূপালী, ল্যাংড়া কিংবা হাড়ীভাঙ্গার মত সুস্বাদু আম কম দামে কিতে খেতে পেরেছে বা এখনও পারছে - এটাই বা কম কি ?
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
সাইন বোর্ড বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সুস্বাদু এই ফলটি সকলের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে অাছে এবার । পড়া ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন ।
২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমের স্বাদ নিতে কেউ এবছর শেষের লাইনে নাই
সবাই আম খেতে পেরেছে বিষয়টা ভালো লেগেছে।
যারা প্রতিবছর লাভ করে তারা না হয় এবার একটু
ক্ষতি বহন করলো!! এক মাঘে তো শীত যায়না
পরবর্তী মাঘের অপেক্ষায় থাকুক তারা !!
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
সাইন বোর্ড বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সুস্বাদু এই ফলটি সকলের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে অাছে এবার । পড়া ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন ।
৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: ৪০/৪৫ টাকায় আসলে আম পাওয়া যায় না।
ঢাকাতে ৫০/৬০ টাকা কেজি। এর কমে আম পাওয়া যায় না।
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০
সাইন বোর্ড বলেছেন: কোথাও কোথাও পাওয়া গেছে, তবে অাপনার দামটাও ঠিক অাছে । পড়া ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন ।
৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি ভাই আমের দেশের মানুষ। পাইকারি বাজারে বর্তমানে আমের দাম অত্যন্ত কম। চাষিরা পুরোপুরি লোকসানে আছে।
আর একটা কথা। আপনি যে আমের নাম লিখেছেন আম রুপালী, সেটার নাম আসলে আম্রপালী। ধন্যবাদ ভাই সাইন বোর্ড।
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
সাইন বোর্ড বলেছেন: সঠিক নামটি জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । ভাল থাকুন ।
৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ফরমালিনের ভয়ে অনেকে আম কিনতে ভয় পায়। আমের দাম এর ৫০ টাকার মধ্যেই থাকা উচিত। দাম কমলে বেশী মানুষ খাবে। তখন অটোমেটিক ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবে...
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬
সাইন বোর্ড বলেছেন: ঠিক বলেছেন, পড়া ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো খবর, গরীবেরা হয়তো ফল খাওয়ার সুযোগ পেয়েছে; ব্যবসায়ীরা কোন না কোনভাবে ভালো করছেন সব সময়।