নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা আছে বলে এখনো স্বপ্ন দেখি, নিজেকে নির্মাণ করার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত...

সাইন বোর্ড

সব কিছুর উর্ব্ধে উঠা যায় না, তবু মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়...

সাইন বোর্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিভাগীয় চার প্রধান শহর সীলগালা করে দেওয়ার পরও থামছে না মানুষের অনুপ্রবেশ

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯


গতকাল ঢাকাকে সীলগালা করে দেওয়ার পর চট্রগ্রাম এবং রাজশাহী শহরও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এরপর আজ সকালে দেখলাম খুলনা শহরও এই আইন জারি করেছে । কিন্তু আমরা বাঙালি বলে কথা, সোজা পথে হাঁটতে না পারলেএ বাঁকা পথে হাঁটতে উস্তাদ এবং সেটাই দেখা যাচ্ছে বাস্তবে ।

বেশ কিছু বছর আগে, আমি তখন মিরপুর এক নম্বরের 'এ' ব্লকে কয়েকজন মিলে একটা বাসায় থাকি, সেখানে আমিসহ আরো কয়েকজন ছিলাম ছাত্র, বাকীরা চাকুলীজীবী এবং কয়েকজন বেকারও ছিল । চাকুরীজীবীদের মধ্যে এক জনের নাম ছিল সিরাজ, বাড়ি শরিয়তপুরে । মাঝে মাঝেই দেখতাম, তার এক ছোট ভাই প্রায়ই বাড়ি থেকে ঢাকা এসে তার কাছে থাকত । পরে জানলাম, সে ইটালি যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে এবং এ জন্যেই তাকে ঢাকা এসে থাকতে হয় ।

এরপর দীর্ঘদিন তার আর কোন খবর নাই । এর মধ্যে আমি এক রকম ভুলেই গিয়েছিলাম তার কথা । হঠাৎ একদিন রুমে এসে শুনলাম, সিরাজ ভাইয়ের ছোট ভাই ইটালি যাওয়ার পথে মারা গেছে । লাশ আসতে কয়েক মাস সময় লাগবে । আমি ব্যপারটা তখনো বুঝে উঠতে পারিনি যে, ইটালি যাওয়ার পথে আবার মানুষ কিভাবে মারা যায় ? কিন্তু পরে যেটা জানলাম, সেটা আমার ভাবনারও অতীত ছিল । ঘটনাটা এরকম, প্রথমে স্থল পথে কয়েকটি দেশ পাড়ি দেওয়ার পর সাগর পথে একটা ড্রামের ভেতরে ঢুকে জাহাজে সে ইটালি যাওয়ার চেষ্টা করছিল; কিন্তু অনেকটা পথ যাওয়ার পর সে খুব অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং মারা যায় ।

যাইহোক, সত্য এই ঘটনাটি এখানে উল্লেখ করার অর্থ হলো, কয়েক দিন ধরে কিছু নিউজ এবং ছবিতে দেখছি, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কেমিক্যালের খালি ড্রামের ভেতর মানুষ ঢুকে ফেরীতে করে গোয়ালন্দ থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আসছে । যেহেতু ফেরী এই মুহূর্তে কোন মানুষ পার করছে না, তাই তারা ড্রামের ভেতর ঢুকে পিক-আপ বা ট্রাকের মাধ্যমে ফেরী পার হচ্ছে এবং এপারে এসে আরো ভয়ংকর কাভার্ড ভ্যানের ভেতর ঢুকে ঢাকা আসছে । যার ভেতরে অক্সিজেন ঢোকার মত কোন ফুটা, ফাটাও নেই ।

এসব দেখে মনে হচ্ছে, প্রবেশ-অনুপ্রবেশের নিষিদ্ধতার শর্ত জুড়ে দিয়ে আসলে কোন কাজ হবেনা; কারণ আমরা তো বাঙালি, একটা বিকল্প রাস্তা ঠিকই বের করে নেব, সেটা জীবনের জন্যে যত ঝুকিপূর্ণই হোক না কেন ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ছবিটা দেখেছি ফেসবুকে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন এভাবে ঢাকা ঢুকতে চাইছে? গ্রামে গ্রামে কি ত্রান পৌছাচ্ছে না? যদি কোন কারন ছাড়াই এভাবে ঢুকতে চেষ্টা করা হয় এত নিশেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তবে কিছু লঘু শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫১

সাইন বোর্ড বলেছেন: আমার মনে হয় যেসব মানুষ এখন ঢাকা আসছে এরা সবাই ছুটি পেয়ে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিল, এখন অফিস বা অন্য যে কোন কারণেই হোক, তাদের ঢাকা ফিরে আসাটা খুব জরূরী হয়ে পড়েছে, তা না হলে এভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে কেন আসবে তারা ? ভাল থাকুন এবং সাবধানে থাকুন ।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইমার্জেন্সী সেক্টরগুলো ছাড়াতো আর সব কিছু বন্ধ। মাইকিং করা হচ্ছে, টেলিভিষনে বলা হচ্ছে তারপরেও এভাবে রাস্তায় চলাচল করাটা এখন খুবই ঝুকিপুর্ন। লকডাউন কঠিনভাবে কার্যকর না করলে আমাদের দেশের খবরই আছে। কষ্ট করে যদি আরো এক /দুই মাস লকডাউন জারী রাখা যায় তবে আশা করা যায় যে, আমরা এই যুদ্ধে জয়ী হতে পারব।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪০

সাইন বোর্ড বলেছেন: কেবলমাত্র কিছু সচেতন মানুষই এটা বুঝছে, বাকীরা এটাকে পাত্তাই দিচ্ছেনা, এতে করে গোটা বাংলাদেশই ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে ।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: এমন অবস্থায় কোনো মানুষই শখ করে বাইরে বের হয় না।
বাধ্য হয়েই বের হতে হচ্ছে।
শুনুন না খেয়ে থাকা যায় না।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

সাইন বোর্ড বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে, কিন্তু সরকার থেকে তো বলা হচ্ছে যে, তারা দূর্যোগ মুহূর্তে মানবিক সাহায্যের ব্যবস্থা করেছে । সেটার সুষ্ঠু বন্টন না করে যদি চুরি-চামারি করে খায়, তাহলে মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবেই ।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গিটারিষ্ট হিরোর লাশ কাপড় মুড়ানো রাস্তায় পড়ে ছিল সারা রাত। মানুষ শুনছেও না।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

সাইন বোর্ড বলেছেন: খুবই কষ্টদায়ক, সবাই নিজকে নিয়েই ব্যস্ত ।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২১

রাজীব বলেছেন: বার বার বলা হচ্ছে ভয় পাবেন না। ভয়ের কিছু নেই।

ভয়ের কিছু নেই, আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী।
ভয়ের কিছু নেই, সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ভয়ের কিছু নেই, করোনা ছড়াচ্ছে না, প্রবাসীদের কাছে না গেলেই হলো।
ভয়ের কিছু নেই, ভয়ের কিছু নেই, ভয়ের কিছু নেই।

কিন্তু করোনা থেকে আমাদেরকে বাঁচতে সবচেয়ে বেশি দরকার ভয়।
শুধুমাত্র ভয় পারে আমাদেরকে ঘরে আটকে রাখতে।
আমরা যদি ভয় পেয়ে ২টা সপ্তাহ ঘরে থাকতাম তাহলে অবস্থা খারাপের দিকে যেত না। হয়ত এখন আমারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারতাম।

কিন্তু লকডাউন, শাটডাউন ইত্যাদি করে আমরা সবাই মিলে ঘুরতে বেরিয়েছি। উৎসব করেছি। জায়গায় জায়গায় আড্ডা দিয়েছি। ফলাফল যা হবার তাই হচ্ছে।

আর কিছু লোক বারবার বলে‌ বেড়াচ্ছে, দিন মজুর, ও গরীব মানুষেরা খাবে কি?
বিভিন্ন জায়গায় ত্রান দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু প্রথম ভাষন-এ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভাসমান মানুষ ও অতি দরিদ্র মানুষ যাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা নেই, তাদের জন্য ভাষানচরে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এপর্যন্ত ভাষানচরে কতজন গেছে জানেন কি?

আবারও বলি, আমাদেরকে ভয় পেতে হবে, সাবাই মিলে ভয় পেতে হবে। ভয় পারে আমাদেরকে বাঁচাতে।

সচেতনতা সংক্রামক নয়। সব মানুষকে সচেতন করে ঘরে আটকে রাখা যাবেনা। ভয় সংক্রামক। মানুষ ভয় পেয়ে ঘরে থাকলে আমরা রোগ থেকে মুক্তি পাবো।


০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

সাইন বোর্ড বলেছেন: আপনার শেষ কথাটিই শিরোধার্য, সবাইকে ভয় পেতে হবে এবং ঘরে থাকতে হবে, তবেই নিজে ও অন্যদেরকেও বাঁচাতে পারবে । ভাল থাকুন এবং সাবধানে থাকুন ।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চরম অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত (আল্লাহ না করুক) হয়ত আমরা ভাইরাসটার ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন হবো না। সংকটের সময় সবচেয়ে খারাপ কি হতে পারে তা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা উচিত।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১২

সাইন বোর্ড বলেছেন: পরিকল্পনা তো অনেক কিছুই করা হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে তা মানছে কয়জন ? এই মাত্র খবর পেলাম, ৪১ থেকে আজ ৫২, জানিনা সামনে কি ভয়ংকর দিন আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে । ভাল থাকুন এবং সাবধানে থাকুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.