নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা আছে বলে এখনো স্বপ্ন দেখি, নিজেকে নির্মাণ করার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত...

সাইন বোর্ড

সব কিছুর উর্ব্ধে উঠা যায় না, তবু মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়...

সাইন বোর্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাহিদানুযায়ী প্রাপ্তির ঘাটতিতে যেন নিরানন্দ না হয়ে উঠে এই অখণ্ড অবসর

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৬


আমার এক অফিস কলিগ একদিন তার পারিবারিক অভিজ্ঞতা থেকে বলছিল, ছুটির দিনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি নাকি বেশি হয় । কারণটা স্পষ্ট, অন্যদিন দুজনেই কাজে ব্যস্ত থাকে, তার চেয়েও বড় কথা দু'জনে একে অপর থেকে সারাদিন দূরে থাকে এবং রাতে যখন বাসায় ফিরে তখন ঝগড়া-ঝাটি করার মত আর সময় থাকেনা । কারণ পরের দিন কাজে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে তৈরী হতে হয় এবং তার জন্য দরকার হয় পর্যাপ্ত ঘুম ।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস আমাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করেছে । রোগটি অসম্ভব রকম ছোঁয়াচে হওয়ায় আমরা ইচ্ছে করলেই ঘরের বাইরে যেতে পারছি না । কিন্তু সব কিছুরই একটা লিমিট আছে, একটা সহনীয় পর্যায় আছে, যে পর্যন্ত মানুষ ঐ অবস্থাটিকে মেনে নেওয়ার মত ক্ষমতা রাখে । আজ দীর্ঘ এক মাসের উপরে হতে চলল লকডাউনের কারণে আমরা অনেকটা বন্দী জীবন কাটাচ্ছি । কিন্তু তাই বলে জীবন তো আর থেমে থাকবে না, সে চলমান এবং তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে মৌলিক কিছু চাহিদার যোগান তাকে দিতেই হবে ।

এই মুহূর্তে খাদ্য-সামগ্রীই হলো তার প্রধান উপাদান । কিন্তু সেই খাবারটা কেমন হবে, সেটাও একটা ব্যাপার । সভ্যতার এই সর্বোচ্চ পর্যায়ে মানুষের দৈন্যদিন খাদ্য তালিকা বা অভ্যাসেরও পরিবর্তন ঘটেছে । ইচ্ছে করলে কিংবা বাধ্য হলেও সে আর ডালভাত, আলুভর্তা দিয়ে দিনের পর দিন খাওয়া চালিয়ে যেতে পারেনা । তাই, দেরিতে হলেও বাজার বা কেনাকাটার জন্যে বাইরে তাকে যেতেই হয় মিনিমাম কিছু চাহিদা পূরণের জন্য । কিন্তু বাইরে যে মানুষ এই মুহূর্তে বের হবে, কিভাবে ?

ধরে নিলাম প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কিংবা উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে বাইরে বের হলাম বাজার করার জন্যে । তাতে ঝুঁকিটা কার বেশি ? যেখানে বলা হচ্ছে, বাজারে বিক্রিত প্রতিটা পণ্যের সাথেই থাকতে পারে করোনাভাইরাস, কারণ প্রথমত এ পণ্যটি অনেকগুলো হাত ঘুরে বাজারে আসছে, এরপর আরো অনেক মানুষ সেটি কেনার আগে নেড়েচেড়ে দেখছে । তাছাড়া আরেকটি ব্যাপার হলো টাকা; আপনি যে টাকাটা বাসা থেকে নিয়ে গিয়ে গিয়েছেন, সেটিতে হয়ত কোন ভাইরাস নেই, কিন্তু কিছু কেনার পর বিক্রেতা যে টাকাটা আপনাকে ফেরৎ দিচ্ছে, সেটাতে ভাইরাস না থাকার গ্যারান্টি কতখানি ?

এই অবস্থায় অনেকটাই নিরুপায় আমরা, দেরিতে হলেও শত ঝুঁকির মধ্যে আমাদেরকে বাজারে যেতে হবে । তারপরও যদি সম্ভব হয়, কিছুদিনের জন্যে আমরা না হয় ডালভাত, আলুভাতে বাঙালি হয়েই থাকলাম - সমস্যা কি ? এই মুহূর্তে বেঁচে থাকাটাই যখন আমাদের জন্যে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ।

তাই, অখন্ড এই অবসরে কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও আমাদের পারিবারিক আনন্দটুকু বজায় রাখা জরুরী । তাতে করে আমরা সবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য থাকতে পারব ।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

শুভ্র মিহির বলেছেন: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি তবে মৃত্যুর হার কম। আমরা বাংলাদেশে যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করি তাতে আমাদের এই ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল। এটা একান্তই আমার অভিমত ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৩

সাইন বোর্ড বলেছেন: সেরকমটা যদি হয়,তাহলে তা আমাদের জন্যে অনেক কল্যাণকরই হবে । অন্তত এই দূর্যোগ মুহূর্তে । অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন ।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একেই বুঝি বলে শাখের করাত!
এদিকেও কাটে, ওদিকেও কাটে!

হে প্রভু রহম করো। দুর্যোগ দূর করে দাও

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: আমাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা চলছে, আমরা যেন কেউ সে পরীক্ষায় ফেল না করি । অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন ।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কিন্তু ভায়া এই অনন্ত অখন্ড অবসর যেন আস্তে আস্তে অসস্থি আর বিরাগে রূপ নিচ্ছে।

স্বামী, সন্তান , স্ত্রী একই কাজ (মোবাইল টিপা, টিভি দেখা, মুভি দেখা, বাইরে বেরুনোর চেষ্টা, হাতের কাজে সাহায্য না করা, পড়া লেখা না করা.....।) করতে বারন, শাসন, ধমক আরও কত কি শুরু হয়েছে।

তাই সয্য সীমা বাড়াতে হবে।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

সাইন বোর্ড বলেছেন: কিছু করার নেই, প্রকৃতি হয়ত নতুন করে আমাদের বাঁচতে শেখাচ্ছে । অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন ।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সবাইকে যেন সুস্থ রাখে আল্লাহ ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

সাইন বোর্ড বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন ।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: অখণ্ড অবসর সবার জন্যে একরকম নয়। সবাই ভালো থাকুক যার যার জায়গা থেকে সেটাই প্রত্যাশা। আর এটা তো প্রমানিত হয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই যে আপনি একসাথে একই পরিবেশে একই ব্যক্তির সাথে খুব বেশিদিন কাটাতে পারবেন না!!

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: কিন্তু ব্যক্তি তো চেঞ্জ করার উপায় নেই, অন্তত এই মুহূর্তে । অতএব, অবস্থার সাথে আমাদেরকে মানিয়েই চলতে হবে এখন । অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন ।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শরীরের নাম মহাশয় যাহা সওয়াইবে তাহাই সয়। ভালো উপদেশ দিয়েছেন। ধন্যবাদ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫০

সাইন বোর্ড বলেছেন: এ ছাড়া তো কোন উপায়ও নেই, উভয়কেই শহনশীল হতে হবে । অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন ।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: স্ত্রী জাতি খুচিয়ে খুচিয়ে, ঝগড়ার আবহ তৈরি করবে, এটা তাদের স্বভাব। পুরুষ জাতিকে সাবধান থাকতে হবে।

বেচে থাকলে খেতে হবেই। আর খেতে হলে বাজারে যেতে হবেই। বাজার করতে হবেই। বাজারে সাবধান থাকতে হবে যতটা পারা যায়।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৯

সাইন বোর্ড বলেছেন: কথা একদম সত্য, মেয়েদের খোঁচানোর অভ্যাসটা বেশি এবং ঝগড়া করারও । অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন ।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

লক ডা্উনের কারনে বিশ্বে বৃদ্ধি পেয়েছে নারী নির্যাতনঃ সহমর্মী হতে পুরুষদের প্রতি আহ্বান

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৭

সাইন বোর্ড বলেছেন: উভয়কেই সহনশীল এবং সহমর্মী হতে হবে । অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন ।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লক ডা্উনের কারনে বিশ্বে বৃদ্ধি পেয়েছে নারী নির্যাতনঃ সহমর্মী হতে পুরুষদের প্রতি আহ্বান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.