নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা আছে বলে এখনো স্বপ্ন দেখি, নিজেকে নির্মাণ করার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত...

সাইন বোর্ড

সব কিছুর উর্ব্ধে উঠা যায় না, তবু মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়...

সাইন বোর্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক দূরত্ব মেনে শুরু হয়েছে ঈদ যাত্রা ।

২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:১৫


কয়েক মাস আগে আমাদের গ্রামে নারায়নগঞ্জ থেকে একটা ছেলে যখন বাড়ি গিয়েছিল তখন সাথে সাথে পুলিশ খবর পেয়ে ঐ বাড়িটিকে লকডাউন করে দিয়েছিল এবং আরো জেনেছিলাম গ্রামের মানুষও ঐ ছেলের বাইরে বেরুনো ও ঘোরাঘুরির ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল । যদিও ছেলেটি করোনা আক্রান্ত ছিল না ।

এটা শুধু আমাদের গ্রামে নয়, আরো অনেক জায়গায় এরকমটা করা হয়েছে । কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য অমানবিকতাও দেখানো হয়েছে; যেটা অতি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পড়ে । এসব দেখে অনেক হৃদয়বান মানুষও চুপচাপ থেকেছে এবং এখনো থাকছে, কারণ এসব ঘটনা একটার পর একটা দেখতে দেখতে যেমন একটা অবস্থায় এসে স্বাভাবিক হয়ে গেছে তেমনি এসব ঘটনা তুলে ধরার গুরুত্বও হারিয়েছে । তবে এসব ঘটনাকে মোকাবেলা করতে স্থানীয় প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং এখনো করছে । মাঝ থেকে যদি লকডাউন সিথিল করার ঘোষণা না দেওয়া হত, তাহলে তারা আরো বেশি দায়িত্বশীল হতো এবং প্রতি চব্বিশ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাত'শ থেকে আজ সতের'শ প্লাস হতো না । এতে করে অচিরেই হয়ত আমরা করোনা থেকে মুক্তির একটা আশার আলো দেখতে পেতাম ।

যাইহোক, বেশ কিছুদিন থেকে শুনে আসছি, ঈদের আগে ঢাকাকে পুরোপুরি লকডাউন করে দেওয়া হবে; অর্থাৎ কেউ ঢাকা থেকে বের হতে বা নতুন করে ঢুকতে পারবে না । অবশ্য ঘোষণাটা এখনো বলবৎ আছে । কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখছি, সেটা কয়েকটা লঞ্চ ও ফেরিঘাটের চিত্র দেখলেই অনুমান করা যায় । আসলে গৃহমুখী এসব মানুষদের দোষ দিয়ে কোন লাভও নেই; কারণ যেখানে মার্কেট, শপিংমল, দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছে, মানুষ মনের আনন্দে ঈদের কেনাকাটা করছে; সেখানে ফেরি বা লঞ্চে গাদাগাদি করে মানুষ ঈদ করতে বাড়ি যাবে - এটা খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা ।

যদিও আমরা জানি, চব্বিশ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সতের'শ প্লাস হলেও কখনই সতের হাজারে পৌছাবে না; কারণ এক দিনে সতের হাজার করোনা আক্রান্ত রোগী পেতে হলে যে পরিমান করোনা টেস্ট করতে হবে, সে সক্ষমতা আমাদের নেই । অতএব, গরীবের শেষ ভরসা, ফি আমানিল্লাহ ! গাট্টি-গুট্টা বেঁধে নিয়ে এখনি বেরিয়ে পড়ো গ্রামে ঈদ করার উদ্দেশ্যে; কারণ দেরি হলে ফেরি বা লঞ্চে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পাড়ি দিতে পারবে না ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নেশা খাবি খা !!
মারা যাবি যা !!
নিজের পায়ে কুড়াল মারবি মার !!

২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

সাইন বোর্ড বলেছেন: মনে রাখতে হবে, আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা থেমে নেই, হু হু করে বাড়ছে....

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

২| ২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: কী হে গোপাল, ইটালুর সমান হইতে আর কত দিন লাগবে? ইটালু পার হইলে এমরিকার লগে পাল্লা দিমু।

২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০২

সাইন বোর্ড বলেছেন: গোপাল কতা কইতন নই, ইটালু বা এমরিকার সমান হইবেক লয় । তগো বেবাক ট্যাস্ট করোনের হিম্মত যে নাই ।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৩| ২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০২

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: সতেরো হাজার রোগী রাখার জায়গাই তো নাই।

২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

সাইন বোর্ড বলেছেন: হাসপাতাল, চিকিৎসা সেবা হয়ত নাই, কিন্তু মরে পড়ে থাকার জায়গা তো আছে ।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৪| ২১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

জাফরুল মবীন বলেছেন: অতএব গরীবের শেষ ভরসা ফী আমানিল্লাহ! -এছাড়া আর কি করার আছে?

২২ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

সাইন বোর্ড বলেছেন: কিছুই করার নেই আল্লার নামে রওনা দেওয়া ছাড়া, ফেসবুকে একজন বলেছে ঢাকায় ঈদ করার মত কোন অবস্থায় তাদের নেই ।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৫| ২১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

আমি সাজিদ বলেছেন: সতের'শ কখনই সতের হাজার হবে না। এইটা আমরা মানি। কিন্তু যারা চালায় তাদের ডাঁট দেখলে মনে হয় তারা মানে না৷ হেলিকপ্টারের উপরে তারা ঢাকাকে প্যারিসের চেয়েও সুন্দর হিসেবে দেখে। এতো ডাঁট, এতো অহংকার আর এতো মিথ্যা কথা তাদের!

২২ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৪০

সাইন বোর্ড বলেছেন: ফাকা কলসী একটু বেশিই বাজে, অসহায় আম-জনতার এসব দেখে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই ।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৬| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঈদ আসছে মানুষ হাওয়ায় উঠবে

২২ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৪১

সাইন বোর্ড বলেছেন: অলরেডি শুরু হয়ে গেছে...

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.