নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা আছে বলে এখনো স্বপ্ন দেখি, নিজেকে নির্মাণ করার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত...

সাইন বোর্ড

সব কিছুর উর্ব্ধে উঠা যায় না, তবু মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়...

সাইন বোর্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সস্তার বাসা অথবা গ্রামে যাওয়া ।

২২ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০২


উন্নয়নের ধারা অব্যাহতের মাঝেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়ির সামনে হঠাৎ বেড়ে গেছে টু-লেট এর সংখ্যা ।

ধারনা করা হচ্ছে, এসব বাসা থেকে কেউ ফ্যামিলি নিয়ে চলে গেছে আরো সস্তা কোন বাসায়, কেউ একেবারে গ্রামের বাড়ি, কেউ কেউ আবার মূল ঢাকা সিটির বাইরে আশে-পাশের কম খরচের জীবনে ।

তার চেয়েও বড় কথা, যাওয়ার সময় কেউ কেউ নাকি বাড়ির মালিকের সাথে ঘর ভাড়া, দেনা-পাওনা মিটিয়ে যায়নি । যাওয়ার আগে ঘরের দামী মালামাল রাতের অন্ধকারে সরিয়ে ফেলেছে । গোপনে । তারপর বাকী সস্তা মালামাল ঘরে রেখে সটকে পড়েছে, ঘরে তালা লাগিয়ে ।

এসব পত্রিকার খবর ।

ভাবছে, তিন মাসের বকেয়া ঘর ভাড়া না দিয়ে যদি সেই টাকা দিয়ে দুই মাস চলা যায় সস্তার বাসায় - মন্দ কি এই মহামারী কালে ?

বেচারা এসব বাড়ির মালিক হয়ত হন্যে হয়ে খুঁজছে তার পালিয়া যাওয়া ভাড়াটিয়াকে, আর ভাবছে পালিয়ে যাবে কোথায় ?

কারণ এদের তো আর কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব নাই । দূর্যোগে, অভাবে, অনটনে এই দেশেই কোথাও আশ্রয় নিতে হবে কোন কোণা- কাঞ্চিতে

বেঁচে থাকার তাগিদে ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বাড়িওয়ারারা একটু মানবিক হয়ে
দু এক মাসের ভাড়া মওকুফ কিংকা
৫০% ৬০% শতাংশ ছেড়ে দিলে
হয়তো এমন পরিস্থিতির উদ্ভব
হতোনা। সবাইকে মানবিক
হতে হবে।

২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৭

সাইন বোর্ড বলেছেন: একটা সময় বাড়িওয়ালারা এটা দিতে বাধ্য হবে, নয়তো তাদের বাসা মাসের পর মাস খালি পড়ে থাকবে ।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

২| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: যে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে সে দেশের এরকম অবস্থা হবে কেন?

২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: মহাসড়ক থেকে নেমে এখন ডোবা, নালায় গড়াগড়ি খাচ্ছে ।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৩| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২৬

কহেন কবি কালীদাস বলেছেন: সিদ্ধান্ত না নিয়ে তো উপায় নাই।
একজন মানুষের আয়ের মোটামুটি ৪০% কমপক্ষে যায় বাসা ভাড়ায় (গড়ে বেতন চল্লিশ হাজার ধরে)।
সমস্যা হোলও বেশীরভাগ কোম্পানি বেতন কমিয়েছে ৫০% এর কাছাকাছি। যার ফলে টার সেভিংস যা ছিল সব তো কয়েক মাসের বাসা ভাড়া দিতেই চলে গিয়েছে। যার ফলে এখন বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আরও কম তাকার বাসায় যেতে হচ্ছে অথবা গপরিবার গ্রামে রেখে আসতে হচ্ছে। ফলে অনেক টু-লেট ঝুলছে বিভিন্ন এলাকায়!

তবে একটা জিনিস, যেসব বাড়ীওয়ালা জমিদার ভাব নিয়ে থাকতো ওরা সোজা হয়ে গেছে।

আর মানবিক বাড়ীওয়ালা আছেন, কিন্তু ওদের সংখ্যা অনেক কম। বেশীরভাগ বারিওালার চিন্তা হোলও, টাকা থাক বা না থাক, ফুল বাসা ভাড়ার টাকা দিতে হবে। টের পাবে আর কয়েক মাস পরে। কেবল তো শুরু!!

২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৪

সাইন বোর্ড বলেছেন: কিছু বাড়িওয়ালা বর্তমান অবস্থাটা আঁচ করতে পেরেছে এবং তারা আগের তুলনায় অনেকটা নমনীয় আচরণ করা শুরু করেছে ভাড়াটিয়াদের সাথে - এটা একটা ভাল উপলব্ধি । যদিও আমরা জানি অবস্থার পরিবর্তণ হলেই আবার এসব বাড়িওয়ালা পূর্বের আচরনে ফিরে যাবে ।

সর্বপরি বর্তমান দুঃসময়ের আঁচটা সব শ্রেণির মানুষের উপরই কমবেশি পড়েছে, তবে স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষেরাই সব চেয়ে কঠিন অবস্থায় পড়েছে ।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৪| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার বাড়ির মালিক একটাকাও ছাড় দিচ্ছে না । একমাসের দিলাম তিন মাস বাকি।

২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১২

সাইন বোর্ড বলেছেন: নতুন বাসা খুঁজুন, বর্তমান যা অবস্থা তাতে অনেক সস্তায় ভাল বাসা পেয়ে যাবেন । ঢাকা শহরের অধিকাংশ বাড়িওয়ালা অনেক অত্যাচার করেছে ভাড়াটিয়ার উপর, এখন তাদের সোজা হওয়ার দিন ।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৫| ২৩ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: মানবিক মূল্যবোধের চর্চা কমে গেছে। এটা দুঃখজনক। কি যে হবে আমাদের কে জানে। সবাই শুধু দুনীয়া নিয়ে ব্যস্থ।
মানবিক মূল্যবোধের চর্চা গোড়া থেকে অর্থাৎ শিক্ষাজীবন থেকেই শুরু হওয়া দরকার ।

২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৯

সাইন বোর্ড বলেছেন: যে দেশে অনিয়মই নিয়ম, সেই দেশে আর কি করে থাকে মানবিক মূল্যবোধের চর্চা ।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৬| ২৩ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১১

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: ভাড়াটিয়া সংরক্ষণ সমিতি'র তীর্ব আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। তা না হলে অচিরেই ঢাকা শহর থেকে বিলুপ্ত হবে ভাড়াটিয়া গণ।

২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৭

সাইন বোর্ড বলেছেন: হাতে কোন কাজ বা ইনকাম না থাকলে ভাড়াটিয়ারা কেনই বা ভাড়াটিয়ারা ঢাকা শহরে বসে ঘর ভাড়া গুনবে ।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৭| ২৩ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভালোতো। করোনা ছুটির প্রথম দিকে কলাবাগানে এক অভদ্র বাড়িওয়ালী ভাড়াটিয়াকে সারারাত বাসায় ঢুকতে দেয়নি মর্মে খবর এসেছিলো গণমাধ্যমে। এখন যখন ভাড়াটিয়া থাকবে না, তখন বুঝবে কত গমে কত আটা!

২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৫

সাইন বোর্ড বলেছেন: অলরেডি গম থেকে ময়দার হিসেব করতে শুরু করেছে, এখন নাকি অর্ধেক ভাড়াতেও অনেক বাড়িওয়ালা সাধাসাধি করছে ভাড়াটিয়াকে থাকার জন্য ।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৮| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বাড়িওয়ালা ভার্সেস ভাড়াটিয়া অনেকদিনের মল্ল যুদ্ধ ! কাছ থেকে অনেক বাড়িওয়ালা দেখে অভিজ্ঞতা হইয়াছে , ঢাকায় একখানা বাড়ি মেইনটেইন করা দারুন প্যারা ! ভাড়া থাকাই বরং সহজ।

তবে ঢাকায় বাড়িভাড়া অতিরিক্ত , যেকারণে ঢাকার জমির দামও অতি মূল্যায়িত।দেশের সবকিছু কেন্দ্রীভূত হওয়ার কারণে এই সমস্যা। নাহলে ঢাকার জনঘনত্ব এমন হতোনা, বাড়িভাড়া ,জমির মূল্য এমন বাড়িত না ,বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ারা সমরেও নামিত না ! ইহার পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল।করুন অর্থনীতির কারণে এই পরিবর্তন হইলো এই যা !

২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৫

সাইন বোর্ড বলেছেন: এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ঢাকা শহরে একটা বাড়ির মালিক হওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার, কারো কারো হয়ত পুরো জীবনটাই ব্যয় হয়ে গেছে একটা বাড়ি নির্মাণের পিছনে; যদিও আমরা জানি সৎভাবে ইনকাম করে এক জীবনে কেন, দশ জীবনেও সম্ভব না, অন্তত বর্তমান ঢাকার জমি ও আনুসঙ্গিক মালামালের বাজার মূল্যের কথা চিন্তা করলে ।

তবে সব বাড়িওয়ালাই প্রায় একটা বিষয় খুব দ্রুত ভুলে যায় যে, তারাও একদিন কারো না কারো বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে ছিল । যদি তারা এটা না ভুলে যেত, তাহলে বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়ার মধ্যে যে কোন বিষয়ে সম্পর্কটা আরো ভাল থাকত । যাইহোক, বর্তমানে আমরা সবাই কম বেশি সমস্যার মধ্যে দিয়া দিন পার করছি ।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.