![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত বেশ কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন মিডিয়ার আলাপ আলোচনায় বার বারই উঠে এসেছে দুই পক্ষ মিলে অন্তর্বতী সরকারের একটি ফর্মুলা তৈরি করলেই পারে। কিন্তু আমার প্রশ্ন তারা কেন কয়েকটা নিজেরা তৈরি করে উপস্থাপন করেনা? হয়তো তারা ভাবে, ফর্মুলা যাদের জন্য করবে তারাই যদি না গ্রহন করে তাহলে করে লাভ কি? ওরা না করুক, আমি অন্তর্বতী সরকার ব্যবস্থার দুটি ফর্মুলা এখানে শেয়ার করলাম। ফর্মুলাগুলোর প্রত্যেকেটিই একটু জটিল ঠেকতে পারে। তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
সম্ভাব্য ফর্মুলাসমূহঃ (বিস্তারিত এক্সেল ফাইলে দেখুন)
ফর্মুলা ১: গত ৪ টি নির্বাচনের বিভিন্ন দলের অর্জিত মোট আসনসংখ্যার অনুপাতে আগামী অন্তর্বতী সরকারে প্রত্যেক দলের সদস্যসংখ্যা নির্ধারিত হবে।
ফর্মুলা ২: এটি অনেকটাই ফর্মুলা ১ এর মত। ফর্মুলা ১ এ সবগুলো নির্বাচনের ওয়েট সমান ধরা হয়েছে। অন্যদিকে ফর্মুলা ২ এ সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনগুলোতে বেশি ওয়েট দিয়ে অন্তর্বতী সরকারে দলগুলোর সদস্যসংখ্যা হিসেব করা হয়েছে।
যে ফর্মুলাই বেছে নেয়া হোক না কেন, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই একটি নির্দিষ্ট দলের যতজন রিপ্রেজেনটেটিভ লাগবে তার দ্বিগুণ সংখ্যক সংসদ সদস্যের লিস্ট করে দলগুলো পাঠাবে রাষ্ট্রপতির নিকট। অর্থাৎ AL এবং BNP প্রত্যেকে তাদের কোটার দ্বিগুন সংখ্যক সদস্যের নাম পাঠাবে রাষ্ট্রপতির নিকট। এরপর BNP’র দেয়া লিস্ট থেকে AL ঠিক করবে কোন অর্ধেককে তারা রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে দেখতে চায় অন্তর্বতী সরকারের জন্য। একইভাবে AL এর দেয়া লিস্ট থেকে BNP ঠিক করবে কোন অর্ধেককে তারা রিপ্রেজেনটেটিভ করতে চায়।
অন্য ছোট দলের ক্ষেত্রেও প্রায় একই নিয়ম ফলো করা হবে। প্রত্যেক ছোট দল তাদের কোটার দ্বিগুন সংখ্যক সংসদ সদস্যের লিস্ট পাঠাবে রাষ্ট্রপতি বরাবর। তারপর ঐ লিস্ট থেকে AL ও BNP প্রত্যেকে সিলেক্ট করবে ঐ ছোট দলগুলোর কারা কারা থাকতে পা্রবে অন্তর্বতী সরকারে। যেসব সদস্যের নাম দুইদলের পছন্দের তালিকায়ই থাকবে, তারাই ঐ সব ছোট ছোট দলকে রিপ্রেজেন্ট করবে। এইভাবে অন্তর্বতী সরকার তৈরি হবে যার প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
এই ফর্মুলা শুধু পরের দুই বার ইলেকশনের জন্য। এরপর হাইকোর্টের রুল মেনে নির্বাচন চালাতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
এম ই জাভেদ বলেছেন: বিচার মানি তাল গাছ আমার হলে কোন ফর্মুলাই কাজে আসবে না