![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধূলোমাখা জানালা ছুঁয়ে যখন নির্লিপ্ত বোবা আলোটা আমার বন্ধ ঘরের দেয়ালে আঁচড়ে পড়ে তখন দীর্ঘশ্বাস গুলো শুধু দীর্ঘায়ত হয় এই ভেবে কেন আমি ঐ বোবা নির্লিপ্ত আলোটার মত না।
চারদিকে অন্ধকার নেমেছে। শহরটা কিছুক্ষণের মধ্যে নিঝুম হয়ে যাবে।সবাই যে যার মত করে কল্পবিলাসী হয়ে উঠবে। চাঁদটা হেসে সূর্যের অভাবটা বুঝিয়ে দিবে। অরিত্র জানালার ফাঁক দিয়ে দেয়াল ঘড়িটা দেখছে। ঠিক রাত দশটা বাজে। রোজ দশটায় অরিত্র তার শোয়ার ঘরের পাশের বারান্দায় বসে একটি সিগারেট জ্বালায়। আজ তায় করলো! চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে অরিত্র সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে রাস্তার দিকে তাকায়। রাস্তায় এখন মানুষ হাঁটছে।এখন মানুষের নীড়ে ফেরা হয়নি। কিছুটা দূরে কয়েকটি মেয়েকে দেখা যাচ্ছে আগন্তুক ছেলেদের সাথে কথা বলছে আর হাসছে। বোধহয় খদ্দের খুঁজছে। রাতের ঢাকাটা যতটানা নিষ্পাপ সুন্দর ততটাই নোংরা। পাশের বাড়ির বারান্দায় কানে হেডফোন লাগিয়ে একটি মেয়ে কথা বলছে। মেয়েটিকে প্রতিদিনি দেখা যায়। হয়ত মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছে। মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থেকে অরিত্রের মনটা বিষাদে ভরে গেলো । সে সিগারেট টি আর জোরে জোরে ফুঁকতে শ্রেয়ার কথা ভাবে। শ্রেয়া অরিত্রের জীবনের একমাত্র ভাললাগা বা ভালোবাসা। শ্রেয়া বারান্দার মেয়েটার মত স্লিম, লাম্বা ৫.৬” হবে দেখতে শ্যামলা। চোখ দুটি জীবনান্দের বর্ণিত বনলাতা সেন এর মত। বলতে গেলে পরিপাটি সুন্দরী বাঙ্গালী ললনা। যার চোখের মায়ায় যেকোন পুরুষকে পড়তেই হবে। অরিত্রের ও ঠিক তেমনি হয়েছে। ভাললাগার বয়স থকে আজঅব্ধি সেই চোখ দুটির মায়ায় পড়ে আছে। অরিত্রের রুম থেকে গানের আওয়াজ শুনা যাচ্ছে।
“নয়নও তোমাকে পাইনা দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে,
হৃদয়ও তোমারে পাইনা জানিতে হৃদয়ে রয়েছ গোপনে”
সবুজ গানটি শুনে প্রতি রাতে। সবুজ অরিত্রের পাশের রুমে থাকে। বিবিএ পড়ছে। একই বাসায় থাকে বলে প্রায় সময় অরিত্রের রুমে আশে গান শুনতে ও ছবি দেখতে। দুজনের সম্পর্কটাও ভালো। অরিত্র তাকে “ছোটা ভাই” বলে ডাকে।
গানটা শুনতে অরিত্রের কাছে খুব ভাল লাগছে। ঠিক যেন তার বিষাদ ভরা মনের কথা বলছে। সে সবুজকে ডেকে সিগারেটের প্যাকেট ও লাইটার দিতে বলল। সবুজ লাইটারও সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে আসলো। অরিত্র আরেকটি সিগারেট ধরাতে ধরাতে সবুজকে বলল ,
অরিত্র : কেমন আছ ছোটা ভাই।
সবুজ : ভাল ।ভাই আপনি ?
অরিত্র : ক্লাস কর ঠিকমত? নাকি ফাঁকি বাজি কর?
সবুজ : না ভাই। কি যে বলেন। আপনার অফিস কেমন চলছে?
অরিত্র : ভালো ।
সবুজ : ভাই আপনি প্রতিদিন এখানটায় বসে বসে কি ভাবেন মধ্য রাত পর্যন্ত ?
অরিত্র : সময়ের স্তুপে পড়ে থাকা জীবনকে খুঁজে বেড়াই।
সবুজ : ভাই বিয়ে করছেন কবে? দাওয়াত খেতে পারিনা অনেক দিন!
অরিত্র : আমার আবার বিয়ে!! আমার বিয়ে খাওয়ার আশায় থাকলে তোমার জীবন সারছে।
সবুজ : ভাই আমি কিন্তু ভাবি কে দেখেছি? অনেক সুন্দর!! আপনার সাথে অনেক মানাবে।
অরিত্র : ভাবি!! কোথায় দেখেছ?
সবুজ : আপনার নেটবুকে ।ভাই আপনাদের পরিচয় কি ভাবে ?ভাবি প্রথম বলেছে না আপনি?
অরিত্র : যে দিন থেকে রুহ তৈরি হয়েছে দুজনের।[ একটু মেজাজগরম করে বলল ]
সবুজ : ভাই তাহলে আমি যাই!! কালকে ক্লাস সকালে, ঘুমতে হবে।
এই বলে সবুজ চলে গেছে। তখন রাত সাড়ে এগারটা। অরিত্র বসে বসে সবুজের করা শেষ প্রশ্নটা ভাবছে। আসলেইতো যে দিন থেকে রুহ তৈরি হয়েছে সে দিন থেকে বোধয় আমরা একজন একজনের। আমি শ্রেয়াকে ভালোবাসি কথাটা বলেছি হোক সেটা অনেক দেরিতে। কথাটা ভাবতে ভাবতে অরিত্রের মুখটা আর কালো হয়ে গেলো। অরিত্র তার মোবাইলে গান শুনতে শুরু করে।
আমি তোমারি বিরহে রহিব বিলীন ...
তোমাতে করিবো বাস
দীর্ঘ দিবসও দীর্ঘ রজনী দীর্ঘ বরষও মাস
যদি আর ও ফিরে নাহি আসো
যদি আরও কারে ভালোবাসো
তবে...তুমি যাহা চাও ...তাই যেনও পাও
আমি যত দুঃখ পাই ।।
শ্রেয়াতো কখন আমাকে বলেনি ভালোবাসি। তার মানে কি? রুহ তৈরি থেকে শুধুই আমি শ্রেয়ার!!এই ভাবতে ভাবতে দক্ষিণা বাতাস এসে হুহু করে অরিত্রের চোখে কাঁটা বিঁধে দেয়। অরিত্রের চোখ দিয়ে টলটল করে জল পড়তে থকে । অরিত্র দুহাত দিয়ে চোখ মুছে আর আকশের চাঁদ ও তারার মাঝে শ্রেয়াকে খুঁজে বেড়ায়। আর নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কেন সে এতটা সময় নিয়েছে ভালবাসার কথা জানাতে? নাকি শ্রেয়া তাকে নিজের যোগ্য মনে করে নি ? নাকি শ্রেয়া সময় নিচ্ছে? নাকি শ্রেয়ার মজা লাগছে আমাকে এই অবস্থায় দেখে?
এই ভাবে কেটে যায় অরিত্রের হাজারো প্রশ্নবিদ্ধ শত রাত। অরিত্র এখন শ্রেয়ার জন্য পথ চেয়ে বসে আছে। অরিত্রের এই ভাবলেশহীনতায় ভালোবাসা।
শ্রেয়াও কি ঠিক সে সময়ে অরিত্রের কথা ভাবছে?
নাকি শ্রেয়াও তার প্রিয় কোন মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে ঠিক অরিত্রের মত করে !!!
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ শুকনোপাতা।
কেমন আছেন।
ব্লগে অভিনন্দন।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৩
স্বপনবাজ বলেছেন: চমৎকার
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০২
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: থ্যাংকস স্বপনবাজ ।
ভালথাকুন নিরন্তর।
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৮
ফালতু বালক বলেছেন: শ্রেয়াও কি ঠিক সে সময়ে অরিত্রের কথা ভাবছে?
নাকি শ্রেয়াও তার প্রিয় কোন মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে ঠিক অরিত্রের মত করে !!!
শোভন ভাই, ব্যাপার না
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০২
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
একজন আরমান বলেছেন:
দারুন লিখেছেন শোভন ভাই।
সবার গল্পই কি শুধু বেদনাময় হয় নাকি?
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: গুণীজনে বলেছে,মানুষ নাকি ছ্যাকা খাইলে সাহিত্যিক হয়।
কিন্তু আমার ক্ষেত্রে উল্টো।
তোমার ক্ষেত্রে কোনটা ?
আমি কিন্তু প্রেমটাই করতে পারলাম না ।
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন।।
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: থ্যাংকস ।
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৯
একজন আরমান বলেছেন:
ছ্যাকা ! সেইটা আবার কী?
বাই দা ওয়ে আমি কাল মিরপুর যাচ্ছি।
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৬
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ছ্যাকা = প্রেমে ধরা খাওয়া ।
আমি কালেকে মিরপুর থাকবো না। ফিরতে অনেক রাত হবে।
অন্য কোন একদিন দেখা হবে। ডোন্ট মাইন্ড।
৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৭
একজন আরমান বলেছেন:
404 internal error
আচ্ছা।
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩০
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪২
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: এই কবিতাটা তোমার, খুজতে জান বের হয়ে গেছে।
_____________________________________
আমরা ঘুমায়ে থাকি পৃথিবীর গহ্বরের মতো —
পাহাড় নদীর পারে অন্ধকারে হয়েছে আহত —
একা — হরিণের মতো আমাদের হৃদয় যখন!
জীবনের রোমাঞ্চের শেষ হলে ক্লান্তির মতন
পান্ডুর পাতার মতো শিশিরে শিশিরে ইতস্তত
আমরা ঘুমায়ে থাকি! — ছুটি লয়ে চলে যায় মন! —
পায়ের পথের মতো ঘুমন্তেরা পড়ে আছে কত —
তাদের চোখের ঘুম ভেঙে যাবে আবার কখন! —
জীবনের জ্বর ছেড়ে শান্ত হয়ে রয়েছে হৃদয় —
অনেক জাগার পর এইমতো ঘুমাইতে হয়।
অনেক জেনেছে বলে আর কিছু হয় না জানিতে;
অনেক মেনেছে বরে আর কিছু হয় না মানিতে;
দিন — রাত্রি — গ্রহ — তারা পৃথিবীর আকাশ ধরে ধরে
অনেক উড়েছে যারা অধীর পাখির মতো করে —
পৃথিবীর বুক থেকে তাহাদের ডাকিয়া আনিতে
পুরুষ পাখির মতো — প্রবল হাওয়ার মতো জোরে
মৃত্যুও উড়িয়া যায়! — অসাড় হতেছে পাতা শীতে,
হৃদয়ে কুয়াশা আসে — জীবন যেতেছে তাই ঝরে! —
পাখির মতন উড়ে পায় নি যা পৃথিবীর কোলে —
মৃত্যুর চোখের পরে চুমো দেয় তাই পাবে বলে!
কারণ, সাম্রাজ্য — রাজ্য — সিংহাসন — জয় —
মৃত্যুর মতন নয় — মৃত্যুর শান্তির মতো নয়!
কারণ, অনেক অশ্রু — রক্তের মতন অশ্রু ঢেলে
আমরা রাখিতে আছি জীবনের এই আলো জ্বেলে!
তবুও নক্ষত্র নিজে নক্ষত্রের মতো জেগে রয়!
তাহার মতন আলো হৃদয়ের অন্ধকারে পেলে
মানুষের মতো নয় — নক্ষত্রের মতো হতে হয়!
মানুষের মতো হয়ে মানুষের মতো চোখ মেলে
মানুষের মতো পায়ে চলিতেছি যতদিন — তাই,
ক্লান্তির পরে ঘুম, মৃত্যুর মতন শান্তি চাই!
কারণ, যোদ্ধার মতো — আর সেনাপতির মতন
জীবন যদিও চলে — কোলাহল করে চলে মন
যদিও সিন্ধুর মতো দল বেঁধে জীবনের সাথে,
সবুজ বনের মতো উত্তরের বাতাসের হাতে
যদিও বীণার মতো বেজে উঠে হৃদয়ের বন
একবার — দুইবার — জীবনের অধীর আঘাতে —
তবু, প্রেম, — তবু তারে ছিড়ে ফেঁড়ে গিয়েছে কখন!
তেমন ছিঁড়িতে পারে প্রেম শুধু! — অঘ্রাণের রাতে
হাওয়া এসে যেমন পাতার বুক চলে গেছে ছিঁড়ে!
পাতার মতন করে ছিঁড়ে গেছে যেমন পাখিরে!
তবু পাতা — তবুও পাখির মতো ব্যথা বুকে লয়ে,
বনের শাখার মতো — শাখার পাখির মতো হয়ে
হিমের হাওয়ার হাতে আকাশের নক্ষত্রের তলে
বিদীর্ণ শাখার শব্দে — অসুস্থ ডানার কোলাহলে,
ঝড়ের হাওয়ার শেষে ক্ষীণ বাতাসের মতো বয়ে,
আগুন জ্বলিয়া গেলে অঙ্গারের মতো তবু জ্বলে,
আমাদের এ জীবন! — জীবনের বিহ্বলতা সয়ে
আমাদের দিন চলে — আমাদের রাত্রি তবু চলে;
তার ছিঁড়ে গেছে — তবু তাহারে বীণার মতো করে
বাজাই, যে প্রেম চলিয়া গেছে তারই হাত ধরে!
কারণ, সূর্যের চেয়ে, আকাশের নক্ষত্রের থেকে
প্রেমের প্রাণের শক্তি বেশি; তাই রাখিয়াছে ঢেকে
পাখির মায়ের মতো প্রেম এসে আমাদের বুক!
সুস্থ করে দিয়ে গেছে আমাদের রক্তের আসুখ!
পাখির শিশুর মতো যখন প্রেমেরে ডেকে ডেকে
রাতের গুহার বুকে ভালোবেসে লুকায়েছি মুখ —
ভোরের আলোর মতো চোখের তারায় তারে দেখে!
প্রেম কি আসে নি তবু? — তবে তার ইশারা আসুক!
প্রেমকি চলিয়া যায় প্রাণেরে জলের ঢেউয়ে ছিঁড়ে!
ঢেউয়ের মতন তবু তার খোঁজে প্রাণ আসে ফিরে!
যত দিন বেঁচে আছি আলেয়ার মতো আলো নিয়ে —
তুমি চলে আস প্রেম — তুমি চলে আস কাছে প্রিয়ে!
নক্ষত্রের বেশি তুমি — নক্ষত্রের আকাশের মতো!
আমরা ফুরায়ে যাই — প্রেম, তুমি হও না আহত!
বিদ্যুতের মতো মোরা মেঘের গুহার পথ দিয়ে
চলে আসি — চলে যাই — আকাশের পারে ইতস্তত!
ভেঙে যাই — নিভে যাই — আমরা চলিতে গিয়ে গিয়ে!
আকাশের মতো তুমি — আকাশে নক্ষত্র আছে যত —
তাদের সকল আলো একদিন নিভে গেলে পরে
তুমিও কি ডুবে যাবে, ওগো প্রেম, পশ্চিম সাগরে!
জীবনের মুখে চেয়ে সেইদিনও রবে জেগে জানি!
জীবনের বুকে এসে মৃত্যু যদি উড়ায় উড়ানি —
ঘুমন্ত ফুলের মতো নিবন্ত বাতির মতো ঢেলে
মৃত্যু যদি জীবনেরে রেখে যায় — তুমি তারে জ্বেলে
চোখের তারার পরে তুলে লবে সেই আলোখানি।
সময় ভাসিয়া যাবে দেবতা মরিবে অবহেলে
তবুও দিনের মেঘ আঁধার রাত্রির মেঘ ছানি
চুমো খায়! মানুষের সব ক্ষুধা আর শক্তি লয়ে
পূর্বের সমুদ্র অই পশ্চিম সাগরে যাবে বয়ে!
সকল ক্ষুধার আগে তোমার ক্ষুধায় ভরে মন!
সকল শক্তির আগে প্রেম তুমি, তোমার আসন
সকল স্থলের’ পরে, সকল জলের’ পরে আছে!
যেইখানে কিছু নাই সেখানেও ছায়া পড়িয়াছে
হে প্রেম, তোমার! — যেইখানে শব্দ নাই তুমি আলোড়ন
তুলিয়াছ! — অঙ্কুরের মতো তুমি — যাহা ঝরিয়াছে
আবার ফুটাও তারে! তুমি ঢেউ — হাওয়ার মতন!
আগুনের মতো তুমি আসিয়াছ অন্তরের কাছে!
আশার ঠোঁটের মতো নিরাশার ভিজে চোখ চুমি
আমার বুকের পরে মুখ রেখে ঘুমায়েছ তুমি!
জীবন হয়েছে এক প্রার্থনার গানের মতন
তুমি আছ বলে প্রেম, গানের ছন্দের মতো মন
আলো আর অন্ধকারে দুলে ওঠে তুমি আছ বলে!
হৃদয় গন্ধের মতো — হৃদয় ধুপের মতো জ্ব’লে
ধোঁয়ার চামর তুলে তোমারে যে করিছে ব্যজন।
ওগো প্রেম, বাতাসের মতো যেইদিকে যাও চলে
আমারে উড়ায়ে লও আগুনের মতন তখন!
আমি শেষ হব শুধু, ওগো প্রেম, তুমি শেষ হলে!
তুমি যদি বেঁচে থাক, — জেগে রব আমি এই পৃথিবীর পর —
যদিও বুকের পরে রবে মৃত্যু — মৃত্যুর কবর!
তবুও সিন্ধুর জল — সিন্ধুর ঢেউয়ের মতো বয়ে
তুমি চলে যাও প্রেম — একবার বর্তমান হয়ে —
তারপর, আমাদের ফেলে দাও পিছনে — অতীতে —
স্মৃতির হাড়ের মাঠে — কার্তিকের শীতে!
অগ্রসর হয়ে তুমি চলিতেছ ভবিষ্যৎ লয়ে —
আজও যারে দেখ নাই তাহারে তোমার চুমো দিতে
চলে যাও! — দেহের ছায়ার মতো তুমি যাও রয়ে —
আমরা ধরেছি ছায়া — প্রেমের তো পারি নি ধরিতে!
ধ্বনি চলে গেছে দূরে — প্রতিধ্বনি পিছে পড়ে আছে —
আমরা এসেছি সব — আমরা এসেছি তার কাছে!
একদিন — একরাত করেছি প্রেমের সাথে খেলা!
এক রাত — এক দিন করেছি মৃত্যুরে অবহেলা
এক দিন — এক রাত তারপর প্রেম গেছে চলে —
সবাই চলিয়া যায় সকলের যেতে হয় বলে
তাহারও ফুরাল রাত! তাড়াতাড়ি পড়ে গেল বেলা
প্রেমেরর ও যে! — এক রাত আর এক দিন সাঙ্গ হলে
পশ্চিমের মেঘে আলো এক দিন হয়েছে সোনেলা!
আকাশে পুবের মেঘে রামধনু গিয়েছিল জ্বলে
এক দিন রয় না কিছুই তবু — সব শেষ হয় —
সময়ের আগে তাই কেটে গেল প্রেমের সময়;
এক দিন এক রাত প্রেমেরে পেয়েছি তবু কাছে!
আকাশ চলেছে তার — আগে আগে প্রেম চলিয়াছে!
সকলের ঘুম আছে — ঘুমের মতন মৃত্যু বুকে
সকলের, নক্ষত্রও ঝরে যায় মনের অসুখে
প্রেমের পায়ের শব্দ তবুও আকাশে বেঁচে আছে!
সকল ভুলের মাঝে যায় নাই কেউ ভুলে — চুকে
হে প্রেম তোমারে! — মৃতেরা আবার জাগিয়াছে!
যে ব্যথা মুছিতে এসে পৃথিবীর মানুষের মুখে
আরো ব্যথা — বিহ্বলতা তুমি এসে দিয়ে গেলে তারে —
ওগো প্রেম, সেই সব ভুলে গিয়ে কে ঘুমাতে পারে!
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৮
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩৫
শ্রাবণ জল বলেছেন: 'য়' আর 'ই' এর ব্যাবহারে আরেকটু নজর দেয়া উচিৎ।
গল্প নাকি আত্মকথন, হুম??
অরিত্র একটি সিগারেট ধরাতে ধরাতে সবুজকে বলল ,
সিগারেট যেহেতু একটু আগেই একটা শেষ হয়েছে, তাই দ্বিতীয়টির বেলায় "একটি" না হয়ে "আরেকটি" হত না??
হয়ত মেয়েটি তার মজনু’র সাথে কথা বলছে
পুরো লেখার ভাষার সাথে এই লাইনের "মজনু" শব্দটা যাচ্ছেনা। বয়ফ্রেন্ড লেখা যেত।
লেখায় ভাল লাগা।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: ভাললাগায় ধন্য হইলাম।
একটু আগে নীড়ে ফিরলাম।
মন দিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। কালকে ভুল গুলো ঠিক করবো।
এখন অনেক ঘুম পাচ্ছে।
সুস্থ থাকুন সবসময়।
১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২১
জেমস বন্ড বলেছেন: উরিব্বাস , তালিয়ার ইমুডা জানি কই
+ এ ডাবল প্লাস
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৩
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
অবশেষে বন্ড ভাইয়ের আবির্ভাব হল আমার ব্লগে। ধন্য হইলাম।
পাঠে কৃতজ্ঞতা ।
১১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৫
এম হুসাইন বলেছেন: চমৎকার হয়েছে।
+ + +
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: থ্যাংকস হুসাইন ভাই।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গানটা গল্পটার সাথে মানিয়েছে। ৭ ম ভালোলাগা।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৪
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই।
পাঠে কৃতজ্ঞতা রইলো।
১৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
ফজলে আজিজ রিয়াদ বলেছেন: অরিত্রের ছায়া হাঁটে গানের মাঝে।
ভালো লাগলো।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৬
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
থ্যাংকস বন্ধু।
১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫২
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন: ++++++++++
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ মৃত রাজকন্যা।
১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
বোকামানুষ বলেছেন: নয়নও তোমাকে পাইনা দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে
এই কথাটা আমার অনেক প্রিয়
গল্পে ++++++
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
থ্যাংকস বোকামানুষ!!
গানটা আমারও অনেক প্রিয়।
১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
নেক্সাস বলেছেন: আমি তোমারি বিরহে রহিব বিলীন ...
তোমাতে করিবো বাস
দীর্ঘ দিবসও দীর্ঘ রজনী দীর্ঘ বরষও মাস
যদি আর ও ফিরে নাহি আসো
যদি আরও কারে ভালোবাসো
তবে...তুমি যাহা চাও ...তাই যেনও পাও
আমি যত দুঃখ পাই ।।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
আমারও পরানও যাহা চাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: ভালো লিখেছেন