নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বিপ্লব চাই।

দোদূল্যমান

দোদূল্যমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষটির দাড়ি ছিলো

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

মুখের দাড়ি একটি সুন্নাহ। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষটির দাড়ি ছিলো। বাবা-মা-পরিবার এমনকি নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসা যার প্রতি না থাকলে মুসলিমদের ঈমান থাকে না, সেই মানুষটির দাড়ি ছিলো। সেই ভালোবাসাতেই তাকে অনুসরণ করার কথা মুসলিম পুরুষদের। দাড়ি ছিলো চার খলিফার, সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুমের, তাদের পরবর্তী প্রজন্ম তাবিঈদের। দাড়ি ছিলো পূর্ববর্তী নবী-রাসূলদের। এখনো যারা ইসলামের আলেম, তাদের দাড়ি আছে। এই সুন্নাহটি একজন ইসলামপ্রিয় ও সুন্নাহপালনকারীর সাথে সারাবিশ্বের শাহবাগীদের আলাদা করে দেয়। দাড়ি রাখাটাই পুরুষের ফিতরাতের সাথে সম্পর্কিত, পুরুষমাত্রই দাড়ি থাকে, নারীদের থাকে না। হয়ত একটা সময়ের মুসলিমরা ভাবতেই পারতেন না দাড়ি আবার কেমন করে কাটা সম্ভব! এখনকার সেক্যুলার মুসলিমরা দাড়িকে 'আনস্মার্ট' মনে করাতে চেষ্টা করে। আমাদের জেনে রাখা উচিত পৃথিবীর সবচেয়ে স্মার্ট মানুষটির দাড়ি ছিলো। আল্লাহ কর্তৃক যিনি আমাদের অনুকরণীয় আদর্শ, তাকে ফলো করার মাঝেই প্রকৃত স্মার্টনেস, সৌন্দর্য নিহিত।


পথচলায় আরেকজন দাড়িওয়ালা মুসলিমকে পেলে মুসলিমরা ভ্রাতৃত্ব অনুভব করে, সালাম দেয়। সালাম তৈরি করে বন্ধন, ভালোবাসা। মুসলিম পুরুষদের নিজ স্বকীয়তা, আদর্শ আর ব্যক্তিত্বের প্রকাশ থাকে দাড়িতে, ঠিক যেমনি মুসলিম নারীদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য তাদের ঢিলেঢালা পোশাক বোরকা, আবায়া, হিজাব ও নিকাবে। দাড়ি একটি সুন্নাহ, দাড়ি একটি ঈমানী অনুভূতি, দাড়ি একটি ভালোবাসার নাম। দাড়ির সাথে জড়িয়ে থাকে একজন মুসলিম পুরুষের স্বপ্ন-- যে চিন্তা করে ভালোবাসে যাকে অনুসরণ করতে এই প্রচেষ্টা, একদিন নিশ্চয়ই তার শাফা'আত পেয়ে, তার হাতের পানীয় পান করে অনন্তকালের জান্নাতের মঞ্জিলে প্রবেশ করা যাবে ইনশাআল্লাহ। তাইতো, প্রতিদিন চলার পথে দাড়ি নিয়ে অজ্ঞতায় ডুবে থাকা মডারেট মুসলিমদের সুন্নাহ সম্পর্কে আলোকিত করুন, অপর দাড়িওয়ালা ভাইদের প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিন। মনে রাখবেন, এমনি করে একটি সুন্নাহকে জীবন্ত করার মাঝে রয়েছে অকল্পনীয় সাফল্যের সম্ভাবনা...

-- স্বপ্নচারী আব্দুল্লাহ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪২

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: পিতার কর্ম সূত্রে আমার জীবনের বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম মধ্য প্রাচ্য তে ( সউদি আরব,দুবাই, কাতার) ।সেই সব দেশের অধিকাংশ মসজিদের ইমাম এমনকি দেশের গ্র্যান্ড মুফতিদের মুখে আমি দাড়ি দেখিনি, তারা জুব্বা পরতেন কিন্তু দাড়ি নাই। এসব নিয়ে তাদের দেশে কোন মাতামাতিও নাই। ধন্যবাদ আপনাকে

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

নূসরাত তানজীন লুবনা বলেছেন: জাযাকাল্লাহ ভাইয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.