![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
--সংগৃহীত পোস্ট
বাংলাদেশীদের কাছে সউদি আরব এক রহস্যময় জায়গা। এতো লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী ঐ দেশে থাকার পরও কত জল্পনা কল্পনা, আল্লাহ রসুলের দেশ। যেই দেশে খাবার পানির চেয়ে পেট্রলের দাম শস্তা। বাতাসে টাকা উড়ে। সউদি যেতে পারলে দেশের বাড়ি পাকা করা যায়। কয়েক বছর পর পর দড়ি দিয়ে বাঁধা কার্টুনে করে বিদেশী সাবান, লোশন, সেন্ট আর চকলেট আনা যায়। আমাদের অফুরন্ত মানবসম্পদ আছে। সুতরাং এখন মেয়েদেরকেও গৃহকর্মী করে পাঠাও। ওদের পরিবারগুলো স্বচ্ছল হবে। ওরা অনেক সাবান আর চকলেট আনবে।
অন্যদিকে, সবাই এও জানে, ওখানে গিয়ে মেয়েগুলো অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হবে। কিন্তু পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। উপরি হিসেবে আছে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানীর সুযোগ তৈরী করা নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের কৃতিত্ব অর্জন করাটা জরুরী। যদিও আওয়ামী নেতাদের পরিবারের নারী সদস্যরা সউদি আরব কাজ করতে যাবেনা। তবে সাধারণ মানুষ যাবে। এতে পুরো দেশ জয়বাংলা বলে আগে বাড়ার সুযোগ পাবে।
সউদি আরবের সবাই কি খারাপ? সব সউদিই কি তাহলে ঐরকম যৌন উম্মাদ?
না। সউদিরাও বাংলাদেশীদের মতো। ভালো খারাপ মিশ্রণেই একটা জাতি হয়। বাংলাদেশের শহুরে পরিবারগুলোতেও কাজের মেয়ে অথবা বুয়ারা কম যৌন নির্যাতনের শিকার হয় না। সউদিদের মাঝে যারা ভালো, তারা সাধারণত বাসাতে বিদেশী কাজের মেয়ে না রাখতেই চেষ্টা করে। এছাড়া অল্প কিছু আছে যারা কাজের মেয়ে রাখে বাসাতে, এবং সত্যিকার মানবিক ও ইসলামিক আচরণ করে। বাকি অধিকাংশই বর্বর। সমস্যা আরো বেড়ে যায় যখন বেশিরভাগ অশিক্ষিত সউদি এই যৌনদাসত্বকে ধর্মের স্বাভাবিক বা অনুমোদিত অংশ মনে করে। এটা সংক্ষেপে বুঝানো কঠিন। শিক্ষার অভাবে এটা হয়। যেমন এক খাঁটি নজদী বেদুইন আমার এক চাইনিজ বন্ধুকে মুসলিম জেনে, ছোট ছোট চোখের মুসলিম দেখে প্রচন্ড আবেগে আপ্লুত হয়ে গেছিলো, ও তুমিও মুসলিম??? মারহাবা। তো, তোমাদের নবী কে? তাকে যতই বলা হচ্ছিলো, মুহাম্মদ সা.। সে তবু বুঝতে অক্ষম। মুহাম্মদ সা. তো আরবের নবী, চাইনিজদের নবী কেমনে হন তিনি? কি আজব!
একবার এক বাংলাদেশী মহিলাকে দেখেছিলাম রাস্তায় বসে কান্না করতে। প্রসঙ্গত, জোট সরকারের সময়ই প্রথম বাংলাদেশী মেয়ে গৃহকর্মীরা সউদি আরব যায়। তবে এখনকার মতো গণহারে না। যাইহোক, ওদেশের রাস্তাতে কোন মেয়ের সাথে কথা বলা চরম বিপদজনক। তবু বাংলা শুনে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কি ব্যাপার। তারপর শুনেছিলাম চরম বিকৃতির কিছু ঘটনা। আরেকবার এক মুরুব্বীর বাসায় শ্রীলঙ্কান বয়স্কা মহিলা গোপনে বিদেশী সাংবাদিকের সাথে কথা বলছিলো। ওখানে শুনেছিলাম কিভাবে বাবা যখন তার রুমে ঢুকে তখন বাইরে স্যান্ডেল রাখে যেন ছেলেদের কেউ অথবা আত্মীয় স্বজনদের মাঝে কেউ সে রুমে ঢুকে না পড়ে। তার ছেলের চেয়ে ছোট সউদি তরুণ প্রজন্মের কথা বলতে গিয়ে তিনি নিজের প্রতি ঘৃণায় কান্না করছিলেন। অসংখ্য সউদি এতোটাই বর্বর যে তাদের পিতা কিংবা ভাইদের কাছে নিজেদের পরিবারের মেয়ে সদস্যরা নিরাপদ না। এ বিষয়গুলো এমন একটা সংস্কৃতির বিষয় যা হয়তো আমাদের মানসিকতা দিয়ে বুঝা যায় না। পশ্চিমা সমাজেও এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। উপমহাদেশে ঘটছে। তবে আরবদের তো এতো বেশি হারে না।
আর তাছাড়া আরব শুনলেই একটু অন্যরকম লাগে। একটু অরিয়েন্টাল, একটু একজোটিক। তার সাথে যোগ হয়েছে পেট্রডলারের স্বচ্ছলতা, আরবদের অলসতা। অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা। সুতরাং তারা টাকা দিয়ে বিদেশ থেকে খাদ্দামা কিংবা গৃহপরিচারিকা না, আদতে যৌনদাসী কিনে নিয়ে যায়। পরিবারের মহিলা সদস্যরাও নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য সম্মতি দিয়ে দেয়। অনেকে ড্রাইভার বা মালিদের দিয়ে প্রতিশোধ নিয়ে নেয়। পঁচিশ বছর যাবত সউদি আরবে থাকা এক ভদ্রলোক বলেছিলেন, মদীনা সহ কিছু কিছু জায়গা ব্যাতিত, যেসব জায়গার মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে ধর্মপরায়ন, অন্য সব সউদি অঞ্চলের সাধারণ সউদিদের অর্ধেকের বেশি বাড়িকে এক একটা পতিতালয় বললে বাড়াবাড়ি কিছু বলা হবে না।
এই সউদিদের যৌনদাসী সরবরাহের জন্য বিখ্যাত ছিলো ফিলিপাইন। তারপর ইন্দোনেশিয়া। তারপর শ্রীলংকা। নতুন যৌনদাসী সরবরাহকারী দেশ হিসেবে এনলিস্টেড হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন। একাত্তরের নারী নির্যাতনের কথা বলতে বলতে শাহবাগির দল মুখে ফেনা তুলে ফেলে। তবে দুইহাজার পনেরোতে সউদি আরবের বর্বরদের কাছে বাংলাদেশী নারীশ্রমিক পাঠালে তাতে নির্যাতনে অংশ নেয়া হয় না, বরং স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়ন হয়।
মন্তব্যঃ
"কেউ টাকার বলে মাস্তি করে কেউ টাকার অভাবে সঙ্গ দেয়, মূল বিষয় হলো মাস্তিবাদ জিন্দাবাদ!"
"যেহেতু সেক্স-স্লেভ পাঠানোর উদ্যোগটা আম্লীগ নিছে, সুতরাং চুশীল সমাজ চুপ থাকবে; আবার যেহেতু দেশটা সৌদি আরব, সুতরাং সৌদি আরবকে নিয়ে রিলিজিয়াস রোমান্টিতকায় ভুগতে থাকা BAL-বিরোধীরাও চুপ থাকবে। সবাই চুপ; মাঝখান থেকে কোপানি যাবে "গৃহকর্মী" নামের সেক্স-স্লেভদের উপর।
Gay ভ্যাংলা।"
"এক যুগ পর পর সৌদিদের রুচির পরিবর্তন হয় তাই সাপ্লাই জাতিও পরিবর্তন হয়, এবার বাঙালদের কপাল খুলছে !"
"একাত্তরের নারী নির্যাতনের কথা বলতে বলতে শাহবাগির দল মুখে ফেনা তুলে ফেলে। তবে দুইহাজার পনেরোতে সউদি আরবের বর্বরদের কাছে বাংলাদেশী নারীশ্রমিক পাঠালে তাতে নির্যাতনে অংশ নেয়া হয় না, বরং স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়ন হয়।"
"জয় বাংলা, মাল সামলা"
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
বলতে এসেছিলাম গতানুগতিক "গুড পোস্ট" জাতীয় কথা। কিন্তু এ ব্যাপারটা এতটাই বেখাপ্পা যে কোন মন্তব্য করাটাও অমানবিক। সৌদি পুরুষদেরই বা এই জঘণ্য মানসিকতা কেন কে জানে? এত টাকা, এ দিয়ে তো তারা মহাশুন্যে কি করে লাক্সারী গ্রীণ ভিলা বানানো যায়, সেই টেকনোলজী নিয়ে কাজ করতে পারে।
সব টাকাই ব্যয় হয় জুয়ায়, মদে, বিলাসিতায় আর যৌনতায়।
"অন্যদিকে, সবাই এও জানে, ওখানে গিয়ে মেয়েগুলো অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হবে। কিন্তু পেটের জ্বালা বড় জ্বালা।"
হায়রে বাঙ্গালী নারী! কত জনের যে চরম সর্বনাশ হবে কে জানে? শুধু এতটুকুুই হয়তো তাদের মনের সান্তনা - সেই ক'টা টাকায় তাদের পরিবারের ভাত জুটছে।
আর আমরাও তা অসহায়ের মত দেখবো। ফিল কলিন্সের গানের মত - "embarrassed to be there"।
এই জীবনের কি মানে?