নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোহান পরবাসী

সোহান পরবাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের প্লানেটারি ইমার্জেন্সি জারি, এক নতুন দিগন্তের সূচনা!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮


দিনপঞ্জির পাতায় দিনটি হল ১৪ নভেম্বর, ২০১৯। আমি তখন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। জনসংখ্যা উন্নয়ন বিষয়ক আইসিপিডি সম্মেলনের জলবায়ু সংক্রান্ত অধিবেশনগুলো আমার খুবই আগ্রহের জায়গা ছিল। সেশনে গিয়ে দেখি সহকর্মী শাকিলাও চলে এসেছে সংসদ সদস্য চুমকি আপা আর এরোমাদিকে নিয়ে। যদিও আফ্রিকা ও দ্বীপরাষ্ট্রের আলোচনার তুলনায় বাংলাদেশের বিপদাপন্নতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে একেবারের নগণ্য। আমার আর এরোমাদির মনের প্রশ্ন মনেই রয়ে গেল। এমপি আফম রুহুল হক স্যারতো ক্লাইমেট সেশন নিয়ে এক ধরনের হতাশাই প্রকাশ করলেন। এদিকে সম্মেলন কেন্দ্রের ইন্টারনেটের গতির অবস্থা দুর্গতি ৭ হাজার মানুষের ব্রাউজিংয়ে।

দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন তাড়াতাড়ি শেষ করে, আফ্রিকান খাদ্যাভাসে অতৃপ্তি নিয়ে ইউএনএফপিএর ডাকা সংবর্ধনা বাদ দিয়ে হোটেল স্ট্যানলি সারোভায় ফিরেছি। এখানে আমাকে আমন্ত্রণকারী সংস্থার সাইড-ইভেন্ট আর পরবর্তী দিনের প্রস্তুতি বিষয়ক পর্যালোচনা মিটিং। থাকতেই হবে নইলে চাকুরি থাকবে না। হুট করে ব্রার্মিংহাম থেকে রজার গোয়েন ভাইয়ের ম্যাসেজ। তাঁকে লন্ডস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে সাক্ষাত করতে ডেকেছিলেন স্বয়ং ব্রিটেনে নিযুক্ত হাইকমিশনার সৈয়দা মুনা তাসনীম আপা। এই মিটিংটা ঠিক করার জন্য আমাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। সাক্ষাতের ছবি দেখে আমার কি যে ভালো লেগেছ তা লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। রজার ভাইয়ের উপর একটা বইয়ের কাজ করছি। ওনার সারাজীবন ধরে মানবতা আর বাংলাদেশ প্রেমের কিছু কথাবার্তা বইয়ের পাতায় বন্দি করার চেষ্টা আর কি। অবশেষে একটা অসাধ্য সাধন করে আমি যখন আনন্দে দুইচোখে আন্ধার দেখছি তখনও জানিনা আমার জন্য একটু পর কত বিশাল একটা খবর অপেক্ষা করছে।

বরিশাল থেকে ফিরোজ ভাই ম্যাসেজ দিয়ে জানালো গ্লোবাল ভিলেজ ইউনিভার্সিটিতে পাট পণ্য মেলায় স্টল দিয়েছে আমার প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট। আমি আর শাকিলা দেশে না থাকলেও ইয়ুথ পার্লামেন্ট আর ইয়ুথনেট মিলে বরিশালে উপকূল দিবস পালন করেছে ১২ তারিখে। হুট করে ফিরোজ ভাই বলল পার্লামেন্ট অধিবেশন বসেছে, ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি বিল সংসদে উঠেছে। একটু পর পাশ হবে। আমি মিনিট দুয়েকের জন্য তব্দা খেয়ে গেলাম। কিসের পার্লামেন্ট বসলো আবার ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি বিলও তোলা হয়েছে। আমাকে ছাড়া এই অল্প কদিনে ফিরোজ ভাই কিভাবে ইয়ুথ পার্লামেন্টের আয়োজন করে ফেলল? আমার মাথায় আর কাজ করছে না। আবার ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি বিলও তুলছে। বিলের ড্রাফটা পাইলো কই! আর এই বিলতো একবার পাশ করলাম সবাই কন্ঠভোটে। পুরনো বিল আবার কেন পাশ করবে? আমার মোহ কাটছে না। আমি সাহস করে জিজ্জাসা করলাম বিল কোথায় উঠছে জাতীয় সংসদে? ফিরোজ ভাই উত্তর দিলো হ্যা। আমি ভাবছি ফিরোজ ভাই কি উল্টা পাল্টা বকছে। একটা বিদেশি কুকুর লালল পালন করতে করতেই লোকটা ভোগে চলে গেল! আমার বিশ্বাসই হয়না যে জাতীয় সংসদে ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি বিল তোলা হয়েছে। ক্যামনে সম্ভব। বাংলাদেশ জলবায়ু জরুরী অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে।

দ্রুত গুগুলে ঢু মারলাম। তখনও বিল পাশ হয়ে নিউজ হয়ে ওঠে নি। পুরনো একটা নিউজ পেলাম বাংলা ট্রিবিউনে যে এবারের অধিবেশনে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গ্রহজনিত জরুরী অবস্থা জারির প্রস্তাব তুলবে । এবার তাহলে বিশ্বাস করা যায়। কয়েকঘন্টা পর নিউজ আপডেট পেলাম। ইউটিউবে দেখে নিলাম সাবের হোসেন চৌধুরী সাহেবের বক্তব্য। ওনাকে এবছর জেঁকে ধরেছিলাম কয়েটা প্রোগ্রামে। বছরের শুরুর দিকে পিকেএসএফ একটা যুব সম্মেলনে জলবায়ু নিয়ে কথা বলার আমন্ত্রন জানিয়েছিল।

তখন আমরা সবেমাত্র গ্রেটা থুনবার্গের আহবানে ক্লাইমেট স্ট্রাইক শুরু করেছি । আমার সাথে আরো দুই জন প্রতিযোগী ছিল ক্লাইমেট বিষয়ে পেপার উপস্থাপন করার জন্য। বিচারকদের রায়ে শেষ পর্যন্ত আমি টিকে যাই। বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে গিয়ে দেখি আমার সেশনের প্রধান অতিথি সাবের হোসেন চৌধুরি এমপি। খুবই বিনয়ী ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক। একসময়ে ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এখন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। আমি সম্মেলনে তরুণদের চোখে জলবায়ু সংক্রান্ত পেপারখানা পড়ে একগুচ্ছ সুপারিশ রাখলাম। সম্মেলন কেন্দ্র জুড়ে তরুনদের করতালিতে মুখর। সবাই প্রশ্নোত্তর পর্বে জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যা তুলে ধরল। সব টুকে নিলেন সরকারে এসডিজি কোওর্ডিনেটর ও সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ স্যার। বক্তৃতা পর্বে সাবের স্যার বললেন, সংসদীয় কমিটিতে আমরা বুদ্ধি পরামর্শের জনয় বিভিন্ন সময়ে এক্সপার্টদের আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকি। আগামী কোন এক সংসদীয় কমিটির সভায় এক্সপার্ট হবে তোমরা তরুণরা। তোমরা তরুণরা আমাদের পরামর্শ দিবে মন্ত্রণালয়ের কাজ কিভাবে চললে ভালো হবে। কি করলে পরিবেশ ও জলবায়ু ভালো থাকবে। উদ্যোগটা দারুন হলেও পিকেএসএফ আর উদ্যোগী না হওয়ায় মিটিংটি আর হয়ে ওঠেনি।

ততক্ষনে জলবায়ু অবরোধ সপ্তাহ চলে এলো। সাবের স্যারকে আমরা তরুণরা আবার পেলাম ইন্ডিপিন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে জলবায়ু বিষয়ক এক পলিসি ডায়লগে। আমরা সারা দেশের তরুণরা ক্লাইমেট ইমার্জেন্সির কথা বললাম । নিজ নিজ এলাকার জন্য বিভিন্ন দাবি জানালাম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বললেন শুধু ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি চলছে না এটা প্লানেটারি ইমার্জেন্সি বা গ্রহগত জরুরী অবস্থা। তখন প্রথম এই শব্দটার সাথে পরিচিত হলাম। যদিও ইতিমধ্যে ইউকেসহ বিশ্বের বেশকিছু সংসদ ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি জারি করে ফেলেছে। তিনি বললেন আমাদের সংসদীয় কমিটিতে জণশুনানী হয়। তোমরা যেহেতু সংসদে যেতে পারলে না তোমাদের সবার ব্ক্তব্যকে জনশুনানী হিসেবে গণ্য করে নিলাম। আগামী সংসদীয় সভায় এনিয়ে আলোচনা করব।

এরপর সেপ্টেম্বরের ২০-২৭ সারাদেশে ক্লাইমেট স্ট্রাইক পালন করলাম। পদযাত্রা থেকে শুরু করে অবস্থান ধর্মঘট, মিছিল, সাইকেল র‍্যালি, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, উঠান বৈঠক, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, স্কুল অধিবেশন কিছুই বাদ যায় নি। জেলায় জেলায় জেলাপ্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া শুরু করলাম। গোপালগঞ্জ থেকে সিরাজগঞ্জ, কক্সবাজার থেকে চরফ্যাশন। দাবি একটাই বাংলাদেশে জলবায়ু জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা। স্লোগান একটাই, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ক্লাইমেট জাস্টিস! এতবড় আন্দোলন করেও সরকার থেকে তেমন একটা প্রতিক্রিয়া পাচ্ছিলাম না। টুইটারে ঢুকলেই সাবের হোসেন চৌধুরীকে মেনশন করে ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি চেয়ে টুইট করতাম। রিটুইট করে সমর্থন জানাতেন জলবায়ুবিদ সালিমুল হক স্যার।


১৪ নভেম্বর জানতে পারলাম বিশ্বের ইতিহাসে বাংলাদেশ সংসদ-ই প্লানেটারি ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে আমাদের বলছে তোমাদের আন্দোলনকে সংহতি জানাচ্ছি, সমর্থন জানাচ্ছি। তোমাদের দাবির সাথে কন্ঠ মিলিয়ে পৃথিবীর জন্য সুবিচার চাচ্ছি, জলবায়ুর ন্যায্যতা চাচ্ছি। এই কন্ঠ সেই কন্ঠ, শুভ্র শাদা পাঞ্জাবি পড়া সাবের হোসেন চৌধুরীর কন্ঠ। আমরা শুধু চেয়েছিলাম বাংলাদেশের জন্য ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি। কিন্তু তাঁর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব আমাদের জন্য এনে দিল প্লানেটারি ইমার্জেন্সি ঘোষণা। এটুকু কিন্তু একেবারে কম না। বিশ্বসভায় বাংলাদেশ যেমনি নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়বে তেমনি করে লড়বে বিপদাপন্ন অন্য দ্বীপরাষ্ট্রসমূহের জন্য যাদের অস্ত্বিত্ব সঙ্কটে । নাইরোবিতে দেখা হল সংসদ সদস্য আফম রুহুল হক স্যার আর এরোমাদির সাথে। তারা এখনো সংসদের খবর পায় নি। আমার মুখে শুনে এরোমাদিকে উৎফুল্ল মনে হল। তবুও বোকার মত জিগাইলাম দিদি খুশি হয়েছেন। তিনি উত্তর দিলেন অনেক অনেক খুশি।

আইসিপিডি সম্মেলনের শেষদিনের প্রথম বেলায় গেলাম নাইরোবি শহরের অদূরে নাজরীন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে (কনফারেন্স অফ দ্যা পার্টিস)-কপের সময়ে অনুষ্ঠিত কয় (কনফারেন্স অফ দ্যা ইয়ুথ) এর আদলে লোকাল কয় নাইরোবিতে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের তরুণরা একত্রিত হয়ে তাদের স্বপ্নের কথা বলছিল। তাদের ভবিষ্যতের কথা বলছিল। কৃষকের এক খন্ড গামছা কাঁধে সেখানে হাজির হয়ে বললাম আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। ব্যাগ থেকে লাল-সবুজ রঙা নিশান খানা বের করলাম। বললাম হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাত কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছাস, সে আমার দেশ। আমার চোখে তখন ধানসিঁড়ির ঢল। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললাম আমাদের একজন সাবের হোসেন চৌধুরী আছে। বাংলাদেশ বিশ্বেরস একমাত্র দেশ গতকাল সেখানকার সংসদে ঘোষিত হয়েছে প্লানেটারি ইমার্জেন্সি! আর তোমাদের বলে যাই জলবায়ুরযুদ্ধ করতে হলে ইউনিসেফে কাজ করা লাগেনা, নিউইয়র্ক সম্মেলনে গিয়ে গ্রেটা থুনবার্গের সাথে সেলফি না খিচলেও চলে। শুধু ধরণীর জন্য লড়ে যাও, হাউ ডেয়ার ইউ বলে ওদের চোখে চোখ রাঙাও ! বিজয় আসবেই!! [

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কেনিয়ায় অবস্থানকালীন সময়টি যদিও আপনি উল্লেখ করলেন না, তবে বিষয়টি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।সারা বিশ্ব উষ্ণায়ন যেভাবে বাড়ছে পরিবেশ যেভাবে দূষিত হচ্ছে সেখানে পার্লামেন্টের প্লানেটারি ইমার্জেন্সি ঘোষণা নিঃসন্দেহে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলো। সঠিক জনসচেতনতা গড়ে তুলে আপনারা এই আন্দোলনকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যান কামনা করি।
পোস্টে প্রথমে লাইক।

শুভকামনা জানবেন।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০১

সোহান পরবাসী বলেছেন: ভাইয়া প্লানেটারি ইমার্জেন্সি ঘোষনার দিনটি হচ্ছে ১৪ নভেম্বর। আর আমি নাইরোবিতে ছিলাম ১০ থেকে ১৫ নভেম্বর। আপনার লাইক আমাকে আরো লেখার জন্য অনুপ্রাণিত করবে। অসংখ্য ধন্যযোগ!

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: জলবায়ু নিয়ে আমারও আগ্রহ আছে , আমাদের ICA সংস্হা কাজ করছে অনেক দিন যাবত
..............................................................................................................................
তবে আমার জন্য দু:খজনক যে, ব্যবসায়িক কাজে সমস্যায় থাকার জন্য আমি জোরালো ভাবে
লাইমলাইটে আসতে পারি নাই ।
এখন আবার আমি অষ্ট্রেলিয়ায় আছি এখন , তাই দেশের খবর রাখতে পারছি না ।
ধন্যবাদ আপনার এই লেখার জন্য, কিছু আপডেট পেলাম ।
..................................................................................................................................
মনে হলো , আপনার লেখায় কিছু অংশ দুইবার হয়েছে, পড়ার সুবিধার জন্য তা এডিট করুন
আর যে কোন প্রাপ্ত মন্তব্যর ডানদিকের কোনায় সবুজ এ্যরো দেখবেন তা ক্লিক করে উত্তর দিবেন।
শুভ ব্লগিং

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৫

সোহান পরবাসী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য। জলবায়ু সংক্রান্ত আপনার কর্মকান্ড সম্পর্কে জানলে আমার ভালো লাগবে। আপনার পরামর্শের জন্য আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ! ভালো থাকবেন ভাইয়া!

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আর তোমাদের বলে যাই জলবায়ুরযুদ্ধ করতে হলে ইউনিসেফে কাজ করা লাগেনা, নিউইয়র্ক সম্মেলনে গিয়ে গ্রেটা থুনবার্গের সাথে সেলফি না খিচলেও চলে। শুধু ধরণীর জন্য লড়ে যাও, হাউ ডেয়ার ইউ বলে ওদের চোখে চোখ রাঙাও ! বিজয় আসবেই!!

শেষের কথাগুলো দারুণ লাগলো।প্রশংসার দাবি রাখেন বটে।
পোস্টে ++

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৭

সোহান পরবাসী বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.